Announcement

Collapse
No announcement yet.

পথ ভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি চিন্তাধারাঃ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পথ ভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি চিন্তাধারাঃ

    দেওবন্দ !!!

    একটি নাম, একটি মাসলাক বর্তমানে যার রয়েছে মূল থেকে শিকড় বিহীন হাজার হাজার অনুসারী।
    যাদের পেটেন্টকৃত জিহাদ থেমে গিয়েছে বালাকোট ময়দানে গিয়ে। (যদিও সেখানে দেওবন্দ পড়ুয়া কেউ ছিল না!!! )

    আজ তাদের কাছ হতেই আসে এমন সকল ফতোয়া যা হতবাক করে দেয় তাওহীদবাদি সকল মুসলিমকে।
    ফেসবুকে এই নিয়ে কিছু দায়ী ভাই আলহামদুলিল্লাহ লিখা লিখেনঃ কবে থেকে এবং কিভাবে এই দেওবন্দের পদস্খলন।

    আসুন আমরা জানি। অন্তর খুলে বুঝার চেষ্টা করি।

    কাদের মাধ্যমে আমাদের জিহাদি দেওবন্দ রূপান্তরিত হল নিফাকি দেওবন্দে।

    পর্ব ০১ঃ

    দারুল আমান ফতোয়া কীভাবে আসলো?

    দেওবন্দি মানহাজ সংক্রান্ত জরুরী আলোচনা!
    .
    #সংকীর্ণ_দেওবন্দ #দারুল_আমান_ফতোয়ার_সূত্রপাত #নব্য_দেওবন্দি_চিন্তাধারা
    .
    .
    ইংরেজরা ভারতবর্ষ দখল করে নেয়ার পর শায়খ শাহ আব্দুল আজিজ রহঃ ভারতবর্ষকে "দারুল হারব" ঘোষণা করেন... অর্থাৎ, ইংরেজদের বিতাড়িত করা ফরজে আইন হয়ে দাঁড়ায়...
    .
    এই ফতোয়ার সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের নামেন ইমাম সাইয়েদ আহমাদ শহিদ রহঃ, শাহ ইসমাইল শহিদ রহঃ, দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা কাশিম নানুতভি রহঃ, হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি রহঃ, রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ রা...
    কেননা, সকল ফকিহগন একমত, দারুল ইসলামের ১ ইঞ্চিও যদি কুফুরি আইনের অধীনে চলে যায় তা ফিরিয়ে আনার জন্য জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়।
    .
    সম্মানিত তিন ইমামের মতে জিহাদ ফরজে আইন হলে তা- নামায, রোজার ন্যায় একই কাতারের ফরজ হিসেবে গণ্য হবে। শুধু হাম্বলি মাজহাবে সালাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়।
    ফিকহের কিতাবগুলোতে যেখানে স্পষ্ট বিদ্যমান যে, দারুল ইসলামে কুফুরি আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানেই তা দারুল কুফর তথা দারুল হারবে পরিণত হয়। এবং তা পুনরায় দারুল ইসলামের অধীনে ফিরিয়ে ফরজে আইন...
    .
    এমনকি কওমির পাঠ্যবই আনোয়ারুল মিশকাতের ৫ম খন্ডেও রয়েছে, জিহাদ ফরজে আইন হয় যখন শত্রু মুসলিম ভূমি দখল করে নেয়... অর্থাৎ, যখন ইসলামের ভূমি কুফরের ভূমিতে পরিণত হয়। এবং এটা সকলেই জানে কুফরের ভূমি কেবল তখনই হওয়া সম্ভব যখন ইসলামী আইন রহিত হয়। এব্যপারে বিস্তারিত জানতে রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ'র ফতোয়াটি (নিচে) দেখুন-
    .
    .
    ফকিহুন নফস রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ 'দারুল হারব' ফতোয়ার সত্যায়নে বিস্তৃত দলীল পেশ করেন। যা জাওয়াহিরুল ফিকহে রয়েছে।
    বঙ্গানুবাদ পড়ুন- http://bit.ly/2jYg1Il
    .
    .
    আহনাফ-দেওবন্দি উলামাদের দলীলের আলোকে বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের মত পরিষ্কার হলেও- কেন কওমি উলামা-তলাবাদের একাংশ শাসকের কুফুরি ও করণীয়'র ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত!!!?
    .
    কারণ নিচে দেখুন,
    .
    .
    ১) হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানভি রহঃ উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমদের এই ফতোয়াকে বাতিল সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ অধ্যুষিত ভারতের ব্যাপারে ঘোষণা করেন যে,
    "ভারতবর্ষ দারুল আমান। এখানে লড়াই করা দুরস্ত বা বৈধ নয়।"
    (কামালাতে আশরাফিয়া, ৬১১ নং মালফুজাত; মাকতাবাতুল আশরাফ)
    .
    .
    ২) পরবর্তীতে, পাকিস্তান নামক মুরতাদ রাষ্ট্রের ব্যাপারে অদ্ভুত সব আলোচনা নিয়ে এসেছেন মুফতিয়ে আজম মুহাম্মাদ শফি রহঃ... সাথে ছিলেন আগা খান প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগ সমর্থনকারি অন্যান্য আলেমগণ।
    মুরতাদ জালিম পাকিস্তানি আর্মির '৬৫র জাতীয়তাবাদী যুদ্ধকে আখ্যায়িত করেছেন মহান জিহাদ হিসেবে!!!!!
    (পড়ুন, মুফতি মুহাম্মাদ শফি রহঃ লিখিত "জিহাদ")।
    ভিসাকে দিয়েছেন চিরস্থায়ী আমানতের মর্যাদা!
    উনার সন্তানদ্বয় হাফিজাহুমুল্লাহ এই মতবাদকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন...
    .
    .
    বর্তমানে যে সকল 'আলেম'রা ভারতকে দারুল আমান, পাকিস্তান ও অন্যান্য নামধারী মুসলিম রাষ্ট্রকে দারুল ইসলাম বলেন তাদের কেউই পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরাম অর্থাৎ, ইমাম আবু হানিফা রহঃ, ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ, ইমাম ইবনে আবেদিন শামি রহঃ, শামসুল আইম্মা ইমাম সারাখাসি রহঃ সাইয়েদ আহমাদ শহিদ রহঃ, শাহ আব্দুল আজিজ রহঃ, কাশিম নানুতভি রহঃ, শাইখুল হিন্দ রহঃ কিংবা রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি রহঃ দের অনুসরণ করছেন না।
    .
    .
    নিস্ক্রিয়তার মানহাজের দিকে আহ্বানকারী, শাসকের ব্যাপারে ইরজায়ী আকিদা পোষণকারী এসকল 'আলেম'রা মূলতঃ, সাইয়েদ আস'আদ মাদানি, শাব্বির আহমাদ উসমানি রহঃ, আশরাফ আলি থানভি রহঃ এবং মুফতি শফি রহঃ দের নব-উদ্ভাবিত মতের অন্ধ অনুসরণ করছেন...
    এসকল ভুলের তাকলিদকারি আলেমদের সংখ্যা আপাতদৃষ্টিতে বেশী হলেও, মানববন্ধনগুলো শ মাইল পারি দিলেও,
    .
    .
    ... ইমাম আবু হানিফা রহঃ ও উলামায়ে দেওবন্দের প্রকৃত উত্তরসূরীরা এখনো আমাদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন... যারা তাওহিদ আল আমালি, আল ওয়ালা ওয়াল বা'রার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন... যারা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পাহাড়সমূহে রচনা করেছেন জামানার বদর, ইয়ারমুক, কাদিসিয়া!!
    .
    তাদের পেছনে জড়ো হয়েছে পূর্ব-পশ্চিমের সকল মাসলাকের মুজাহিদিনগণ... আমরা গর্ববোধ করি কারণ আমরা তাদের সময়ে বাস করছি!!! আল্লাহু আকবার!
    .
    .
    আল্লাহ্* তা'আলা আমাদের হেফাজত করুন...

    .
    আল্লাহ্* তা'আলা আমাদের আলেমদের হানাফি ইমামগণ ও দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতাদের আকিদা ও মানহাজের যথাযথ অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আমিন। আল্লাহুম্মা আমিন...
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

  • #2
    jazakallah
    ان الدين عندالله الاسلام
    ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ আখি।
      ওলামায়ে কেরামগন কে যখন বিষয় গুলো বলা হয়
      তখন তিনারা বলেন বড়দের ভুল দরা সহজ রড় হওয়া কঠিন।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ
        আনসার কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ।

        Comment


        • #5
          এই লেখাটির মাধ্যমে আল্লাহ সবাইককে উপকৃত করুন...
          আমীন!!!
          كتب عليكم القتال وهو كره لكم

          Comment


          • #6
            Originally posted by আবু কুদামা View Post
            জাজাকাল্লাহ আখি।
            ওলামায়ে কেরামগন কে যখন বিষয় গুলো বলা হয়
            তখন তিনারা বলেন বড়দের ভুল দরা সহজ রড় হওয়া কঠিন।
            আসলে ভাই বাস্তবে নিজের কানে শোনা যে কিছু মুওয়াহিদ ভাই একটি মাদ্রাসার একজন বড় কুকুর আলিমের বিরুদ্ধে সমকামিতার প্রমান পান এবং তার ব্যাপারে একশন নিতে যায়। তখন আরেকজন বড় আলিম !!! উনাদেরকে বলেন, "আরে তোমরা কি জানো উনি কত বড় আলেম। কোন হেকমতে কি করে তোমরা কি বুঝবা!!!"
            লা হাওলা ওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ...

            এটা হচ্ছে হাজারো এমন ঘটনার একটি প্রকাশিত অবস্থা। তো যাই হোক ভাই মূল কথা হল এটাই তাদের মানসিকতা। এটাই হল তাদের আসয়াবিয়াহ, বড়দের পুজা। এটা হল সেই বইয়ের বাস্তব অবস্থা যেখানে বলা হয়েছে পীর যদি জায়নামাজ মদ দিয়ে ভিজিয়ে নামাজ পড়তে বলে তাহলে পড়... আস্তাগফিরুল্লাহ...

            আল্লাহ রহম করুন আমাদের সালাফগনের উপরে। যারা কুরআন ও সুন্নাহর দলিলের সামনে কাউকে দেখতেন না।
            "হক হকের জায়গায়
            সম্মান সম্মানের জায়গায়
            আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

            Comment


            • #7
              প্রিয় abdullah yafur ভাই,
              আলহামদুলিল্লাহ্* আল্লাহ্* সুবঃ আপনাকে খুরধার লেখনী শক্তি দিয়েছেন। এটার মাধ্যমে আরও অনেক কল্যানমুখী কাজের আনজাম দেওয়ার তৌফিক দিন।
              ভাই দ্বীন আপনার উপর আমাকে একটা অধিকার দিয়েছে। আর সেটা হল আপনি আমার ভাই। আর ভাই হিসেবে আপনাকে কিছু কথা বলব ইংশাল্লাহ। ভাল-মন্দ যাই বলি ভুল হলে মাফ করে দিবেন ইংশাল্লাহ।
              ধরেন, আপনি একজন দাঈ এবং আপনার সামনে একজন মুসলিমকে দেখলেন যে কোন একটা কাজ করতেছে যা ইসলাম অনুমোদন করে না। এখন আপনি জানেন না যে সেই মুসলিম এটার ব্যপারে জেনে করছে নাকি না জেনে করছে, বুঝে করছে নাকি না বুঝে করছে। আপনি তাকে আপনার মত করে মনের ঝাল মিটিয়ে অয়াজ-নসিয়ত করা শুরু করলেন। বেচারা মুসলিম কি আপনার অয়াজ-নসিয়ত শুনে নিজেকে শুধরে নিবে নাকি এগুলো শুনে তাঁর ভিতর আরও বিদ্রোহ দানা বাঁধবে?? স্বাভাবিক আকল থেকে বলা যায় তাঁর ভিতর বিদ্রোহ তৈরি হওয়ার কথা। কারণ এটা হল মানুষের স্বভাব। এজন্য যে কোন ব্যপারে কিছু বলা, লেখা সকল ক্ষেত্রেই মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা দরকার যাতে কেউ আপনার লেখা পড়ে বিদ্রোহী না হয়ে যায়।
              ভাই আলহামদুলিল্লাহ্* আপনি উলামা কেরামগনকে যথেষ্ট শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন কিন্তু যখন এভাবে পথভ্রষ্টটার নাগপাশে তাদেরকে বিদ্ধ করা হবে তখন তাদেরকে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে আর যাই হোক সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার আশা পরিত্যাগ করতে হবে।
              ভাই, আশরাফ আলী থানভী (রঃ) বা আরও যাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাদের দ্বীনের খেদমতে অবদান কিন্তু নস্যি না। তাদের ব্যক্তিগত কিছু বিচ্যুতি একেবারে তরবারীর আগায় না রেখে আরও কিছুটা শান বজায় রেখে আলোচনা করলে হয়ত তাদের শানেরও খেলাফ হয় না এবং আপনি যাদের উদ্দেশ্যে এটা বলতে চান তারাও আরও অনেক বেশি আগ্রহী হতে পারেন ইংশাল্লাহ। কারণ যারা জানে তাদেরকে এটা বলার প্রয়োজন নাই যে উনি এই ভুল ফতওয়া জারী করেছিলেন। কারণ এটা সবাই জেনেই জিহাদকে বেঁছে নিয়েছে। তাই আপনার এই লেখা মূলত যারা এই ফতওয়া অনুসরণ করে নিজেদেরকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। আর ধ্বংস হতে যাওয়া মানুষকে যখন সে যে খরকুটো অবলম্বন করে বাঁচার চেষ্টা করছে সেটা নিয়েই বিদ্রুপ করবেন তখন আপনার কাছে বাঁচার যত ভাল উপকরনই থাকুক না কেন সে ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু আপনার কাছে আসবে না এটা নিশ্চিত।
              প্রিয় ভাই, আমার আপনার নেতা আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এর অন্যতম একটা মোজেজা ছিল যে তাঁর শত্রুরা তাঁকে যত অসহনশীল করার চেষ্টা করত তিনি আরও বেশি সহনশীল আচরণ করতেন। ভাই সেই বেদুঈন সাহাবী (রাঃ) এসে রাসূল (সঃ) এর কাছে এসে জিনা করার অনুমতি চেয়েছিলেন এই ঘটনা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। এমন আবদার করার পরেও কিন্তু রাসূল (সঃ) মুচকি হেসে সেই সাহাবীকে নিজের পাশে বসিয়ে হাসিমুখে কথা বলেছিলেন। এবং সবসময় রাসূল (সঃ) দাওয়ার ক্ষেত্রে এমনি বিনয়ী ছিলেন এবং ভাষার ব্যবহার ছিল সুমিষ্ট যা শ্রোতার অন্তরকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দিত। তাই আমাদের উচিৎ নববী জীবন থেকে এই শিক্ষাগুলো নিয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা।
              আল্লাহ্* আমাদের তৌফিক দিন।
              নোটঃ ভাই আমি নিজেও এমন স্বভাব দোষে দুষ্ট। তাই আমার জন্যও দুয়া করবেন আল্লাহ্* যেন আমাকে এটা থেকে হেফাজত করেন।

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ আবু ফাতিমা ভাইঃ

                ভাই একটা কথা হল কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগত গুনাহতে লিপ্ত তাকে নরম ভাষায় বলা যায়।
                যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জিনাহ করার অনুমতি চেয়েছিল সে একা গুনাহ করতে চেয়েছিল ।
                আর একা গুনাহ লিপ্ত হওয়া আর পুরা কউমকে তাগুতের পদলেহনকারী বানিয়ে দেয়া এক কথা না।

                যে সকল আলিম জিহাদের পাঠ পড়েও না বুঝার ভান ধরে আছে তারা নাদান বাচ্চাও না যে কিছুই বুঝে না বা তারা জেনারেল লাইনে পড়া, সারা রাত জেগে ফেসবুক চালানো ভাই না যে তাদেরকে খুব নরম ভাষায় বলতে হবে !! এদের কাছে জিহাদের দাওয়াহ পৌছে গেছে, আর এদের অন্তরের বক্রতা চুড়ান্তভাবে প্রকাশ পেয়েছে মাইল খানেক লম্বা জিহাদ ও মুজাহিদ বিরোধী মানব বন্ধন দিয়ে...

                হাসবুনাল্লাহ...
                আমার কথায় মনে কষ্ট পেলে মাফ চাই ভাই...
                Last edited by abdullah yafur; 05-04-2017, 02:16 PM.
                "হক হকের জায়গায়
                সম্মান সম্মানের জায়গায়
                আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ তুমি তোমার এই গুনাহগার বান্দাদের কবুল করে নাও আমিন

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ আবু ফাতিমা ভাইঃ

                    ভাই একটা কথা হল কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগত গুনাহতে লিপ্ত তাকে নরম ভাষায় বলা যায়।
                    যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জিনাহ করার অনুমতি চেয়েছিল সে একা গুনাহ করতে চেয়েছিল ।
                    আর একা গুনাহ লিপ্ত হওয়া আর পুরা কউমকে তাগুতের পদলেহনকারী বানিয়ে দেয়া এক কথা না।
                    === ভাই আমাকে মাফ করবেন। শুধু তর্কের খাতিরে কথার মেলা সাজানো আমার উদ্দেশ্য না। আমি শুধু এটা বলতে চাইছিলাম যে গুনাহর পাল্লা ভারী হলে বা দলে ভারী হলে কঠোর ভাষার প্রয়োগ কি এটার সমাধান নিয়ে আসে। বা আমাদের কি ধৈর্যের বাঁধ এত ঠুনকো হয়ে গেছে যে আমরা ইতোমধ্যে আশা ছেড়ে দিয়েছি যে তারা আর সঠিক পথ পাবে না।

                    যে সকল আলিম জিহাদের পাঠ পড়েও না বুঝার ভান ধরে আছে তারা নাদান বাচ্চাও না যে কিছুই বুঝে না বা তারা জেনারেল লাইনে পড়া, সারা রাত জেগে ফেসবুক চালানো ভাই না যে তাদেরকে খুব নরম ভাষায় বলতে হবে !! এদের কাছে জিহাদের দাওয়াহ পৌছে গেছে, আর এদের অন্তরের বক্রতা চুড়ান্তভাবে প্রকাশ পেয়েছে মাইল খানেক লম্বা জিহাদ ও মুজাহিদ বিরোধী মানব বন্ধন দিয়ে...

                    ==== ভাই ৯/১১ এর এ্যাটাক এর পড়ে আমেরিকার মুসলিমদের উপর যখন গণহারে ধরপাকড় এবং নির্যাতন শুরু হয়ে যায় তখনই কিন্তু আমেরিকায় ইসলাম গ্রহণ করার হারও সবচেয়ে বেশি হয়। ইসলাম গ্রহন করার পূর্বে উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) ও কুরাইশদের সব ন্যাক্কারজনক মীটিঙয়ে উপস্থিত থাকতেন। জিনিসটাকে এভাবে দেখতে পারেন আজকে যারা মানববন্ধন খেলা খেলতেছে তারা মিনিমাম ঐ সব লোকের চেয়ে যোগ্য যারা শুধু ঘরেই বসে থাকে। ভাই বিশ্বাস করেন এখন বা কিছুদিন আগে যারা মানববন্ধন করেছে তাঁরাই যখন হক্ক বুঝতে পারবে তারা সামনের কাতারে যুদ্ধ করার জন্য উঠেপরে লাগবে। তাই এখনি অধৈর্য না হলেই উত্তম হবে ইংশাল্লাহ। আর সবার কাছে জিহাদের দাওয়াত পৌঁছে গেছে এ ব্যপারে আপনি যেভাবে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন ভাই ঠিক এতটা নিশ্চিত হতে পারতেছি না। আমি যতদূর জানি মাদ্রাসাগুলোতে জিহাদের যেসব চ্যাপ্টার আছে বা এই ধরণের যে সব আলোচনা থাকে বেশিরভাগ উস্তাদরা এগুলো পড়ায় না। আর সাগরেদরাও শুরু পরিক্ষামুখী পড়াশুনা করতে পারলেই খুশি। তাই সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে বলতে যদি বলেন পেপার পত্রিকা, মিডিয়া এগুলোর মাধ্যমে পৌঁছে গেছে তাহলে বলব আপনি ঠিক আছেন। বরং বলা যায় তাদের উস্তাদদের কাছ থেকে হয়ত জিহাদ বিরোধী কিছু দাওয়াত পেয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আমার আপনার কাছ থেকে কি তারা সবাই দাওয়াত পেয়েছে?? এ ব্যপারে কিছু অনিশ্চয়তা হয়ত থেকে যায়।

                    হাসবুনাল্লাহ...
                    আমার কথায় মনে কষ্ট পেলে মাফ চাই ভাই...
                    === আল্লাহ্* মাফ করুন। সম্পর্কটা যখন ভাইয়ের তখন কষ্ট পাব কেন।

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকাল্লাহ আবু ফাতিমাঃ
                      ১ম তো ভাই লিখাটা আমার না।
                      ২য় তো কারো ভুল তুলে ধরা যদি কঠোরতা হয় তাহলে আর কিছুই বলার নাই।

                      যখন সালাফগনের মতে কাফেরদেরই আর ইসলামে দাওয়াহ দেয়ার দরকার নেই তখন একটা ইসলামিক বিধানের দাওয়াহ তাগুতের পদলেহন কারী দরবারি আলিমদের ডোর টু ডোর দেয়া কত টুকু জরুরি। তাহলে তো কয়েক দিন পরে বলা হবে তাগুতের বাহীনির লোকেদেরও ডোর টু ডোর দাওয়াহ দেয়া দরকার !!! যেহেতু তারা সংখ্যায় আরো অনেক বেশি এবং অনেক শক্তিশালী।

                      আর ভাই বাংলাদেশ হল সেই সকল ব্যর্থ জিহাদি গ্রাউন্ডগুলোর মাঝে একটা যেখানে প্রায় ৪০ বছর ধরে দাওয়াহর কাজ হচ্ছে কিন্তু ফসল ওই হাতে গোনা কিছু ভাই। ৪০ বছর শুধু স্থানীয় দাওয়াহ + আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর পরে কারো আর এই বাহানা দেওয়ার সুযোগ নাই যে তারা দাওয়াহ পায় নি।

                      নোটঃ ভাই আমার মনে হচ্ছে আমার আপনার কথার ফলে পোস্টের মূল যে পয়েন্ট ছিল তা হারিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা দলিল দিয়ে প্রমান করি যে পোস্টের কথা ভুল। আর আমার কথা শক্ত/ নরম এই কথাগুলো আমরা যে যেভাবে দাওয়াহ দেই তার মত ছেড়ে দেই। এক একজনের কথা এক এক রকম ভাই। আমার কাছে যেটা নরমাল আপনার কাছে তা এবনরমাল লাগতে পারে। আবার আমার কাছে যেটা এবনরমাল আপনার কাছে তা নরমাল লাগতে পারে। তাই ভাই বাদ দেন। আমি এইভাবেই কথা বলবো দরবারি আলিমদেরকে লক্ষ্য করে। এটা পরিবর্তন হবে না।

                      তাই ভালো হয় আমরা মূল পোষ্টেই থাকি ।

                      জাযাকাল্লাহ খাইর। আসসালামু আলাইকুম...
                      "হক হকের জায়গায়
                      সম্মান সম্মানের জায়গায়
                      আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

                      Comment


                      • #12
                        আশরাফ আলী থানবী,আসয়াদ মাদানী ও মুফতি মুহাম্মদ শফীরা
                        যখন তাদের আকাবীরদের বিরোধিতা করে ফতুয়া জারী
                        করতে পারে আমরা পূর্ববর্তীদেরটা অনুসরন করে তাদের ভুল
                        মানুষের সামনে প্রকাশ করা কেন দোষণীয় হবে?
                        মোটেও এটি দোষণীয় নয়।যারা সালাফদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে
                        নতুন চিন্তাধারা তৈরী করেছেন তাদের এ দোষ মানুষের সামনে
                        প্রকাশ করা এটাও কর্তব্য মানুষকে বুঝানো দরকার যে,এরা আবু হানিফা,
                        আবু ইউসুফ,মুহাম্মদ,শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আব্দুল আজিজ
                        এদের পথ থেকে বিচ্যুত।নয়তো দরবারী আলেমরা আমাদের নীরবতার সুযোগে
                        মানুষকে বুঝাবে দেখো আশরাফ আলী থানবী,আসয়াদ মাদানী
                        শফী এদের মতো বড় বড় আলেমরা কি ফতুয়া দিয়েছে।
                        তখন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়বে।
                        প্রতিটি মানুষের কানে কানে গিয়ে এ কথা বলা দরকার নাই যে,
                        তোমার উপর জিহাদ ফরজ হয়েছে।বরং দাওয়াত পৌছে যাওয়াই যথেষ্ট।
                        এখানে আমরা কাউকে দাওয়াত দিচ্ছিনা যে, আমরা তাদের আকাবীরদের দোষ তুলে ধরবো না
                        বরং এখানে আমরা আমাদের ভাইদের মাঝেই আলোচনা করছি।
                        আর আমাদের ভাই যারা হবেন তারা কুরআন সুন্নাহকে
                        প্রাধান্য দিবেন সবকিছুর উপরে।এখন কেউ যদি আকাবীরদের এ দোষের কথা
                        শুনেও সে তাদের প্রতি অন্ধভক্তি রাখে ও মুজাহিদদের ভ্রান্ত বলে দলত্যাগ করে
                        আলহামদুলিল্লাহ আমরা এমন একজন লোক থেকে বাচার কারনে যার ভিতরে এখনো
                        আমাদের সালাফদের আক্বীদা ঢুকেনি অর্থাৎ সে এখনো কুরআন সুন্নাহকে
                        পরিপূর্ণ প্রাধান্য দেয়নি কথিত আকাবীরদের বিরুদ্ধে।
                        আর যারা বুঝেনা তাদের ব্যাপারে আমরা দাওয়াত দেওয়ার পন্থা আছে
                        ঐভাবে দাওয়াহ দিলে আমরা প্রথমে আকাবীরদের সমালোচনা করিনা কারন এতেই সে
                        আমার শত্রু হয়ে যাবে আমার কাছেই আসবেনা আমার কথা পছন্দ করবেনা।
                        কিন্তু এ ফোরামে বা ফেসবুকে আমরা কাউকে দাওয়াত দিচ্ছিনা
                        তাই এখানে আকাবীরদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে মানুষকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়
                        তাদেরকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়না।আমাদের উদ্দেশ্য
                        কাউকে আক্রমন করা নয় বরং মানুষকে তাদের নোংড়া মতবাদ থেকে বাচানো।
                        আর এটা আমাদের দায়িত্ব আমরা বিকৃতকারীদের,বিভ্রান্তকারীদের ও প্রথভ্রষ্টদের বিকৃতি,বিভ্রান্তি পথভ্রষ্টতা
                        মানুষের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে সংশোধন করবো।
                        আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা তারই জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অঙ্গ।

                        Comment


                        • #13
                          আশরাফ আলী থানবী,আসয়াদ মাদানী ও মুফতি মুহাম্মদ শফীরা
                          যখন তাদের আকাবীরদের বিরোধিতা করে ফতুয়া জারী
                          করতে পারে আমরা পূর্ববর্তীদেরটা অনুসরন করে তাদের ভুল
                          মানুষের সামনে প্রকাশ করা কেন দোষণীয় হবে?
                          মোটেও এটি দোষণীয় নয়।যারা সালাফদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে
                          নতুন চিন্তাধারা তৈরী করেছেন তাদের এ দোষ মানুষের সামনে
                          প্রকাশ করা এটাও কর্তব্য মানুষকে বুঝানো দরকার যে,এরা আবু হানিফা,
                          আবু ইউসুফ,মুহাম্মদ,শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আব্দুল আজিজ
                          এদের পথ থেকে বিচ্যুত।নয়তো দরবারী আলেমরা আমাদের নীরবতার সুযোগে
                          মানুষকে বুঝাবে দেখো আশরাফ আলী থানবী,আসয়াদ মাদানী
                          শফী এদের মতো বড় বড় আলেমরা কি ফতুয়া দিয়েছে।
                          তখন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়বে।
                          প্রতিটি মানুষের কানে কানে গিয়ে এ কথা বলা দরকার নাই যে,
                          তোমার উপর জিহাদ ফরজ হয়েছে।বরং দাওয়াত পৌছে যাওয়াই যথেষ্ট।
                          এখানে আমরা কাউকে দাওয়াত দিচ্ছিনা যে, আমরা তাদের আকাবীরদের দোষ তুলে ধরবো না
                          বরং এখানে আমরা আমাদের ভাইদের মাঝেই আলোচনা করছি।
                          আর আমাদের ভাই যারা হবেন তারা কুরআন সুন্নাহকে
                          প্রাধান্য দিবেন সবকিছুর উপরে।এখন কেউ যদি আকাবীরদের এ দোষের কথা
                          শুনেও সে তাদের প্রতি অন্ধভক্তি রাখে ও মুজাহিদদের ভ্রান্ত বলে দলত্যাগ করে
                          আলহামদুলিল্লাহ আমরা এমন একজন লোক থেকে বাচার কারনে যার ভিতরে এখনো
                          আমাদের সালাফদের আক্বীদা ঢুকেনি অর্থাৎ সে এখনো কুরআন সুন্নাহকে
                          পরিপূর্ণ প্রাধান্য দেয়নি কথিত আকাবীরদের বিরুদ্ধে।
                          আর যারা বুঝেনা তাদের ব্যাপারে আমরা দাওয়াত দেওয়ার পন্থা আছে
                          ঐভাবে দাওয়াহ দিলে আমরা প্রথমে আকাবীরদের সমালোচনা করিনা কারন এতেই সে
                          আমার শত্রু হয়ে যাবে আমার কাছেই আসবেনা আমার কথা পছন্দ করবেনা।
                          কিন্তু এ ফোরামে বা ফেসবুকে আমরা কাউকে দাওয়াত দিচ্ছিনা
                          তাই এখানে আকাবীরদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে মানুষকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়
                          তাদেরকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়না।আমাদের উদ্দেশ্য
                          কাউকে আক্রমন করা নয় বরং মানুষকে তাদের নোংড়া মতবাদ থেকে বাচানো।
                          আর এটা আমাদের দায়িত্ব আমরা বিকৃতকারীদের,বিভ্রান্তকারীদের ও প্রথভ্রষ্টদের বিকৃতি,বিভ্রান্তি পথভ্রষ্টতা
                          মানুষের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে সংশোধন করবো।
                          আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা তারই জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অঙ্গ।

                          Comment


                          • #14
                            আসলে স্পষ্ট পথভ্রষ্টতাকে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টারর কোন মানেই নাই।

                            কিছু আলেম-ওলামদের এগুল হচ্ছে হিব্বুদ দুনিয়া। ইল্ম শুধু দেখানো তাদের।

                            Comment


                            • #15
                              বর্তমান অনেক মাদরাসায় জিহাদ ও মুজাহিদিনের কথা বলা, এর দিকে আহবান করা বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ। আমি আমার বেশ কিছু মাদরাসা পড়ুয়া বন্ধুর কাছে নিজে শুনেছি- অনেক মাদরাসায় জিহাদি মানসিকতার অধিকারী কোন ছাত্র যদি পড়তে চায়, তাহলে অবশ্যই তাঁকে নিরব থাকতে হবে, মজলুম শাইখ জসিম উদ্দিন রহমানি ফাক্কাল্লাহু আসরাহুর সুনাম তো করাই যাবে না, পারলে কিছুটা বদনাম করতে হবে। আর যদি সেই মাদরাসায় চরমোনাই সমর্থক কিছু ছাত্র বা উস্তাদ থাকে, তাহলে জিহাদি মানসিকতার ছাত্রদের পেরেশানির কোন অন্ত থাকবে না।
                              আমার এক মাদরাসা পড়ুয়া বন্ধুকে শুধু এই জন্য আহলে হাদিস, উগ্রবাদী ইত্যাদি গালি শুনতে হয়েছিল, এবং উস্তাদদের আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছিল, যে সে গণতন্ত্রকে কুফুরি এবং গণতন্ত্রে লিপ্ত ব্যক্তিদের কুফুরিতে অংশগ্রহণকারী বলেছিল। অবশ্য অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সে কথিত ইসলামী দলগুলোকেও শামিল করেছিল।
                              সত্যিই আমার এতো দুঃখ হয়! মাঝে মধ্যে চিৎকার করে কাঁদতে মনে চায়!
                              আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। আমিন।

                              Comment

                              Working...
                              X