বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর প্রতি তার পরিবার, পরিজন , সাহাবা রাজিঃ এবং যারা হেদায়েতের অনুসরণ করে তাদের প্রতি।
গত কয়েকদিন আমি আমার ভাইদের বিভিন্ন কমেন্ট পড়েছি কিন্তু সময় করে যে কিছু লিখবো তার সময় হয়ে উঠছিল না।
তবে এর মাঝে মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
এক এক ভাই এক এক কথা বলছিল। আমি প্রথমে ভাবলাম উত্তর দেই, তারপর উত্তর দিতে গিয়ে দেখি সময় হচ্ছে না, তার পরে ভাবলাম দেখি সবর করে ভাইরা আর কত ধরনের কমেন্ট করতে পারেন।
আমার মনে হয় যত ভাই কমেন্ট করেছেন তাদের কমেন্ট করা শেষ ইংশা আল্লাহ। আমি এখন সেই সকল কমেন্ট থেকে কিছু কমেন্টের মুল থীমগুলোর উত্তর দিব ইংশা আল্লাহঃ
১।এইরকম কঠিন দাওয়াহ মানুষ পরিত্যাগ করবেঃ
প্রথমে বুঝতে হবে এটা ওপেন ফোরাম হলেও আম পাবলিকের আগমন খুবই কম,বা নেই বললেই চলে। এই ফোরাম যারা ভিজিট করে তারা সবাই মোটামোটি জিহাদি মানহাজের। আর কিছু টিকটিকি থাকে, তাই আমরা যদি ভাবি আমাদের এই কথা বার্তা দেখে কেউ পালিয়ে যাবে তাহলে সে যাক। কারন তার জন্য দ্বীন থেমে থাকবে না। যে ব্যক্তি এই পরিমান দলান্ধ তাকে দিয়ে কোন তানজিম মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে টিকে থাকতে পারবে না।
২। বড়দের সমালোচনার মুল নীতিঃ
জি ভাই বড়দের সমালোচনা করতে হবে আদবের সাথেই। এটায় আমি একমত। আমার ভুল হলে মাফ করবেন।এবং এর পর থেকে আরো সতর্ক থাকবো ইংশা আল্লাহ।
৩। তাহলে কি আমরা বড়দের সাথে বেয়াদবি করেছিঃ
আমার নজরে কেউ তো কোন বড়র সাথে বেয়াদবি করে নি, কেউ তো কারো নাম ধরে উল্টা পাল্টা কিছুই বলে নি। হয়তোবা আমি নিজেই বেয়াদব দেখে নিজের এবং কোন ভাই বেয়াদবি করলে বুঝতে পারতেছি না।
আরেকটা হল এখানে মূল কথা টাইটেল পথভ্রষ্ট লিখায় না, মূল কথা হল আবু খাবাইব ভাইয়ের সিনিয়র প্রোফাইল+ উনার আরো কিছু লিখা থাকার কারনে কেউই উনার লিখায় ইতিহাস ভিত্তিক দালিলিক উত্তর দেয়ার সাহস পায় নি।
শেষে আমি যখন একটি মাত্র শব্দ শুধু বাড়ালাম তখন সেই ছুতোয় নিজেদের ভিতরে চেপে রাখা পুরাতন ক্ষোভ কিছু ভাই ঝেড়ে নিলেন।
যদি দেওবন্দি চিন্তা ধারা সঠিক পথেই থাকতো তবে কি আপনি দেওবন্দি অসার মানহাজ ছেড়ে আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন?
যদি সালাফিদের এসির নিচে বসে থাকা মানহাজ ঠিক পথে থাকতো তবে কি আপনি আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন।
ঠিক একইভাবে তাবলীগ/ চরমোনাই/ শিবিরদের মানহাজ ঠিক থাকলে তো আপনি আমি আমাদের সেই দলগুলো ছেড়ে এই মানহাজে আসতাম না।
তাহলে এটা কি মেনে নিতে আমাদের কোন অসুবিধা আছে যে আমরা আগে যে মানহাজে ছিলাম তা সঠিক পথে নাই?? যদি আমরা সেটা মেনেই এই
পথে আসি তাহলে ছেড়ে আসা পথকে পথভ্রষ্ট বলতে অসুবিধা কোথায়???
৪। অনুমতি ছাড়া আবু খুবাইব ভাইয়ের লিখা রিপোষ্ট করাঃ
ভাই আমি প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে ফোরাম ভিজিট করি। কিন্তু কখনো কোন জায়গায় দেখি নি কারো অনুমতি ছাড়া কোন লিখা রিপোষ্ট করা যাবে না। যাই হোক মডারেটোর ভাই বলার পরে আমি উনার অনুমতি নিয়েছি এবং উনি বলেছেন শিরোনামে পথভ্রষ্ট কথাটা ইউজ না করতে। আরেকজন ভাই নসিহা দিলেন লেখকের অনুমতি ছাড়া কেন আমি উনার লিখার সংযোজন বিয়োজন করেছি।
হুম... এটা একটা পয়েন্ট । কিন্তু প্রিয় ভাই আমি শুধু একটা শব্দ বাড়িয়েছি তাও আবার শিরোনামে। আর বলেই দিয়েছি লিখাটা আমার না। কিন্তু উনার মূল লিখায় ইংশা আল্লাহ একটি দাড়ি কমাও চেঞ্জ করি নি। আসলে ভাই দিন শেষে কথা এক জায়গায় সেটি হল পুরাতন ক্ষোভ।
আর যাই হোক যদি মূল কথা হয়ে থাকে সেই একটি শব্দই তাহলে আপনাদের কাছে হাত জোড় করে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। ভুল হয়ে গেছে ভাই সরি। আর জীবনে এমন হবে না...
৫। এটা কি দেওবন্দের উপর আক্রমনঃ
জি না এটা দেওবন্দের উপর আক্রমন না। এটা আক্রমন না, মহান মুজাহিদ নেতা আল্লামা কাশেম নানুতুবি রাহিঃ এর হাতে গড়ে তোলা জিহাদি মারকাজের দেওবন্দের উপর।এটা আক্রমন না সেই মানহাজের উপর যেই সম্মানিত নেতাগনের কথা ছিল এই দেওবন্দের প্রতিষ্টা হয়েছেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য। তবে আমরা যেটা ভুল করি বালাকোটকে দেওবন্দের সম্পত্তি মনে করি। বিষয়টা এমন না। দেওবন্দ ছিল বালাকোটের নির্যাস।
এটা আক্রমন সেই পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি মানহাজের উপর যা ভারতকে দারুল আমান বলে,এটা সেই মানহাজের উপর আক্রমন, যারা কাশ্মিরের মুসলিমদের জন্য একটা শব্দ উচ্চারন করে না, যার অনুসারিরা মাদ্ররাসাতে শুধু এই কারনে একজন মুজাহিদ দায়ী ভাইকে পথভ্রষ্ট ঘোষণা করে কারন উনি প্রশংসা করেছিলেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ এর।
হাজারো সামরিক কায়দায় সালাম এইরকম পথভ্রষ্ট মানহাজ আছে সেই সবগুলো মানহাজকে (দেওবন্দি,তাবলিগি,সালাফি)
৬। কারো পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা কি আমাদের মানহাজের বিপরীতঃ
কোন অসার মানহাজের পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা মানহাজের বিপরীত না। আমরা আল্লামা আলবানি রাহিঃ এর ইরজার আলোচনা করতে পারলে কেন উপমহাদেশের কোন আলিমের ইরজার আলোচনা করতে পারবো না !!
আমরা যদি সালাফিদের সরকারের দালালির উৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে পারি তবে কেন দেওবন্দের সরকারের দালালির ইতিহাস, উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো না!!
আমরা সবাই জানি আরবে+পশ্চিম আফ্রিকায় সালাফিরা কেমন প্রভাবশালী।সেখানে সালাফি মাজহাবই প্রচলিত। কিন্তু সেখানেও আমাদের মুজাহিদ আলিমগন সালাফিদের অসার যুক্তির রদ করেছেন। শায়খ আবু
ফিরাস আস সুরি রাহিঃকে যখন জিজ্ঞাস করা হল আলবানি রাহিঃ সম্পর্কে তখন তিনি বলেছিলেন,
(এই উক্তি লিখায় কোন শব্দ বাদ গেলে কোন ভাই দয়া করা সংশোধন করে দিয়েন। কারন আমার যতদুর মনে হচ্ছে শায়খ রাহিঃ এমনই বলেছিলেন))
আপনি কি জানেন শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি রাহিঃ কে?? যাদের জানার সত্যিকারই তলব আছে তারা নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নিক।
জি এটাই আল কায়দার মানহাজ।
৭। আমি কি সালাফি বেক গ্রাউন্ডেডঃ একভাই আমাকে সহনশীল হওয়ার নসিহা করলেন এবং আকারে ইঙ্গিতে আমাকে সালাফি ভাব ধারার বানিয়ে দিলেন। আরে ভাই আল্লাহ আপনার চিন্তায় বরকত দান করুন। আলবানি রাহিঃ কি মুরজিয়া না ইরজার মাঝে ছিলেন এই ব্যাপারে যে ডকুমেন্ট আছে তার মাঝে কিছু অংশের অনুবাদ এই অধমেরও করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ডাওনলোড করে পড়ে নিয়েন।
আর আপনিই কিনা আমাকে এই কথা বলেন? কেন আমরা কারো ব্যাক গ্রাউন্ড না জেনেই ধারনা করে কথা বলি??? ধারনা করা কি সও্য়াবের কাজ?? নাকি আল্লাহর তরফ থেকে পারমিশন দেয়া আছে??
৮। তারা ( নব্য দেওবন্দি মানহাজের প্রতিষ্টাতাগন) পরিস্থিতির শিকার ছিলেনঃ
থামেন ভাই!!!
আপনি কি বলতেছেন এটা মাথায় আছে তো?? এই কথাতেই তো কয়েক বছর পর তাহলে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ছাড় পেয়ে যাবে যে সে পরিস্থিতির শিকার ছিল? কারন আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় ছিল, ৫মে তে হত্ত্যা করছে, দেশে যে কেউ গুম হয়ে যাচ্ছে তাই সে শাসককে ইসলাহ !! করার জন্য তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে। আর ফরিদ নামক বালাম বাওরার ইল্মি খেদমত কি কম?? সুবহান আল্লাহ তার মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে খেদমত হয়েছে এবং যত ভালো ভালো পুরাতন সকল মূল্যবান ইসলামিক বই অনুবাদ হয়েছে তা আর কারো দারা হয় নি। কিন্তু আপনি আমি কি তার পথ ভ্রষ্টতা তুলে ধরবো না??
জি না, আপনার এই কথা (পরিস্থিতির শিকার) আমি কখনোই মেনে নিব না যদিও আমাকে জবাই করে দেয়া হয় ইংশা আল্লাহ। আপনি এই কথা তখনই বলতে পারবেন যখন আপনার আমার নিজের মাঝেই দুর্বলতা থাকবে। যে ভাই এই কথা বলেছেন তিনি নিজের ইমানকে ঝালাই করে নিন। নয়তো কঠিন অবস্থায় আপনি ভেংগে পড়বেন। এবং আপনি যে তানজিমেরই হোন না কেন কঠিন অবস্থায় আপনি তানজিমের ক্ষতি করবেন প্লাস নিজেও ঈমান হারা হয়ে যাবেন। ভাই হিসেবে আপনার প্রতি অনুরোধ থাকলো এবং যারাই এই পরিস্থিতির শিকার কথাকে মনে লালন পালন করেন তারাও নিজের ঈমানকে ঝালাই করে নিন।
আমি যখন এই কথা বলবো তাদের ভুল ফতোয়ার পিছনে যুক্তি আছে তখন এটা বুঝেই নিতে হবে জিহাদি মানহাজ আমার নিজেরই ক্লিয়ার না। আমি যেই হই না কেন। জিহাদের হকিকত আমি নিজেই বুঝি নি। তাহলে আর এই কথা বলতাম না।
তারা তো সেই সকল বিষয়ে ইজতিহাদ করে নতুন বিধান বানিয়েছেন যে সকল বিষয়ে ১৩/১৪ শত বছর আগেই রায় হয়ে গিয়েছে। কখন একটি দেশ দারুল হারব হয়? এটার রায় কি স্পষ্ট না?? বন্দি মুক্তি করার রায় কি স্পষ্ট না? তবে হ্যা যদি অবস্থা এমন হত দুইটা দেশ দারুল হারব এখন কোনটাতে আমি আগে জিহাদ শুরু করবো তাহলে সমস্যা ছিল না। অথবা এইরকম হত দুইটা কারাগার কাশিমপুর ও ঢাকা সেন্ট্রাল জেলখানা। দুই জায়গায় আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাই বন্দি এখন কাদের আগে মুক্তির ব্যবস্থা করবো তাহলে আলাদা কথা।
কিন্তু এইখানে তো পুরো বিধানকেই উল্টে দেয়া হচ্ছে। দারুল হারবকে দারুল আমান বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের ওস্তাদরা ভারত দারুল হারব কিনা তাই চিহ্নিত করতে পারে না তাদের শাগরেদরা কিভাবে এই দেশের বর্তমান হালত চিহ্নিত করবে!
নেক্সট অংশ পরবর্তী কমেন্টে।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর প্রতি তার পরিবার, পরিজন , সাহাবা রাজিঃ এবং যারা হেদায়েতের অনুসরণ করে তাদের প্রতি।
গত কয়েকদিন আমি আমার ভাইদের বিভিন্ন কমেন্ট পড়েছি কিন্তু সময় করে যে কিছু লিখবো তার সময় হয়ে উঠছিল না।
তবে এর মাঝে মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
এক এক ভাই এক এক কথা বলছিল। আমি প্রথমে ভাবলাম উত্তর দেই, তারপর উত্তর দিতে গিয়ে দেখি সময় হচ্ছে না, তার পরে ভাবলাম দেখি সবর করে ভাইরা আর কত ধরনের কমেন্ট করতে পারেন।
আমার মনে হয় যত ভাই কমেন্ট করেছেন তাদের কমেন্ট করা শেষ ইংশা আল্লাহ। আমি এখন সেই সকল কমেন্ট থেকে কিছু কমেন্টের মুল থীমগুলোর উত্তর দিব ইংশা আল্লাহঃ
১।এইরকম কঠিন দাওয়াহ মানুষ পরিত্যাগ করবেঃ
প্রথমে বুঝতে হবে এটা ওপেন ফোরাম হলেও আম পাবলিকের আগমন খুবই কম,বা নেই বললেই চলে। এই ফোরাম যারা ভিজিট করে তারা সবাই মোটামোটি জিহাদি মানহাজের। আর কিছু টিকটিকি থাকে, তাই আমরা যদি ভাবি আমাদের এই কথা বার্তা দেখে কেউ পালিয়ে যাবে তাহলে সে যাক। কারন তার জন্য দ্বীন থেমে থাকবে না। যে ব্যক্তি এই পরিমান দলান্ধ তাকে দিয়ে কোন তানজিম মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে টিকে থাকতে পারবে না।
২। বড়দের সমালোচনার মুল নীতিঃ
জি ভাই বড়দের সমালোচনা করতে হবে আদবের সাথেই। এটায় আমি একমত। আমার ভুল হলে মাফ করবেন।এবং এর পর থেকে আরো সতর্ক থাকবো ইংশা আল্লাহ।
৩। তাহলে কি আমরা বড়দের সাথে বেয়াদবি করেছিঃ
আমার নজরে কেউ তো কোন বড়র সাথে বেয়াদবি করে নি, কেউ তো কারো নাম ধরে উল্টা পাল্টা কিছুই বলে নি। হয়তোবা আমি নিজেই বেয়াদব দেখে নিজের এবং কোন ভাই বেয়াদবি করলে বুঝতে পারতেছি না।
আরেকটা হল এখানে মূল কথা টাইটেল পথভ্রষ্ট লিখায় না, মূল কথা হল আবু খাবাইব ভাইয়ের সিনিয়র প্রোফাইল+ উনার আরো কিছু লিখা থাকার কারনে কেউই উনার লিখায় ইতিহাস ভিত্তিক দালিলিক উত্তর দেয়ার সাহস পায় নি।
শেষে আমি যখন একটি মাত্র শব্দ শুধু বাড়ালাম তখন সেই ছুতোয় নিজেদের ভিতরে চেপে রাখা পুরাতন ক্ষোভ কিছু ভাই ঝেড়ে নিলেন।
যদি দেওবন্দি চিন্তা ধারা সঠিক পথেই থাকতো তবে কি আপনি দেওবন্দি অসার মানহাজ ছেড়ে আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন?
যদি সালাফিদের এসির নিচে বসে থাকা মানহাজ ঠিক পথে থাকতো তবে কি আপনি আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন।
ঠিক একইভাবে তাবলীগ/ চরমোনাই/ শিবিরদের মানহাজ ঠিক থাকলে তো আপনি আমি আমাদের সেই দলগুলো ছেড়ে এই মানহাজে আসতাম না।
তাহলে এটা কি মেনে নিতে আমাদের কোন অসুবিধা আছে যে আমরা আগে যে মানহাজে ছিলাম তা সঠিক পথে নাই?? যদি আমরা সেটা মেনেই এই
পথে আসি তাহলে ছেড়ে আসা পথকে পথভ্রষ্ট বলতে অসুবিধা কোথায়???
সারা জীবন আম দাওয়াতি কাজ করে যাওয়া তাবলিগি মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
সারা জীবন আকিদার নাম বিক্রি করে টিকে থাকা সালাফি মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
আম্রিকার গোলামি করে জামাত / শিবির কি সঠিক পথে আছে?
ভারতকে দারুল আমান ঘোষণা দিয়ে দেওবন্দ কি সঠিক পথে আছে?
আছে কি সঠিক পথে সেই আলিমরা, যারা পাকিস্তানের আলিম শহীদ আব্দুর রাশিদ গাযি রাহিঃ এবং জামিয়া হাফসার ছাত্রীদের বলে থাকে পথভ্রষ্ট?? কারা পাকিস্তানের মুজাহিদদের খারেজি বলে তাদের একটু জেনে নিয়েন দয়া করে।
এইসকল মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
যদি উত্তর নাই হয়ে থাকে তবে তাদের এই পথকে পথভ্রষ্ট বলতে সমস্যা কোথায় ???!!!
আমাকে এই কথার উত্তর দেন যেহেতু কিছু ভাইয়ের এই কথাতেই সমস্যা।
(যদিও মূল সমস্যা অন্য জায়গায়)
সারা জীবন আকিদার নাম বিক্রি করে টিকে থাকা সালাফি মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
আম্রিকার গোলামি করে জামাত / শিবির কি সঠিক পথে আছে?
ভারতকে দারুল আমান ঘোষণা দিয়ে দেওবন্দ কি সঠিক পথে আছে?
আছে কি সঠিক পথে সেই আলিমরা, যারা পাকিস্তানের আলিম শহীদ আব্দুর রাশিদ গাযি রাহিঃ এবং জামিয়া হাফসার ছাত্রীদের বলে থাকে পথভ্রষ্ট?? কারা পাকিস্তানের মুজাহিদদের খারেজি বলে তাদের একটু জেনে নিয়েন দয়া করে।
এইসকল মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
যদি উত্তর নাই হয়ে থাকে তবে তাদের এই পথকে পথভ্রষ্ট বলতে সমস্যা কোথায় ???!!!
আমাকে এই কথার উত্তর দেন যেহেতু কিছু ভাইয়ের এই কথাতেই সমস্যা।
(যদিও মূল সমস্যা অন্য জায়গায়)
৪। অনুমতি ছাড়া আবু খুবাইব ভাইয়ের লিখা রিপোষ্ট করাঃ
ভাই আমি প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে ফোরাম ভিজিট করি। কিন্তু কখনো কোন জায়গায় দেখি নি কারো অনুমতি ছাড়া কোন লিখা রিপোষ্ট করা যাবে না। যাই হোক মডারেটোর ভাই বলার পরে আমি উনার অনুমতি নিয়েছি এবং উনি বলেছেন শিরোনামে পথভ্রষ্ট কথাটা ইউজ না করতে। আরেকজন ভাই নসিহা দিলেন লেখকের অনুমতি ছাড়া কেন আমি উনার লিখার সংযোজন বিয়োজন করেছি।
হুম... এটা একটা পয়েন্ট । কিন্তু প্রিয় ভাই আমি শুধু একটা শব্দ বাড়িয়েছি তাও আবার শিরোনামে। আর বলেই দিয়েছি লিখাটা আমার না। কিন্তু উনার মূল লিখায় ইংশা আল্লাহ একটি দাড়ি কমাও চেঞ্জ করি নি। আসলে ভাই দিন শেষে কথা এক জায়গায় সেটি হল পুরাতন ক্ষোভ।
আর যাই হোক যদি মূল কথা হয়ে থাকে সেই একটি শব্দই তাহলে আপনাদের কাছে হাত জোড় করে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। ভুল হয়ে গেছে ভাই সরি। আর জীবনে এমন হবে না...
৫। এটা কি দেওবন্দের উপর আক্রমনঃ
জি না এটা দেওবন্দের উপর আক্রমন না। এটা আক্রমন না, মহান মুজাহিদ নেতা আল্লামা কাশেম নানুতুবি রাহিঃ এর হাতে গড়ে তোলা জিহাদি মারকাজের দেওবন্দের উপর।এটা আক্রমন না সেই মানহাজের উপর যেই সম্মানিত নেতাগনের কথা ছিল এই দেওবন্দের প্রতিষ্টা হয়েছেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য। তবে আমরা যেটা ভুল করি বালাকোটকে দেওবন্দের সম্পত্তি মনে করি। বিষয়টা এমন না। দেওবন্দ ছিল বালাকোটের নির্যাস।
এটা আক্রমন সেই পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি মানহাজের উপর যা ভারতকে দারুল আমান বলে,এটা সেই মানহাজের উপর আক্রমন, যারা কাশ্মিরের মুসলিমদের জন্য একটা শব্দ উচ্চারন করে না, যার অনুসারিরা মাদ্ররাসাতে শুধু এই কারনে একজন মুজাহিদ দায়ী ভাইকে পথভ্রষ্ট ঘোষণা করে কারন উনি প্রশংসা করেছিলেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ এর।
হাজারো সামরিক কায়দায় সালাম এইরকম পথভ্রষ্ট মানহাজ আছে সেই সবগুলো মানহাজকে (দেওবন্দি,তাবলিগি,সালাফি)
৬। কারো পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা কি আমাদের মানহাজের বিপরীতঃ
কোন অসার মানহাজের পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা মানহাজের বিপরীত না। আমরা আল্লামা আলবানি রাহিঃ এর ইরজার আলোচনা করতে পারলে কেন উপমহাদেশের কোন আলিমের ইরজার আলোচনা করতে পারবো না !!
আমরা যদি সালাফিদের সরকারের দালালির উৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে পারি তবে কেন দেওবন্দের সরকারের দালালির ইতিহাস, উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো না!!
আমরা সবাই জানি আরবে+পশ্চিম আফ্রিকায় সালাফিরা কেমন প্রভাবশালী।সেখানে সালাফি মাজহাবই প্রচলিত। কিন্তু সেখানেও আমাদের মুজাহিদ আলিমগন সালাফিদের অসার যুক্তির রদ করেছেন। শায়খ আবু
ফিরাস আস সুরি রাহিঃকে যখন জিজ্ঞাস করা হল আলবানি রাহিঃ সম্পর্কে তখন তিনি বলেছিলেন,
“হক হকের জায়গায়, সম্মান সম্মানের জায়গায়।
আমরা বেছে নিলাম আল্লাহর দলকেই”
আমরা বেছে নিলাম আল্লাহর দলকেই”
আপনি কি জানেন শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি রাহিঃ কে?? যাদের জানার সত্যিকারই তলব আছে তারা নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নিক।
জি এটাই আল কায়দার মানহাজ।
৭। আমি কি সালাফি বেক গ্রাউন্ডেডঃ একভাই আমাকে সহনশীল হওয়ার নসিহা করলেন এবং আকারে ইঙ্গিতে আমাকে সালাফি ভাব ধারার বানিয়ে দিলেন। আরে ভাই আল্লাহ আপনার চিন্তায় বরকত দান করুন। আলবানি রাহিঃ কি মুরজিয়া না ইরজার মাঝে ছিলেন এই ব্যাপারে যে ডকুমেন্ট আছে তার মাঝে কিছু অংশের অনুবাদ এই অধমেরও করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ডাওনলোড করে পড়ে নিয়েন।
আর আপনিই কিনা আমাকে এই কথা বলেন? কেন আমরা কারো ব্যাক গ্রাউন্ড না জেনেই ধারনা করে কথা বলি??? ধারনা করা কি সও্য়াবের কাজ?? নাকি আল্লাহর তরফ থেকে পারমিশন দেয়া আছে??
৮। তারা ( নব্য দেওবন্দি মানহাজের প্রতিষ্টাতাগন) পরিস্থিতির শিকার ছিলেনঃ
থামেন ভাই!!!
আপনি কি বলতেছেন এটা মাথায় আছে তো?? এই কথাতেই তো কয়েক বছর পর তাহলে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ছাড় পেয়ে যাবে যে সে পরিস্থিতির শিকার ছিল? কারন আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় ছিল, ৫মে তে হত্ত্যা করছে, দেশে যে কেউ গুম হয়ে যাচ্ছে তাই সে শাসককে ইসলাহ !! করার জন্য তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে। আর ফরিদ নামক বালাম বাওরার ইল্মি খেদমত কি কম?? সুবহান আল্লাহ তার মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে খেদমত হয়েছে এবং যত ভালো ভালো পুরাতন সকল মূল্যবান ইসলামিক বই অনুবাদ হয়েছে তা আর কারো দারা হয় নি। কিন্তু আপনি আমি কি তার পথ ভ্রষ্টতা তুলে ধরবো না??
জি না, আপনার এই কথা (পরিস্থিতির শিকার) আমি কখনোই মেনে নিব না যদিও আমাকে জবাই করে দেয়া হয় ইংশা আল্লাহ। আপনি এই কথা তখনই বলতে পারবেন যখন আপনার আমার নিজের মাঝেই দুর্বলতা থাকবে। যে ভাই এই কথা বলেছেন তিনি নিজের ইমানকে ঝালাই করে নিন। নয়তো কঠিন অবস্থায় আপনি ভেংগে পড়বেন। এবং আপনি যে তানজিমেরই হোন না কেন কঠিন অবস্থায় আপনি তানজিমের ক্ষতি করবেন প্লাস নিজেও ঈমান হারা হয়ে যাবেন। ভাই হিসেবে আপনার প্রতি অনুরোধ থাকলো এবং যারাই এই পরিস্থিতির শিকার কথাকে মনে লালন পালন করেন তারাও নিজের ঈমানকে ঝালাই করে নিন।
আমি যখন এই কথা বলবো তাদের ভুল ফতোয়ার পিছনে যুক্তি আছে তখন এটা বুঝেই নিতে হবে জিহাদি মানহাজ আমার নিজেরই ক্লিয়ার না। আমি যেই হই না কেন। জিহাদের হকিকত আমি নিজেই বুঝি নি। তাহলে আর এই কথা বলতাম না।
তারা তো সেই সকল বিষয়ে ইজতিহাদ করে নতুন বিধান বানিয়েছেন যে সকল বিষয়ে ১৩/১৪ শত বছর আগেই রায় হয়ে গিয়েছে। কখন একটি দেশ দারুল হারব হয়? এটার রায় কি স্পষ্ট না?? বন্দি মুক্তি করার রায় কি স্পষ্ট না? তবে হ্যা যদি অবস্থা এমন হত দুইটা দেশ দারুল হারব এখন কোনটাতে আমি আগে জিহাদ শুরু করবো তাহলে সমস্যা ছিল না। অথবা এইরকম হত দুইটা কারাগার কাশিমপুর ও ঢাকা সেন্ট্রাল জেলখানা। দুই জায়গায় আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাই বন্দি এখন কাদের আগে মুক্তির ব্যবস্থা করবো তাহলে আলাদা কথা।
কিন্তু এইখানে তো পুরো বিধানকেই উল্টে দেয়া হচ্ছে। দারুল হারবকে দারুল আমান বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের ওস্তাদরা ভারত দারুল হারব কিনা তাই চিহ্নিত করতে পারে না তাদের শাগরেদরা কিভাবে এই দেশের বর্তমান হালত চিহ্নিত করবে!
নেক্সট অংশ পরবর্তী কমেন্টে।
Comment