বিসমিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ –
এক শায়েখ বলছিলেন – ডাক্তার যখন আপনাকে বলে আপনার ক্যান্সার, আপনার আর ৩ মাস সময় আছে তখন মৃত্যুর উপলব্ধির কারনে আপনার চোখমুখ শুকিয়ে যায়। প্রথমবারের মত আপনি মৃত্যু কে উপলব্ধি করেন। বুঝতে পারেন মৃত্যু আসলে হাক্ক! কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বলে রেখেছেন আমাদের জন্য মৃত্যু যেকোন সময়েই আসতে পারে, কোন আগাম নোটিশ ছাড়া। কিন্তু তা আমাদের উপলব্ধি তে আসেনা। ডাক্তার তো ৩ মাসের নোটিশ দিয়েছে কিন্তু আল্লাহর বর্ণনায় মৃত্যু আসতে পারে যে কোন মুহুর্তে। আমরা তো বরং প্রতিরাতে একবার করে মারা যাই – আর সকালে উঠে বলি – আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আহ ইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর! তার পরেও আমাদের চেতনায় আল্লাহর সাবধান বাণী আসেনা, কিন্তু ডাক্তার এর কথা আমাদের ইয়াকিন এ পরিনত হয়ে যায়! এই শাইখ তার আরেক লেকচারে বলছিলেন, এই যে প্রতি রাতে মৃত্যু – সকালে জীবন, রাতে মৃত্যু – সকালে জীবন, এটা কেন? কি ফায়দা? শাইখ বলছিলেন – সম্ভবত আমরা মৃত্যু নিয়ে ফিকির করবো, আমরা প্রতি রাতে একবার মারা যাই, মৃত্যু আমাদের এত নিকটে! সম্ভবত আমরা ফিকির করবো!
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার কথার ব্যাপারে কত গাফেল অথচ আল্লাহর এক বান্দার কথার ব্যাপারে আমাদের ইয়াকিন কত মজবুত! একই ভাবে দেখেন আল্লাহর কুরআনের কিছু জায়গায় বলেছেন “ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল – “ এই বলে আল্লাহ কিছু কাজ বা সিফাত বর্ণনা করেছেন। যেমন মুহসিনিন, তাওয়াবিন, মুতাতহহিরিন, মুত্তাকিন, মুতাওয়াক্কিল্লিন, মুকসিতিন, আল্লাজিনা ইউকতিলুনা ফি সাবিলিল্লাহ।
একই ভাবে আল্লাহ ইন্নাল্লাহা লা ইউহিব্বুল এই বলে কিছু সিফাত বর্ণনা করেছেন, যেমন – মুউতাদিন, কাফিরিন, মুফসিদিন, কুল্লা মুখতারিন ফাখুর, খঅইনিন।
আল্লাহ যদি বলেন ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বু অর্থাৎ আল্লাহ যদি কাউকে মুহাব্বাত করেন তাহলে সেটা কেমন হবে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না! আল্লাহ যদি আপনাকে বলতেন, ইয়া ফুলান আমি তোমাকে ভালোবাসি যদি তুমি মুহসিনিন হও – তাহলে কেমন লাগবে! কিন্তু আসলে আল্লাহ তো তাই বলেছেন! আল্লাহ যদি বলেন, ইয়া ফুলান তমার সাথে আমার কোন মুহাব্বাত নাই যদি তুমি সীমা লঙ্ঘন কর, আপনার কেমন লাগবে? কিন্তু আল্লাহ তো আসলে ঠিক সে কথাই বলেছেন!
কিন্তু আমরা এগুলো আমদের ইয়াকিনে আনতে পারিনা। এর কারন আমরা আল্লাহর এই কথা গুলো নিয়ে ফিকির করিনা। ফিকির ছাড়া কোন কিছু দিলে বসেনা। কেন ডাক্তার এর কথায় আমাদের ইয়াকিন আসে কিন্তু আল্লাহর কথায় আমাদের ইয়াকিন আসেনা? আমি বলছি ইয়াকিন – ইয়াকিন হচ্ছে ঈমানের সেই স্তর যে স্তরে গেলে ঈমানের শক্তি আমাদের কাজকে নিয়ন্ত্রন করে। যেমন ডাক্তার যদি বলে আপনি ৩ মাস বাচবেন, শুধু এটা শুনেই রোগির প্রতিদিনের কাজ কর্ম অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়! কারন ডাক্তার বলেছে তোমার আর ৩ মাস সময় আছে। এই যে পরিবর্তন, এটিই হচ্ছে ইয়াকিন। তাহলে আমাদের কেন এরকম আল্লাহর মুহাব্বাতের আয়াত গুলো শুনে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়না। এর কারন আমরা যথাযথ ভাবে আল্লাহ কে এবং আল্লাহর সিফাত কে চিনতে পারিনি। যেমন ঐ রোগীর ক্ষেত্রে একই কথা যদি কোন অচেনা কেউ বলত তবে সেই কথার কোন মুল্য থাকতনা। কিন্তু যখন ডাক্তার বলেছে তখনই সেই কথার মুল্য বেড়ে গেছে। কারন এই ডাক্তার কে এবং তার সিফাত কে আমরা জানি, বিশ্বাস করি। সে ক্যান্সার এর ডাক্তার সে ক্যান্সার সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে এটা তার সিফাত। তাই ডাক্তার এর কথায় আমাদের ইয়াকিন চলে আসে। কিন্তু আল্লাহর কথায় আমাদের এমন ইয়াকিন আসেনা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদিন আল্লাহর থেকে আমাদের অনেক দূরত্ব থেকে যাচ্ছে। আমি বলছিনা আমাদের কেউই ইহসান করেন না, তাওয়াক্কুল করেন না। আমি বলতে চাচ্ছি – এই পুরা বিষয়টির উপলব্ধি কি আমরা আনতে পারছি!
আল্লাহ আমাকে মুহাব্বাত করবেন যদি আমি এটা করি। আরবিতে মুহাব্বাত একটি অনেক গভীর শব্দ। আল্লাহ যদি বলেন তিনি কাউকে মুহাব্বাত করেন তবে তার জন্য আর কি লাগতে পারে! কিছুই না! কিন্তু এরপরেও আমরা এই আমল গুলোতে পিছিয়ে যাই – একমাত্র কারন এগুলো আমাদের উপলব্ধিতে থাকেনা। আমরা এগুলো হয়ত আমল হিসেবে করি, আলহামদুলিল্লাহ যা ভালো, কিন্তু যখন এগুলো আমরা উপলব্ধি হিসেবে করতে পারবো তখন তা প্রশান্তিদায়ক! এর মধ্য দিয়েই মুমিনদের অন্তর, মন, চিত্ত প্রশান্ত থাকে। কারন তা তখন উপলব্ধি হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় বিষয় টি হচ্ছে এগুলো যদি শুধু আমল হিসেবে জারি রাখি এবং এই আয়াত গুলো নিয়ে চিন্তা না করি তবে আরেকটি মুল্যবান নিয়ামত থেকে আমরা বঞ্চিত হব তা হচ্ছে, আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক এবং কুরআনের শীতলতা! রাসুল (সাঃ) বলতেন হে আল্লাহ আপনি কুরআন কে আমার বক্ষের প্রশান্তি বানিয়ে দিন! সুবহানআল্লাহ! কুরআন কখন বক্ষের প্রশান্তি হবে? যখন না আমি আপনি কুরআন কে বুঝতে পারবো! আর রাসুল (সাঃ) যার উপরে কুরআন নাজিল হয়েছেন তিনি (সাঃ) পর্যন্ত কুরআন কে বক্ষের প্রশান্তি বানিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহর কাহে দুয়া করেছেন! তাহলে আমাদের তা কত প্রয়োজন হতে পারে! তাই কুরআনের এই নিয়ামত উপভোগ করার জন্য কুরআন কে বুঝা অনেক জরুরি! (আমি অবশ্যি বলছিনা যারা শুধু তিলাওয়াত করেন তাদের জন্য কুরআন বক্ষের প্রশান্তি না)
সবশেষে, আল্লাহ আমাদের জন্য এই কুরআন নাজিল করেছেন, শিফা, রহমত, এবং হিদায়াত হিসেবে! এই কুরআন কে না বুঝলে আমরা এই কুরআনের অবারিত নিয়ামত থেকে বঞ্চিত থেকে যাবো। আর আল্লাহ যে আমাদের সাথে কত সুন্দর সম্পর্ক করে রেখেছেন তাও আমাদের অজানা থেকে যাবে যদি আমরা এই কুরআন কে না বুঝার ফিকির করি।
মনে করেন আপনার বাবা আপনাকে একটি চিঠি লিখেছেন আর সেটা অনেক দিন ধরে আপনার কাছে রয়ে গেছে কিন্তু কখনো পড়া হয়নি। একদিন আপনার ইচ্ছা হল চিঠিটা পড়তে, আপনি পড়লেন আর জানতে পারলেন আপনার বাবা আপনাকে ভালবেসে কত সুন্দর সুন্দর কথাই না লিখেছেন! সেই মুহূর্তে আপনার উপলব্ধি কি এটা হবে না যে, “এই চিঠি কেন আমি আগে পড়লাম না!”
তাহলে মনে রাখবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সবচেয়ে উত্তম কালামে আপনার সাথে আর আমার সাথে এমন অনেক কথা বলেছেন, যা আমরা ফিকির করিনা!
আল্লাহু আলাম সম্ভবত এই কথাটিই আমি বলতে চেস্টা করেছি।
আল্লাহ আমার কথার ভ্রান্তি থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।
এক শায়েখ বলছিলেন – ডাক্তার যখন আপনাকে বলে আপনার ক্যান্সার, আপনার আর ৩ মাস সময় আছে তখন মৃত্যুর উপলব্ধির কারনে আপনার চোখমুখ শুকিয়ে যায়। প্রথমবারের মত আপনি মৃত্যু কে উপলব্ধি করেন। বুঝতে পারেন মৃত্যু আসলে হাক্ক! কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বলে রেখেছেন আমাদের জন্য মৃত্যু যেকোন সময়েই আসতে পারে, কোন আগাম নোটিশ ছাড়া। কিন্তু তা আমাদের উপলব্ধি তে আসেনা। ডাক্তার তো ৩ মাসের নোটিশ দিয়েছে কিন্তু আল্লাহর বর্ণনায় মৃত্যু আসতে পারে যে কোন মুহুর্তে। আমরা তো বরং প্রতিরাতে একবার করে মারা যাই – আর সকালে উঠে বলি – আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আহ ইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর! তার পরেও আমাদের চেতনায় আল্লাহর সাবধান বাণী আসেনা, কিন্তু ডাক্তার এর কথা আমাদের ইয়াকিন এ পরিনত হয়ে যায়! এই শাইখ তার আরেক লেকচারে বলছিলেন, এই যে প্রতি রাতে মৃত্যু – সকালে জীবন, রাতে মৃত্যু – সকালে জীবন, এটা কেন? কি ফায়দা? শাইখ বলছিলেন – সম্ভবত আমরা মৃত্যু নিয়ে ফিকির করবো, আমরা প্রতি রাতে একবার মারা যাই, মৃত্যু আমাদের এত নিকটে! সম্ভবত আমরা ফিকির করবো!
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার কথার ব্যাপারে কত গাফেল অথচ আল্লাহর এক বান্দার কথার ব্যাপারে আমাদের ইয়াকিন কত মজবুত! একই ভাবে দেখেন আল্লাহর কুরআনের কিছু জায়গায় বলেছেন “ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল – “ এই বলে আল্লাহ কিছু কাজ বা সিফাত বর্ণনা করেছেন। যেমন মুহসিনিন, তাওয়াবিন, মুতাতহহিরিন, মুত্তাকিন, মুতাওয়াক্কিল্লিন, মুকসিতিন, আল্লাজিনা ইউকতিলুনা ফি সাবিলিল্লাহ।
একই ভাবে আল্লাহ ইন্নাল্লাহা লা ইউহিব্বুল এই বলে কিছু সিফাত বর্ণনা করেছেন, যেমন – মুউতাদিন, কাফিরিন, মুফসিদিন, কুল্লা মুখতারিন ফাখুর, খঅইনিন।
আল্লাহ যদি বলেন ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বু অর্থাৎ আল্লাহ যদি কাউকে মুহাব্বাত করেন তাহলে সেটা কেমন হবে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না! আল্লাহ যদি আপনাকে বলতেন, ইয়া ফুলান আমি তোমাকে ভালোবাসি যদি তুমি মুহসিনিন হও – তাহলে কেমন লাগবে! কিন্তু আসলে আল্লাহ তো তাই বলেছেন! আল্লাহ যদি বলেন, ইয়া ফুলান তমার সাথে আমার কোন মুহাব্বাত নাই যদি তুমি সীমা লঙ্ঘন কর, আপনার কেমন লাগবে? কিন্তু আল্লাহ তো আসলে ঠিক সে কথাই বলেছেন!
কিন্তু আমরা এগুলো আমদের ইয়াকিনে আনতে পারিনা। এর কারন আমরা আল্লাহর এই কথা গুলো নিয়ে ফিকির করিনা। ফিকির ছাড়া কোন কিছু দিলে বসেনা। কেন ডাক্তার এর কথায় আমাদের ইয়াকিন আসে কিন্তু আল্লাহর কথায় আমাদের ইয়াকিন আসেনা? আমি বলছি ইয়াকিন – ইয়াকিন হচ্ছে ঈমানের সেই স্তর যে স্তরে গেলে ঈমানের শক্তি আমাদের কাজকে নিয়ন্ত্রন করে। যেমন ডাক্তার যদি বলে আপনি ৩ মাস বাচবেন, শুধু এটা শুনেই রোগির প্রতিদিনের কাজ কর্ম অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়! কারন ডাক্তার বলেছে তোমার আর ৩ মাস সময় আছে। এই যে পরিবর্তন, এটিই হচ্ছে ইয়াকিন। তাহলে আমাদের কেন এরকম আল্লাহর মুহাব্বাতের আয়াত গুলো শুনে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হয়না। এর কারন আমরা যথাযথ ভাবে আল্লাহ কে এবং আল্লাহর সিফাত কে চিনতে পারিনি। যেমন ঐ রোগীর ক্ষেত্রে একই কথা যদি কোন অচেনা কেউ বলত তবে সেই কথার কোন মুল্য থাকতনা। কিন্তু যখন ডাক্তার বলেছে তখনই সেই কথার মুল্য বেড়ে গেছে। কারন এই ডাক্তার কে এবং তার সিফাত কে আমরা জানি, বিশ্বাস করি। সে ক্যান্সার এর ডাক্তার সে ক্যান্সার সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানে এটা তার সিফাত। তাই ডাক্তার এর কথায় আমাদের ইয়াকিন চলে আসে। কিন্তু আল্লাহর কথায় আমাদের এমন ইয়াকিন আসেনা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদিন আল্লাহর থেকে আমাদের অনেক দূরত্ব থেকে যাচ্ছে। আমি বলছিনা আমাদের কেউই ইহসান করেন না, তাওয়াক্কুল করেন না। আমি বলতে চাচ্ছি – এই পুরা বিষয়টির উপলব্ধি কি আমরা আনতে পারছি!
আল্লাহ আমাকে মুহাব্বাত করবেন যদি আমি এটা করি। আরবিতে মুহাব্বাত একটি অনেক গভীর শব্দ। আল্লাহ যদি বলেন তিনি কাউকে মুহাব্বাত করেন তবে তার জন্য আর কি লাগতে পারে! কিছুই না! কিন্তু এরপরেও আমরা এই আমল গুলোতে পিছিয়ে যাই – একমাত্র কারন এগুলো আমাদের উপলব্ধিতে থাকেনা। আমরা এগুলো হয়ত আমল হিসেবে করি, আলহামদুলিল্লাহ যা ভালো, কিন্তু যখন এগুলো আমরা উপলব্ধি হিসেবে করতে পারবো তখন তা প্রশান্তিদায়ক! এর মধ্য দিয়েই মুমিনদের অন্তর, মন, চিত্ত প্রশান্ত থাকে। কারন তা তখন উপলব্ধি হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় বিষয় টি হচ্ছে এগুলো যদি শুধু আমল হিসেবে জারি রাখি এবং এই আয়াত গুলো নিয়ে চিন্তা না করি তবে আরেকটি মুল্যবান নিয়ামত থেকে আমরা বঞ্চিত হব তা হচ্ছে, আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক এবং কুরআনের শীতলতা! রাসুল (সাঃ) বলতেন হে আল্লাহ আপনি কুরআন কে আমার বক্ষের প্রশান্তি বানিয়ে দিন! সুবহানআল্লাহ! কুরআন কখন বক্ষের প্রশান্তি হবে? যখন না আমি আপনি কুরআন কে বুঝতে পারবো! আর রাসুল (সাঃ) যার উপরে কুরআন নাজিল হয়েছেন তিনি (সাঃ) পর্যন্ত কুরআন কে বক্ষের প্রশান্তি বানিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহর কাহে দুয়া করেছেন! তাহলে আমাদের তা কত প্রয়োজন হতে পারে! তাই কুরআনের এই নিয়ামত উপভোগ করার জন্য কুরআন কে বুঝা অনেক জরুরি! (আমি অবশ্যি বলছিনা যারা শুধু তিলাওয়াত করেন তাদের জন্য কুরআন বক্ষের প্রশান্তি না)
সবশেষে, আল্লাহ আমাদের জন্য এই কুরআন নাজিল করেছেন, শিফা, রহমত, এবং হিদায়াত হিসেবে! এই কুরআন কে না বুঝলে আমরা এই কুরআনের অবারিত নিয়ামত থেকে বঞ্চিত থেকে যাবো। আর আল্লাহ যে আমাদের সাথে কত সুন্দর সম্পর্ক করে রেখেছেন তাও আমাদের অজানা থেকে যাবে যদি আমরা এই কুরআন কে না বুঝার ফিকির করি।
মনে করেন আপনার বাবা আপনাকে একটি চিঠি লিখেছেন আর সেটা অনেক দিন ধরে আপনার কাছে রয়ে গেছে কিন্তু কখনো পড়া হয়নি। একদিন আপনার ইচ্ছা হল চিঠিটা পড়তে, আপনি পড়লেন আর জানতে পারলেন আপনার বাবা আপনাকে ভালবেসে কত সুন্দর সুন্দর কথাই না লিখেছেন! সেই মুহূর্তে আপনার উপলব্ধি কি এটা হবে না যে, “এই চিঠি কেন আমি আগে পড়লাম না!”
তাহলে মনে রাখবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সবচেয়ে উত্তম কালামে আপনার সাথে আর আমার সাথে এমন অনেক কথা বলেছেন, যা আমরা ফিকির করিনা!
আল্লাহু আলাম সম্ভবত এই কথাটিই আমি বলতে চেস্টা করেছি।
আল্লাহ আমার কথার ভ্রান্তি থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।
Comment