Announcement

Collapse
No announcement yet.

যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা গেল সে মুনাফিক অবস্থায় মার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা গেল সে মুনাফিক অবস্থায় মার

    জিহাদকারী ব্যক্তির জন্য জান্নাত নিশ্চিত
    মু’আয ইবনু জাবাল রা. হতে বর্ণিত, তিনি রসূলুল্লাহ্ দ. কে বলতে শুনেছেন,
    “তিনি (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি উটের দুধ দোহনের মধ্যবর্তী সময়টুকু (সামান্য সময়) আল্লাহ্’র পথে জিহাদ করেছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।”
    [নাসাঈ, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ২৫, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ২৫, যে ব্যক্তি উটের দুধ দোহন করার দুই টানের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত আল্লাহ্’র রাস্তায় যুদ্ধ করে, হাদিস # ৩১৪১, আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৪২, যে ব্যক্তি আল্লাহ্’র কাছে শাহাদাৎ কামনা করে, হাদিস # ২৫৪১, তিরমিযী, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ২০, জিহাদের ফাযিলাত, অনুচ্ছেদঃ ২১, আল্লাহ্’র পথে আহত ব্যক্তির মর্যাদা, হাদিস # ১৬৫৭, ইবনু মাজাহ্, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২৪, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৫, মহান আল্লাহ্’র পথে জিহাদ করা, হাদিস # ২৭৯২, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৫, যে ব্যক্তি উটের দুধ দোহনের মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ আল্লাহ্’র পথে জিহাদ করলো, হাদিস # ২৩৯৪ (হাদিসটি ইবনু মাজাহ্’র বর্ণনা)।
    ইবনু জারীর রহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু হুরইরহ রা. কে আল্লাহ্’র রসূল হতে বলতে শুনেছি,
    “তিনি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্’র পথে বের হয় যদি শুধু আল্লাহ্’র উপর ঈমাণ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমানের কারণে বের হয় তবে আল্লাহ্ ঘোষণা দেন যে, আমি তাকে সাওয়াব ও গাণিমাতসহ ঘরে ফিরিয়ে আনবো অথবা জান্নাতে প্রবেশ করাবো…”
    [বুখারী, অধ্যায়ঃ ২, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ২৬, জিহাদ ঈমানের শামিল, হাদিস # ৩৬, মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৪, প্রশাসন ও নেতৃত্ব, অনুচ্ছেদঃ ২৮, জিহাদ ও আল্লাহ্’র পথে বের হবার মাহাত্য, হাদিস # ১০৩/১৮৭৬ (হাদিসটি বুখারীর বর্ণনা)।
    ঈমানের পরে জিহাদই সর্বোত্তম
    আবু হুরইরহ্ রা. হতে বর্ণিত,
    “আল্লাহ্’র রসূল সা. কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন আ’মালটি উত্তম ? তিনি সা. বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের উপর ঈমান আনা। জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কোনটি ? তিনি সা. বললেন, আল্লাহ্’র রাস্তায় জিহাদ করা। প্রশ্ন করা হলো তারপর কোনটি ? তিনি সা. বললেন, মাক্ববুল হাজ্ব সম্পন্ন করা।”
    [বুখারী, অধ্যায়ঃ ২, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যে ব্যক্তি বলে ঈমানই হচ্ছে আ’মাল, হাদিস # ২৬, মুসলিম, অধ্যায়ঃ ১, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ৩৬, আল্লাহ্’র প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আ’মাল, হাদিস # ১৩৫/৮৩, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৪, কোন আ’মাল সর্বোত্তম, হাদিস # ২৩৯৩ (হাদিসটি বুখারীর বর্ণনা)।
    ঘরে বসে ৬০ বছর ইবাদাত করার চেয়ে জিহাদ করা উত্তম
    ইমরান ইবনু হুসাইন রা. হতে বর্ণিত,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, কোনো ব্যক্তি আল্লাহ্’র রাস্তা জিহাদের উদ্দেশ্যে অবস্থান করা তার বাড়ীতে ৬০ বছর ইবাদাত করার চেয়ে উত্তম।”
    [দারিমী, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৭, আল্লাহ্’র রাস্তায় অবস্থানকারীর মর্যাদা, হাদিস # ২৩৯৬]
    আল্লাহ্’র রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করা পৃথিবীর সবকিছুর চাইতেও উত্তম
    সাহল ইবনু সা’দ রা. হতে বর্ণিত,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, আল্লাহ্’র পথে একটি সকাল অথবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা পৃথিবী ও তার মধ্যবর্তী সবকিছুর থেকে উত্তম।”
    [বুখারী, অধ্যায়ঃ ৫৬, জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার, অনুচ্ছেদঃ ৫, আল্লাহ্’র পথে সকাল-সন্ধ্যা অতিবাহিত করা। জান্নাতে তোমাদের কারো এক ধনুক পরিমাণ স্থান, হাদিস # ২৭৯৪, মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৪, প্রশাসন ও নেতৃত্ব, অনুচ্ছেদঃ ৩০, আল্লাহ্’র রাহে সকাল সন্ধ্যা বের হবার মাহাত্য, হাদিস # ১১২/১৮৮০, ১১৩,১১৪/১৮৮১, ১১৫/১৮৮৩, দারিমী, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৯, আল্লাহ’র পথে একটি সকাল ও একটি বিকাল অতিবাহিত করা, হাদিস # ২৩৯৮ (হাদিসটি মুসলিমের বর্ণনা)।
    শাহীদ হবার ফাযিলাত
    ঋণ ব্যতীত শাহীদের সকল গুনাহ্ মাফ
    আব্দুল্লাহ্ ইবনু আমর ইবনু আ’স্ব রা. হতে বর্ণিত,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেন, ঋণ ব্যতীত শাহীদের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।”
    [মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৪, প্রশাসন ও নেতৃত্ব, অনুচ্ছেদঃ ৩২, ঋণ ব্যতীত শাহীদের সকল গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে, হাদিস # ১১৯,১২০/১৮৮৬।
    শাহীদের মৃত্যু’র সময় চিমটি কাটার মত ব্যাথা অনুভব করে
    আবু হুরইরহ রা. হতে বর্ণিত,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, শাহীদ নিহত হবার সময় এতটুকু ব্যাথা অনুভব করে যতটুকু ব্যাথা চিমটি কাটার সময় তোমরা অনুভব করো।”
    [নাসাঈ, হাসান, অধ্যায়ঃ ২৫, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৩৫, শাহীদ কেমন ব্যাথা অনুভব করে, হাদিস # ৩১৬১, তিরমিযী, হাসান, অধ্যায়ঃ ২০, জিহাদের ফাযিলাত, অনুচ্ছেদঃ ২৬, আল্লাহ্’র পথে পারাদানের সাওয়াব, হাদিস # ১৬৬৮, ইবনু মাজাহ্, হাসান, অধ্যায়ঃ ২৪, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৬, আল্লাহ্’র পথে শাহীদ হবার ফাযিলাত, হাদিস # ২৮০২, দারিমী, হাসান, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৭, শাহীদের ফাযিলাত, হাদিস # ২৪০৮, (হাদিসটি তিরমিযীর বর্ণনা)।
    জিহাদের নিয়ত করা প্রত্যেক
    মুসলিমের উপর ফারজ
    আবু হুরইরহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা যায় তাহলে সে মুনাফিক অবস্থায় মারা গেল।”
    [মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল ইমারহ, অনুচ্ছেদঃ ৪৭, আল্লাহ্’র পথে জিহাদ না করে এমন কি জিহাদের ইচ্ছা পোষণ না করে মারা যায় তার পরিণাম অশুভ, হাদিস # ১৫৮/১৯১০, আবু দাউদ, স্বহীহ্,অধ্যায়ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যুদ্ধ পরিহার করা অপছন্দনীয়, হাদিস # ২৫০২]
    এই হাদিসটি থেকে বুঝা গেল, যে ব্যক্তি জিহাদ না করে অথবা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা যায় সে মুনাফিক। তাই মুনাফিক হওয়া থেকে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য অবশ্যই ফারজ। অর্থাৎ বুঝা গেল জিহাদের নিয়ত করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফারজ।
    সংশয়মূলক প্রশ্নোত্তর
    প্রশ্ন (১)ঃ ইবনু মুবারক বলেন, যে ব্যক্তি জিহাদের আকাঙ্খা না রেখে মারা যাবে সে মুনাফিক অবস্থায় মারা যাবে। এই কথাটি রসূলুল্লাহ্ সা. এর যুগের জন্য খাস, আমাদের জন্য নয়।
    উত্তরঃ ইবনু মুবারকের একথার পক্ষে কোনো দালিল না থাকায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া হাদিসে ‘মান’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ‘যে কোনো ব্যক্তি’। অর্থাৎ বুঝা গেল, যে কোনো যুগেই হোকনা কেন তা সর্ব যুগের মানুষকেই বুঝাবে।
    যুদ্ধ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফারজ
    মহান আল্লাহ্ বলেন,
    “…তোমাদের জিহাদ ধার্য করা হলো…” -সূরাহ্ বাক্বরহ (২), ২১৬।
    এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, আবু হুরইরহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা যায় তাহলে সে মুনাফিক অবস্থায় মারা গেল।”
    [মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল ইমারহ, অনুচ্ছেদঃ ৪৭, আল্লাহ্’র পথে জিহাদ না করে এমন কি জিহাদের ইচ্ছা পোষণ না করে মারা যায় তার পরিণাম অশুভ, হাদিস # ১৫৮/১৯১০, আবু দাউদ, স্বহীহ্,অধ্যায়ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যুদ্ধ পরিহার করা অপছন্দনীয়, হাদিস # ২৫০২ (হাদিসটি মুসলিমের বর্ণনা)।
    খলীফাহ্ না থাকলেও কোনো
    আমীরের অধীনে যুদ্ধ করা
    মহান আল্লাহ্ বলেন,
    “তোমরা যুদ্ধ কর যতক্ষণ পর্যন্ত ফিৎনাহ্ দূর না হয় এবং আল্লাহ্’র জন্য সকল দিক থেকে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়…” -সূরাহ্ আনফাল (৮), ৩৯।
    এই আয়াতে ফিৎনাহ্ এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না থাকলে যুদ্ধ করতে হবে মর্মে আদেশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধের জন্য খলীফাহ্’র নেতৃত্বের শর্ত আরোপ করা হয়নি। বরং যুদ্ধের জন্য শর্ত আরোপ করা হয়েছে ফিৎনাহ নির্মূল এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর এই ফিৎনাহ্ খলীফাহ্ থাকলেও করতে হবে আর খলীফাহ্ না থাকলেও করতে হবে মর্মে বুঝানো হয়েছে।
    যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের জন্য সহযোগিতা করা
    প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফারজ
    আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত,
    “নাবী সা. বলেছেন, যে নিজে যুদ্ধ করেনি বা যুদ্ধের সরজ্ঞাম ব্যবস্থা করে দেয়নি বা যুদ্ধে যোগদানকারী পরিবারের উপকারও করেনি তাকে আল্লাহ্ ক্বিয়ামাতের পূর্বে কঠিন বিপদে ফেলবেন।”
    [আবু দাউদ, হাসান, অধ্যায়ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যুদ্ধ পরিহার করা অপছন্দনিয়, হাদিস # ২৫০৩, ইবনু মাজাহ্, হাসান, অধ্যায়ঃ ২৪, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৫, যুদ্ধ ত্যাগ করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক বাণী, হাদিস # ২৭৬২, দারিমি, হাসান, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ২৬, যে ব্যক্তি জিহাদ না করে মৃত্যুবরণ করল, হাদিস # ২৪১৮ (হাদিসটি আবু দাউদের বর্ণনা)।
    আবু হুরইরহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
    “রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের আকাঙ্খা পোষণ না করে মারা যায় তাহলে সে মুনাফিক অবস্থায় মারা গেল।”
    [মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৩৩, কিতাবুল ইমারহ, অনুচ্ছেদঃ ৪৭, আল্লাহ্’র পথে জিহাদ না করে এমন কি জিহাদের ইচ্ছা পোষণ না করে মারা যায় তার পরিণাম অশুভ, হাদিস # ১৫৮/১৯১০, আবু দাউদ, স্বহীহ্,অধ্যায়ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যুদ্ধ পরিহার করা অপছন্দনীয়, হাদিস # ২৫০২]
    যুদ্ধে মহিলাদের যোগদানের অনুমতি
    উম্মু আতিয়া আল-আনস্বরী রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
    “আমি রসূলুল্লাহ্ সা. এর সাথে ৭টি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছি। আমি তাঁদের সাওয়ারী মালপত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পেছনে থাকতাম, তাঁদের জন্য খাবার তৈরী করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং রোগীদের দেখাশুনা করতাম।”
    [ইবনু মাজাহ্, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ২৪, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৩৭, গোলাম ও মহিলারা, মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে যোগ দিলে, হাদিস # ২৮৫৬।
    মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ফারজ
    আনাস রা. হতে বর্ণিত,
    “নাবী সা. বলেছেন, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের কথা ও তোমাদের জীবন দ্বারা মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করো।”
    [নাসাঈ, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ২৫, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১, জিহাদ ওয়াজিব হওয়া, হাদিস # ৩০৯৬, আবু দাউদ, স্বহীহ, অধ্যায়ঃ ১০, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ১৮, যুদ্ধ ত্যাগ করা অপছন্দনীয়, হাদিস # ২৫০৪, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায়ঃ ১৬, কিতাবুল জিহাদ, অনুচ্ছেদঃ ৩৮, মুশরিকদের বিরুদ্ধে কথা এবং হাত দ্বারা জিহাদ করা, হাদিস # ২৪৩১ (হাদিসটি আবু দাউদের বর্ণনা)।
    মুসলিমদের পক্ষ থেকে কাফিরদের বিরুদ্ধে আগে
    যুদ্ধ শুরা করা (ইকদামী জিহাদের অনুমতি)
    মহান আল্লাহ্ বলেন,
    “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যারা আল্লাহ্ এবং আখিরতের প্রতি ঈমান আনে না এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম করে না এবং যে কিতাব দেয়া হয়েছে সে কিতাব ও সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না…”
    [সূরাহ্ তাওবাহ (৯), ২৯]
    এই আয়াতটি দ্বারা বুঝা যায় যে, মুসলিমরা আগে যুদ্ধ শুরু করতে পারবে।
    এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন,
    ইবনু ওমার রা. থেকে বর্ণিত,
    “নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ পেয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা “স্বাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যাতীত (প্রকৃত) কোনো ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্’র রসূল, আর স্বলাত প্রতিষ্ঠা করে এবং যাকাত আদায় করে…”
    [বুখারী, অধ্যায়ঃ ২, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ১৭]
    “অতঃপর যদি তারা তাওবাহ্ করে, স্বলাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও”
    [সূরাহ্ বাক্বরহ (৯), ৫, হাদিস # ২৫, মুসলিম, অধ্যায়ঃ ১, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদঃ ৮, হাদিস # ৩৬/২২।
    এই হাদিসটি দ্বারা বুঝা যায়, মুসলিমরা আগে যুদ্ধ শুরু করতে পারে।
    অর্থাৎ ইকদামি (আক্রমণাত্মক) জিহাদ ইসলামে বৈধ।
    প্রতিরক্ষামূলক জিহাদের অনুমতি
    মহান আল্লাহ্ বলেন,
    “তোমরা আল্লাহ্’র পথে সেই লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে ভালোবাসেন না।”
    [সূরাহ্ বাক্বরহ (২), ১৯০]
    এই আয়াতটি দ্বারা বুঝা যায়, কাফির শত্রুদের দ্বারা মুসলিমরা আক্রান্ত হলে প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ করতে হবে।
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    মাশাল্লাহ ।সুন্দর পোস্ট ।আরো বেশি করে লেখার যোগ্যতা আল্লাহর কাছে কামনা করি ।

    Comment

    Working...
    X