একবার এক লোক শায়খ কা'কী আল জাযায়েরি (রা) এর কাছে এসে বলল হে শাইখ আমাকে জান্নাতের ব্যাপারে এমন কিছু বলুন যাতে আমার জান্নাতের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় ।
শাইখ উত্তর দিলেনঃ সেথায় আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আছে ।
প্রায় হাদিসের কিতাবে “হানীনুল জিযয়ী” বা স্নেহময়ী খেজুর গাছ নামে একটা গাছের কথা উল্লেখ আছে । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) একটা মরা খেজুর গাছে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন । যার ফলে তার পিঠে দাগ হয়ে যেত । এটা দেখে একজন সাহাবি তাকে নতুন মিম্বর তৈরি করে দিলেন । তারপর থেকে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নতুন মিম্বরে খুতবা দেয়া আরম্ভ করলেন । কিন্তু হঠাৎ করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ আসতে লাগত । কে কাদছে ? কান্নার শব্দ ভেসে আসছে সেই মরা খেজুর গাছের থেকে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কাছে গেলেন ।তাকে জরিয়ে ধরলেন ।কোন কোন বর্ননার এসেছে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তার উপর এমন ভাবে হাত বোলাতে লাগলেন যেমন করে ছোট বাচ্চাকে আদর করা হয়। হাদিসের রাবি বলেন , আল্লাহ্*র রাসুল(স) তার উপর হেলান দিয়ে এত দিন খুতবা দিতেন ।এখন আর দিবেন না এই দুঃখে খেজুর গাছ কান্না করছিল । কোন কোন বর্ননায় অতিরিক্ত এসেছে সেই খেজুর গাছকে আল্লাহ্*র রাসুল (স) বলেন তুমি কি চাও? তুমি চাও আল্লাহ্*র তোমাকে জিবিত করে দিক? তুমি আবার পত্র পল্লবে ফলে ভরে উঠ? তখন আল্লাহ সুবহানু তায়ালা খেজুর গাছের জবান খুলে দিলেন ,খেজুর গাছ বলল হে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমাকে জান্নাতে রোপন করে দিতে বলুন । কিছুদিন পর তো আপনি সেখানে আসবেন। সেখানে আপনাকে চিরোদিনের জন্য পাবো ।
সুবাহান’আল্লাহ আল্লাহ্*র রাসুলের প্রতি ভালোবাসা এমন গভির ছিল যার ফলে মররা গাছও কাদতে শুরু করে।
একবার আল্লাহ্*র রাসুলের এক সাহাবা আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এসে বললে , হে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমি যতক্ষন আপনার সাথে থাকি আমার মনেহয় আমি পৃথীবির সব থেকে সুখিলোক কিন্তু যখন আমি আপনার থেকে দূরে যায় আমার অন্তর বিরহে ভরে উঠে ।আপনার সাক্ষাতের জন্য আমি পাগল হয়ে যাই । কিন্তু আমার মাথায় এই চিন্তা আসে ,জান্নাতে তো আপনি অনেক উচু অবস্থানে থাকবেন। আর আমরা থাকব অনেক নিচু অবস্থানে । আপনাকে ছাড়া জান্নাত কি করে জান্নাত হতে পারে?
আল্লাহ হু আকবর সাহাবারা আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কতটা ভালোবাসতেন!
এক সাহাবি ছিলেন ,যিনি মাঝে মাঝেই ভুল করে ফেলতেন মদ্যপান করে ফেলতেন । মদ্যপান করে এসে আল্লাহ্*র রাসুল(স) এর কাছে এসে বলতেন হে আল্লাহর রাসুল (স) আমাকে শাস্তি দিন । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তার উপর শরিয়ার বিধান প্রয়োগ করতেন । একবার এক সাহাবি “ঐ মদ্যপ সাহাবিকে” শাস্তি দেবার সময় তাকে লানত করে উঠলেন । আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন তাকে গালি দিও না ,কারন সে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসে।
সুবাহান’আল্লাহ এক জন সাহাবি যিনি কিনা মদ পান করতেন ,তার ব্যাপারে আস সাদিকুন মাসলুন(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালবাসে। ঘটনা হচ্ছে সেই সাহাবি সেই সাহাবি মাঝে মাঝেই ব্যানিজ্যে যেতেন আর আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্য মধু নিয়ে আসতেন । মধুটা আনার সময় আবার বাকি আনতেন বলতেন এটা আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্য নিচ্ছি। কিছু দিন যাবার পর সেই সাহাবি পাওনাদার কে নিয়ে আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) দরবারে হাজির হতেন । আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে বলতেন হে আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমি এর কাছ থেকে মধু এনে আপনাকে দিয়েছিলাম । তো আমি তো গবির মানুষ ,তাছাড়া মধু তো আপনি খেয়েছেন আপনি পরিশোধ করুন। তার এই কাহিনি দেখে আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) হাসতেন । সুবাহান’আল্লাহ তিনি আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে হাসাতেন আর তার কারনেই আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলতেন তিনি আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসেন ।
আরেকটা ঘটনা সামনে আনা যাক , ছোট্ট দুই সাহাবি ,মাজ ও মুওয়াজ । বড়দের কাছে শুনেছে আবু জাহাল আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কস্ট দিত । আর তাতেই তাদের অন্তরে প্রতিশোধের আগুন দাও দাও করে জ্বলে উঠছে । হাজির হয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে আবু লাহাব কে কতল করতে । কিন্তু মজার ব্যাপার তারা আবু-জাহাল কে চিনেও না। এক সাহাবিকে জিজ্ঞেস করে চিনে নিলেন আবু জাহাল কে তির বেগে ছুটে গেলেন আবু জাহালের কাছে ।তারপরের ঘটনা আপনাদের অজানা নয়।
এই ঘটনাগুলা আপনাদের সবারি জানা । নতুন করে বলার উদ্দেশ্য হলো , একটু ফিকির করা। আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসার ব্যাপারে আমাদের কেমন হওয়া উচিত । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তো আমাদের এমন ভাবে ভালোবাসা উচিত যতটা আমরা আমাদের জীবকেও ভালোবাসি না । একটু চিন্তা করুন সেই যুদ্ধের ঘটনাগুলোর কথা যেখানে সাহাবায় (রাদি) নিজেদেরকে ঢাল হিসেবে পেতে দিচ্ছেন আল্লাহ্*র রাসুলের সামনে । জীবনের ঝুকি নিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন শত্রুর দুর্গে শাতিমদের কতল করতে। কখনোবা অন্ধ সাহাবা তার প্রিয় দাসিকে হত্যা করছেন আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে গালি দেবার কারনে। হ্যা এটাই ভালবাসা আল্লাহ্*র জন্য ভালোবাসা। যে ভালোবাসার নির্দশন আমরা এই যুগেও দেখতে পাই । যে ভালোবাসার জোরেই শাতীমদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছিলেন আমাদের ভাই ফয়সল বিন নাঈম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসান রেজা রহমান, নাঈম শিকদার ইরাদ নাফিজ ইমতিয়াজ ,জিকরুল্লাহ কিংবা সাইফুল্লাহরা। এই ভালোবাসার টানেই নিজের জীবিন বিলিয়ে দিয়েছেন মুকুল (রাঃ) । আমাদের এই ভাইরা তো সেই ভাবেই আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালবেসে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন যেভাবে সাহাবারা আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসতেন । তারা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন ভালোবাসা মুখে বলার জিনিষ নয় কাজে পরিনত করার জিনিষ ।আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসা একটি ইবাদাত । যা আমরা জীবন দিয়ে হলেও জারি রাখব ইনশা’আল্লাহ । আল্লাহ্*র রাসুলের দুশমনদের জেনে রাখা উচিত তারা যদি মাটির নিচে কিংবা আসমানেও লুকায় সেখাও ইনশা’আল্লাহ রাসুলে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কোন প্রেমিক তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে ।
আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আমাদের সবাইকে উপযুক্ত ভাবে আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসার তৈফিক দান করুন।
শাইখ উত্তর দিলেনঃ সেথায় আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আছে ।
প্রায় হাদিসের কিতাবে “হানীনুল জিযয়ী” বা স্নেহময়ী খেজুর গাছ নামে একটা গাছের কথা উল্লেখ আছে । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) একটা মরা খেজুর গাছে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন । যার ফলে তার পিঠে দাগ হয়ে যেত । এটা দেখে একজন সাহাবি তাকে নতুন মিম্বর তৈরি করে দিলেন । তারপর থেকে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নতুন মিম্বরে খুতবা দেয়া আরম্ভ করলেন । কিন্তু হঠাৎ করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ আসতে লাগত । কে কাদছে ? কান্নার শব্দ ভেসে আসছে সেই মরা খেজুর গাছের থেকে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কাছে গেলেন ।তাকে জরিয়ে ধরলেন ।কোন কোন বর্ননার এসেছে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তার উপর এমন ভাবে হাত বোলাতে লাগলেন যেমন করে ছোট বাচ্চাকে আদর করা হয়। হাদিসের রাবি বলেন , আল্লাহ্*র রাসুল(স) তার উপর হেলান দিয়ে এত দিন খুতবা দিতেন ।এখন আর দিবেন না এই দুঃখে খেজুর গাছ কান্না করছিল । কোন কোন বর্ননায় অতিরিক্ত এসেছে সেই খেজুর গাছকে আল্লাহ্*র রাসুল (স) বলেন তুমি কি চাও? তুমি চাও আল্লাহ্*র তোমাকে জিবিত করে দিক? তুমি আবার পত্র পল্লবে ফলে ভরে উঠ? তখন আল্লাহ সুবহানু তায়ালা খেজুর গাছের জবান খুলে দিলেন ,খেজুর গাছ বলল হে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমাকে জান্নাতে রোপন করে দিতে বলুন । কিছুদিন পর তো আপনি সেখানে আসবেন। সেখানে আপনাকে চিরোদিনের জন্য পাবো ।
সুবাহান’আল্লাহ আল্লাহ্*র রাসুলের প্রতি ভালোবাসা এমন গভির ছিল যার ফলে মররা গাছও কাদতে শুরু করে।
একবার আল্লাহ্*র রাসুলের এক সাহাবা আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এসে বললে , হে আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমি যতক্ষন আপনার সাথে থাকি আমার মনেহয় আমি পৃথীবির সব থেকে সুখিলোক কিন্তু যখন আমি আপনার থেকে দূরে যায় আমার অন্তর বিরহে ভরে উঠে ।আপনার সাক্ষাতের জন্য আমি পাগল হয়ে যাই । কিন্তু আমার মাথায় এই চিন্তা আসে ,জান্নাতে তো আপনি অনেক উচু অবস্থানে থাকবেন। আর আমরা থাকব অনেক নিচু অবস্থানে । আপনাকে ছাড়া জান্নাত কি করে জান্নাত হতে পারে?
আল্লাহ হু আকবর সাহাবারা আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কতটা ভালোবাসতেন!
এক সাহাবি ছিলেন ,যিনি মাঝে মাঝেই ভুল করে ফেলতেন মদ্যপান করে ফেলতেন । মদ্যপান করে এসে আল্লাহ্*র রাসুল(স) এর কাছে এসে বলতেন হে আল্লাহর রাসুল (স) আমাকে শাস্তি দিন । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তার উপর শরিয়ার বিধান প্রয়োগ করতেন । একবার এক সাহাবি “ঐ মদ্যপ সাহাবিকে” শাস্তি দেবার সময় তাকে লানত করে উঠলেন । আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন তাকে গালি দিও না ,কারন সে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসে।
সুবাহান’আল্লাহ এক জন সাহাবি যিনি কিনা মদ পান করতেন ,তার ব্যাপারে আস সাদিকুন মাসলুন(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সে আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালবাসে। ঘটনা হচ্ছে সেই সাহাবি সেই সাহাবি মাঝে মাঝেই ব্যানিজ্যে যেতেন আর আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্য মধু নিয়ে আসতেন । মধুটা আনার সময় আবার বাকি আনতেন বলতেন এটা আল্লাহ্*র রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্য নিচ্ছি। কিছু দিন যাবার পর সেই সাহাবি পাওনাদার কে নিয়ে আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) দরবারে হাজির হতেন । আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে বলতেন হে আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) আমি এর কাছ থেকে মধু এনে আপনাকে দিয়েছিলাম । তো আমি তো গবির মানুষ ,তাছাড়া মধু তো আপনি খেয়েছেন আপনি পরিশোধ করুন। তার এই কাহিনি দেখে আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) হাসতেন । সুবাহান’আল্লাহ তিনি আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে হাসাতেন আর তার কারনেই আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলতেন তিনি আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসেন ।
আরেকটা ঘটনা সামনে আনা যাক , ছোট্ট দুই সাহাবি ,মাজ ও মুওয়াজ । বড়দের কাছে শুনেছে আবু জাহাল আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কস্ট দিত । আর তাতেই তাদের অন্তরে প্রতিশোধের আগুন দাও দাও করে জ্বলে উঠছে । হাজির হয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে আবু লাহাব কে কতল করতে । কিন্তু মজার ব্যাপার তারা আবু-জাহাল কে চিনেও না। এক সাহাবিকে জিজ্ঞেস করে চিনে নিলেন আবু জাহাল কে তির বেগে ছুটে গেলেন আবু জাহালের কাছে ।তারপরের ঘটনা আপনাদের অজানা নয়।
এই ঘটনাগুলা আপনাদের সবারি জানা । নতুন করে বলার উদ্দেশ্য হলো , একটু ফিকির করা। আল্লাহ্*র রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসার ব্যাপারে আমাদের কেমন হওয়া উচিত । আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) তো আমাদের এমন ভাবে ভালোবাসা উচিত যতটা আমরা আমাদের জীবকেও ভালোবাসি না । একটু চিন্তা করুন সেই যুদ্ধের ঘটনাগুলোর কথা যেখানে সাহাবায় (রাদি) নিজেদেরকে ঢাল হিসেবে পেতে দিচ্ছেন আল্লাহ্*র রাসুলের সামনে । জীবনের ঝুকি নিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন শত্রুর দুর্গে শাতিমদের কতল করতে। কখনোবা অন্ধ সাহাবা তার প্রিয় দাসিকে হত্যা করছেন আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে গালি দেবার কারনে। হ্যা এটাই ভালবাসা আল্লাহ্*র জন্য ভালোবাসা। যে ভালোবাসার নির্দশন আমরা এই যুগেও দেখতে পাই । যে ভালোবাসার জোরেই শাতীমদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছিলেন আমাদের ভাই ফয়সল বিন নাঈম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসান রেজা রহমান, নাঈম শিকদার ইরাদ নাফিজ ইমতিয়াজ ,জিকরুল্লাহ কিংবা সাইফুল্লাহরা। এই ভালোবাসার টানেই নিজের জীবিন বিলিয়ে দিয়েছেন মুকুল (রাঃ) । আমাদের এই ভাইরা তো সেই ভাবেই আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালবেসে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন যেভাবে সাহাবারা আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসতেন । তারা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন ভালোবাসা মুখে বলার জিনিষ নয় কাজে পরিনত করার জিনিষ ।আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ভালোবাসা একটি ইবাদাত । যা আমরা জীবন দিয়ে হলেও জারি রাখব ইনশা’আল্লাহ । আল্লাহ্*র রাসুলের দুশমনদের জেনে রাখা উচিত তারা যদি মাটির নিচে কিংবা আসমানেও লুকায় সেখাও ইনশা’আল্লাহ রাসুলে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কোন প্রেমিক তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে ।
আল্লাহ সুবহানু তায়ালা আমাদের সবাইকে উপযুক্ত ভাবে আল্লাহ্*র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কে ভালোবাসার তৈফিক দান করুন।
Comment