গত কয়েক দিন আগে এক ভাই প্রচার করা শুরু করলেন যে জাবহাত আন নুসরাহ এর একজন শারয়ী মুরতাদ হয়ে গিয়েছে। এটি একদম ভুয়া একটি খবর। এই খবরের ভুয়া হওয়ার প্রমান নিয়ে হাজির হলেন মুহতারাম মুহাম্মাদ বিন কাসিম ভাই।
বিস্তারিত খবরঃ
আইএস সমর্থক কর্তৃক “জাবহাতুন নুসরার শার’য়ী খ্রিস্টান হয়ে গেছে” এই প্রোপাগান্ডার বাস্তবতা !! (একটু বিস্তারিত,পুরোটা পড়ুন।)
জনৈক আইএস সমর্থক গল্পকার আলিম ‘মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া’ সিরিয়ার এক ব্যক্তিকে সিরিয়ায় আল-কায়েদার সাবেক শাখা জাবহাতুন নুসরার শার’য়ী আখ্যা দিয়ে আল-কায়েদার মানহাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং খারিজী আইএসের বাতিল মতবাদকে সঠিক প্রমাণের অপচেষ্টা চালায়। অতঃপর তার এই সংবাদ নিয়ে আইএসের নাদান-মূর্খ সমর্থকরা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যা পেরেছে বকেছে !
উক্ত গল্পকার এটিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য উক্ত মুরতাদের নামের আগে ‘ডঃ’ যুক্ত করে তাতে একটু গুড় মেখে দিয়েছেন !! অথচ আরবী,ইংরেজি দুনিয়ার কোনো মিডিয়ার নিউজ/ভিডিও/অডিও কোথাও এই ব্যক্তির নামে সাথে ‘ডঃ’ লেখা নেই।
দেখুন তার পোস্টে..... https://tinyurl.com/md5t4z4
ইসলামের বিরুদ্ধে ইসলামের চিরশত্রুদের প্রচারিত প্রোপাগান্ডাকে সত্য প্রমাণের অপচেষ্টায় ‘ডঃ’ লিখে তা প্রচার করেছে খারিজী সমর্থক উক্ত গল্পকার !
আমরা বিস্মিত ! আমরা অবাক ! এটাই কী তাদের কথিত খিলাফার মানহাজ !!! ইন্নালিল্লাহ !!
আচ্ছা, আইএস সমর্থকদের এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা যদি সত্যও হতো অর্থাৎ যদি কোনো দল থেকে একজন ব্যক্তি মুরতাদ হয়েও থাকে,তাহলে কী সেই দলটি বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ???
যদি আইএসের বাতিল মতবাদ এবং তার সমর্থকদের মতে তাই হয়, তাহলে......
১। উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবা রাঃ এর পূর্বের স্বামী ‘উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ’ সস্ত্রীক মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করে আবিসিনিয়ায় হিযরত করে। অতঃপর আবিসিনিয়ায় গিয়ে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ’ খ্রিস্টান হয়ে যায়। পরে রাসূল সাঃ উম্মে হাবীবা রাঃ কে বিবাহ করেন। তার খ্রিস্টান হয়ে যাওয়ার কারণে তাহলে কী ইসলাম বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ??? উত্তর চাই !!
২। কাতিবে অহী তথা অহী লেখক ‘আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে আবী সারাহ’ ইসলাম পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে মদীনা থেকে মক্কায় চলে যায়। পরে অবশ্য মক্কা বিজয়ের পর তিনি আবার ইসলাম গ্রহণ করেন। এই ব্যক্তির মুরতাদ হওয়ার কারণে কী ইসলাম বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ???
তাদের মতবাদ অনুযায়ী তারা এটাই প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে । যদি তাই হয়,তাহলে কুফফার মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে আইএসের কিছু সদস্যও খ্রিস্টান হয়ে গেছে। তাহলেতো তাদের প্রোপাগান্ডার আলোকে আইএসও বাতিল।
তাদের প্রোপাগান্ডার জবাবে এমন কিছু নিউজ আমার পোস্টে দেখুন..... https://tinyurl.com/lzqtule
যখনই তাদের প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচারের মুখে কুলুব এটে দেওয়া এবং তাদের দ্বিমুখীতা উন্মোচন করার জন্য কুফফার মিডিয়ায় প্রকাশিত আইএসের কতিপয় সদস্যের খ্রিস্টান হওয়ার সংবাদ দিলাম,তখনই দেখা গেলো তাদের সীমাহীন দ্বিমুখী নীতি। এবার তাদের সমর্থকরা পোস্ট দিয়ে লিখলো.....
#Abu_Riyad নামে তাদের এক মিসকিন সমর্থক আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে তাতে লিখলো.....
//রাসুল সা : মৃত্যুর পর অথবা জীবিত থাকা কালিন অনেক ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে তাই বলে কি ইসলাম ধর্ম মিথ্যা হয়ে গেলো?//
দেখুন কীভাবে তারা উল্টে গেলো !! অর্থাৎ নিজেদের ক্ষেত্রে এক নীতি, আর অন্যদের ক্ষেত্রে আরেক নীতি !! শুধু এসব মিসকিন সমর্থক নয় বরং খারিজী আইএসের দাবিক নামক অফিসিয়াল ম্যাগাজিনেও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পশ্চিমা কুফফার মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে তার মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিবিসির ছবি দিয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
*** আসল ঘটনাঃ
হাসান আবু হামযা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সিরিয়ার নাগরিক আখ্যা দিয়ে, ইরাকে আল-কায়েদার হয়ে অতঃপর সিরিয়ায় ইসলামী দলের অধীনে জিহাদ করেছে এই দাবী করে জার্মানিতে খ্রিস্টানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজেকে বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মের তথা মাসীহের অনুসারী বলে পরিচয় দেয়।
দেখুন সেই ভিডিও..... https://www.youtube.com/watch?v=fEIHsvovfVc
উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সে কোথাও জাবহাতুন নুসরার নাম-ই নেয়নি।
এছাড়া আরবী ভাষায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় চ্যানেল Al Karma (আল-কারমা) তে ৩ পর্বের সাক্ষাৎকার প্রদান করে এই নব্য খ্রিস্টান তথা মুরতাদ । সেখানে শিরোনাম দেয় “মিন জাবহাতিন-নুসরাতি ইলাল-মাসীহ” অর্থাৎ জাবহাতুন নুসরাহ থেকে মাসীহের দিকে।
কিন্তু সেখানে সে ইরাকের জিহাদের কথা বলে এবং ইরাকে বিভিন্ন সময় বাজারে হামলা নিয়ে সে তীব্র সমালোচনা করে। এসব বিষয় তার কাছে মানবতাশুন্য মনে হয়। এছাড়া সে সিরিয়ার বিভিন্ন দলের জিহাদ নিয়ে সমালোচনা করে। সে বলেছে, জিহাদের নামে নির্বিচার মানুষ হত্যা দেখে সে নাকি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর সে সিরিয়া ছেড়ে তুরষ্কে চলে যায় এবং কিছুদিন পর জার্মানিতে চলে যায়।
নির্বিচারে মানুষ হত্যা যদি বলা হয়,তাহলে তা আইএসই করে। এমনকি মুজাহিদদেরকে পর্যন্ত গলা কেটে উল্লাস করে আইএস।
আপনি অবাক হবেন না ! আইএসের সমর্থকদের কাছে খ্রিস্টান মিশনারি ও মুশরিক রাফেযীদের প্রচার করা নিউজ-ই বিশ্বাসযোগ্য বিবেচিত হলো মুজাহিদদের বিরুদ্ধে !!
*** উক্ত মুরতাদ আইএসে ছিলো ! ঃ
যদি উক্ত মুরতাদ তার দাবীতে সত্যবাদী হয়ে থাকে,তাহলে সে আইএসের সৈনিক/শার’য়ী ছিলো। আল-কায়েদা ইন ইরাক-ই মূলত পরে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক হয়ে যায়। যদি সে জাবহাতুন নুসরায় থেকেও থাকে, তাহলে সেই ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের সাথে যুক্ত থেকেই সে জাবহাতুন নুসরায় ছিলো। কারণ তখনও জাবহাতুন নুসরাহ আইএসআই এর অধীনে থেকেই যুদ্ধ করছিলো।
দেখুন সিরিয়ার ‘Orient TV’ তে প্রকাশিত রিপোর্টে তার প্রমাণ......
রিপোর্টের শিরোনাম.... شاهد فيديو لشرعي تنظيم الدولة يعتنق المسيحية ويروج لتأسيس القاعدة في العراق!
দেখুন তাতে সুস্পষ্টভাবে “তানযিম আদ-দাওলার শার’য়ী” লেখা রয়েছে।
লিংক.... https://www.youtube.com/watch?v=tO0UDQhX31M
আইএসের উক্ত সমর্থক এবং অন্যান্য সমর্থকরা আবার এটিকে মুবাহালার ফল আখ্যা দিয়ে ডিগবাজি খেতে লাগলো !!
আচ্ছা, যদি তাদের কথা অনুযায়ী মুবাহালার মহাপ্লাবনই হয়,তাহলে প্রমাণিত হয় যে, তারা একটি বাতিল দল। আর তাই তাদের দল থেকে লোকজন খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে !!!
অথচ আমরা কখনোই শুধুমাত্র কুফফার মিডিয়ার বরাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি না বরং তাদের অফিসিয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত বার্তা/ভিডিওর অকাট্য প্রমাণাদির মাধ্যমেই তাদের বাতিল মতবাদের পোস্টমর্টেম করেছি, আলহামদুলিল্লাহ্*। আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ্*।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সত্য চিনে তা অনুসরণ করার এবং বাতিল চিনে তা বর্জন করার ঈমান ও তাউফীক্ব দান করুন।
(পোস্টটি কপি করে সবাই প্রচার করতে পারেন,যাতে করে প্রোপাগান্ডাকারী খারিজী সমর্থকদের মিথ্যাচার সম্পর্কে সবাই অবগত হতে পারেন। )
বিস্তারিত খবরঃ
আইএস সমর্থক কর্তৃক “জাবহাতুন নুসরার শার’য়ী খ্রিস্টান হয়ে গেছে” এই প্রোপাগান্ডার বাস্তবতা !! (একটু বিস্তারিত,পুরোটা পড়ুন।)
জনৈক আইএস সমর্থক গল্পকার আলিম ‘মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া’ সিরিয়ার এক ব্যক্তিকে সিরিয়ায় আল-কায়েদার সাবেক শাখা জাবহাতুন নুসরার শার’য়ী আখ্যা দিয়ে আল-কায়েদার মানহাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং খারিজী আইএসের বাতিল মতবাদকে সঠিক প্রমাণের অপচেষ্টা চালায়। অতঃপর তার এই সংবাদ নিয়ে আইএসের নাদান-মূর্খ সমর্থকরা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যা পেরেছে বকেছে !
উক্ত গল্পকার এটিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য উক্ত মুরতাদের নামের আগে ‘ডঃ’ যুক্ত করে তাতে একটু গুড় মেখে দিয়েছেন !! অথচ আরবী,ইংরেজি দুনিয়ার কোনো মিডিয়ার নিউজ/ভিডিও/অডিও কোথাও এই ব্যক্তির নামে সাথে ‘ডঃ’ লেখা নেই।
দেখুন তার পোস্টে..... https://tinyurl.com/md5t4z4
ইসলামের বিরুদ্ধে ইসলামের চিরশত্রুদের প্রচারিত প্রোপাগান্ডাকে সত্য প্রমাণের অপচেষ্টায় ‘ডঃ’ লিখে তা প্রচার করেছে খারিজী সমর্থক উক্ত গল্পকার !
আমরা বিস্মিত ! আমরা অবাক ! এটাই কী তাদের কথিত খিলাফার মানহাজ !!! ইন্নালিল্লাহ !!
আচ্ছা, আইএস সমর্থকদের এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা যদি সত্যও হতো অর্থাৎ যদি কোনো দল থেকে একজন ব্যক্তি মুরতাদ হয়েও থাকে,তাহলে কী সেই দলটি বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ???
যদি আইএসের বাতিল মতবাদ এবং তার সমর্থকদের মতে তাই হয়, তাহলে......
১। উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবা রাঃ এর পূর্বের স্বামী ‘উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ’ সস্ত্রীক মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করে আবিসিনিয়ায় হিযরত করে। অতঃপর আবিসিনিয়ায় গিয়ে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহাশ’ খ্রিস্টান হয়ে যায়। পরে রাসূল সাঃ উম্মে হাবীবা রাঃ কে বিবাহ করেন। তার খ্রিস্টান হয়ে যাওয়ার কারণে তাহলে কী ইসলাম বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ??? উত্তর চাই !!
২। কাতিবে অহী তথা অহী লেখক ‘আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে আবী সারাহ’ ইসলাম পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে মদীনা থেকে মক্কায় চলে যায়। পরে অবশ্য মক্কা বিজয়ের পর তিনি আবার ইসলাম গ্রহণ করেন। এই ব্যক্তির মুরতাদ হওয়ার কারণে কী ইসলাম বাতিল বলে প্রমাণিত হয় ???
তাদের মতবাদ অনুযায়ী তারা এটাই প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে । যদি তাই হয়,তাহলে কুফফার মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে আইএসের কিছু সদস্যও খ্রিস্টান হয়ে গেছে। তাহলেতো তাদের প্রোপাগান্ডার আলোকে আইএসও বাতিল।
তাদের প্রোপাগান্ডার জবাবে এমন কিছু নিউজ আমার পোস্টে দেখুন..... https://tinyurl.com/lzqtule
যখনই তাদের প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচারের মুখে কুলুব এটে দেওয়া এবং তাদের দ্বিমুখীতা উন্মোচন করার জন্য কুফফার মিডিয়ায় প্রকাশিত আইএসের কতিপয় সদস্যের খ্রিস্টান হওয়ার সংবাদ দিলাম,তখনই দেখা গেলো তাদের সীমাহীন দ্বিমুখী নীতি। এবার তাদের সমর্থকরা পোস্ট দিয়ে লিখলো.....
#Abu_Riyad নামে তাদের এক মিসকিন সমর্থক আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে তাতে লিখলো.....
//রাসুল সা : মৃত্যুর পর অথবা জীবিত থাকা কালিন অনেক ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে তাই বলে কি ইসলাম ধর্ম মিথ্যা হয়ে গেলো?//
দেখুন কীভাবে তারা উল্টে গেলো !! অর্থাৎ নিজেদের ক্ষেত্রে এক নীতি, আর অন্যদের ক্ষেত্রে আরেক নীতি !! শুধু এসব মিসকিন সমর্থক নয় বরং খারিজী আইএসের দাবিক নামক অফিসিয়াল ম্যাগাজিনেও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে পশ্চিমা কুফফার মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে তার মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিবিসির ছবি দিয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
*** আসল ঘটনাঃ
হাসান আবু হামযা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সিরিয়ার নাগরিক আখ্যা দিয়ে, ইরাকে আল-কায়েদার হয়ে অতঃপর সিরিয়ায় ইসলামী দলের অধীনে জিহাদ করেছে এই দাবী করে জার্মানিতে খ্রিস্টানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজেকে বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মের তথা মাসীহের অনুসারী বলে পরিচয় দেয়।
দেখুন সেই ভিডিও..... https://www.youtube.com/watch?v=fEIHsvovfVc
উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সে কোথাও জাবহাতুন নুসরার নাম-ই নেয়নি।
এছাড়া আরবী ভাষায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় চ্যানেল Al Karma (আল-কারমা) তে ৩ পর্বের সাক্ষাৎকার প্রদান করে এই নব্য খ্রিস্টান তথা মুরতাদ । সেখানে শিরোনাম দেয় “মিন জাবহাতিন-নুসরাতি ইলাল-মাসীহ” অর্থাৎ জাবহাতুন নুসরাহ থেকে মাসীহের দিকে।
কিন্তু সেখানে সে ইরাকের জিহাদের কথা বলে এবং ইরাকে বিভিন্ন সময় বাজারে হামলা নিয়ে সে তীব্র সমালোচনা করে। এসব বিষয় তার কাছে মানবতাশুন্য মনে হয়। এছাড়া সে সিরিয়ার বিভিন্ন দলের জিহাদ নিয়ে সমালোচনা করে। সে বলেছে, জিহাদের নামে নির্বিচার মানুষ হত্যা দেখে সে নাকি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর সে সিরিয়া ছেড়ে তুরষ্কে চলে যায় এবং কিছুদিন পর জার্মানিতে চলে যায়।
নির্বিচারে মানুষ হত্যা যদি বলা হয়,তাহলে তা আইএসই করে। এমনকি মুজাহিদদেরকে পর্যন্ত গলা কেটে উল্লাস করে আইএস।
আপনি অবাক হবেন না ! আইএসের সমর্থকদের কাছে খ্রিস্টান মিশনারি ও মুশরিক রাফেযীদের প্রচার করা নিউজ-ই বিশ্বাসযোগ্য বিবেচিত হলো মুজাহিদদের বিরুদ্ধে !!
*** উক্ত মুরতাদ আইএসে ছিলো ! ঃ
যদি উক্ত মুরতাদ তার দাবীতে সত্যবাদী হয়ে থাকে,তাহলে সে আইএসের সৈনিক/শার’য়ী ছিলো। আল-কায়েদা ইন ইরাক-ই মূলত পরে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক হয়ে যায়। যদি সে জাবহাতুন নুসরায় থেকেও থাকে, তাহলে সেই ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের সাথে যুক্ত থেকেই সে জাবহাতুন নুসরায় ছিলো। কারণ তখনও জাবহাতুন নুসরাহ আইএসআই এর অধীনে থেকেই যুদ্ধ করছিলো।
দেখুন সিরিয়ার ‘Orient TV’ তে প্রকাশিত রিপোর্টে তার প্রমাণ......
রিপোর্টের শিরোনাম.... شاهد فيديو لشرعي تنظيم الدولة يعتنق المسيحية ويروج لتأسيس القاعدة في العراق!
দেখুন তাতে সুস্পষ্টভাবে “তানযিম আদ-দাওলার শার’য়ী” লেখা রয়েছে।
লিংক.... https://www.youtube.com/watch?v=tO0UDQhX31M
আইএসের উক্ত সমর্থক এবং অন্যান্য সমর্থকরা আবার এটিকে মুবাহালার ফল আখ্যা দিয়ে ডিগবাজি খেতে লাগলো !!
আচ্ছা, যদি তাদের কথা অনুযায়ী মুবাহালার মহাপ্লাবনই হয়,তাহলে প্রমাণিত হয় যে, তারা একটি বাতিল দল। আর তাই তাদের দল থেকে লোকজন খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে !!!
অথচ আমরা কখনোই শুধুমাত্র কুফফার মিডিয়ার বরাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলি না বরং তাদের অফিসিয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত বার্তা/ভিডিওর অকাট্য প্রমাণাদির মাধ্যমেই তাদের বাতিল মতবাদের পোস্টমর্টেম করেছি, আলহামদুলিল্লাহ্*। আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ্*।
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে সত্য চিনে তা অনুসরণ করার এবং বাতিল চিনে তা বর্জন করার ঈমান ও তাউফীক্ব দান করুন।
(পোস্টটি কপি করে সবাই প্রচার করতে পারেন,যাতে করে প্রোপাগান্ডাকারী খারিজী সমর্থকদের মিথ্যাচার সম্পর্কে সবাই অবগত হতে পারেন। )
Comment