বাংলাদেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পর্কে আলোচনা

[Mission Hind]

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
যেকোন দেশে বা নিরাপত্তা রক্ষাকারী (লঙ্ঘনকারী!) বাহিনীর জন্য গোয়েন্দাসংস্থাগুলো কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। এরা মূলত পর্দার আড়ালে থেকে কোন গোপন মিশন বাস্তবায়নে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। আমরা প্রকাশ্য বাহিনী সম্পর্কে যতটা ভীত বা সতর্ক থাকি, এদের সম্পর্কে অতটা ধারণা রাখিনা। ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছাড়া কোন বাহিনীই সাফল্য লাভ করতে পারেনা , কারন এরা হচ্ছে একটি সংস্থার চোখ-কান।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে মূলতঃ তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ
১। রাস্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
২। পুলিশি গোয়েন্দা সংস্থা
৩। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা

রাস্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
-------------------------------
১। ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (NSI)
২। ডিরেক্টরেট অব ফোরসেস ইন্টেলিজেন্স (DGFI)

বাংলাদেশের সবচেয়ে কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা হচ্ছে ডিজিএফআই। এর মধ্যে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে CTIB( Counter Terrorism Intelligence Bureau) নামক শাখা। ধারণা করা হয় যে, মার্কিন অর্থায়নে এই শাখাটি খোলা হয়। নিশ্চিতভাবে অনুমান করা যায় যে, সি আই এ এবং ভারতীয় সংস্থা 'র' এর সহযোগিতায় সংস্থাটি নিয়োজিত।

পুলিশি গোয়েন্দা সংস্থা
--------------------------------
১। ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID)
২। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI)
৩। ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (DB)
৪। স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB)
৫। ইন্টেলিজেন্স উইং, র*্যাব
(১ ও ২ নং সংস্থা মূলত মামলা তদন্ত ও ৪ নং মূলত ভেরিফিকেশন করে থাকে। ৩ নং অর্থাৎ ডিবি ই পুলিশের মূল গোয়েন্দা বাহিনী। র*্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং ও কাউন্টার টেরোরিজম এর নামে জিহাদ বিরোধী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা "কাউণ্টার টেররিজম ইউনিট" ও SWAT (Special Weapon And Tactics) )

সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা
---------------------------------
১। সেনাবাহিনী - আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট (ASU) ও ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (FIU)
২। নৌবাহিনী - নেভাল ইন্টেলিজেন্স
৩। বিমান বাহিনী - এয়ার ইন্টেলিজেন্স
(সামরিক গোয়েন্দাবাহিনীগুলো মূলত নিজেদের সদস্যদের নিয়েই ব্যস্ত, অন্যদের ব্যাপারে তেমন মাথাব্যথা নাই)

ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ। কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন, নতুন কিছু জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন, সরাব উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সকল মুসলিমদের ও মুজাহিদীনদের কুফফারদের হাত থেকে হেফাযত করুন, আমীন।

[কালো পতাকা]

পুলিশের ইন্টেলিজেন্স উইং ও কাউন্টার টেরোরিজম এর নামে জিহাদ বিরোধী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে পুলিশের ইন্টেলিজেন্স উইং ও কাউন্টার টেরোরিজম গোপনীয় তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জঙ্গি প্রতিরোধে আমাদের কাজ করতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। তারা যেমন ‘কুল’ হয়ে কাজ করে, আমাদের তার চেয়েও বেশি ‘কুল’ হয়ে কাজ করতে হবে। ধূমধাম অভিযান চালিয়ে সফলতা হবে না। তারা যে আদর্শ লালন করে, যাদের অনুসরণ করে তার ভেতরে ঢুকতে হবে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সেভাবেই কাজ শুরু করেছে। আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদীনদের কুফফারদের হাত থেকে হেফাযত করুন, আমীন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুক। আমিন

[murabit]

বিভিন্ন স্থানে এমন সন্দেহ জনক কুল এর আনাগুনা দেখা যেতে পারে, সতর্ক দৃষ্টি রাখা চায় চৌকান্না হয়ে তাদের ক্ষেত্রে আরো ভাল কুল বনে নিশ্চিত হতে পারলে নিরাপত্তার সাথে ওকুলে পাঠিয়ে দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ কুল গিরির স্বাধ চাখানো যাবে। মুজাহিদীনের ও সে ভাবে প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক।

[salahuddin aiubi]

মাশাআল্লাহ। উপকারী আলোচনা।

[Al-amin]

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

[mujahid]

jazakallah

[অপরাজেয় সৈনিক]

তাদের চিনার উপায়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করলে উপকৃত হতাম।

[কালো পতাকা]

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসু হচ্ছে সাংবাদিক হিসেবে এজেন্ট নিয়োগ দেয়া। এছাড়া তারা ট্যাক্সি চালক, দোকানদার, ইত্যাদি ব্যবহার করে।


*তবে গোয়েন্দারা কয়েকটা বেশ বেশি ধরে।চা বিক্রেতা,পাগল,হুজুরের বেশ ইত্যাদি।

[আল জিহাদ]

হুজুরের বেশ!একজনকে কয়েকটি মসজিদ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।গ্রামেও তাদেরকে দেখেছি,প্রতিটি মসজিদেই তারা নিয়োগ রয়েছে।এলাকার মুরুব্বি বা ইমামদের একটু সন্দেহ হলেই তাদের কানে ফোঁ দিচ্ছে।অথপর, সাবধান!!!

[Shirajoddola]

ইনশাআল্লাহ, তাদের কুল অবশ্য অকুলে পরিণত হবে।

[কালো পতাকা]

তাদের চিনার উপায়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করলে উপকৃত হতাম।

https://82.221.139.217/showthread.php?6850

[Muhammad bin maslama]

তাদের চিনার উপায় কি? তারা যেহেতু বেতন বুক্ত তাই তাদের কাজের প্রতি অলসতা থাকবে না।
বিশেষ করে রিটায়ার্ড প্রাপ্ত ত্বাগুতের লোকদের থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাদের দাওয়াহ দেয়া, তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক করা।
#গুয়েন্দারা সাধারণত অসাভাবিক চলাফেরাকে সংদেহ করে। এজন্য অসাভাবিক চলাফেরা বন্ধ করতে হবে।
দাওয়াহ এর কাজে ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে মোবাইলটি অফ করে ব্যাটারি খুলেনিন। এন্ড্রয়েড মোবাইলের ক্ষেত্রে আরো সাবধানতা অবলম্বন করুন। মোবাইলে কোন ফাইল না থাকে, একান্ত দরকার হলে সাথীর কাছে গিয়ে সাথীর মোবাইল/ কম্পিউটার দিয়ে আপনার মেইলগুলো চেক করুন। কারণ ই হলো আপনার প্রধান শুত্রু। সে বলে দেয় কখন এই এলাকায় আসছে,, কখন গেছেন। অন্য বিভাগের একটা নেটওয়ার্ক আরেকটি ঢুকলে সাধারণতই গুয়েন্দারা নজরে আনে। এজন্য দূরবর্তী কোন সফরে মোবাইল ব্যাবহার করা নিষেধ হতে পারে। সাথে মোবাইল থাকলে একটি সাধারণ মোবাইল থাকতে পারে যেমন নকিয়া ১৬০০/১৭০০ মডেলের। এভাবে চললে ইনশাআল্লাহ সিকুরিটি বজায় থাকবে।

[উলামায়ে দেওবন্দ]

আলহামদুলিল্লাহ

[Taalibul ilm]

দাওয়াহ এর কাজে ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে মোবাইলটি অফ করে ব্যাটারি খুলেনিন। >> ব্যাটারী খোলা অবস্থায় পথে চেক এ পরলে কিন্তু সমস্যায় পরার সম্ভাবনা আছে।

[saffat]

jazakallah.