বিসমিল্লাহ - ওয়াসসালাতু আসসালাম আলা রাসুলাল্লাহ -
বানী ইসরাইলের যুগে এক ব্যাক্তি ছিল এমন যে মারাত্মক রকম পাপী ব্যাক্তি ছিলো। তার পাপ এবং তার খারাপ কাজে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দেয় এবং তাকে সবাই পরিত্যাগ করে। বাধ্য হয়ে এই পাপী ব্যাক্তি শহরের বাইরে চলে যায় -
কিছু দিন পরে সে একাকী থাকতে থাকতে, না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তার পাশে কেউ নেই, একাকী কস্টে কাতরাতে কাতরাতে সে মারা যায়। আল্লাহ সেই কওমের নবীর কাছে ওহি করেন, যে উমুক জায়গায় আমার এক বান্দা মারা গেছে তুমি তার জানাজার ব্যাবস্থা কর এবং সবাই কে জানিয়ে দাও যে ব্যাক্তি এই জানাজায় অংশ গ্রহন করবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। আল্লাহর নবী সেই ব্যাক্তিকে নিয়ে আসলেন, গোসল দিলেন এবং যখন জানাজার জন্য প্রস্তুত করছিলেন তখন মানুষ দেখলো যে এ সেই ব্যাক্তি যাকে তারা তার পাপ কাজের জন্য পরিত্যাগ করেছিলো। তারা যখন নবী কে এই বিষয় জানালো আল্লাহর নবী তখন বিস্মিত হয়ে আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করলেন - ইয়া আল্লাহ এর মানে কি!
আল্লাহ উত্তর দিলেন, সে ছিলো একা, নিগৃহীত, অবহেলিত - তার কোন বন্ধু ছিলোনা, তার পাশে তার সেবা করার মত কোন আত্মীয় ছিলনা, সে যখন ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে লাগলো সে তার পাশে কাউকে পায়নি, আর এমন দুর্বল সময়ে সে যখন কাউকে পায়নি সে আল্লাহর দিকে ফিরেছে আর আল্লাহকে ডেকে বলেছিলো -
ও আল্লাহ আমি যদি জানতাম আমাকে শাস্তি দিলে আপনার রাজত্বের, আপনার সম্মানের, আপনার বড়ত্বের কোন বৃদ্ধি হবে বা আমাকে ক্ষমা করে দিলে আপনার রাজত্বের, আপনার সম্মানের, আপনার বড়ত্বের কোন কমতি হবে তাহলে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইতাম না। কিন্তু ও আল্লাহ আমি জানি আমাকে শাস্তি দিলে আপনার কিছুই বৃদ্ধি পাবেনা আর আমাকে ক্ষমা করে দিলেও আপনার রাজত্বের কিছুই কমে যাবেনা, তাই ও আল্লাহ আপনি ছাড়া আমার আর কেউ নাই, আপনি ছাড়া আমার আর কোন গন্তব্য নাই, আপনি ছাড়া আমার আর কোন আশ্রয় নাই, ও আল্লাহ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন আর এই হালতে সে মৃত্যু বরন করে।
আল্লাহ বলছেন, তার তাওবা এত সুন্দর ছিলো, আল্লাহর সাথে তার কথোপকথন এত আন্তরিক ছিলো আর আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য তার দেহ মন এত উদগ্রীব হয়েছিলো আর তার তাওবা আল্লাহ এত পছন্দ করেছেন যে, আল্লাহ বলছেন সে তাওবার ব্যাপারে আর ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে খুবই সংকীর্ণমনার পরিচয় দিয়েছে, সে শুধু নিজের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। সে যদি পুরা মানবজাতির জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাইতো, আমার ইজ্জতের কসম আমি পুরা মানব জাতিকে মাফ করে দিতাম!
হে আমার ভাইয়েরা, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ - চলেন আল্লাহর দিকে ফিরে যাই, আল্লাহর কাছে মাফ চাই! আর আমার জন্যও আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন এমন আশা রাখি - আমি জানিনা আল্লাহর কোন বান্দা আল্লাহর কাছে এমন ভাবে মাফ চাইবেন আর যা আল্লাহর পছন্দ হয়ে যাবে আর যদি সেই সময়ে আমার জন্য মাফ চাওয়া হয় আল্লাহ আমাকেও মাফ করে দিবেন -
বানী ইসরাইলের যুগে এক ব্যাক্তি ছিল এমন যে মারাত্মক রকম পাপী ব্যাক্তি ছিলো। তার পাপ এবং তার খারাপ কাজে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে শহর থেকে বের করে দেয় এবং তাকে সবাই পরিত্যাগ করে। বাধ্য হয়ে এই পাপী ব্যাক্তি শহরের বাইরে চলে যায় -
কিছু দিন পরে সে একাকী থাকতে থাকতে, না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তার পাশে কেউ নেই, একাকী কস্টে কাতরাতে কাতরাতে সে মারা যায়। আল্লাহ সেই কওমের নবীর কাছে ওহি করেন, যে উমুক জায়গায় আমার এক বান্দা মারা গেছে তুমি তার জানাজার ব্যাবস্থা কর এবং সবাই কে জানিয়ে দাও যে ব্যাক্তি এই জানাজায় অংশ গ্রহন করবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। আল্লাহর নবী সেই ব্যাক্তিকে নিয়ে আসলেন, গোসল দিলেন এবং যখন জানাজার জন্য প্রস্তুত করছিলেন তখন মানুষ দেখলো যে এ সেই ব্যাক্তি যাকে তারা তার পাপ কাজের জন্য পরিত্যাগ করেছিলো। তারা যখন নবী কে এই বিষয় জানালো আল্লাহর নবী তখন বিস্মিত হয়ে আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করলেন - ইয়া আল্লাহ এর মানে কি!
আল্লাহ উত্তর দিলেন, সে ছিলো একা, নিগৃহীত, অবহেলিত - তার কোন বন্ধু ছিলোনা, তার পাশে তার সেবা করার মত কোন আত্মীয় ছিলনা, সে যখন ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে লাগলো সে তার পাশে কাউকে পায়নি, আর এমন দুর্বল সময়ে সে যখন কাউকে পায়নি সে আল্লাহর দিকে ফিরেছে আর আল্লাহকে ডেকে বলেছিলো -
ও আল্লাহ আমি যদি জানতাম আমাকে শাস্তি দিলে আপনার রাজত্বের, আপনার সম্মানের, আপনার বড়ত্বের কোন বৃদ্ধি হবে বা আমাকে ক্ষমা করে দিলে আপনার রাজত্বের, আপনার সম্মানের, আপনার বড়ত্বের কোন কমতি হবে তাহলে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইতাম না। কিন্তু ও আল্লাহ আমি জানি আমাকে শাস্তি দিলে আপনার কিছুই বৃদ্ধি পাবেনা আর আমাকে ক্ষমা করে দিলেও আপনার রাজত্বের কিছুই কমে যাবেনা, তাই ও আল্লাহ আপনি ছাড়া আমার আর কেউ নাই, আপনি ছাড়া আমার আর কোন গন্তব্য নাই, আপনি ছাড়া আমার আর কোন আশ্রয় নাই, ও আল্লাহ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন আর এই হালতে সে মৃত্যু বরন করে।
আল্লাহ বলছেন, তার তাওবা এত সুন্দর ছিলো, আল্লাহর সাথে তার কথোপকথন এত আন্তরিক ছিলো আর আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য তার দেহ মন এত উদগ্রীব হয়েছিলো আর তার তাওবা আল্লাহ এত পছন্দ করেছেন যে, আল্লাহ বলছেন সে তাওবার ব্যাপারে আর ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে খুবই সংকীর্ণমনার পরিচয় দিয়েছে, সে শুধু নিজের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। সে যদি পুরা মানবজাতির জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাইতো, আমার ইজ্জতের কসম আমি পুরা মানব জাতিকে মাফ করে দিতাম!
হে আমার ভাইয়েরা, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ, ফাফিররু ইলাল্লাহ - চলেন আল্লাহর দিকে ফিরে যাই, আল্লাহর কাছে মাফ চাই! আর আমার জন্যও আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন এমন আশা রাখি - আমি জানিনা আল্লাহর কোন বান্দা আল্লাহর কাছে এমন ভাবে মাফ চাইবেন আর যা আল্লাহর পছন্দ হয়ে যাবে আর যদি সেই সময়ে আমার জন্য মাফ চাওয়া হয় আল্লাহ আমাকেও মাফ করে দিবেন -
Comment