বিসমিল্লাহ ওয়াস সালাতু আসসালাম আলা রাসুলাল্লাহ
নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, কারন আল্লাহ ব্যাতিত কে এমন আছে যে প্রশংসা সমূহ দাবি করতে পারে? নিশ্চয়ই আসমান এবং জমিন সমুহের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে এর মালিকানা দাবি করতে পারে? নিশ্চয়ই আমাদের মালিক আল্লাহ, যিনি আমাদের উত্তম ভাবে সৃষ্টি করেছেন, আর আমাদের উপর শুধু তাঁরই হুকুম খাটবে কে এমন আছে যে আমাদের উপরে হুকুম খাটানোর দাবি করতে পারে? আর যে করবে তাকে আমরা বলবো বেশ তো, আল্লাহ বলেছেন আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম রূপে, মানুষের উপরে হুকুম খাটানোর আগে তুমিও একটা মানুষ সৃস্টি করে দেখাও না কেন! আর যদি তারা তা না পারে তবে এর মধ্যে তাদের জন্য শিক্ষা আছে যারা আল্লাহর সৃস্টি হয়ে নিজেকে তারই মত অন্য আরেক সৃস্টির হুকুমের চাকর বানিয়ে ফেলেছে কিন্তু আল্লাহর হুকুমের নয়! আর সে যদি নিজেকে আল্লাহর সৃস্টি হতে অস্বীকার করে তবে সে যেন আগে নিজের স্রস্টা কে খুজে নেয়, যদি পারে তবে সে যেন তা করে!
আল্লাহ বলেছেন আমি তাদের মধ্য থেকেই নিদর্শন রেখেছি! -
তাই আমরা সাক্ষ্য দেই আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই, ইলাহ নাই, হুকুম দাতা নাই, বিধান দাতা নাই - আর মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের জন্য আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। আমরা মুখে সাক্ষ্য দেই, অন্তরে বিশ্বাস করি আর কাজে তার বাস্তবায়ন করি।
যারা বলে হাসিনা কিংবা তার পা চাটা কুকুর রা বিধান দেয় -
আমি বলি -
হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুর রা কি আমার মত মানুষ সৃষ্টি করতে পারবে?
পারবে সূর্য কে পশ্চিম থেকে উঠিয়ে পূর্বে ডুবিয়ে দিতে?
পারবে চিরন্তন চিরস্থায়ী হতে?
পারবে তন্দ্রা, নিদ্রা এসব জাগতিক প্রয়োজন এর উর্ধে যেতে?
নাকি সে পারবে দুইটি সমুদ্রের মধ্যে আল্লাহ যে সীমানা করে দিয়েছেন তা ভেঙ্গে দিতে?
নাকি সে পারবে আমার মনের কথা প্রকাশ করে দিতে?
নাকি সে পারবে মৃত কে জীবিত করতে?
নাকি সে পারবে কিয়ামতের দিন সবাই কে এক জায়গায় জড় করতে?
নাকি সে পারবে তার নিজের দিকে সবাইকে প্রত্যাবর্তন করাতে?
নাকি সে পারবে আসমান সমূহ কে গুটিয়ে হাতের মধ্যে নিয়ে নিতে?
নাকি সে পারবে পাহাড় গুলো ধুনো পশমের মত বিক্ষিপ্ত করে দিতে?
নাকি সে পারবে একথা বলতে, "ইন্নানি আনাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনা"
আর তারপরে - কীট হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুরেরা! তারা কিনা আজ চ্যালেঞ্জ করলো আল্লাহর বিধানকেই!
তারা কি মনে করেছিলো আমার মালিক আমাকে সৃস্টি করে আমাকে ভুলে গেছেন, আমার জন্য তাঁর কোন নির্দেশনা নাই, কোন দিশা নাই, আমাকে আমার মালিক খেল তামাশার বস্তু বানিয়েছেন - আর তাই হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুরেরা আসলো আমার জন্য সংবিধান বানাতে! কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছে তাদের জন্মেরও আগে আমার মালিক আমার জন্য হিদায়াত, রহমত, দয়া আর শিফা হিসেবে বিধানমালা নাজিল করেছেন যখন হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুর দের কোন অস্তিত্বও ছিলোনা!
তারা কি তবে নিজেদের বিধান কে উত্তম দাবি করে? তাহলে এই কুরআনের মত কিছু একটা কেন তৈরি করে নিয়ে আসেনা? কিংবা এর একটা সুরার মত কোন সুরা? কিংবা তারা তাদের দাবির সপক্ষে কেন ফেরেশতাদের নামিয়ে নিয়ে আসেনা? কিংবা আল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত দলিল! হে বিশ্বাসীরা জেনে রেখো আমাদের কুরাআন এ কোন বক্রতা নাই, এর কোন পরিবর্তন নাই, আর মানুষের বিধানের বক্রতা খুজে শেষ করা যাবেনা আর এর স্থায়িত্ব বলতে কিছুই নাই! হে বিশ্বাসীরা জেনে রেখো - আজ পর্যন্ত তারা এই কুরআন এর মত কিছুই প্রমান দেখাতে পারেনি! এমনকি একটা সুরাও তো না!
হে বিশ্বাসীরা তোমরা এর সাক্ষ্য দিচ্ছ তো? আমি এর সাক্ষ্য দিচ্ছি তারা এ কুরআন কিংবা এর একটা সুরার মত কোন সুরা নিয়ে আসতে পারেনি, তারা তাদের বিধানের পক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারেনি, তাহলে তোমরা নিজেদের ক্ষেত খামারের ব্যাপারে যেমন অন্য কারো জুলুম মেনে নাওনা, নিজেদের স্ত্রীদের ব্যাপারে যেমন অন্য কারো নিয়ম মেনে নাওনা তাহলে নিজের বিশ্বাসের ব্যাপারে, নিজের জীবনের ব্যাপারে কেন অন্যের এমন জুলুম মেনে নিলে যার পক্ষে কোন প্রমান নাই, যার পক্ষে আল্লাহ কোন রাসুল প্রেরন করেননি, কোন ফেরেশতাও প্রেরন করেননি। তবে তোমরা কি নিজেদের উপরেই অনেক জুলুম করে ফেললেনা? আল্লাহ কি বলেননি তারা কি আল্লাহ কে বাদ দিয়ে এমন কোন ইলাহ কে ডাকে যে তাদের ডাকে কোন সাড়া দিতে সক্ষন নয়- তোমরা বিপদে পড়লে কি আল্লাহকেই ডাকোনা? তবে নিজেকে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো কাছে কেন বিক্রি করে দিলে?
এখনো এটা ভেবে দেখার সময় আসেনি কি?
আল্লাহ বলছেন তবে কি তারা জাহেলি যুগের বিধানকেই বেশি পছন্দ করবে!
সবাই ভেবে দেখে না, তারা দেখে যারা আলো খুজে পেতে চায় আর যারা পবিত্র হতে চায়! আল্লাহ উদাহরন দিচ্ছেন এমন একজন দাসের যার অনেক গুলো মালিক আর এমন একজন দাস যার শুধু একজন মালিক - হে বিশ্বাসীরা তোমরা ভেবে দেখো আজ তোমাদের কয়জন মালিক!
এ তোমাদের কেমন মালিক যে নিজে ধ্বংস হয়ে যায়, পচে যায় মিশে যায়, গলে যায় - এমন মালিকের বিধান উত্তম নাকি সেই মালিকের বিধান উত্তম যিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী!
হে বিশ্বাসীরা আল্লাহ আমাদের ব্যাপারে গাফেল নন, তিনি কারো ব্যাপারে গাফেল নন। আমাদের ডান হাত যেমন ডান হাত এই সত্যের মত সত্য আল্লাহ আমাদের ব্যাপারে গাফেল নন। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি আমাদের প্রত্যেকটি চোখের ইশারা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয়ে যায় আর আল্লাহর ব্যাপারে আমাদের এমন জুলুম থেকে আমাদের পরিত্রান দিয়ে দিবে এমন নিশ্চয়তা কে দিলো?
কসম আল্লাহর, কিয়ামতের দিন যেদিন তুমি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে সেদিন আল্লাহ থাকবেন, সেদিন তুমি থাকবে, সেদিন আল্লাহর কুরআন ও থাকবে, আর থাকবে এই মিথ্যা মাবুদেরা। সেদিন তুমি আল্লাহ কে বলো,
"হে আল্লাহ আপনি জানেন আমিও জানি আমার সামনে আপনার কুরআন ছিলো, কিন্তু আমি এই কুরআন কে বাদ দিয়ে ঐ দূরে আমার মত দাঁড়িয়ে থাকা একজনের মিথ্যা কিছু বুলি কে বিধান হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। আমি মেনে নিয়েছিলাম স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে। নিশ্চয়ই আপনি আপনার কালামে সুদ কে হারাম করেছিলেন, কিন্তু আমি আপনার বিধান কে পছন্দ করিনি বরং ঐ দূরে একজন দাঁড়িয়ে আছে তার বিধানে সুদ হালাল ছিলো সেটা আমি পছন্দ করেছিলাম। আপনি জিনা কে হারাম করেছিলেন কিন্তু আমি জিনা কে বিনোদন হিসেবে নিয়েছিলাম, আমার সামনেই আপনার কালাম ছিলো সতর্কবানী হিসেবে কিন্তু আমি সেটার প্রয়োজন মনে করিনি, কারন আমি ব্যাস্ত ছিলাম...... আর এভাবেই আপনারই দেয়া সমস্ত নেয়ামত ভোগ করে বিশেষ করে এই যে জীবন আপনি আমাকে দিয়েছিলেন, চোখ, হাত, পা এবং সব কিছুই, আপনার এই সমস্ত নেয়ামত ভোগ করে আমি আপনারই রাজত্বে বাস করে, আপনারই সামনে, আপনার উপরে আপনার আরেক দাস কে আর তার বিধান কে প্রাধান্য দিয়েছিলাম"
আমরা তাই করছি -
আর সাহস থাকলে কেউ বুকে হাত রেখে বলুক - না, সে এমন করছে না -
এভাবে কিছুদিন সে নিজেকে প্রতারিত করতে থাকুক, কারন অবশ্যই সে মৃত্যুকে পাশ কাটাতে পারবেনা, আর যেদিন তাকে আবার জীবিত করা হবে, সেদিন তার চোখের পর্দা সরিয়ে দেয়া হবে, আর সেদিন তার দৃষ্টি খুব সুক্ষ হয়ে যাবে!
সেদিন সে নিজে দেখবে সে কি করে এসেছে!
আল্লাহ বলেন,
إِنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ ۖ فَمَنِ اهْتَدَىٰ فَلِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۖ وَمَا أَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيلٍ
"আমি তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের (শিক্ষা গ্রহনের জন্য) সত্য দ্বীন সহকারে। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, নিজের কল্যানের জন্যই চলবে। আর যে বিভ্রান্ত হবে, সে কেবল নিজের ক্ষতি করার জন্যই হবে; তুমি তাদের কাজের জিম্মাদার নও" - ঝুমার ৪১
আল্লাহ আরো বলছেন,
وَإِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَحْدَهُ اشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ ۖ وَإِذَا ذُكِرَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
"এক আল্লাহর উল্লেখ করা হলেই যারা কিয়ামতে বিশ্বাস করেনা তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়, আর আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যের কথা উল্লেখ করা হলেই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়" - ঝুমার ৪৫
নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, কারন আল্লাহ ব্যাতিত কে এমন আছে যে প্রশংসা সমূহ দাবি করতে পারে? নিশ্চয়ই আসমান এবং জমিন সমুহের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ, তিনি ছাড়া কে এমন আছে যে এর মালিকানা দাবি করতে পারে? নিশ্চয়ই আমাদের মালিক আল্লাহ, যিনি আমাদের উত্তম ভাবে সৃষ্টি করেছেন, আর আমাদের উপর শুধু তাঁরই হুকুম খাটবে কে এমন আছে যে আমাদের উপরে হুকুম খাটানোর দাবি করতে পারে? আর যে করবে তাকে আমরা বলবো বেশ তো, আল্লাহ বলেছেন আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম রূপে, মানুষের উপরে হুকুম খাটানোর আগে তুমিও একটা মানুষ সৃস্টি করে দেখাও না কেন! আর যদি তারা তা না পারে তবে এর মধ্যে তাদের জন্য শিক্ষা আছে যারা আল্লাহর সৃস্টি হয়ে নিজেকে তারই মত অন্য আরেক সৃস্টির হুকুমের চাকর বানিয়ে ফেলেছে কিন্তু আল্লাহর হুকুমের নয়! আর সে যদি নিজেকে আল্লাহর সৃস্টি হতে অস্বীকার করে তবে সে যেন আগে নিজের স্রস্টা কে খুজে নেয়, যদি পারে তবে সে যেন তা করে!
আল্লাহ বলেছেন আমি তাদের মধ্য থেকেই নিদর্শন রেখেছি! -
তাই আমরা সাক্ষ্য দেই আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই, ইলাহ নাই, হুকুম দাতা নাই, বিধান দাতা নাই - আর মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের জন্য আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। আমরা মুখে সাক্ষ্য দেই, অন্তরে বিশ্বাস করি আর কাজে তার বাস্তবায়ন করি।
যারা বলে হাসিনা কিংবা তার পা চাটা কুকুর রা বিধান দেয় -
আমি বলি -
হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুর রা কি আমার মত মানুষ সৃষ্টি করতে পারবে?
পারবে সূর্য কে পশ্চিম থেকে উঠিয়ে পূর্বে ডুবিয়ে দিতে?
পারবে চিরন্তন চিরস্থায়ী হতে?
পারবে তন্দ্রা, নিদ্রা এসব জাগতিক প্রয়োজন এর উর্ধে যেতে?
নাকি সে পারবে দুইটি সমুদ্রের মধ্যে আল্লাহ যে সীমানা করে দিয়েছেন তা ভেঙ্গে দিতে?
নাকি সে পারবে আমার মনের কথা প্রকাশ করে দিতে?
নাকি সে পারবে মৃত কে জীবিত করতে?
নাকি সে পারবে কিয়ামতের দিন সবাই কে এক জায়গায় জড় করতে?
নাকি সে পারবে তার নিজের দিকে সবাইকে প্রত্যাবর্তন করাতে?
নাকি সে পারবে আসমান সমূহ কে গুটিয়ে হাতের মধ্যে নিয়ে নিতে?
নাকি সে পারবে পাহাড় গুলো ধুনো পশমের মত বিক্ষিপ্ত করে দিতে?
নাকি সে পারবে একথা বলতে, "ইন্নানি আনাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনা"
আর তারপরে - কীট হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুরেরা! তারা কিনা আজ চ্যালেঞ্জ করলো আল্লাহর বিধানকেই!
তারা কি মনে করেছিলো আমার মালিক আমাকে সৃস্টি করে আমাকে ভুলে গেছেন, আমার জন্য তাঁর কোন নির্দেশনা নাই, কোন দিশা নাই, আমাকে আমার মালিক খেল তামাশার বস্তু বানিয়েছেন - আর তাই হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুরেরা আসলো আমার জন্য সংবিধান বানাতে! কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছে তাদের জন্মেরও আগে আমার মালিক আমার জন্য হিদায়াত, রহমত, দয়া আর শিফা হিসেবে বিধানমালা নাজিল করেছেন যখন হাসিনা আর তার পা চাটা কুকুর দের কোন অস্তিত্বও ছিলোনা!
তারা কি তবে নিজেদের বিধান কে উত্তম দাবি করে? তাহলে এই কুরআনের মত কিছু একটা কেন তৈরি করে নিয়ে আসেনা? কিংবা এর একটা সুরার মত কোন সুরা? কিংবা তারা তাদের দাবির সপক্ষে কেন ফেরেশতাদের নামিয়ে নিয়ে আসেনা? কিংবা আল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত দলিল! হে বিশ্বাসীরা জেনে রেখো আমাদের কুরাআন এ কোন বক্রতা নাই, এর কোন পরিবর্তন নাই, আর মানুষের বিধানের বক্রতা খুজে শেষ করা যাবেনা আর এর স্থায়িত্ব বলতে কিছুই নাই! হে বিশ্বাসীরা জেনে রেখো - আজ পর্যন্ত তারা এই কুরআন এর মত কিছুই প্রমান দেখাতে পারেনি! এমনকি একটা সুরাও তো না!
হে বিশ্বাসীরা তোমরা এর সাক্ষ্য দিচ্ছ তো? আমি এর সাক্ষ্য দিচ্ছি তারা এ কুরআন কিংবা এর একটা সুরার মত কোন সুরা নিয়ে আসতে পারেনি, তারা তাদের বিধানের পক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারেনি, তাহলে তোমরা নিজেদের ক্ষেত খামারের ব্যাপারে যেমন অন্য কারো জুলুম মেনে নাওনা, নিজেদের স্ত্রীদের ব্যাপারে যেমন অন্য কারো নিয়ম মেনে নাওনা তাহলে নিজের বিশ্বাসের ব্যাপারে, নিজের জীবনের ব্যাপারে কেন অন্যের এমন জুলুম মেনে নিলে যার পক্ষে কোন প্রমান নাই, যার পক্ষে আল্লাহ কোন রাসুল প্রেরন করেননি, কোন ফেরেশতাও প্রেরন করেননি। তবে তোমরা কি নিজেদের উপরেই অনেক জুলুম করে ফেললেনা? আল্লাহ কি বলেননি তারা কি আল্লাহ কে বাদ দিয়ে এমন কোন ইলাহ কে ডাকে যে তাদের ডাকে কোন সাড়া দিতে সক্ষন নয়- তোমরা বিপদে পড়লে কি আল্লাহকেই ডাকোনা? তবে নিজেকে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো কাছে কেন বিক্রি করে দিলে?
এখনো এটা ভেবে দেখার সময় আসেনি কি?
আল্লাহ বলছেন তবে কি তারা জাহেলি যুগের বিধানকেই বেশি পছন্দ করবে!
সবাই ভেবে দেখে না, তারা দেখে যারা আলো খুজে পেতে চায় আর যারা পবিত্র হতে চায়! আল্লাহ উদাহরন দিচ্ছেন এমন একজন দাসের যার অনেক গুলো মালিক আর এমন একজন দাস যার শুধু একজন মালিক - হে বিশ্বাসীরা তোমরা ভেবে দেখো আজ তোমাদের কয়জন মালিক!
এ তোমাদের কেমন মালিক যে নিজে ধ্বংস হয়ে যায়, পচে যায় মিশে যায়, গলে যায় - এমন মালিকের বিধান উত্তম নাকি সেই মালিকের বিধান উত্তম যিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী!
হে বিশ্বাসীরা আল্লাহ আমাদের ব্যাপারে গাফেল নন, তিনি কারো ব্যাপারে গাফেল নন। আমাদের ডান হাত যেমন ডান হাত এই সত্যের মত সত্য আল্লাহ আমাদের ব্যাপারে গাফেল নন। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি আমাদের প্রত্যেকটি চোখের ইশারা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয়ে যায় আর আল্লাহর ব্যাপারে আমাদের এমন জুলুম থেকে আমাদের পরিত্রান দিয়ে দিবে এমন নিশ্চয়তা কে দিলো?
কসম আল্লাহর, কিয়ামতের দিন যেদিন তুমি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে সেদিন আল্লাহ থাকবেন, সেদিন তুমি থাকবে, সেদিন আল্লাহর কুরআন ও থাকবে, আর থাকবে এই মিথ্যা মাবুদেরা। সেদিন তুমি আল্লাহ কে বলো,
"হে আল্লাহ আপনি জানেন আমিও জানি আমার সামনে আপনার কুরআন ছিলো, কিন্তু আমি এই কুরআন কে বাদ দিয়ে ঐ দূরে আমার মত দাঁড়িয়ে থাকা একজনের মিথ্যা কিছু বুলি কে বিধান হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। আমি মেনে নিয়েছিলাম স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে। নিশ্চয়ই আপনি আপনার কালামে সুদ কে হারাম করেছিলেন, কিন্তু আমি আপনার বিধান কে পছন্দ করিনি বরং ঐ দূরে একজন দাঁড়িয়ে আছে তার বিধানে সুদ হালাল ছিলো সেটা আমি পছন্দ করেছিলাম। আপনি জিনা কে হারাম করেছিলেন কিন্তু আমি জিনা কে বিনোদন হিসেবে নিয়েছিলাম, আমার সামনেই আপনার কালাম ছিলো সতর্কবানী হিসেবে কিন্তু আমি সেটার প্রয়োজন মনে করিনি, কারন আমি ব্যাস্ত ছিলাম...... আর এভাবেই আপনারই দেয়া সমস্ত নেয়ামত ভোগ করে বিশেষ করে এই যে জীবন আপনি আমাকে দিয়েছিলেন, চোখ, হাত, পা এবং সব কিছুই, আপনার এই সমস্ত নেয়ামত ভোগ করে আমি আপনারই রাজত্বে বাস করে, আপনারই সামনে, আপনার উপরে আপনার আরেক দাস কে আর তার বিধান কে প্রাধান্য দিয়েছিলাম"
আমরা তাই করছি -
আর সাহস থাকলে কেউ বুকে হাত রেখে বলুক - না, সে এমন করছে না -
এভাবে কিছুদিন সে নিজেকে প্রতারিত করতে থাকুক, কারন অবশ্যই সে মৃত্যুকে পাশ কাটাতে পারবেনা, আর যেদিন তাকে আবার জীবিত করা হবে, সেদিন তার চোখের পর্দা সরিয়ে দেয়া হবে, আর সেদিন তার দৃষ্টি খুব সুক্ষ হয়ে যাবে!
সেদিন সে নিজে দেখবে সে কি করে এসেছে!
আল্লাহ বলেন,
إِنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ ۖ فَمَنِ اهْتَدَىٰ فَلِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۖ وَمَا أَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيلٍ
"আমি তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের (শিক্ষা গ্রহনের জন্য) সত্য দ্বীন সহকারে। অতঃপর যে সঠিক পথে চলবে, নিজের কল্যানের জন্যই চলবে। আর যে বিভ্রান্ত হবে, সে কেবল নিজের ক্ষতি করার জন্যই হবে; তুমি তাদের কাজের জিম্মাদার নও" - ঝুমার ৪১
আল্লাহ আরো বলছেন,
وَإِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَحْدَهُ اشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ ۖ وَإِذَا ذُكِرَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
"এক আল্লাহর উল্লেখ করা হলেই যারা কিয়ামতে বিশ্বাস করেনা তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়, আর আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্যের কথা উল্লেখ করা হলেই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়" - ঝুমার ৪৫
Comment