Announcement

Collapse
No announcement yet.

অনুবাদঃ Trends In The Global Jihad Movement (The Future Aproach of Al-Qaeda){{বৈশ্বিক জিহাদি আন্দোলনের প্রবণতা (আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অনুবাদঃ Trends In The Global Jihad Movement (The Future Aproach of Al-Qaeda){{বৈশ্বিক জিহাদি আন্দোলনের প্রবণতা (আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা)

    সাক্ষাৎকার গ্রাহকঃ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে জাবহাত আল-নুসরা আল-কায়েদার নেতৃস্থানীয়দের সহায়তায় আল-কায়েদা থেকে বের হয়ে এসে জাবহাত ফাতেহ আশ-শাম গঠন করে। আল-জাওয়াহিরি (হাফি.) তাঁর সাম্প্রতিক বয়ানে ইরাকের মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে আইএস এবং ইরানের বিরুদ্ধে জিহাদ করার ব্যপারে তাহরীদ করেন। এমন একটি জনপ্রিয় জিহাদি ফ্রন্ট যাদের কেউ আল-কায়েদার হাতে বাইয়াতবদ্ধ নয় বরং কিছুটা সহানুভূতিশীল; তারা কি আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ হতে পারে??
    আহমাদ আল হামদানঃ এই প্রশ্নের মধ্যে একটু ত্রুটি রয়েছে; আল-জাওয়াহিরি (হাফি.) ইরাকী মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আইএস এর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে বলেন নাই; না এটা তাঁর বয়ানের চতুর্থ পর্বে এমন কিছু ছিল, না তাঁর পুরো বয়ানের অন্য কোন পর্বে।
    দ্বিতীয়ত, আমাদের অবশ্যই এটা বুঝতে হবে যে জিহাদ হল একটা চুম্বকের মত যা সবসময়ই জিহাদি চিন্তাবিদদের আকৃষ্ট করে এবং আমি মনে করি না আপনি এমন কোন জিহাদি ফ্রন্ট বা কোন জনপ্রিয় জিহাদি আন্দোলন পাবেন যার অধিকাংশ জনশক্তিই জিহাদি আন্দোলন থেকে উঠে আসা না। এবং আমাদের এটাও বোঝা আবশ্যক যে, আল-কায়েদা কখনোই কোন বিষয়কে এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে না যে তাদেরকে নিজেদের দলোয় নাম ফুটিয়ে তুলতে হবে অথবা তাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। যদি এমনটি সত্য হত তাহলে অবশ্যই তারা সিরিয়ার মুসলমানদের কল্যাণার্থে জাবহাত আল-নুসরার সাথে বন্ধন ছিন্ন করাকে স্বাগত জানাত না।
    সাধারণত আল-কায়েদা এটা চিন্তা করে যে কিছু ময়দানে তাদের উপস্থিতি ঐ ময়দানের জন্য একটা বড় প্রতিবন্ধক এবং পশ্চিমা কুফরী শক্তি এটাকেই একটা দলীল হিসেবে নিয়ে তারা সেই ময়দানে আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তির হস্তক্ষেপ করার একটা ওজুহাত দাড় করায়। এবং আমরা বিশ্বাস করি যে পশ্চিমারা যে তথাকথিত সন্ত্রাসবাদের সমস্যার কথা বলে এটা আদৌ সত্য নয়, বরং যে কোন ধরণের ইসলামী প্রজেক্টের সাথেই তাদের শত্রুতা। যখন বিশ্বের যে কোন প্রান্তে আপনি আল-কায়েদার উপস্থিতির ব্যপারে ঘোষণা শুনবেন তখন এটার সত্যতার ব্যপারে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। তাই যখনই পশ্চিমা শক্তি কোন ইসলামী প্রজেক্টে দমন এবং হস্তক্ষেপ করার কোন উপায় পায় না তখনই তারা সেই ইসলামী গ্রুপগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ওজুহাত তুলে যে এখানে আল-কায়েদার উপস্থিতি আছে। যেহেতু এটা এখন একটা সর্বজন বিদীত একটা ব্যপার হয়ে গেছে।
    এবং এজন্যই আল-কায়েদা কিছু কিছু এলাকায় তাদের উপস্থিতির জানান দেওয়া পছন্দ করে না বেশ কিছু কারণেঃ
    ১) পশ্চিমা কুফফারদের শত্রুতা যে সকল ইসলামী প্রজেক্টের উপর তা উন্মোচন করে দেওয়া এবং এটা সবাইকে দেখানো যে তাদের সমস্যা আসলে ইসলামের সাথে, শরীয়ত কায়েমের সাথে এবং কোন নির্দিষ্ট ইসলামী দলের সাথে না। এবং পশ্চিমা কুফফাররা মুসলিম ভূমি জবরদখলের জন্য যেসব গৎবাঁধা বুলি আউরে থাকে সেগুলোও সবার কাছে অবান্তর পরিণত করা ।
    ২) আন্দোলনের জন্য বিস্তৃত পরিসর তৈরি করা, আর্থিক সাহায্য এবং দাতাদের জন্য অর্থ স্থানান্তরের জন্য কিছু সুযোগ তৈরি করা- এর অর্থ এমন যে আপনি কিছু দেশের ব্যবসায়ীকে কিছু এলাকায় ব্যবসা করতে দেখবেন না কারণ এই যে যেসব অভাবী দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলমান রয়েছে তারা সেখানে বিভিন্ন ধরণের ব্যবাসায়িক পরিবেশ পাওয়ার নিশ্চয়তা পায় না। একইভাবে, কিছু কিছু জায়গায় আপনি জিহাদি গ্রুপগুলোর জন্য স্বাধীন সহযোগিতা আপনি পাবেন না যেসব জায়গায় এই গ্রুপগুলো জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। কারণ তারা এই ভয়ে থাকে যে যখনই কেউ সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে তখনই তাঁর বিরুদ্ধে জিহাদে সহযোগিতা বা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠতে পারে।-৩
    ৩) পশ্চিমা দেশগুলো যাতে কোন একটা ময়দানে জিহাদে লিপ্ত একাধিক গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি না করতে পারে এটা বলে যে এই গ্রুপের সাথে আল-কায়েদার যোগসাজশ রয়েছে। কারণ তখন অন্যান্য গ্রুপগুলো সেই নির্দিষ্ট গ্রুপকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত থাকার অভিরোগ উত্থাপন করে। সারা বিশ্ব আমাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে এবং এটাই আমাদের কাজগুলোকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং বিভিন্ন গ্রুপগুলোর মধ্যেও ছোটখাট সমস্যা এবং স্থানভেবে শত্রুতাও রয়েছে এবং শত্রু এর দ্বারা অনেকাংশেই উপকৃত হচ্ছে আর এই কারণগুলোর জন্যই আল-কায়েদা নিজেদের উপস্থিতি অপ্রয়োজনে জানান দেয় না।
    এই কথাগুলো নিতান্তই আমার মনগড়া উক্তি না। বরং বিভিন্ন সময়ে আল-কায়েদার উমারাগন এবং তাদের সাথে যারা ঘনিষ্ঠ তারা তাদের বক্তব্যে এটা ফুটিয়ে তুলেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়-
    শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরি (হাফি.) বলেছিলেন, ‘জেনারেল কমান্ড থেকে দিকনির্দেশনা এমনই ছিল যে সিরিয়াতে আমরা নিজেদের উপস্থিতি সর্বসাধারণের মাঝে ঘোষণা করব না এবং এই সিদ্ধান্ত আমাদের ইরাকের ভাইরাও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং তাই এখন আমরা এ ধরণের ঘোষণায় বিস্মিত। কারণ এতে করে সিরিয়ার কাফির সরকার এবং আমেরিকানদের একটা সুযোগ তুলে দেওয়া হল যার প্রতিক্ষায় তারা এতদিন ছিল; এবং এই ঘটনায় সিরিয়ার সাধারণ


    ৩- উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কুয়েতি দুই জন শায়েখ যারা অভিজ্ঞ মুজাহিদ গত ১৬ই মার্চ ২০১৬ ঈসায়ী তারিখে একটি বিবৃতি প্রদান করেন যেখানে আল-কায়েদা এবং জাবহাত-আল-নুসরার ঐক্য ভেঙ্গে যাওয়া এবং এর কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘জাবহাত-আল-নুসরা এবং অন্যান্য গ্রুপ যাদের যোগ্যতা রয়েছে এবং অধিকারও রয়েছে তাদের মধ্যে ঐক্য গঠন। জিহাদকে একটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সেটাকে উম্মাহর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া জিহাদি সমর্থকদের স্বাধীনতা প্রদান করা কারণ ইতোপূর্বে তাদেরকে আল-কায়েদার সমর্থক বলে হয়রানি করা হয়েছে এবং ধাওয়া করা হয়েছে।

    জনগনের মনেও প্রশ্ন উদিত হবে, ‘এই আল-কায়েদার কি দরকার ছিল আমাদের ঘাড়ে এক মহা বিপর্যয় নিয়ে আসার? বাশারই কি আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না? তোমরা কি আমেরিকাকেও আমাদের উপর চরাও হওয়ার পাঁয়তারা করছ?’-৪

    সিরিয়ায় সশস্ত্র যুদ্ধের শুরুর সময়ে আবদুল্লাহ আযযাম (র.) বিগ্রেড এর নেতা মাজিদ আল-মাজিদ (হাফি.) কে লেখা শায়খ আবু ইয়াহিয়া আল-লিবি (র.) এক চিঠিতে বলেন, ‘আমি এ ব্যপারে ইসলামিক ষ্টেট এর ভাইদের বেশ কয়েকবার লিখেছি যেগুলোর সারসংক্ষেপ করলে এমন দাড়ায় যে, সেখানে কোন জিহাদি গ্রুপের ব্যানারে জনগণকে সমবেত করা হবে না; বিশেষ করে যেসব গ্রুপগুলো জনপ্রিয় এবং সর্বজনবিদিত’।-৫
    এবং ইসলামিক মাগরেবের আল-কায়েদার উমারাগন ‘দ্য আজওয়াদ ডকুমেন্ট’ এ উত্তর মালির নিয়ন্ত্রন নেওয়ার পরে বলেছিলেন, ‘এবং তৃতীয় উপকারিতা হলঃ আমাদের নিজেদের উপর থেকে বহিরাগত এবং আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমিত করা এবং এটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আজওয়াদে আমরা আমদের ইসলামী প্রজেক্টগুলোকে এমনভাবে মূল্যায়ন করব যেন এটি সদ্য প্রস্ফুটিত হওয়ার পথে এবং এই প্রজেক্টগুলো পরিপক্ক এবং শক্তিশালী করতে হলে সামনে অনেক লম্বা পথ পারি দিতে হবে। এবং বর্তমানে এটা এখনো সেই শুরুতে হামাগুড়ি দিয়ে চলার পর্যায়ে রয়েছে যা এখনো নিজের পায়ের উপর দাড়াতে পারেনি। তাই এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি এখনি এটাকে যতটা সম্ভব দমীয়ে রাখা যায় নতুবা দেখা যাবে এটা নিজ পায়ে দাঁড়ানোর আগেই নিজেকে ভিন্নরূপে পরিবর্তিত করে ফেলবে এবং এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যে এর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়াও কষ্টকর হয়ে যাবে। শত্রু এবং হায়েনা পরিবেষ্টিত এই পৃথিবীর শ্বাপদসংকুল পরিবেশে যদি আমরা বাস্তবিকই চাই এটা নিজের পায়ে দাঁড়াক তাহলে অবশ্যই আমাদের উচিৎ এর বেড়ে ওঠার পথ সহজ করা এবং এর হাতে ধরে একে উঠে দাড়াতে সাহায্য করা। তাই এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আমরা শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করা এবং সকল ধরণের উসকানিকে পাশ কাটানো, বৈরিতার অবসান এবং শত্রুর পরিকল্পনা বানচাল করার বুঝকে আয়ত্ত করেছি’।– ৬
    তাই আমার কাছে মনে হয় এই তত্ত্বের আলোকেই আল-কায়েদার যারা তখন ঐ অঞ্চল নিয়ন্ত্রন করছিল তারা আল-কায়েদার পরিবর্তে ‘আনসার আদ- দ্বীন’ নাম গ্রহণ করে যাতে করে সকল ধরণের উসকানী পরিগ্রহ করা যায় এবং একই সাথে শত্রুকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি বিরক্তিও উৎপাদন করা যায়। এমনকি মালিতে আল-কায়েদা নামের


    ৪ আসসাহাব ফাউন্ডেশনের সাথে ‘আশা-নিরাশার মাঝে বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনার সপ্তম সাক্ষাৎকার, মে ২০১৪।
    ৫ শায়েখ মাজিদ-আল-মাজিদের প্রতি বার্তা, পৃষ্ঠা- ৪, ১০ মার্চ, ২০১২।
    ৬ আযওয়াদে জিহাদি আন্দোলনের ব্যপারে সাধারণ দিকনির্দেশনা, পৃষ্ঠা- ৫, ২০ জুলাই ২০১২।

    অনুপস্থিতির দরুন অনেক দাঈও খুব সহজে ফ্রেঞ্চ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফতওয়া জারি করতে পেরেছিলেন। কারণ তখন কেউ তাদেরকে খুব সহজে আল-কায়েদার সাথে জড়াতে পারছিল না। এবং এভাবেই আপনি আম-জনগনকে আল-কায়েদার সমর্থক বানাতে পারেন যদিও তারা জানে না যে তারা আল-কায়েদাকে সমর্থন করছে আর যদিও তারা (কুফফার রা) জানে কিন্তু তখন আর তাদেরকে আটকে রাখার কোন উপায় থাকে না।
    এবং প্রথম অ্যাবোটাবাদ পেপারে শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) আল-শাবাব আল-মুজাহিদিনদের উপদেশ দিয়েছেন আল-কায়েদার সাথে তাদের সম্পর্ক গোপন করতে এবং এবং কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘যদি বিষয়টা প্রকাশ্য হয়ে যায় তাহলে শত্রু তোমাদের বিরুদ্ধে সতর্ক হয়ে যাবে যেমনটা ঘটেছে ইরাক এবং আলজেরিয়ায়। এবং দ্বিতীয় বিষয় হলঃ সোমালিয়ার কিছু মুসলিম তাদের দেশে চলমান যুদ্ধের কারনে চরম দারিদ্র এবং অপুষ্টিতে ভুগছে এবং এজন্য আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব আমার একটা বক্তব্য শোনার জন্য যেখানে উপসাগরীয় দেশগুলোতে কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রজেক্ট সম্পর্কে বলা হয়েছে যে প্রজেক্টগুলো ব্যয়বহুল না এবং যা পূর্ববর্তী সময়ে সুদানে পরীক্ষিত হয়েছে। তাই মুজাহিদিনরা যদি আল-কায়েদার সাথে প্রকাশ্যে সম্পর্কে না জড়ায় তাহলে এই জায়গা সেই সব ব্যবসায়ীদের জন্য শক্ত অবস্থা তৈরি করবে যারা সোমালিয়ায় তাদের ভাইদের পাশে দাড়াতে চায় এবং তারা তখন এই প্রজেক্টগুলো সফল করে সোমালিয়ার অবহেলিত মুসলিমদের কষ্ট দূর করবে এবং মুজাহিদিনদের মাঝে হলেও তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকা নিশ্চিত করবে’ -৭
    এবং আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ কি এবং আল-কায়েদা কি চায়? তারা কি সবাইকে নিয়ন্ত্রন এবং শাসন করতে চায়? নাকি তারা অন্যান্য ইসলামী গ্রুপের সাথে সর্বসম্মতিতে প্রতিষ্ঠিত কোন নতুন ইসলামী শাসনের অংশ হিসেবে থাকতে চায়?
    আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাকালীন স্ট্র্যাটেজি ছিল যে তারা বর্তমান আন্তর্জাতিক সিস্টেমে কোন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের উপস্থিতিতে ইসলামী শাসন /খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে না এবং প্রথম অ্যাবোটাবাদ পেপারে শায়খ উসামা (র.) এই স্ট্র্যাটেজির ব্যপারে অনেক কিছু বলেছেন যার মধ্যে কিছু বক্তব্য এমন, ‘বর্তমানে আমাদের একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একটা ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের যে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তাঁর শুরুই হবে আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তিকে নিঃশেষ করার মাধ্যমে কারণ তাদের মনে ইসলামি শাসন কায়েমের বিরুদ্ধে ব্যপক শত্রুতা বিরাজমান। এবং এটা এমনটাই নির্দেশ করে যে পশ্চিমাদের এই তীব্র বৈরিতা ছোটবড় যে কোন মাপের ইসলামিক শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যেমনটা ঘটেছিল শেখ আল-খাত্তাবীর প্রতিষ্ঠিত মরক্কোর ক্ষেত্রে। যেখানে তিনি সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন যে কোন মুসলিম ভূমির উপর


    ৭ শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এর বার্তা এবং নির্দেশনার সংগ্রহ। পৃষ্ঠা- ৭৩১, ৬ আগস্ট ২০১০
    ক্রুসেডারদের কোন জবর দখল বরদাশত করা হবে না। ফলশ্রুতিতে তারা মরক্কোর চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে যাতে করে সেখানে আঘাত হানতে পারে। অত্র অঞ্চলে কুফরী শক্তির মাথার (আমেরিকার) ব্যপক প্রভাব-প্রতিপত্তি বিদ্যমান; আর এটাই তাদের ক্ষমতার অন্যতম চালিকা শক্তি, এটাই তাদের সকল সহায়তার উৎস এবং এই শক্তির দরুনই তারা সাদ্দামকে এবং ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানকে পর্যুদস্ত করতে পেরেছিল যদিও এই শক্তির দাপট বেশ স্তিমিত হয়ে গেছে। তথাপি এখনো তার এতটুকু শক্তি বিদ্যমান রয়েছে যার বলে সে অত্র অঞ্চলের যে কোন হক্কের উপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রকে পরাজিত করতে পারবে। তাই এটা সময়ের দাবী যে আমরা তাকে ক্রমাগত দুর্বল করা হবে এমন জায়গায় আক্রমন করব যেখানে সে দুর্বল এবং যেখানে আঘাত করলে সে আর প্রতিষ্ঠিত কোন রাষ্ট্রকে পরাজিত করতে পারবে না। এরপর আমাদের মনোযোগ দিতে হবে উম্মাহর সেই সব প্রচেষ্টা এবং শক্তিকে একত্রিত করা যারা কোন ওজর বশত এবং ওজর ছাড়াই জিহাদ থেকে দূরে সরে আছে। এরপর একটা মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আল্লাহ্*র হুকুমে বাস্তবায়ন করা যাবে। আর এজন্য প্রয়োজনে এটাকে কয়েক বছর বিলম্বিত করা যায়’।- ৮
    যদিও আল-কায়েদার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এমন যে তারা আন্তর্জাতিক কুফরী ব্যবস্থাকে দুর্বল করার পূর্বে ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করে না কিন্তু তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারনে তারা অন্যান্য ইসলামী গ্রুপগুলোর ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, আল-কায়েদা তালিবানদের রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার বিরোধী মনোভাব পোষণ করে না এই ওজুহাত দেখিয়ে যে এখানে আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তির উপস্থিতি রয়েছে। উপরন্ত তারা তালেবানকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করে যদিও তালেবানদের রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার সাথে তাদের সুস্পষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।
    আমরা আল-কায়েদার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার আলোচনায় ফিরে আসি। আল-কায়েদা কি কোন দেশের একটা জনপ্রিয় আন্দোলনকে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায়? এর উত্তরে বলা যায়, না। আল-কায়েদা বেশ কিছু কারণে এমন কোন আন্দোলনকে সফল কোন মাধ্যম হিসেবে দেখে না। যেমন-
    - আল-কায়েদা বিশ্বাস করে যে কোন একটা রাষ্ট্র একা ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করলে বেশি দিন টিকে থাকবে না এবং খুব দ্রুত এটা ভেঙ্গে পরবে যেহেতু শত্রুর এটাকে পরাভূত করার সামর্থ্য রয়েছে। এবং এ ব্যপারে উল্লেখযোগ্য যে কোন একটি রাষ্ট্রের এই ব্যর্থতা তাকে দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে এবং পরবর্তীতে সে আর কখনো তার জনগণকে নিজের পাশে পাবে না। এবং সমসাময়িক সময়ে আল-কায়েদা এমন দৃষ্টিভঙ্গিই দেখিয়ে এসেছে। আবু বশির আল-উহাইসি (র.) একটি চিঠিতে শায়খ উসামা (র.) কে লিখেন যে ইয়েমেনে তাদের গ্রুপের


    ৮ শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এর বার্তা এবং নির্দেশনার সংগ্রহ। পৃষ্ঠা- ৭৬৭
    এতটুকু সামর্থ্য রয়েছে যে তারা সানায় প্রবেশ করে এটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। এটার প্রত্যুত্তরে শায়খ এটা বলেন যে, ‘সানায় প্রবেশ করার সময় সম্পর্কে আপনি যা উল্লেখ করেছেন সে ব্যপারে বলা যায় যে, আমরা তখনই সানায় শরীয়া প্রতিষ্ঠা করব যখন এটা নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য আমাদের থাকবে। যদিও ৯/১১ এর পরে শত্রু অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে অনেক দুর্বল হয়ে পরেছে তথাপি তার এতটুকু সক্ষমতা রয়েছে যে সে একটা ইসলামিক রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারবে। তাই ইয়েমেনে আমাদের ভাই এবং তাদের পরিবারকে আমরা এমন অবস্থার সম্মুখীন করতে চাই না; এরপূর্বে আমাদের আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আর যদি এরপরেও আমরা এটা করতে চাই তাহলে সেটা অনেকটা এমন হবে যে, আমরা এক শক্তিশালী জলধারার সামনে একটা বাড়ি নির্মান করলাম যে বাড়ির উপর দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হবে তখন তা এই বাড়িকে ভেঙ্গে ফেলবে এবং পরবর্তীতে যদি আমরা পুণরায় এই বাড়ি তৈরি করতে যাই তাহলে আমরা জনগণের সমর্থন হারিয়ে ফেলব এবং তারা আর আমাদের সাহায্য করবে না’।-৯
    - তাদের নিজেদের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য নাই এবং এর উপর ভিত্তি করে শায়খ ইয়াহিয়া আল-লিব্বী (র.) আবু হামজা আল-মুহাজির কে বলেছিলেন, ‘আমার প্রিয় ভাই এটা জেনে রাখুন যে একটা শরীয়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজে কখনোই শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টার দ্বারা সফল হওয়া সম্ভব না চাই আপনার সামর্থ্যের পর্যাপ্ততা এবং দক্ষতা যতই হোক। এবং এই বিষয়টি অনেক বড় এবং গুরুতর তাই এই কাজের জন্য আপনার একক প্রচেষ্টার চেয়েও বেশি কিছুর জরুরত রয়েছে। এই কাজ অনেক বেশি বিস্তৃত এবং বিচিত্র তাই আপনার পরিচিত সকল ভাইকে এই কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন। এবং একমাত্র আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যতীত এই কাজে সফল হওয়ার ভিন্ন কোন পন্থা নেই। তাই আপনি তাদেরকে আপনার কাজের মূলভিত্তি তৈরিতে সন্নিবেশিত করুন এবং সাধারণ দিক-নির্দেশমালার মধ্যে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করুন’।- ১০
    - অন্যান্য মুজাহিদ গ্রুপগুলোর সাথে আপনার নতুন রাষ্ট্র তৈরিতে শরীক থাকার অর্থ শত্রুর মধ্যে ভাঙ্গন তৈরি করা। এবং এভাবে কাজ করলে শত্রু কখনোই আপনার বিরুদ্ধে অন্যান্য গ্রুপগুলোকে একত্রিত করতে পারবে না যেমনটা তারা আপনি একা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে পারত।
    - অন্য কোন গ্রুপকে বহিষ্কার করার মাধ্যমে তাঁর সাথে বিরুপ সম্পর্ক তৈরি না করা যাতে করে সে আপনার বিরুদ্ধে চলে যায় এবং শত্রু পক্ষকে সাহায্য করা শুরু করে। তাদেরকে নিজেদের সাথে জুড়ে নাও এবং পরে তোমার মত করে তাদেরকে চিন্তা করতে শেখাও। যেমন; শায়খ আবু মুসাব আয-জারকায়্যি (র.) কে শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবি (র.) বলেছিলেন,


    ৯ প্রথম অ্যাবোটাবাদ ডকুমেন্টস; ইনডেক্স নম্বরঃ socom-2012-0000016
    ১০ শায়খ আবু হামজা আল-মুহাজিরের প্রতি বার্তা, পৃষ্ঠা- ৩

    ‘তাই আপনি একজন নেতা এবং জিহাদি রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে যদি চান একটি রাষ্ট্র এবং এর শক্তিকে ধ্বংস করতে এবং তাকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রের আদলে গড়তে বা নিদেনপক্ষে এর ভিত্তি এমনভাবে তৈরি করতে যাতে এই লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হওয়া যায় তাহলে সমস্ত লোকের সাহায্যই আপনার প্রয়োজন হবে। এবং আমার মতে এ ধরণের লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হওয়া কারও জন্য সমাজের সকল স্তরের জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা জরুরী; যেহেতু সেখানকার ভাইদের একেকজনের সামর্থ্য একেক রকম। সেখানে আপনি যেমন গোত্রীয় নেতৃবর্গকে পাবেন; আবার একইসাথে সমাজের উঁচু পদে আসীন লোকবলও পাবেন। তাই তাদের মধ্যে যাদের দৃষ্টিভঙ্গি উত্তম এবং আমাদের অধিক নিকটবর্তী তাদের সাথে কিছু কিছু ব্যপারে আমাদের পরামর্শ করা উচিৎ; ক্ষেত্র বিশেষে তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা এবং সম্মান দেওয়া দরকার; কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার এবং তাদের হাতে কিছু ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ কারণ মানুষ পদমর্যাদা ভালোবাসে। এবং এভাবে আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ যাতে তাদের মনে এই বিশ্বাস না জন্মে যে আমরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করতে এসেছি এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাদের উপর জেঁকে বসেছি অথবা এমন না ভাবেন যে আমরা তাদের ব্যপারে সীমালঙ্ঘন করছি এবং কোন ব্যপারে আমরা তাদের মূল্যায়ন করছি না। বরং আমাদের এই চেষ্টা জারি রাখতে হবে যাতে তারা এই ধারণা পোষণ করেন যে আমরা তাদের সাথে মিলে রাষ্ট্র জীবনে ধর্মকে সমুন্নত করব; এই দেশ এবং তাঁর জনগণকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করব এবং একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করব ও আল্লাহ্* সুবহানুতা’আলার মনোনীত শরীয়াকে বাস্তবায়ন করব এবং আমরা মনে করি এ ক্ষেত্রে তাদের ব্যপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে; যেহেতু প্রত্যেক মুসলিম ও ব্যক্তির এই কাজে অংশগ্রহন আমাদের প্রয়োজন। এবং একইসাথে আমরা তাদেরকে শরীয়াহ’র অনুসরণ এবং যা কিছু উত্তম ও কল্যাণকর সেই পথে ডাকব; সকল ভ্রষ্ট ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিব এবং তাদের হকের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করব ও উৎসাহ দিব। যখন জনগণ এটা অনুভব করবে যে আমরা তাদের মূল্যায়ন করছি, তাদের প্রচেষ্টার মূল্য দিচ্ছি ও তাদেরকে সম্মান করছি এবং আমরা তাদের ব্যপারে কল্যাণকামী ও তাদের ব্যপারে সহমর্মী তখন আমরা তাদের অন্তরে জায়গা করে নিতে পারব’।- ১১
    এবং শায়খ আইমান আয-জাওয়াহিরি (হাফি.) ও আয-জারকায়্যি (র.) কে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ্* আমেরিকানরা শীঘ্রই পলায়ন করবে এবং আমেরিকার হাত থেকে মুক্ত দেশের শাসন ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র বিভিন্ন বাহিনীর উপর ন্যস্ত করা ঠিক হবে না। বস্তুত এটাও জরুরী যে বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মুসলিমদের এ কাজে শরীক করা; সম্মিলিত প্রক্রিয়ার একটা সরকার গঠন করা এবং একটা শূরা কমিটি গঠন করা যারা সৎ কাজের


    ১১- শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবি (র.) এর পূর্ণাঙ্গ কাজ; পৃষ্ঠা- ১৭৯১
    আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে। আমার মতামত যা আমি বেশ কয়েকবার পুনর্ব্যক্ত করেছি তা কিছুটা সীমিত এবং চলমান ঘটনাপ্রবাহের একটা দূরদৃষ্টির দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে- এগুলো মূলত শূরা কমিটি এবং যারা বিষয়াদির ব্যপারে কর্তৃত্বের অধিকারি তাদের মাধ্যমে অর্জিত হবে; তাদেরকে বাধ্য করে এবং যারা এই কাজগুলো আনজাম দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন তাদের যোগ্যতা অনুসারে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে করিয়ে নিতে হবে। তারা হতে পারে ইরাকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং মহিমান্বিত শরীয়াতের দ্বারা বিচার ফয়সালা করে তাদের কাজগুলোকে উপেক্ষা করবে। এবং মুজাহিদিনদের এটা করা ঠিক হবে না যে তারা বিশেষ করে আল-কায়েদা দুই নদীর ভূমির জনগণের উপর সেই দেশের প্রতিনিধি ব্যতীত কর্তৃত্ব করবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা শূরা মূলনীতির সাথে চরম সাংঘর্সিক। এটা আমার মতে মোটেও বাস্তবসম্মত নয়’।- ১২
    এবং এটার বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখতে পাই যখন আল-কায়েদা ইয়েমেনে হাদরামাউতে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তখন সেখানকার স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে সেখানকার শাসনকার্য পরিচালিত হত।
    এবং ২০১৫ সালে স্যান্ড বৈসবের ডেইলি মুকাল্লার প্রধান কর্ণধার এবং সম্পাদকের সাথে সাক্ষাৎকারে আল-কায়েদার একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য আল বাতার্ফি (হাফি.) কে যখন জিজ্ঞেস করা হয় হাদরামাউতের কাউন্সিল কি আপনার হুকুম পালন করে তখন তিনি বলেছিলেন-
    ‘জনগণের এই কাউন্সিলের ব্যপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভুল। এই কাউন্সিল নিজেদের কাজে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটা গঠিত হয় শহর এবং এর আশেপাশের আলেমদের নিয়ে এবং না আমরা এই কাউন্সিলের গঠনে হস্তক্ষেপ করি; না এর সদস্য নির্বাচনে। সব মানুষই সদস্যদের চেনেন যাদের মাধ্যমে এই কাউন্সিল গঠিত হবে এবং তারা সবাই শহর ও এর আশপাশের এলাকার। এটা আমাদের কাজের ক্ষেত্র না যেমনটি আপনার প্রশ্নের মধ্যে ফুটে উঠেছে। বরং এটা একটা স্বাধীন বিভাগ যারা শহরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। এবং তাদের সাথে আমরা ৩টি মৌলিক বিষয়ের উপরে একমত হয়েছি যে
    • তারা কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে শাসন পরিচালনা করবে।
    • তারা জনগণের উপর কর্তৃত্বশীল হবে।
    • এই কাউন্সিলের সাথে কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক থাকবে না অথবা তারা কোন নিজস্ব বা বহিরাগত এজেন্ডার সাথে সম্পর্ক রাখবে না।
    এবং শহর পরিচালনার জন্য কাউন্সিলের যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমরা শহরের হেড-কোয়ার্টারগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য পূর্বেও যেমন প্রস্তুত ছিলাম এখনো প্রস্তুত



    ১২- আবু মুসাব আয-জারকায়্যি (র.) এর প্রতি বার্তা, পৃষ্ঠা- ৯
    রয়েছি। বস্তুত মূল বিষয় হল কাউন্সিলের নিজেদের গুছিয়ে ওঠার জন্য আরও বেশ কিছু প্রাথমিক কাজ অবশিষ্ট রয়ে গেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বিধানের জন্য তাদের যথেষ্ট সামর্থ্য নাই। তাই আমরা তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা ধীরে ধীরে তাদের কাছে সবকিছু হস্তান্তর করছি এবং এ ব্যপারে কোন বিলম্ব মূলত তাদের তরফ থেকে আমাদের দিক থেকে নয়। কোন একটি জনপদের জনগণের ব্যবস্থাপনায় তাদের অংশগ্রহনকে আমরা ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখি এবং মাশোয়ারার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। তাই জাতির সাধারণ ব্যপারে আমরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করব না এবং আমরা কখনোই এমন অধিকার নিজেরা একা ভোগ করব না’
    এবং এর আরেকটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে মালির উত্তরাঞ্চলে আনসার-আদ-দীন এবং আজওয়াদ ন্যাশনাল লিবারেশন মুভমেন্টের সম্মিলিতভাবে শরীয়াহ ভিত্তিক শাসনকাজ পরিচালনা এবং যেখানে এটা প্রমাণিত হয় যে আল-কায়েদা একাকী কর্তৃত্ব নেয় না। - ১৩
    এবং সারসংক্ষেপঃ যা আল-কায়েদা নিজের ভবিষ্যৎ হিসেবে চিন্তা করে?
    এটা হল এমন যে একটি ইসলামিক খিলাফা প্রতিষ্ঠিত হবে যার ভিত্তি হবে জনমত, মাশোয়ারা এবং জনগণের সন্তুষ্টি।
    এবং বিষয়টা এমন না যে আল-কায়েদা নিজেকে বাকি সবার উপর চাপিয়ে দিবে।
    এবং যে কল্যানার্থে আল-কায়েদা কাজ করছে তা কোন বিশেষ গ্রুপ বা দলের জন্য নয়; বরং এক্ষেত্রে যে কোন একটি ইসলামী রাষ্ট্রের ফায়দা অন্যান্য সকল বিষয়ের চেয়ে অধিক গুরুত্ব পায় এমনকি এটা যদি তাদের নিজেদের গ্রুপের ফায়দাও হয়। এবং এর উপর ভিত্তি করেই শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) বলেছিলেন,
    ‘ব্যক্তিগত ফায়দার পূর্বে দলের ফায়দা এবং দলের ফায়দার পূর্বে রাষ্ট্রের ফায়দা এবং রাষ্ট্রের ফায়দার পূর্বে উম্মাহর ফায়দা গুরুত্ব পাবে’- ১৪
    এবং এই ফায়দা বা পরিসমাপ্তির উপর ভিত্তি করে বলা যায়, এটা জরুরী যে প্রত্যেকের পাশে থেকে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করা এবং প্রত্যেক জাতিকে তাদের শাসক বাছাই করার সুযোগ দেওয়া, নিজেকে তাদের উপর চাপিয়ে না দেওয়া যেমনটি শায়খ উসামা (র.) বলেছেন,


    ১৩- আল-আন্দালুস ফাউন্ডেশন কর্তৃক আল-কায়েদা ইসলামিক মাগরেব এর ‘মিডিয়া বার্তা এবং আমন্ত্রণ’ শীর্ষক অফিসিয়াল বিবৃতিতে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি প্রকাশিত হয়, ৩রা রজব ১৪৩৬ হি., ২২শে এপ্রিল ২০১৫
    ১৪- শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এর বার্তা এবং নির্দেশনা সমগ্র, পৃষ্ঠা- ৭৩৫

    ‘এবং আমরা মুসলিমরা এটা বিশ্বাস করি যে প্রত্যেক জাতির তাঁর নেতা বাছাই করার অধিকার রয়েছে এবং আমরা পরস্পর পরামর্শে বিশ্বাস রাখি’- ১৫
    এবং ড. আইমান আয-জাওয়াহিরি বলেছেন,
    ‘এবং আমরা সুস্পষ্টভাবে সকল মুসলিম জাতিকে সাধারণভাবে এবং বিশেষভাবে সিরিয়ার মুসলিমদের বলতে চাই, আল-কায়েদা কখনো আপনাদের নিজেদের জন্য একজন শাসক বেঁছে নেওয়ার অধিকার যার উপর আপনারা সন্তুষ্ট এবং যা কুরআন এবং রাসূল (স.) এর সুন্নাহর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত; এমন অধিকার ছিনিয়ে নিবে না। এবং সিরিয়ায় যদি আল্লাহ্* শীঘ্রই ইসলামী শাসনের সামর্থ্য দান করেন তাঁর অনুমতিক্রমে এবং উম্মাহ যদি একজন শাসক বাছাই করেন যিনি কুরআন এবং রাসূল (স.) এর সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত করবেন; তিনি আমাদেরও শাসক হবেন। এবং অতঃপর আমরা মুসলিম উম্মাহর প্রতি আমরা একজন খলিফার ব্যপারে ঐক্য মতে পৌছার আহবান করব যার ব্যপারে তারা সন্তুষ্ট থাকবেন’।- ১৬
    তিনি আরও বলেন,
    ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে বাড় বাড় বলে এসেছি যে যদি সিরিয়ার জনগণ একটি শরীয়াহভিত্তিক সরকার গঠন করে এবং নিজেদের জন্য একজন নেতা বাছাই করে তাহলে তাদের পছন্দই হবে আমাদের পছন্দ। কারণ আমরা আল্লাহ্*র অনুগ্রহে ক্ষমতার মুখাপেক্ষী নই বরং আমরা চাই শরীয়াহর হুকুমত কায়েম হোক। আমরা মুসলিমদের শাসন করতে চাই না বরং আমরা চাই মুসলিম উম্মাহ ইসলামী হুকুমতে শাসিত হোক। আমরা সিরিয়ার মুজাহিদিনদের মাঝে একতাবদ্ধ হওয়া এবং সবার একত্রিত প্রচেষ্টায় একটি ইসলামি মুজাহিদ সরকার প্রতিষ্ঠা যা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে, পরস্পর মাশোয়ারা করবে, যারা দুর্বলদের অধিকার ফিরিয়ে দিবে এবং সাহায্য করবে এবং যারা জিহাদি ঝান্ডাকে সমুন্নত করে দখলকৃত ভূমি মুক্ত করবে, যারা আল-আকসা মুক্ত করতে কঠোর সংগ্রাম করবে এবং যারা নব্যুয়তের আদলে খিলাফা ফিরিয়ে নিয়ে আসবে এমন ব্যপারে আমরা আহ্বান করা কখনোই বন্ধ করব না। এবং ঐ মহৎ সময়ে কোন সাংগঠনিক অন্তর্ভুক্তিও আল্লাহ্*র অনুগ্রহে থাকবে না- উম্মাহ যা প্রত্যাশা করে, সেই উম্মাহরই আমরা একটা অংশ; উম্মাহর অভিভাবক না’।– ১৭


    ১৫- শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এর বার্তা ও নির্দেশনা সমগ্র; পৃষ্ঠা- ৬৮৫
    ১৬- ‘আদর্শগত বিশ্বাস অহংকারকে ধূলোয় মিশিয়ে দেয়’ আসসাহাব মিডিয়ার প্রডাকশন, আগস্ট ২০১৩
    ১৭- ‘সিরিয়ার জিহাদে অংশগ্রহন কর’ আসসাহাব মিডিয়ার প্রডাকশন, ফেব্রুয়ারি ২০১৬


    এবং শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এ ব্যপারে বলেছেন,
    ‘একজন নেতাকে বাছাই করার অধিকার উম্মাহর এবং তাদের এই অধিকারও রয়েছে যে সেই নেতা তাদের নিকট জবাবদিহি করবেন যদি তিনি পথভ্রষ্ট হন এবং উম্মাহর এই অধিকারও রয়েছে যে তারা নেতাকে প্রতিস্থাপন করবে যদি তেমন জরুরত সৃষ্টি হয়’- ১৮
    এবং ভবিষ্যতে আল-কায়েদা নিজেদের ব্যপারে যা প্রত্যাশা করে তা হলঃ যখন একটি ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে তখন তাদের সাংগঠনিক রূপ বিলীন এবং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে এবং তারা অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর মাঝে নিজেদের টিকিয়ে রাখবে।
    টর হ্যামিং কর্তৃক প্রাপ্ত উত্তরের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
    শুরতেই আমি ক্ষমা চাচ্ছি আমার প্রশ্নের শুরুতেই রেফারেন্স হিসেবে আয-জাওয়াহিরির (হাফি.) একটি বক্তব্যকে ভুল করে উপস্থাপন করার জন্য। যদিও আহমাদ আল-হামদান (হাফি.) বলেছেন যে জাওয়াহিরি (হাফি.) তাঁর কোন বক্তব্যেই এ ধরণের কথা বলেন নাই তথাপি আমি বলছি যে আয-জাওয়াহিরি (হাফি.) তাঁর ‘বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা’ শীর্ষক বয়ানের তৃতীয় খন্ডে (চতুর্থ খন্ডে না) ইরাকের মুজাহিদিনদের পুণরায় সংগঠিত হতে বলেছেন। ‘ইরাকের ব্যপারে আল্লাহ্*কে ভয় করুন’ শীর্ষক বয়ানে তিনি ইরাকের মুজাহিদিনদের সিরিয়ার জাবহাত-আল-নুসরার (জাবহাত ফাতহ আশ শাম) পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বলেছেন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে দৃঢ় হতে বলেছেন।
    যদিও এ ব্যপারে সরাসরি কিছু বলেন নাই, তথাপি আল-হামদান (হাফি.) আল-কায়েদার সাথে জাবহাত-আল-নুসরার সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যপারে বেশিরভাগ পশ্চিমা বিশ্লেষক ও পন্ডিতদের ধারণাকেই সত্যায়ন করেছেন। অফিশিয়ালি আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক না থাকার বিষয়টি জাবহাত-ফাতহ আশ শামকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে অনেক বিস্তৃত ব্যপারে নজর দেওয়ার সুযোগ করে দিবে এবং তাদের জন্য অর্থায়ন ও অন্যান্য গ্রুপগুলোর সাথে ঐক্য তৈরি সহজ হবে। এই একটি ব্যপারে আল-কায়েদা অনেক বেশি সতর্ক এবং আল-হামদান (হাফি.) বলেছেন, ‘এতে করে তুমি লোকের অজান্তেই তাদেরকে আল-কায়েদার সমর্থক বানিয়ে ফেলতে পারবে’।
    হয়ত একেবারে শুরু থেকে নয়, কিন্তু গত এক দশক থেকে এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বর্তমানে আইএস যে পদ্ধতিতে কাজ করছে সেই তুলনায় আল-কায়েদা খিলাফা প্রতিষ্ঠা করার ব্যপারে অনেক বেশি জনগণ কেন্দ্রিক এবং পরিকল্পিত পদ্ধতি অনুসরণ করছে। আল-কায়েদা খিলাফা প্রতিষ্ঠাকে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখে, যেখানে তাদের লক্ষ্য হল শত্রুকে এমন একটা পর্যায় পর্যন্ত তটস্থ করা যাতে করে কোন একটি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যায় যদিও শত্রুর উপস্থিতি থাকে। আল-হামদান (হাফি.) আরেকটি বিষয় পরিষ্কার


    ১৮- শায়খ উসামা বিন লাদেন (র.) এর বার্তা এবং নির্দেশনা সমগ্র, পৃষ্ঠা- ৫২৮
    করেছেন যে আল-কায়েদা এ ব্যপারেও যথেষ্ট সচেষ্ট থাকে যে অপ্রীতিকর কোন কাজের মাধ্যমে বা কাউকে দূরে সরিয়ে রাখার মাধ্যমে যেন কারও সাথে বৈরি সম্পর্ক তৈরি না হয়। এবং এ ব্যপারে সিরিয়া এবং ইয়েমেনে পরিষ্কার দলীল বিদ্যমান।
    বস্তুত আল-হামদান (হাফি.) আল-কায়েদার এই ধীরে চল নীতিকে গুনমুগ্ধ সমর্থন দিয়েছেন। তিনি জাওয়াহিরির (হাফি.) একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন যেখানে তিনি (হাফি.) বলেছেন যে তারা (আল-কায়েদা) মুসলিমদের অভিভাবক নয়, কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় আল-কায়েদা মুসলিমদের উপর কর্তৃত্ব করার জন্যই সংগ্রাম করেছে যা তাদের অগ্রগামী আন্দোলনগুলোর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান এবং আমি এ ব্যপারে দ্বিমত পোষণ করব যে তারা অনবরত এই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছে। আইএস এর সাথে তুলনা করলে নিঃসন্দেহে এটা বলা যায় যে আল-কায়েদা তাদের যুদ্ধের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ন্যয়সঙ্গত এবং কার্যসিদ্ধিমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এটার পিছনে একটা কারণ এটা হতে পারে যে তারা অভিজ্ঞতা থেকে এটা শিখেছে; কারণ তাদের উমারাগন সবসময়ই জনগণের সমর্থনের অভাব খুব বেশি অনুভব করেছে।
    যদিও আল-কায়েদা একটা সুপরিকল্পিত পদ্ধতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দেয় কিন্তু তথাপি তারা খুব দ্রুত এটা প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও দ্বিমত পোষণ করে না যেমনটি আল-হামদান (হাফি.) বলেছেন। ২০০৭ সালে আস-সাহাব মিডিয়ার সাথে ‘ঘটনার পর্যালোচনা’ শীর্ষক বয়ানে জাওয়াহিরি (হাফি.) ইরাকের ইসলামিক স্টেটের অভূত প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন জিহাদি গ্রুপের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং একটি ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠায় তাদের প্রচেষ্টা দেখে। তিনি এমনকি এটাও বলেছেন, ‘ইরাকে আমাদের জিহাদি আন্দোলনরত ভাইদের এটা বুঝতে হবে যে একটি খিলাফা রাষ্ট্র গঠনের সকল আলামত দিগন্তে ফুটে উঠতে শুরু করেছে’। এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জনগণের প্রতিক্রিয়া, নিজেরা সম্পৃক্ত বিভিন্ন যুদ্ধের বিশ্লেষণ করায় আল-কায়েদা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্য ধীরে চল নীতিই হল সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি। তার অর্থ এই না যে সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনে জনগণ যে কোন ব্যক্তি বা দলের হাতে নিজেদের ভাগ্য সঁপে দিলেই আল-কায়েদা এটা চুপচাপ হজম করবে যদি না সেই ব্যক্তি বা দল আল-কায়েদা মতাদর্শ লালন না করে। তারা সুদীর্ঘ ১৫ বছরেরও অধিক সময়ব্যপী জীবন-মরণ সংগ্রামে লিপ্ত আছে। তাই সবকিছু শুধুমাত্র জনগণের হাতেই সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিবে না।
    জিহাদি আন্দোলনের প্রতি নজর রাখা যে কাউকে এটা খুবই অবাক করবে যে কিভাবে বিগত ৫ বছরে পশ্চিমা মিডিয়ায় আল-কায়েদা সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এটা মূলত এ কারণে হয়েছে যে এই সময়ে তাদের চেয়েও মৌলবাদী আরেকটি গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়েছে। তবে বিগত সময়ে আল-কায়েদার কৌশলগত পদক্ষেপও এর পেছনে একটা কারণ। মূল কারণ যাই হোক না কেন, এটাই আল-কায়েদার লক্ষ্য ছিল। যেমনটি আল-হামদান (হাফি.) বলেছেন যে, ‘আল-কায়েদা জনগণের সমর্থন আদায় করে নিবে এমনকি জনগণ এটা জানবেও না’

  • #2
    যাঝাকাল্লাহ,এই পোষ্ট থেকে অনেক বেশি আল কায়েদার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি।
    আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

    Comment


    • #3
      জাযাকুমুল্লাহ!

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ্*। জাঝাকাল্লহ। অনেক দিন পরে আপনার কাঙ্ক্ষিত পোস্টটি পেয়ে খুবই খুশি হলাম। আর, অনুবাদের মান নিয়ে তেমন চিন্তা করবেন না। কারণ, আমার নিয়ত আছে যে, সব অংশের অনুবাদ শেষ হলে কিছু ইংলিশে দক্ষ ভাইদের পুরো বই সম্পাদনার জন্য অনুরোধ জানাবো, ইংশাআল্লহ। ।

        Comment


        • #5
          Zajakumullah!
          বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

          Comment


          • #6
            জাঝাকাল্লাহ!
            كتب عليكم القتال وهو كره لكم

            Comment


            • #7
              Barakallahu fe kulle a'malik
              سبيلنا سبيلنا الجهاد الجهاد
              طريقنا طريقنا الجهاد الجهاد

              Comment


              • #8
                Jazakallah
                al-aqsa

                Comment

                Working...
                X