শর্তটি হচ্ছে, বিশ্বাস পোষণ… বিশ্বাস পোষণ করা জিহাদের ফারিযাহে (কল্যাণে) , বিশ্বাস পোষণ করা তাতে যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ্*তা’আলা দিয়েছেন, বিশ্বাস পোষণ করা বিজয়ে, শত পরীক্ষা ও সর্বাধিক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর। হোক তা জীবনের ক্ষেত্রে অথবা সম্পদের ক্ষেত্রে , বিশ্বাস পোষণ করা আল্লাহ্* তা’আলার সাহায্যে এবং কারামাহ-তে ।
এবং বিশ্বাস পোষণ করা যে আল্লাহ্* তায়ালাই মুজাহিদদের সাহায্য করবেন যারা সত্যিকারভাবে আল্লাহ্*র জন্য জিহাদ করছেন, এরা তারা যারা সর্বদা ইরহাব (কুফফারদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা), ইগতিয়ালাত (গুপ্ত হামলা) করছেন ও যুদ্ধ করছেন মুরতাদ ও কাফিরদের (ইহুদী-খৃস্টানদের)বিরুদ্ধে ।
যেমনটা ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) নিচের আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন, যেখানে আল্লাহ্* তায়ালা বলেনঃ
قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ
“যাদের ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সাথে তাদের সাক্ষাৎ হবে, তারা বার বার বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে।” (আল-বাকারাহ, ২৪৯)
তিনি ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) বলেন,
“যারা নিশ্চিত ছিল আল্লাহ্*র সাথে সাক্ষাত হবে” এরা হচ্ছে তারা যারা জ্ঞানী, এবং এরা হলেন তারা যাদের সত্যিকার অর্থেই আল্লাহ্*র সাথে সাক্ষাতের বিশ্বাস আছে ।
এছাড়াও ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) এর মতে,
এখানে “কাম মিন ফিয়াতিন” মানে হচ্ছে বেশিভাগ সময় এবং প্রায়ই (ইমাম বাগাওয়ী তাফসীর দ্রস্টব্য) ক্ষুদ্র দল বিশাল বাহিনীকে পরাজিত করবে এটা যেন সুনিশ্চিত নিয়ম আল্লাহ্* তায়ালার ক্বাদা এবং অনুমতি অনুসারে।
অতএব হে ভাইয়েরা, ……
আপনারা যারা সংখ্যায় স্বল্প… আপনারা যারা স্বল্প কিন্তু সর্বদা ইরহাব,ইগতিয়ালাত এবং যুদ্ধ করছেন!!
বিশ্রাম নিশ্চিত এবং বিশ্বাস করেন… আল্লাহ্*র শত্রু এবং মুমিনদের শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনারাই বিজয়ী হবেন। যদিও আপনারা সংখ্যায় স্বল্প, এমনকি সাতজন,পাঁচজন,তিনজন কিংবা একজনও হন!!
প্রকৃতপক্ষে, প্রত্যেক মুমিনের উচিত আল্লাহ্*র শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এমনকি যে রয়ে যায় সে যদি একাকীও হয়।
আপনারা কি ঐ সমস্ত ইরহাবিয়া আ’মালগুলোর কথা মনে আছে যেগুলো আল্লাহ্*র শত্রু এবং মুমিনদের শত্রুদেরকে ভীষনভাবে ভীত করেছে, সে সবের কিছু আ’মাল ইনশাআল্লাহ্* মুসলিম ভূমির বিরুদ্ধে শত্রুদের দম্ভ,অহংকার এবং দখলদারিত্ব দমন করে দিয়েছে।
– নাইরোবিতে অনেক হতাহত সহ আমেরিকান দূতাবাস ধবংস …- এডেন উপসাগরে ইউএসেস কৌল যুদ্ধজাহাজ বিকল ও ধবংস …- ফিলিপাইনে ১০০ কাফির হত্যা এবং ৯০০ যাত্রীসহ সুপার ভেরি-১৪ এর বিস্ফোরণ ও দহন …- ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ার ধবংস যেখানে হাজার খানেক কাফির হত্যার দাবী করা হচ্ছে …-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র, পেন্টাগনে ভয়ংকর আক্রমণ …-ভারতের মুম্বাই ট্রাজেডি যাতে ২০০ কাফির মারা যায় …এবং এখনো আরো অনেক …
সাক্ষী থাকুন!! সাক্ষী থাকুন হে ভাইয়েরা!! মূলত ওইসব অপারেটররা ছিলেন তরুণ সাহসী মুজাহিদীন, যারা সংখ্যায় ছিলেন স্বল্প, এক থেকে একডজনের মধ্যে … কেন আল্লাহ্* তাদেরকে গ্রহণ করতে সম্মত, তাদের ইরহাবের প্রতি সন্তুষ্ট!!! কেন আল্লাহ্* তায়ালা তাদের সাহায্য করলেন এবং তাদের মাঝে কারামাহ দেখালেন ?? কারণ একটাই আল্লাহ্* তায়ালার ওয়াদায় তাদের বিশ্বাস ছিল।
যদিও তারা গরীব ছিলেন, তাদেরকে বোকা মনে করা হত, তাদেরকে নিঃস্ব মনে করা হত, তথাপি তারা ছিলেন এমন তরুণ যাদের জ্ঞান বিশেষ গুরুত্ব বহন করত বলে মনে করা হত না। কিন্তু তাদের দ্বীনের প্রতি তাদের বিশ্বাস ছিল, জিহাদের প্রতি তাদের বিশ্বাস ছিল। তাই আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা তাদের যথাযথভাবে সাহায্য করেছেন।
অতএব, কখনো এমন দিবাস্বপ্ন দেখবেন না যে “যখন আমরা সংখ্যায় বেশি হব, তখন জিহাদ করব!!!”, “যদি আমাদের মাহজার থাকে !!!”, “যদি আমাদের কাছে অনেক টাকা থাকে!!!”, “যদি আমাদের অনেক দায়ী থাকেন!!!”, “যদি আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ কিয়াদাহ থাকে!!!” ইত্যাদি।
এমন দিবাস্বপ্ন দেখবেন না হে ভাইয়েরা, যদি পরিশেষে দেখা যায় আপনারা তা’তীলুল জিহাদ (বাস্তবে জিহাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ-হয়ত অসাবধানতায়) করছেন, তাই জিহাদের এই পথে আমাদের কাজের মন্দ থেকে আমরা আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় চাই।
শৃঙ্খলের বাইরে
أبشركم بفضل الله أن الأمة اليوم عندها من الطاقات الهائلة ما يكفي لإنقاذ فلسطين، وإنقاذ باقي بلاد المسلمين، ولكن هذه الطاقات مقيدة فيجب العمل على إطلاقها
“আমি আপনাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি। আল্লাহ্* তায়ালার অনুগ্রহে মুসলমানদের বিশাল ক্ষমতা আছে, যেটা ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য মুসলিম ভূমি প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের ক্ষমতা শৃঙ্খলিত হয়ে আছে, কাজেই এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলার।”—শায়খ উসামা বিন লাদেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩।
অতএব, আমাদের অবস্থা কি? আমরা কি সেসব বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত যারা কিনা তালুতের বাহিনীর মতো অথবা সেই বাহিনীর সাথে যারা নিজেদের পানির তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পিছনে পড়ে থাকে, যারা এ যুগের জালুতের–পার্শ্ববর্তী মুরতাদ, আমেরিকা এবং তার দোসর– বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে অক্ষম?
ওহে দুর্বল ও ভঙ্গুর আত্মা, যারা দুনিয়াকে ভালোবাস এবং ভয় কর মৃত্যুকে, কোথায় আমাদের অবস্থান? কোথায় সেই স্থান যেখানে ইলম ও আ’মালের সাক্ষাত ঘটে? কোথায় সেই স্থান যেখানে বীরদের আত্মা বাস করে?
অজুহাত দেখাবেন না যে ইকামাতুদ দ্বীন আপনাকে “তালুতের” বাহিনী থেকে পিছনে ফেলে রাখে… অন্ধ আনুগত্য দেখাবেন না যে জামাআ’র কাঠামোগত পদ আপনাকে ইরহাব থেকে পিছনে ফেলে রাখে…
স্থানীয় মতামত আপনাকে অজ্ঞ করে রাখে এই বলে ইগতিয়ালাতের সুন্নাহ থেকে পিছনে পড়ে থাকবেন না …
আপনার ভিগুরিটাস ভাইরাসের জন্য যুদ্ধ বহর থেকে পিছনে পড়ে থাকবেন না …
ব্যাক্তিগত ওজর (অজুহাত) খোঁজবেন না এবং তারবিয়াহ ও দাওয়াহর জন্য জিহাদের রণাঙ্গন থেকে দূরে সরে থাকবেন না …
হাজারো স্বপ্ন এবং তত্ত্বে শৃঙ্খলিত হয়ে থাকবেন না …
দলীল ছাড়াই সৃষ্ট এমন প্রতিবন্ধকতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন না …
বিশুদ্ধ উৎস ছাড়া জিহাদের পানি পান করবেন না মোটেও করবেন না,
হে ভাই…
আমরা প্রতারিত হতে পারি এই আশংকায় …
তালুতের বাহিনীর অংশ হোন যা শক্তিমান এবং সাহসী …
পৃথিবীর জটিলতা এবং বিলাসিতা,আনন্দ-উল্লাস এবং অলংকার ত্যাগ করুন, এবং তারপর জালুতের বাহিনী ও তার বংশধরদের আক্রমণ করতে প্রস্থান করুন যেখানেই সুযোগ এবং তহবিল পান। যতক্ষণ না আল্লাহ আপনাকে বিজয়ী করছেন অথবা শহীদের রিজিক প্রদান করছেন।
এটিই আপনাদের জন্য পছন্দনীয় ভাইয়েরা, ইনশাআল্লাহ্*।
— আবদুল বার আল-হারবির লেখা থেকে অনুবাদকৃত
এবং বিশ্বাস পোষণ করা যে আল্লাহ্* তায়ালাই মুজাহিদদের সাহায্য করবেন যারা সত্যিকারভাবে আল্লাহ্*র জন্য জিহাদ করছেন, এরা তারা যারা সর্বদা ইরহাব (কুফফারদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা), ইগতিয়ালাত (গুপ্ত হামলা) করছেন ও যুদ্ধ করছেন মুরতাদ ও কাফিরদের (ইহুদী-খৃস্টানদের)বিরুদ্ধে ।
যেমনটা ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) নিচের আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন, যেখানে আল্লাহ্* তায়ালা বলেনঃ
قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ
“যাদের ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সাথে তাদের সাক্ষাৎ হবে, তারা বার বার বলতে লাগল, সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে।” (আল-বাকারাহ, ২৪৯)
তিনি ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) বলেন,
“যারা নিশ্চিত ছিল আল্লাহ্*র সাথে সাক্ষাত হবে” এরা হচ্ছে তারা যারা জ্ঞানী, এবং এরা হলেন তারা যাদের সত্যিকার অর্থেই আল্লাহ্*র সাথে সাক্ষাতের বিশ্বাস আছে ।
এছাড়াও ইমাম বাগাওয়ী (রঃ) এর মতে,
এখানে “কাম মিন ফিয়াতিন” মানে হচ্ছে বেশিভাগ সময় এবং প্রায়ই (ইমাম বাগাওয়ী তাফসীর দ্রস্টব্য) ক্ষুদ্র দল বিশাল বাহিনীকে পরাজিত করবে এটা যেন সুনিশ্চিত নিয়ম আল্লাহ্* তায়ালার ক্বাদা এবং অনুমতি অনুসারে।
অতএব হে ভাইয়েরা, ……
আপনারা যারা সংখ্যায় স্বল্প… আপনারা যারা স্বল্প কিন্তু সর্বদা ইরহাব,ইগতিয়ালাত এবং যুদ্ধ করছেন!!
বিশ্রাম নিশ্চিত এবং বিশ্বাস করেন… আল্লাহ্*র শত্রু এবং মুমিনদের শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনারাই বিজয়ী হবেন। যদিও আপনারা সংখ্যায় স্বল্প, এমনকি সাতজন,পাঁচজন,তিনজন কিংবা একজনও হন!!
প্রকৃতপক্ষে, প্রত্যেক মুমিনের উচিত আল্লাহ্*র শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এমনকি যে রয়ে যায় সে যদি একাকীও হয়।
আপনারা কি ঐ সমস্ত ইরহাবিয়া আ’মালগুলোর কথা মনে আছে যেগুলো আল্লাহ্*র শত্রু এবং মুমিনদের শত্রুদেরকে ভীষনভাবে ভীত করেছে, সে সবের কিছু আ’মাল ইনশাআল্লাহ্* মুসলিম ভূমির বিরুদ্ধে শত্রুদের দম্ভ,অহংকার এবং দখলদারিত্ব দমন করে দিয়েছে।
– নাইরোবিতে অনেক হতাহত সহ আমেরিকান দূতাবাস ধবংস …- এডেন উপসাগরে ইউএসেস কৌল যুদ্ধজাহাজ বিকল ও ধবংস …- ফিলিপাইনে ১০০ কাফির হত্যা এবং ৯০০ যাত্রীসহ সুপার ভেরি-১৪ এর বিস্ফোরণ ও দহন …- ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ার ধবংস যেখানে হাজার খানেক কাফির হত্যার দাবী করা হচ্ছে …-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র, পেন্টাগনে ভয়ংকর আক্রমণ …-ভারতের মুম্বাই ট্রাজেডি যাতে ২০০ কাফির মারা যায় …এবং এখনো আরো অনেক …
সাক্ষী থাকুন!! সাক্ষী থাকুন হে ভাইয়েরা!! মূলত ওইসব অপারেটররা ছিলেন তরুণ সাহসী মুজাহিদীন, যারা সংখ্যায় ছিলেন স্বল্প, এক থেকে একডজনের মধ্যে … কেন আল্লাহ্* তাদেরকে গ্রহণ করতে সম্মত, তাদের ইরহাবের প্রতি সন্তুষ্ট!!! কেন আল্লাহ্* তায়ালা তাদের সাহায্য করলেন এবং তাদের মাঝে কারামাহ দেখালেন ?? কারণ একটাই আল্লাহ্* তায়ালার ওয়াদায় তাদের বিশ্বাস ছিল।
যদিও তারা গরীব ছিলেন, তাদেরকে বোকা মনে করা হত, তাদেরকে নিঃস্ব মনে করা হত, তথাপি তারা ছিলেন এমন তরুণ যাদের জ্ঞান বিশেষ গুরুত্ব বহন করত বলে মনে করা হত না। কিন্তু তাদের দ্বীনের প্রতি তাদের বিশ্বাস ছিল, জিহাদের প্রতি তাদের বিশ্বাস ছিল। তাই আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা তাদের যথাযথভাবে সাহায্য করেছেন।
অতএব, কখনো এমন দিবাস্বপ্ন দেখবেন না যে “যখন আমরা সংখ্যায় বেশি হব, তখন জিহাদ করব!!!”, “যদি আমাদের মাহজার থাকে !!!”, “যদি আমাদের কাছে অনেক টাকা থাকে!!!”, “যদি আমাদের অনেক দায়ী থাকেন!!!”, “যদি আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ কিয়াদাহ থাকে!!!” ইত্যাদি।
এমন দিবাস্বপ্ন দেখবেন না হে ভাইয়েরা, যদি পরিশেষে দেখা যায় আপনারা তা’তীলুল জিহাদ (বাস্তবে জিহাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ-হয়ত অসাবধানতায়) করছেন, তাই জিহাদের এই পথে আমাদের কাজের মন্দ থেকে আমরা আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় চাই।
শৃঙ্খলের বাইরে
أبشركم بفضل الله أن الأمة اليوم عندها من الطاقات الهائلة ما يكفي لإنقاذ فلسطين، وإنقاذ باقي بلاد المسلمين، ولكن هذه الطاقات مقيدة فيجب العمل على إطلاقها
“আমি আপনাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি। আল্লাহ্* তায়ালার অনুগ্রহে মুসলমানদের বিশাল ক্ষমতা আছে, যেটা ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য মুসলিম ভূমি প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের ক্ষমতা শৃঙ্খলিত হয়ে আছে, কাজেই এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলার।”—শায়খ উসামা বিন লাদেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩।
অতএব, আমাদের অবস্থা কি? আমরা কি সেসব বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত যারা কিনা তালুতের বাহিনীর মতো অথবা সেই বাহিনীর সাথে যারা নিজেদের পানির তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পিছনে পড়ে থাকে, যারা এ যুগের জালুতের–পার্শ্ববর্তী মুরতাদ, আমেরিকা এবং তার দোসর– বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে অক্ষম?
ওহে দুর্বল ও ভঙ্গুর আত্মা, যারা দুনিয়াকে ভালোবাস এবং ভয় কর মৃত্যুকে, কোথায় আমাদের অবস্থান? কোথায় সেই স্থান যেখানে ইলম ও আ’মালের সাক্ষাত ঘটে? কোথায় সেই স্থান যেখানে বীরদের আত্মা বাস করে?
অজুহাত দেখাবেন না যে ইকামাতুদ দ্বীন আপনাকে “তালুতের” বাহিনী থেকে পিছনে ফেলে রাখে… অন্ধ আনুগত্য দেখাবেন না যে জামাআ’র কাঠামোগত পদ আপনাকে ইরহাব থেকে পিছনে ফেলে রাখে…
স্থানীয় মতামত আপনাকে অজ্ঞ করে রাখে এই বলে ইগতিয়ালাতের সুন্নাহ থেকে পিছনে পড়ে থাকবেন না …
আপনার ভিগুরিটাস ভাইরাসের জন্য যুদ্ধ বহর থেকে পিছনে পড়ে থাকবেন না …
ব্যাক্তিগত ওজর (অজুহাত) খোঁজবেন না এবং তারবিয়াহ ও দাওয়াহর জন্য জিহাদের রণাঙ্গন থেকে দূরে সরে থাকবেন না …
হাজারো স্বপ্ন এবং তত্ত্বে শৃঙ্খলিত হয়ে থাকবেন না …
দলীল ছাড়াই সৃষ্ট এমন প্রতিবন্ধকতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন না …
বিশুদ্ধ উৎস ছাড়া জিহাদের পানি পান করবেন না মোটেও করবেন না,
হে ভাই…
আমরা প্রতারিত হতে পারি এই আশংকায় …
তালুতের বাহিনীর অংশ হোন যা শক্তিমান এবং সাহসী …
পৃথিবীর জটিলতা এবং বিলাসিতা,আনন্দ-উল্লাস এবং অলংকার ত্যাগ করুন, এবং তারপর জালুতের বাহিনী ও তার বংশধরদের আক্রমণ করতে প্রস্থান করুন যেখানেই সুযোগ এবং তহবিল পান। যতক্ষণ না আল্লাহ আপনাকে বিজয়ী করছেন অথবা শহীদের রিজিক প্রদান করছেন।
এটিই আপনাদের জন্য পছন্দনীয় ভাইয়েরা, ইনশাআল্লাহ্*।
— আবদুল বার আল-হারবির লেখা থেকে অনুবাদকৃত
Comment