বিসমিল্লাহ - ওয়াস সালাতু আসসালাম আলা রাসুলাল্লাহ
আল্লাহ বলেছেন তিনি তার দ্বীন কে পরিপূর্ণ করেই ছাড়বেন এতে কাফির মুশরিক দের যতই গাত্রদাহ হোক না কেন।
বর্তমানে দুনিয়ায় সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে আল্লাহর ধর্ম দ্বীন আল ইসলাম। বর্তমানে দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার মধ্যে কিশোর থেকে যুবক এই শ্রেনীর জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইসলামের! পিউ রিসার্চ যাদের অন্যতম কাজ শুধু এইসব নিয়ে গবেষণা করা তাদের মতে মুসলিমদের এই ক্রমবর্ধনশীল হার কমানোর কোন উপায় আপাতত নাই। এবং আর অন্য আর কোন ধর্মের জনগোষ্ঠী এত বিপুল পরিমানে কিশোর থেকে যুবক এই শ্রেনীর জনসংখ্যা অর্জন করতে পারবেনা। কারন এটা আসলে ১-২-৫ বছরের ফল নয়, বরং এটা আসলে আল্লাহর ইচ্ছায় কয়েকটা জেনারেশনের ফসল। মজার কথা তো হচ্ছে এই যে, একসময় সেকুলার এবং ভোগবাদী দাবীকৃত! আধুনিক সমাজ মুসলিমদের একাধিক বিয়ে এবং অধিক সংখ্যক বাচ্চা নেয়ার জন্য হাসি ঠাট্টা করতো, সুবহানআল্লাহ আজ তারা বুঝতে পারছে এইটাই তাদের হাসি মুছে দেয়ার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে! কাছাকাছি বাস্তবতা যদি বলি, মুশরিক, ধিকৃত, লাঞ্চিত, নিকৃষ্ট, নাপাক মালাউনেরা এখন পাগল হয়ে গেছে - এখন তারা তাদের মহিলাদের আর পুরুষদের বলে ৫ টা ৬ টা ১০টা করে বাচ্চা নিতে। একাধিক বিয়ে করতে! কিন্তু পিউ রিসার্চ গবেষণা মতে এটা এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে! বাকি অন্য ধর্মের জনগোষ্ঠী হাল ছেড়ে দিয়েছে, কারন তাদের মধ্যে এমন অনেক আছে যারা প্ল্যান করেছিল আগামি ৫ বছর বাচ্চা নিবেনা - ব্যাস সেখানেই শেষ!
(আলোচনার বাইরে - আপনাদের জানিয়ে রাখি এদেশেও এমন হারামি কিছু এনজিও আছে যারা আমাদের মুসলিম মা বোনদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর নামে ৫ বছর বা তারো অধিক সময়ের জন্য বন্ধ্যা করে রেখে দিচ্ছে এবং এরপরে দেখা যায় আমাদের মা বোনেরা আসলেই বন্ধ্যা হয়ে যান - কিছুদিন আগেও এটা নিউজে ছিলো। আর একই সাথে আমি আমাদের মা বোনদের কে এবং যেসব পুরুষ সায় সাপেক্ষে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তাদের সচেতন হবার এবং দৃষ্টি খুলে দেখার জন্য অনুরোধ করব, সময় স্রোতের মত পার হচ্ছে ঘটনাবলী সুনামির মত ধেয়ে আসছে, এখন আসলে বিশদ আলোচনার সুযোগ কম, যাদের আগ্রহ আছে তাদের কে মাওলানা আসিম উমার হাফিঃ এর বিভিন্ন কিতাব গুলো দেখে নিতে বলবো)
মুল আলোচনায় ফিরে আসি -
তাহলে দেখেন, আল্লাহ আমাদের বলেছেন তারাও প্ল্যান করে আর আল্লাহও প্ল্যান করেন - আবার আল্লাহ এটাও বলেছেন আল্লাহ কাফিরদের সব দিক থেকে পরিবেষ্টন অরে রেখেছেন! পিউ রিসার্চ কিন্তু আল মালাহিম, ইমাম মাহাদী (আঃ), ঈসা (আঃ) এগুলো নিয়ে কথা বলেনা, এগুলো ছাড়াই শুধু মাত্র জনসংখ্যা দিয়েই পৃথিবিতে দাপিয়ে বেড়ানো ধর্ম হবে ইসলাম, আসলেই ইংরেজিতে শব্দ টা ছিলো DOMINATE, Islam will DOMINATE the world!
তাহলে এটা কি আমাদের জন্য কি খুশির খবর? হ্যা তা তো অবশ্যই, কিন্তু খুব বেশি না। কারন এমন মনে করার কন কারন নাই যে আমাদের দুশমনেরা বসে আছে। তারাও তাদের চাল চেলেছে! কি চাল! সন্তান হবে তোমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে আমাদের গর্ভের! কথাটা মেনে নিতে কস্ট হচ্ছে তাই না! আচ্ছা তাহলে আমি আবার বলি, কারন কখনো হক্ক কে হক্ক এর মত করেই বলতে হয়। আমাদের দুশমন রাও চাল চেলেছে আর তাদের চাল হচ্ছে, সন্তান হবে আমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে কাফেরদের গর্ভের!
কিভাবে?
আমাদের ছেলে কিংবা মেয়ে যাদের বয়স ৬-১২ বছর, এদের ১০০ জনের মধ্যে কয়জন ৫ জন সাহাবির নাম বলতে পারে আর কয়জন ৫ জন নায়ক নায়িকার (অধিকাংশই কাফের বলিউড, হলিউড) নাম বলতে পারে? কয়জন কয়টা আয়াত মুখস্ত বলতে পারে আর কয়জন হাম্পটি ডাম্পটি আর হিন্দি গানের কলি সুর করে গাইতে পারে? কয়জন জান্নাত জাহান্নাম এর নাম বলতে পারে আর কয়জন কয়টা শপিং মলের নাম বলতে পারে? কয়জন তাজউইদ সহ কুরআন পড়তে পারে আর কয়জন ক্যান্ডি ক্রাশ এ পয়েন্ট উঠাতে পারে??? বলে শেষ করা কস্টকর - -
এই হল শুরু টা এরপর যদি ধরা যায় যুবক শ্রেনী - ব্যাস তাহলে তো কথাই নাই, (আমি বলছিনা সবাই - কিন্তু অধিকাংশই) এই শ্রেনীর তো মাথা থাকে আসমানে আর পাও সম্ভবত ঐখানেই কোথাও থাকে - এই শ্রেনির ধ্যান ধারনা থাকে আকাশচুম্বী! দুনিয়ার বিখ্যাত বেশ্যারা এবং বেশ্যার দালাল, ভাই বেরাদার রা এদের রোল মডেল! এদের রোল মোডেল মুশরিক, নাপাক, ধিক্কৃত, লাঞ্চিত মালাউন সুন্দর পিচাই কিংবা মার্ক জাকার বার্গ, কিংবা গাঁজা খাওয়া লালন কিংবা উমুক কিংবা তুমুক একটার পর একটা যেই হোকনা কেন ইসলাম এবং দ্বীনের মধ্য থেকে কেউ না!
জীবনের লক্ষ্য টাকা, ক্যারিয়ার, সুন্দর বউ,বাড়ি পার্টি মাস্তি ব্যাস! - আর মাঝ বয়সে এসে এরা বুঝেনা আসলে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল! সন্দেহ আর দ্বিধাদন্দের বেড়াজালে ঘুরতে থাকে!
এগুলো কি একদিনের ফসল? অবশ্যই না -
এদেশের যুবকরা ভারত থেকে নর্তকী গায়কী আসলে খুশিতে পাগল হয়ে যায়, জুমাবারে কনসার্ট হয়, বড় অদ্ভুত - কেন জানি জুমা বারেই হতে হয়! নর্তকী দেখে নিজের স্বপ্ন রাজ্যে অই নর্তকী নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকে, আর বাকি কালো জগতের কথা কারো অজানা না! এরপর বুদ্ধিজীবীরা জীবনের সুফলতা ব্যাখা করে, বেতন কে তারা টাকা নয় বরং ডলারে কনভার্ট করে, স্টিভ জবস হয়ে যায় তাদের স্বপ্নপুরুষ! আদর্শ মানুষ - পারফেক্ট ম্যান টু ফলো!
(যে কিনা মৃত্যুর সময় বলেছিল এই মৃত্যু জিনিষ টা আমার সমস্ত ধারনা পাল্টিয়ে দিয়েছে, আমার অর্থ সম্পদ আমার কোন কাজেই এখন আসবেনা - মুলত আপনারা তার মৃত্যুর আগের কথা গুলো যদি পড়ে নেন তাহলে বুঝতে পারবেন একজন পরাজিত হোপলেস মানুষের কথা ছাড়া কিছুই না- আর নিশ্চয়ই সে পরাজিত এবং হোপলেস, আল্লাহ বলেছেন কাফেরদের ব্যাপারে কোন আশা নাই)
তাহলে এটা কি সত্য নয় যে - আমাদের দুশমন রাও চাল চেলেছে আর তাদের চাল হচ্ছে, সন্তান হবে আমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে কাফেরদের গর্ভের! এমন কি এটাতো এই পরিমান সত্য যে আজ মুসলিম গর্ভের সন্তান, কাফেরের গর্ভের সন্তান কিংবা কাফেরদের গর্ভের আদর্শেরর জন্য জীবন দেয়। হলি আর্টিজানের সেই বিত্তশালীর নাতি ফারাজ, যে তার মালাউন বান্ধবীর জন্য জান দিয়ে দিয়েছে! মালাউন বান্ধবীর জন্য জান দিয়ে দিয়েছে! জন্মতো হয়েছিলো মুসলিম গর্ভেই কিন্তু জান দিলো মুশরিকার জন্য!! কিন্তু ইসলামের জন্য জান দেয়া তো অনেক দুরের কথা - এ ধরনের আলোচনার ধারে পাশে থাকতেও ভয় পায়! (আমি বলছিনা সবাই - কিন্তু অধিকাংশই)
স্পেনে যখন মুসলিমদের জয়জয়কার চলছে সেই সময়ে মুসলিমদের দখল করার জন্য কাফিররা গোয়েন্দা পাঠালো কি অবস্থা তা দেখার জন্য। গোয়েন্দা এসে দেখলো মুসলিমদের যুবক রা একে অন্যের সাথে তর্ক করছে, একজন বলছে এটা বুখারীর হাদিস, অন্য জন বলছে না এটা মুসলিম এর হাদিস, তৃতীয় আরেকজন এসে তাদের মিমাংসা করে দিচ্ছে এটা আসলে কোন কিতাবের হাদিস! গোয়েন্দা ভাবলো এই জাতি এখনও ইসলাম নিয়ে আছে ইসলামের মধ্যে আছে, এখনো এরা ইসলাম কে পরিত্যাগ করেনি ফেলে দেয়নি, সুতরাং এখন কিছুই করা যাবেনা! সে ফিরে গেল, এবং তার নেতাদের জানালো এখন সময় না! এরও বহু পরে আবার কাফির রা গোয়েন্দা পাঠালো - এবার গোয়েন্দা এসে এখলো এবারও যুবকরা তর্ক করছে তবে এবার তাদের তর্কের বিষয় হচ্ছে "নারী" সে আরো দেখলো মুসলিম রা ইসলাম পরিত্যাগ করেছে, শরাব খানা চালু হয়েছে! এবার সে রিপোর্ট দিলো হ্যা এখন হচ্ছে সময় কারন এখন তারা ইসলাম পরিত্যাগ করেছে!
উমর (রাঃ) এর সেই বিখ্যাত উক্তি আমাদের সবার জানা আছে - "আমরা ছিলাম দুর্দশাগ্রস্ত এক জাতি আল্লাহ সেখান থেকে ইসলামের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত করেছেন, আর আজ আমরা যদি ইসলাম ব্যাতিরেকে অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুজতে যাই তাহলে আল্লাহ আমাদের আবার লাঞ্চিত করবেন" এই উক্তি বা এই ঘটনা টি জানেন না এমন মুসলিম (অন্তত বাবা মা দের মধ্য থেকে খুব কম ই আছেন)
স্পস্ট ভাষায় মুল কথা হচ্ছে ইসলাম হচ্ছে আমাদের রক্ষা কবচ, ইসলাম হচ্ছে আমাদের আদর্শ, ইসলাম হচ্ছে আমাদের সম্মান, ইসলাম হচ্ছে আমাদের নিয়ামত, ইসলাম হচ্ছে আমাদের জীবন ব্যাবস্থা! ইসলাম যদি আমাদের জীবনে না থাকে তাহলে কি হতে পারে তার একটি জলন্ত উদাহরন হচ্ছে মাত্র ৮ মিলিওন লোকের কাছে পদানত হয়ে, হীন অপদস্থ হয়ে পড়ে আছে ১.৮বিলিওন লোকের এক বিশাল জনগোষ্ঠী! কখনো ভেবে দেখেছেন কেন? সম্ভবত না!
(পরজীবী ইজরায়েলের মাত্র ৮ মিলিওন ইহুদির কাছ থেকে সারা দুনিয়ার ১.৮ বিলিওন মুসলিম বাইতুল আকসা কে আজ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি, শুধু তাই নয় এই ১.৮ বিলিওন মুসলিম জাতি কে আজ কিভাবে দেখা হয় বলে বুঝানোর মত নয়)
তাই আমাদের সন্তানদের ইসলামের আদর্শে বড় করেন, তাকে ইসলামের রঙ্গে রঙ্গিন করেন, তাকে ইসলামের সম্মানে সম্মানিত করেন, তাকে ইসলামের সম্মানে সম্মানিত করেন। আর তা করতে ব্যার্থ হলে আর তা দায় আপনাকেই নিতে হবে - আল্লাহর সামনে আপনার সন্তান আপনাকে ছাড়বেনা এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন!
এখনো ভেবে দেখবেন কি!
হে আল্লাহ আপনি আমাদের কে আমাদের সন্তানদের কে ইসলামের ভিতরে দাখিল করুন - আমিন
আল্লাহ বলেছেন তিনি তার দ্বীন কে পরিপূর্ণ করেই ছাড়বেন এতে কাফির মুশরিক দের যতই গাত্রদাহ হোক না কেন।
বর্তমানে দুনিয়ায় সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে আল্লাহর ধর্ম দ্বীন আল ইসলাম। বর্তমানে দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার মধ্যে কিশোর থেকে যুবক এই শ্রেনীর জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইসলামের! পিউ রিসার্চ যাদের অন্যতম কাজ শুধু এইসব নিয়ে গবেষণা করা তাদের মতে মুসলিমদের এই ক্রমবর্ধনশীল হার কমানোর কোন উপায় আপাতত নাই। এবং আর অন্য আর কোন ধর্মের জনগোষ্ঠী এত বিপুল পরিমানে কিশোর থেকে যুবক এই শ্রেনীর জনসংখ্যা অর্জন করতে পারবেনা। কারন এটা আসলে ১-২-৫ বছরের ফল নয়, বরং এটা আসলে আল্লাহর ইচ্ছায় কয়েকটা জেনারেশনের ফসল। মজার কথা তো হচ্ছে এই যে, একসময় সেকুলার এবং ভোগবাদী দাবীকৃত! আধুনিক সমাজ মুসলিমদের একাধিক বিয়ে এবং অধিক সংখ্যক বাচ্চা নেয়ার জন্য হাসি ঠাট্টা করতো, সুবহানআল্লাহ আজ তারা বুঝতে পারছে এইটাই তাদের হাসি মুছে দেয়ার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে! কাছাকাছি বাস্তবতা যদি বলি, মুশরিক, ধিকৃত, লাঞ্চিত, নিকৃষ্ট, নাপাক মালাউনেরা এখন পাগল হয়ে গেছে - এখন তারা তাদের মহিলাদের আর পুরুষদের বলে ৫ টা ৬ টা ১০টা করে বাচ্চা নিতে। একাধিক বিয়ে করতে! কিন্তু পিউ রিসার্চ গবেষণা মতে এটা এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে! বাকি অন্য ধর্মের জনগোষ্ঠী হাল ছেড়ে দিয়েছে, কারন তাদের মধ্যে এমন অনেক আছে যারা প্ল্যান করেছিল আগামি ৫ বছর বাচ্চা নিবেনা - ব্যাস সেখানেই শেষ!
(আলোচনার বাইরে - আপনাদের জানিয়ে রাখি এদেশেও এমন হারামি কিছু এনজিও আছে যারা আমাদের মুসলিম মা বোনদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর নামে ৫ বছর বা তারো অধিক সময়ের জন্য বন্ধ্যা করে রেখে দিচ্ছে এবং এরপরে দেখা যায় আমাদের মা বোনেরা আসলেই বন্ধ্যা হয়ে যান - কিছুদিন আগেও এটা নিউজে ছিলো। আর একই সাথে আমি আমাদের মা বোনদের কে এবং যেসব পুরুষ সায় সাপেক্ষে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তাদের সচেতন হবার এবং দৃষ্টি খুলে দেখার জন্য অনুরোধ করব, সময় স্রোতের মত পার হচ্ছে ঘটনাবলী সুনামির মত ধেয়ে আসছে, এখন আসলে বিশদ আলোচনার সুযোগ কম, যাদের আগ্রহ আছে তাদের কে মাওলানা আসিম উমার হাফিঃ এর বিভিন্ন কিতাব গুলো দেখে নিতে বলবো)
মুল আলোচনায় ফিরে আসি -
তাহলে দেখেন, আল্লাহ আমাদের বলেছেন তারাও প্ল্যান করে আর আল্লাহও প্ল্যান করেন - আবার আল্লাহ এটাও বলেছেন আল্লাহ কাফিরদের সব দিক থেকে পরিবেষ্টন অরে রেখেছেন! পিউ রিসার্চ কিন্তু আল মালাহিম, ইমাম মাহাদী (আঃ), ঈসা (আঃ) এগুলো নিয়ে কথা বলেনা, এগুলো ছাড়াই শুধু মাত্র জনসংখ্যা দিয়েই পৃথিবিতে দাপিয়ে বেড়ানো ধর্ম হবে ইসলাম, আসলেই ইংরেজিতে শব্দ টা ছিলো DOMINATE, Islam will DOMINATE the world!
তাহলে এটা কি আমাদের জন্য কি খুশির খবর? হ্যা তা তো অবশ্যই, কিন্তু খুব বেশি না। কারন এমন মনে করার কন কারন নাই যে আমাদের দুশমনেরা বসে আছে। তারাও তাদের চাল চেলেছে! কি চাল! সন্তান হবে তোমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে আমাদের গর্ভের! কথাটা মেনে নিতে কস্ট হচ্ছে তাই না! আচ্ছা তাহলে আমি আবার বলি, কারন কখনো হক্ক কে হক্ক এর মত করেই বলতে হয়। আমাদের দুশমন রাও চাল চেলেছে আর তাদের চাল হচ্ছে, সন্তান হবে আমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে কাফেরদের গর্ভের!
কিভাবে?
আমাদের ছেলে কিংবা মেয়ে যাদের বয়স ৬-১২ বছর, এদের ১০০ জনের মধ্যে কয়জন ৫ জন সাহাবির নাম বলতে পারে আর কয়জন ৫ জন নায়ক নায়িকার (অধিকাংশই কাফের বলিউড, হলিউড) নাম বলতে পারে? কয়জন কয়টা আয়াত মুখস্ত বলতে পারে আর কয়জন হাম্পটি ডাম্পটি আর হিন্দি গানের কলি সুর করে গাইতে পারে? কয়জন জান্নাত জাহান্নাম এর নাম বলতে পারে আর কয়জন কয়টা শপিং মলের নাম বলতে পারে? কয়জন তাজউইদ সহ কুরআন পড়তে পারে আর কয়জন ক্যান্ডি ক্রাশ এ পয়েন্ট উঠাতে পারে??? বলে শেষ করা কস্টকর - -
এই হল শুরু টা এরপর যদি ধরা যায় যুবক শ্রেনী - ব্যাস তাহলে তো কথাই নাই, (আমি বলছিনা সবাই - কিন্তু অধিকাংশই) এই শ্রেনীর তো মাথা থাকে আসমানে আর পাও সম্ভবত ঐখানেই কোথাও থাকে - এই শ্রেনির ধ্যান ধারনা থাকে আকাশচুম্বী! দুনিয়ার বিখ্যাত বেশ্যারা এবং বেশ্যার দালাল, ভাই বেরাদার রা এদের রোল মডেল! এদের রোল মোডেল মুশরিক, নাপাক, ধিক্কৃত, লাঞ্চিত মালাউন সুন্দর পিচাই কিংবা মার্ক জাকার বার্গ, কিংবা গাঁজা খাওয়া লালন কিংবা উমুক কিংবা তুমুক একটার পর একটা যেই হোকনা কেন ইসলাম এবং দ্বীনের মধ্য থেকে কেউ না!
জীবনের লক্ষ্য টাকা, ক্যারিয়ার, সুন্দর বউ,বাড়ি পার্টি মাস্তি ব্যাস! - আর মাঝ বয়সে এসে এরা বুঝেনা আসলে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল! সন্দেহ আর দ্বিধাদন্দের বেড়াজালে ঘুরতে থাকে!
এগুলো কি একদিনের ফসল? অবশ্যই না -
এদেশের যুবকরা ভারত থেকে নর্তকী গায়কী আসলে খুশিতে পাগল হয়ে যায়, জুমাবারে কনসার্ট হয়, বড় অদ্ভুত - কেন জানি জুমা বারেই হতে হয়! নর্তকী দেখে নিজের স্বপ্ন রাজ্যে অই নর্তকী নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকে, আর বাকি কালো জগতের কথা কারো অজানা না! এরপর বুদ্ধিজীবীরা জীবনের সুফলতা ব্যাখা করে, বেতন কে তারা টাকা নয় বরং ডলারে কনভার্ট করে, স্টিভ জবস হয়ে যায় তাদের স্বপ্নপুরুষ! আদর্শ মানুষ - পারফেক্ট ম্যান টু ফলো!
(যে কিনা মৃত্যুর সময় বলেছিল এই মৃত্যু জিনিষ টা আমার সমস্ত ধারনা পাল্টিয়ে দিয়েছে, আমার অর্থ সম্পদ আমার কোন কাজেই এখন আসবেনা - মুলত আপনারা তার মৃত্যুর আগের কথা গুলো যদি পড়ে নেন তাহলে বুঝতে পারবেন একজন পরাজিত হোপলেস মানুষের কথা ছাড়া কিছুই না- আর নিশ্চয়ই সে পরাজিত এবং হোপলেস, আল্লাহ বলেছেন কাফেরদের ব্যাপারে কোন আশা নাই)
তাহলে এটা কি সত্য নয় যে - আমাদের দুশমন রাও চাল চেলেছে আর তাদের চাল হচ্ছে, সন্তান হবে আমাদের গর্ভের! কিন্তু আদর্শ হবে কাফেরদের গর্ভের! এমন কি এটাতো এই পরিমান সত্য যে আজ মুসলিম গর্ভের সন্তান, কাফেরের গর্ভের সন্তান কিংবা কাফেরদের গর্ভের আদর্শেরর জন্য জীবন দেয়। হলি আর্টিজানের সেই বিত্তশালীর নাতি ফারাজ, যে তার মালাউন বান্ধবীর জন্য জান দিয়ে দিয়েছে! মালাউন বান্ধবীর জন্য জান দিয়ে দিয়েছে! জন্মতো হয়েছিলো মুসলিম গর্ভেই কিন্তু জান দিলো মুশরিকার জন্য!! কিন্তু ইসলামের জন্য জান দেয়া তো অনেক দুরের কথা - এ ধরনের আলোচনার ধারে পাশে থাকতেও ভয় পায়! (আমি বলছিনা সবাই - কিন্তু অধিকাংশই)
স্পেনে যখন মুসলিমদের জয়জয়কার চলছে সেই সময়ে মুসলিমদের দখল করার জন্য কাফিররা গোয়েন্দা পাঠালো কি অবস্থা তা দেখার জন্য। গোয়েন্দা এসে দেখলো মুসলিমদের যুবক রা একে অন্যের সাথে তর্ক করছে, একজন বলছে এটা বুখারীর হাদিস, অন্য জন বলছে না এটা মুসলিম এর হাদিস, তৃতীয় আরেকজন এসে তাদের মিমাংসা করে দিচ্ছে এটা আসলে কোন কিতাবের হাদিস! গোয়েন্দা ভাবলো এই জাতি এখনও ইসলাম নিয়ে আছে ইসলামের মধ্যে আছে, এখনো এরা ইসলাম কে পরিত্যাগ করেনি ফেলে দেয়নি, সুতরাং এখন কিছুই করা যাবেনা! সে ফিরে গেল, এবং তার নেতাদের জানালো এখন সময় না! এরও বহু পরে আবার কাফির রা গোয়েন্দা পাঠালো - এবার গোয়েন্দা এসে এখলো এবারও যুবকরা তর্ক করছে তবে এবার তাদের তর্কের বিষয় হচ্ছে "নারী" সে আরো দেখলো মুসলিম রা ইসলাম পরিত্যাগ করেছে, শরাব খানা চালু হয়েছে! এবার সে রিপোর্ট দিলো হ্যা এখন হচ্ছে সময় কারন এখন তারা ইসলাম পরিত্যাগ করেছে!
উমর (রাঃ) এর সেই বিখ্যাত উক্তি আমাদের সবার জানা আছে - "আমরা ছিলাম দুর্দশাগ্রস্ত এক জাতি আল্লাহ সেখান থেকে ইসলামের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত করেছেন, আর আজ আমরা যদি ইসলাম ব্যাতিরেকে অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুজতে যাই তাহলে আল্লাহ আমাদের আবার লাঞ্চিত করবেন" এই উক্তি বা এই ঘটনা টি জানেন না এমন মুসলিম (অন্তত বাবা মা দের মধ্য থেকে খুব কম ই আছেন)
স্পস্ট ভাষায় মুল কথা হচ্ছে ইসলাম হচ্ছে আমাদের রক্ষা কবচ, ইসলাম হচ্ছে আমাদের আদর্শ, ইসলাম হচ্ছে আমাদের সম্মান, ইসলাম হচ্ছে আমাদের নিয়ামত, ইসলাম হচ্ছে আমাদের জীবন ব্যাবস্থা! ইসলাম যদি আমাদের জীবনে না থাকে তাহলে কি হতে পারে তার একটি জলন্ত উদাহরন হচ্ছে মাত্র ৮ মিলিওন লোকের কাছে পদানত হয়ে, হীন অপদস্থ হয়ে পড়ে আছে ১.৮বিলিওন লোকের এক বিশাল জনগোষ্ঠী! কখনো ভেবে দেখেছেন কেন? সম্ভবত না!
(পরজীবী ইজরায়েলের মাত্র ৮ মিলিওন ইহুদির কাছ থেকে সারা দুনিয়ার ১.৮ বিলিওন মুসলিম বাইতুল আকসা কে আজ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি, শুধু তাই নয় এই ১.৮ বিলিওন মুসলিম জাতি কে আজ কিভাবে দেখা হয় বলে বুঝানোর মত নয়)
তাই আমাদের সন্তানদের ইসলামের আদর্শে বড় করেন, তাকে ইসলামের রঙ্গে রঙ্গিন করেন, তাকে ইসলামের সম্মানে সম্মানিত করেন, তাকে ইসলামের সম্মানে সম্মানিত করেন। আর তা করতে ব্যার্থ হলে আর তা দায় আপনাকেই নিতে হবে - আল্লাহর সামনে আপনার সন্তান আপনাকে ছাড়বেনা এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন!
এখনো ভেবে দেখবেন কি!
হে আল্লাহ আপনি আমাদের কে আমাদের সন্তানদের কে ইসলামের ভিতরে দাখিল করুন - আমিন
Comment