আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আ'লামিনের দরবারে যিনি শুধুমাত্র তাঁরই বান্দা হিসেবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং দরুদ ও সালাম সাইয়্যেদুল মুজাহিদিন মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাযী আযমাঈনগন এবং তাঁর পরে হকের উপর অবিচল থেকে আল্লাহ্*র সান্নিধ্য লাভকারী মুখলিছ বান্দাদের উপর।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আজকে যা বলতে চাই তা বললে হয়ত অনেক ভাই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন এবং অনেক ভাই হয়ত কষ্ট পাবেন এবং অনেক ভাই হয়ত এটাকে ব্যক্তিগতভাবেও নিতে পারেন। তাই প্রথমে সকল ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি এবং আপনাদের ভাই হিসেবে বলছি আপনাদের প্রতি শুধু মহব্বত থেকেই এই লেখা। কাউকে কষ্ট দেওয়ার হীন বাসনা যেন আল্লাহ্* সুবহানুতা'আলা এই জীবন প্রদীপ প্রজ্বলিত থাকতে কখনো না দেন। এ ব্যপারে আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় চাই এবং তিনি সাক্ষী আমার ভাইদের কষ্ট দেওয়া আমার উদ্দেশ্য না।
পরসমাচার এই যে, জিহাদ করতে গিয়ে আমরা হয়ত একটা বিষয় ভুলে বসে থাকি যে জিহাদ মূলত দাওয়াহ'র একটা অংশ। অবশ্যই এটা একটা সতন্ত্র বিধান। কিন্তু দিনশেষে এটা দাওয়াহ'র একটা হাতিয়ার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা জিহাদ বলতে শুরু অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং তরবারির কোপাকুপির মধ্যেই নিজেদের আশা-আকাংখা এমনভাবে ডুবিয়ে রাখি যে একজন মুজাহিদকে যে শুধু অস্ত্রের ভাসাই ব্যবহার করতে হয় না বরং তাঁর আখলাক, তাঁর মুখের ভাষা, আরেকজনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এসকল কিছুই যে ইসলামের জন্য জরুরত তা ভুলে বসে থাকি। তাই দিনশেষে আমাদের লেখনি থেকে শুরু করে মুখের ভাষাও পরিণত হয় তরবারির মত ধারালো যেখানে কেউই রেহাই পেতে চায় না। আমরা যদিও জিহাদ ফরজে আইন এটা প্রমাণ করার জন্য আমাদের আকাবিরদের বিভিন্ন দলীল-দস্তাবেজের পসরা সাজিয়ে বসি কিন্তু আমাদের আকাবীরদের আখলাক, তাদের ব্যবহার ইত্যাদি কেমন ছিল সে ব্যপারে জানলেও আমরা বেশিরভাগই বেখবর থেকে যাই। তাই দেখা যায় যারাই একটু সমালোচিত হওয়ার যোগ্য তাদেরকে একেবারে তরবারি দিয়ে ঘ্যাচাং ঘ্যাচ শুরু করে দিই। একটু অন্তর চক্ষু খুলে একটু দেখার চেষ্টা করি না যে আচ্ছা যদি আজকে সমালোচিত হওয়া সেই ব্যক্তির জায়গায় থাকতাম তাহলে এই সমালোচনা কি আমার উপকারে আসত নাকি তা আমার বক্রতাকেই আরও বাড়িয়ে দিত।
প্রিয় ভাইয়েরা, সমালোচনার মত সমালোচনা একবার করলেই সেটা যথেষ্ট যদিও আমরা কোনটা সমালোচনা আর কোনটা গীবত হয়ে যাচ্ছে সেটার পার্থক্য বেশিরভাগ ভাই ই ধরতে পারি না। ফলে সেটা সমালোচনার গন্ডী পেরিয়ে গীবতকেই বরং প্রকট করে তোলে। ভাই আপনাদের কাছে অনুরোধ সমালোচনা করার আগে প্রথমে একটু চিন্তা করেন যে আপনি কি আসলে কোন ভাইয়ের উপকার করতে চাচ্ছেন নাকি শুধু কারও ভুল উদঘাটন করতে চাচ্ছেন। যদি হয় ভুল ধরা তাহলে এটা কখনোই একজন দাঈর কাজ হতে পারে না। একজন দাঈ ত তিনি যিনি পরম মমতা নিয়ে নিজের আবেদন আরেকজনের কাছে উপস্থাপন করেন যাতে করে শ্রোতার মধ্যে দাঈর কথা শোনার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। দাঈ শুধু কথার পসরা সাজিয়ে বসেন না বরং হক্ককে তিনি শ্রোতাদের কাছে শ্রোতাদের পছন্দনীয়ভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে শ্রোতাদের মনে দাঈর প্রতি মহব্বত তৈরি হয় ফলে দাঈর কথাকে মূল্য দিতে শুরু করেন এবং সবশেসে তারা হক্ককে গ্রহণ করেন। কিন্তু আমাদের অবস্থা হয়ে গেছে এমন যে আমরা আমাদের কথার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন ভাষা ব্যবহার করি যে শ্রোতা আমার কথা শুনবে কি আমার সামনে থেকে একবার সেই যে পালায় দ্বিতীয়বার আর ফিরেও তাকিয়ে দেখে না বরং দেখলে পালাবার পথ খুজতে মরিয়া হয়ে উঠে। প্রিয় ভাই এতে কি আমরা দাওয়াহ'র প্রসার করছি নাকি দাওয়াহ'র ক্ষেত্রটাকে নষ্ট করছি। আল্লাহ'র ওয়াস্তে একটু গভীর চিন্তা-ফিকির করি ইনশাল্লাহ।
সেই সকল ভাইদের প্রতি করজোড়ে আর্জি যারা তাবলীগ, চরমোনাই বা অন্যান্য (নিজেদের উস্তাদ, সহপাঠী ইত্যাদি) যারা হক্ক থেকে কিছুটা বিচ্যুত তাদের সমালোচনার নামে যখন যেমন খুশি কথা বলতেছেন না লিখতেছেন তারা একটু লাগামটাকে ঢিল করেন। ভাই এই ফোরামে এসব লিখে কতটুকু ফায়দা আছে। এই ফোরামে যারা নিহমিত বা অনিয়মিত ভিজিট করেন তারা এসব ভ্রান্তির ব্যপারে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন হয়ত কিছু ভাই আছেন দলীল জানেন না। কিন্তু সেই ভাইদের দলীল জানানোর জন্য একটা পোষ্টই যথেষ্ট। আর যদি বলেন একজন তাবলীগি ভাই বা চরমোনাইয়ের ভাই আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে তাহলে বলব ভাই দাওয়াহ এর উপর আপনাদের নতুন করে অ আ ক খ হয়ত শিখতে হবে। কোন একজন মানুষ যে তাবলীগকে নিজের জীবন করে নিয়েছে সে যদি ভুল করেও এই ফোরামে ঢুকে ত আর যাই হোক জিন্দেগীতে যে এই ফোরামের দিকে ফিরেও তাকাবে না এটা যেমন নিশ্চিত তেমনি একই ভাবে সে আর যাই হোক কোন জিহাদি মানসিকতার ভাইকেও নিজের ধারেকাছে ঘেসতে দিবে না এটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। তাই ভাই মন চাইল আর নিজের তাবলীগি জীবনের একটা ভ্রান্ত ব্যাখ্যা লিখে দিলাম; তাদের চৌদ্দ গুষ্টি ধরে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করলাম এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন যদি আসলেই সেই ভাইদের প্রতি মহব্বত থাকে যে তারা সঠিক পথের দিশা পাক। সমালোচনা তখনই হওয়া চাই যখন তা দাওয়াহ'র জন্য আবশ্যক হয়ে দাড়ায়। একটা সমালোচনা যেন দাওয়াহ'র জন্য প্রতিবন্ধক না হয় সেটার ব্যপারে আমরা মনোযোগী হই ভাই।
ভাই সবার কাছে আবারও মাফ চাই। আল্লাহ্* আমাদের দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর মর্ম নিজেদের মনোজগতে সঠিকভাবে প্রোথিত করার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
নোটঃ ভাই কেউ হয়ত বলতে পারেন সবাইকে ভাষা মার্জিত করার কথা বলে আমি এত রুঢ় ভাষা কেন ব্যবহার করলাম?? ভাই এক্ষেত্রে ভাই আমি রাসূল (সঃ) এর জীবনি থেকে একটা শিক্ষা নিয়েছি। আল্লাহ্* আমার শিক্ষায় কোন ভুল থাকলে মাফ করুন। রাসূল (সঃ) ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য করেছেন ব্যক্তিভেদে। যেমন;
ক) একজন বেদুঈন যিনি মসজীদে নববীর ভিতরে ঢুকে ইসতেনজা করেছিলে; সাহাবী (রাঃ) গণ এতে অনেক ক্ষীপ্ত হয়ে গেলেও রাসূল (সঃ) ছিলেন অনেক সদয়। সেই বেদুঈনকে এ ব্যপারে কাছে ডেকে সহবত শিক্ষা দিয়েছিলেন।
খ) মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) মসজিদে নববীতে এশার সালাত আদায় করে তাঁর মহল্লায় গিয়ে ইমামতি করতেন। একদিন এশার সালাতে অনেক দীর্ঘ তিলাওয়াত কড়ায় পিছন থেকে একজন জামাত ভেঙ্গে আলাদা নামায পড়ে চলে যাওয়ায় তাঁর সম্পর্কে মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর সম্পর্কে বলে বসেন সে ত মুনাফিক হয়ে গেছে বা তাঁর ভিতর মুনাফিকি ফুটে উঠেছে। পরবর্তীতে এই বিসয় রাসূল (সঃ) এর দরবার পর্যন্ত পৌঁছালে রাসূল (সঃ) মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) কে তীব্র ভরতসনার সুরে বলেন, 'তুমি কি লোককে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাও? এখন থেকে অয়াসসামা ইযা তিল বুরজের সূরাগুলো দিয়ে নামায পড়াবে' তিনি এমন বলেছিলেন অথবা যেমনটি বলেছিলেন তেমন।
একজন উম্মাহ'র সর্বশ্রেষ্ঠ আলেমের নিকট থেকে এমন কোন আচরণ কাম্য নয় বলে রাসূল (সঃ) এক্ষেত্রে ছিলেন কিছুটা কঠোর কিন্তু বেদুঈন যে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তাঁর প্রতি ছিলেন অমায়িক।
ভাই আপনারা জিহাদ মানে ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে বসে আছেন। আপনাদের কথা কাজকর্মকে তাই তরবারির ডগায় ফেলা যায়। এখানে ভুল/অনর্থক আচরণ করার খেসারত অনেক নির্মম।
আলহামদুলিল্লাহ্*। আসসালাতু ওয়াসসালাম আ'লা রাসূলিল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আ'লামিনের দরবারে যিনি শুধুমাত্র তাঁরই বান্দা হিসেবে আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং দরুদ ও সালাম সাইয়্যেদুল মুজাহিদিন মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাযী আযমাঈনগন এবং তাঁর পরে হকের উপর অবিচল থেকে আল্লাহ্*র সান্নিধ্য লাভকারী মুখলিছ বান্দাদের উপর।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আজকে যা বলতে চাই তা বললে হয়ত অনেক ভাই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন এবং অনেক ভাই হয়ত কষ্ট পাবেন এবং অনেক ভাই হয়ত এটাকে ব্যক্তিগতভাবেও নিতে পারেন। তাই প্রথমে সকল ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি এবং আপনাদের ভাই হিসেবে বলছি আপনাদের প্রতি শুধু মহব্বত থেকেই এই লেখা। কাউকে কষ্ট দেওয়ার হীন বাসনা যেন আল্লাহ্* সুবহানুতা'আলা এই জীবন প্রদীপ প্রজ্বলিত থাকতে কখনো না দেন। এ ব্যপারে আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় চাই এবং তিনি সাক্ষী আমার ভাইদের কষ্ট দেওয়া আমার উদ্দেশ্য না।
পরসমাচার এই যে, জিহাদ করতে গিয়ে আমরা হয়ত একটা বিষয় ভুলে বসে থাকি যে জিহাদ মূলত দাওয়াহ'র একটা অংশ। অবশ্যই এটা একটা সতন্ত্র বিধান। কিন্তু দিনশেষে এটা দাওয়াহ'র একটা হাতিয়ার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা জিহাদ বলতে শুরু অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং তরবারির কোপাকুপির মধ্যেই নিজেদের আশা-আকাংখা এমনভাবে ডুবিয়ে রাখি যে একজন মুজাহিদকে যে শুধু অস্ত্রের ভাসাই ব্যবহার করতে হয় না বরং তাঁর আখলাক, তাঁর মুখের ভাষা, আরেকজনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এসকল কিছুই যে ইসলামের জন্য জরুরত তা ভুলে বসে থাকি। তাই দিনশেষে আমাদের লেখনি থেকে শুরু করে মুখের ভাষাও পরিণত হয় তরবারির মত ধারালো যেখানে কেউই রেহাই পেতে চায় না। আমরা যদিও জিহাদ ফরজে আইন এটা প্রমাণ করার জন্য আমাদের আকাবিরদের বিভিন্ন দলীল-দস্তাবেজের পসরা সাজিয়ে বসি কিন্তু আমাদের আকাবীরদের আখলাক, তাদের ব্যবহার ইত্যাদি কেমন ছিল সে ব্যপারে জানলেও আমরা বেশিরভাগই বেখবর থেকে যাই। তাই দেখা যায় যারাই একটু সমালোচিত হওয়ার যোগ্য তাদেরকে একেবারে তরবারি দিয়ে ঘ্যাচাং ঘ্যাচ শুরু করে দিই। একটু অন্তর চক্ষু খুলে একটু দেখার চেষ্টা করি না যে আচ্ছা যদি আজকে সমালোচিত হওয়া সেই ব্যক্তির জায়গায় থাকতাম তাহলে এই সমালোচনা কি আমার উপকারে আসত নাকি তা আমার বক্রতাকেই আরও বাড়িয়ে দিত।
প্রিয় ভাইয়েরা, সমালোচনার মত সমালোচনা একবার করলেই সেটা যথেষ্ট যদিও আমরা কোনটা সমালোচনা আর কোনটা গীবত হয়ে যাচ্ছে সেটার পার্থক্য বেশিরভাগ ভাই ই ধরতে পারি না। ফলে সেটা সমালোচনার গন্ডী পেরিয়ে গীবতকেই বরং প্রকট করে তোলে। ভাই আপনাদের কাছে অনুরোধ সমালোচনা করার আগে প্রথমে একটু চিন্তা করেন যে আপনি কি আসলে কোন ভাইয়ের উপকার করতে চাচ্ছেন নাকি শুধু কারও ভুল উদঘাটন করতে চাচ্ছেন। যদি হয় ভুল ধরা তাহলে এটা কখনোই একজন দাঈর কাজ হতে পারে না। একজন দাঈ ত তিনি যিনি পরম মমতা নিয়ে নিজের আবেদন আরেকজনের কাছে উপস্থাপন করেন যাতে করে শ্রোতার মধ্যে দাঈর কথা শোনার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। দাঈ শুধু কথার পসরা সাজিয়ে বসেন না বরং হক্ককে তিনি শ্রোতাদের কাছে শ্রোতাদের পছন্দনীয়ভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে শ্রোতাদের মনে দাঈর প্রতি মহব্বত তৈরি হয় ফলে দাঈর কথাকে মূল্য দিতে শুরু করেন এবং সবশেসে তারা হক্ককে গ্রহণ করেন। কিন্তু আমাদের অবস্থা হয়ে গেছে এমন যে আমরা আমাদের কথার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন ভাষা ব্যবহার করি যে শ্রোতা আমার কথা শুনবে কি আমার সামনে থেকে একবার সেই যে পালায় দ্বিতীয়বার আর ফিরেও তাকিয়ে দেখে না বরং দেখলে পালাবার পথ খুজতে মরিয়া হয়ে উঠে। প্রিয় ভাই এতে কি আমরা দাওয়াহ'র প্রসার করছি নাকি দাওয়াহ'র ক্ষেত্রটাকে নষ্ট করছি। আল্লাহ'র ওয়াস্তে একটু গভীর চিন্তা-ফিকির করি ইনশাল্লাহ।
সেই সকল ভাইদের প্রতি করজোড়ে আর্জি যারা তাবলীগ, চরমোনাই বা অন্যান্য (নিজেদের উস্তাদ, সহপাঠী ইত্যাদি) যারা হক্ক থেকে কিছুটা বিচ্যুত তাদের সমালোচনার নামে যখন যেমন খুশি কথা বলতেছেন না লিখতেছেন তারা একটু লাগামটাকে ঢিল করেন। ভাই এই ফোরামে এসব লিখে কতটুকু ফায়দা আছে। এই ফোরামে যারা নিহমিত বা অনিয়মিত ভিজিট করেন তারা এসব ভ্রান্তির ব্যপারে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন হয়ত কিছু ভাই আছেন দলীল জানেন না। কিন্তু সেই ভাইদের দলীল জানানোর জন্য একটা পোষ্টই যথেষ্ট। আর যদি বলেন একজন তাবলীগি ভাই বা চরমোনাইয়ের ভাই আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে তাহলে বলব ভাই দাওয়াহ এর উপর আপনাদের নতুন করে অ আ ক খ হয়ত শিখতে হবে। কোন একজন মানুষ যে তাবলীগকে নিজের জীবন করে নিয়েছে সে যদি ভুল করেও এই ফোরামে ঢুকে ত আর যাই হোক জিন্দেগীতে যে এই ফোরামের দিকে ফিরেও তাকাবে না এটা যেমন নিশ্চিত তেমনি একই ভাবে সে আর যাই হোক কোন জিহাদি মানসিকতার ভাইকেও নিজের ধারেকাছে ঘেসতে দিবে না এটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। তাই ভাই মন চাইল আর নিজের তাবলীগি জীবনের একটা ভ্রান্ত ব্যাখ্যা লিখে দিলাম; তাদের চৌদ্দ গুষ্টি ধরে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করলাম এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন যদি আসলেই সেই ভাইদের প্রতি মহব্বত থাকে যে তারা সঠিক পথের দিশা পাক। সমালোচনা তখনই হওয়া চাই যখন তা দাওয়াহ'র জন্য আবশ্যক হয়ে দাড়ায়। একটা সমালোচনা যেন দাওয়াহ'র জন্য প্রতিবন্ধক না হয় সেটার ব্যপারে আমরা মনোযোগী হই ভাই।
ভাই সবার কাছে আবারও মাফ চাই। আল্লাহ্* আমাদের দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর মর্ম নিজেদের মনোজগতে সঠিকভাবে প্রোথিত করার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
নোটঃ ভাই কেউ হয়ত বলতে পারেন সবাইকে ভাষা মার্জিত করার কথা বলে আমি এত রুঢ় ভাষা কেন ব্যবহার করলাম?? ভাই এক্ষেত্রে ভাই আমি রাসূল (সঃ) এর জীবনি থেকে একটা শিক্ষা নিয়েছি। আল্লাহ্* আমার শিক্ষায় কোন ভুল থাকলে মাফ করুন। রাসূল (সঃ) ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য করেছেন ব্যক্তিভেদে। যেমন;
ক) একজন বেদুঈন যিনি মসজীদে নববীর ভিতরে ঢুকে ইসতেনজা করেছিলে; সাহাবী (রাঃ) গণ এতে অনেক ক্ষীপ্ত হয়ে গেলেও রাসূল (সঃ) ছিলেন অনেক সদয়। সেই বেদুঈনকে এ ব্যপারে কাছে ডেকে সহবত শিক্ষা দিয়েছিলেন।
খ) মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) মসজিদে নববীতে এশার সালাত আদায় করে তাঁর মহল্লায় গিয়ে ইমামতি করতেন। একদিন এশার সালাতে অনেক দীর্ঘ তিলাওয়াত কড়ায় পিছন থেকে একজন জামাত ভেঙ্গে আলাদা নামায পড়ে চলে যাওয়ায় তাঁর সম্পর্কে মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর সম্পর্কে বলে বসেন সে ত মুনাফিক হয়ে গেছে বা তাঁর ভিতর মুনাফিকি ফুটে উঠেছে। পরবর্তীতে এই বিসয় রাসূল (সঃ) এর দরবার পর্যন্ত পৌঁছালে রাসূল (সঃ) মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) কে তীব্র ভরতসনার সুরে বলেন, 'তুমি কি লোককে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাও? এখন থেকে অয়াসসামা ইযা তিল বুরজের সূরাগুলো দিয়ে নামায পড়াবে' তিনি এমন বলেছিলেন অথবা যেমনটি বলেছিলেন তেমন।
একজন উম্মাহ'র সর্বশ্রেষ্ঠ আলেমের নিকট থেকে এমন কোন আচরণ কাম্য নয় বলে রাসূল (সঃ) এক্ষেত্রে ছিলেন কিছুটা কঠোর কিন্তু বেদুঈন যে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তাঁর প্রতি ছিলেন অমায়িক।
ভাই আপনারা জিহাদ মানে ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে বসে আছেন। আপনাদের কথা কাজকর্মকে তাই তরবারির ডগায় ফেলা যায়। এখানে ভুল/অনর্থক আচরণ করার খেসারত অনেক নির্মম।
আলহামদুলিল্লাহ্*। আসসালাতু ওয়াসসালাম আ'লা রাসূলিল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
Comment