আমাদের মায়েরা কি এমন হতে পারে না?
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার মায়ের পত্রালাপ
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ ও তার মায়ের পত্রালাপ
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ তার মায়ের প্রতি একটি চিঠি প্ররণ করলেন। যে চিঠিতে তিনি তার থেকে কিছু দিন দূরে থাকার কারণে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এই দিনগুলুতে দ্বীনি দাওয়াত এবং অন্যান্য দ্বীনি কাজে মিসরে অবস্থান করছিলেন।
মায়ের নিকট চিঠি পৌছলে প্রতিত্তরে মা লিখে পাঠালেনঃ- “আমার কলিজার টুকরো আহমদ ইবনে তাইমিয়া আল্লাহর শপথ করে বলছি, তুমি এখন যা করছ আমি তার জন্যই তোমাকে প্রতিপালন করেছি এবং মুসলমান ও ইসলামের খেদমতের জন্যই আমি তোমাকে উৎসর্গ করেছি ৷ আমি তোমাকে দ্বীনি ইলম তো শিখিয়েছি ৷ তুমি কখনো একথা মনে করো না যে, আমার প্রতি তোমার নৈকট্য দ্বীনের প্রতি তোমার নৈকট্য থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয় ৷
জেনে রেখো দুনিয়ার আনাচে-কানাচে তুমি ইসলাম এবং মুসলমানদের খেদমত করবে এটা আমার কাছে অন্য সব কিছু থেকে প্রিয়৷ প্রিয় বৎস! তুমি জেনে রেখ, তুমি আমার ততটুকু সন্তুষ্টিই পাবে যতটুকু ইসলাম এবং মুসলমানদের খেদমতে তুমি নিজেকে উৎসর্গ করবে ৷
হে আমার প্রিয় বৎস! তুমি আরো জেনে রেখ, রোজ কেয়ামতে আমি আল্লাহর দরবারে তুমি আমার থেকে দূরে থাকার কারণে কোন প্রকার অভিযোগ করবো না ৷ কেননা আমি জানি, তুমি কোথায় আছ এবং তুমি সেথায় কি করছ (তিনি তখন জিহাদের দাওয়াতের কাজে ব্যস্ত ছিলেন )।
তবে আমি অবশ্যই আল্লার দরবারে অভিযোগ করবো এবং তোমার কাছ থেকে হিসাব নিব যদি তুমি আল্লাহর দ্বীন এবং তাঁর অনুসারী তোমার মুসলিম ভাইদের খেদমতে কোন প্রকার ত্রুটি করে থাক ৷
আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হোন! তোমার সকল যোগ্যতাকে কল্যাণের নূরে আলোকিত করুন এবং তোমার সকল প্রকার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিন! আল্লাহ তাআলা আমাকে এবং তোমাকে তার আরশের ছায়াতলে স্থান দিন যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না৷
Comment