ছেলে বেলায় আট দশটা ছেলে যখন মাঠে ব্যাট বল নিয়ে ঘুড়ে বেড়াত আমি তখন কল্পনার সাগরে ভাসতাম । বাধাহীন কল্পনা। খুব বই পোকা ছিলাম । খেলেধুলার থেকে বইতেই যেন আনন্দ খুজে পেতাম ।শার্লক হোসম ,ফেলুদা কিংবা প্রফেশর শংকুর মাঝে নিজেকে খুজে বেড়াতাম । কল্পনার মাঝে ছুটতে থাকতাম কোন অপরাধীর পেছনে । নিজেকে গোয়েন্দা হিসেবে কল্পনা করতাম। তারপর কেটে গেছে অনেক সময়। স্বৃতীর পটে ঢাকা পরে গেছে সময় গুলো । চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন এসেছে । কল্পনার জগতের হিরো গুলার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ।
তারপর সাহাবাদের ঘটনা পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি । কাব বিন আশরাফের হত্যার কাহিনি পড়ে নিজের গোয়েন্দা হবার বাসনা আবার জেগে উঠেছে । মনে মনে কল্পনার জগতে আবার হারিয়ে গিয়েছি । ছোট বেলার সেই ফেলুদা হবার স্বপ্নে যে ভাটা পড়েছিল তা আবার জাগতে শুরু করল ।
হ্যা আমার মতই অনেকেই হয়ত এইসব গোয়েন্দা কাহিনি পরে সেখানে নিজেকে কল্পনা করেছেন । তাদের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে সেগুলা মনে মনে আওরেছেন । আল্লাহু হু আকবার এক মুজাহীদের জীবনে এই সব যেন নিত্য সংগী । আপনাকে বিভিন্ন সিচুয়েশন থেকে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিতে হচ্ছে ,তাগুতকে ধোকা দিতে হচ্ছে ।
আমাদের অনেকেই এক সময় ডিফেন্সের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল। সেটা হোক বাস্তবের পুলিশ কিংবা আর্মিদের দেখে অথবা মুভিতে ।কিন্তু পরবর্তী সেই দুঃস্বপ্ন থেকে আল্লাহ একজন মুজাহিদ কে হেফাজত করে তার বাহিনির সৈনিক করেছেন। দুনিয়ার তাগুতের সৈনিক হতে হলে তো কত কিছুর যৌগ্যতা লাগে ,হাইট,বডি ফিগার আরো কত কি? অথচ আল্লাহর সৈনিকদের মাঝে শারিরিক ভাবে দূর্বলদের জন্য ব্যাবস্থা আছে । সুনাহান’আল্লাহ একজন মুজাহিদ কতই না লাভবান কতই না মর্যাদাবান ।
জাহেল লাইফে আমরা অনেকেই মুভির নেশায় ডুবে ছিলাম। মুভির হিরোদের সমাজ বিপ্লবি চিন্তা ভাবনা অনেকেই প্রভাবিত করত । সেই রকম কিছু করার স্বপ্ন অনেকেই বুনেছি ।সমাজ টা পালটে দেব ।অন্যায় অত্যাচার রুখে দেব । সুবাহান’আল্লাহ একজন মুজাহিদের জীবনে এই স্বাদ আস্বাদন করার সুযোগ হচ্ছে । সমাজকে মানুষের দাস্বত্ব থেকে রবের দাসত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই একজন মুজাহিদ লড়ে যাচ্ছে। মুভির স্কিনে নয় বাস্তবেই একজন মুজাহিদ সমাজ থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার মুছে দেবার জন্য বদ্ধ পরিকর।
সুবাহান’আল্লাহ একজন মুজাহীদের জীবনে কি নেই? একজন মুজাহীদ তার রবের সন্তুষ্টির জন্য ঘুরে বেরাচ্ছে আপন নিবাস ছেরে । কখন বনে ,কখনো পাহাড়ে ,কখন নদীতে আবার মরুভুমির বালীতে সে বিচরন করে বেরাচ্ছে । যেভাবে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন প্রান প্রিয় সাহাবারা (রা) এক যুদ্ধের ময়দান থেকে আরেক যুদ্ধের ময়দান। সাহাবারা তাদের জীবনের বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করেছেন জিহাদের ময়দানে । বর্তমান যুগে মুজাহিদরাই তো সেই জামাতের সব থেকে কাছের । যাদের দিন কাটে যুদ্ধের ময়দানে আর রাত কাটে জায়নামাযে।
অনেকের ধারনা এই লোকগুলা বুঝি অনেক বদমেজাজি এদের জীবনে কোন অনুভুতি নেই ,হাসি কান্না নেই । এরা ব্রেইনওয়াশ । ইস তারা যদি মুজাহিদের ক্যাম্প গুলো থেকে একবার ঘুরে যেত। দেখত তাদের চোখের পানি গুলো কিভাবে ঝরে পড়ছে রবের দরবারে । যদি দেখত এই অনুভুতি হীন মানুষ গুলো আরাম আয়েশের জিন্দিগী ছেড়ে কিভাবে উম্মাহর টানে চলে এসেছে । এরা যদি দেখত উম্মাহর অবস্থা দেখে কিভাবে ক্ষতবিক্ষত হয় তাদের অন্তর । এরা যদি দেখত কথা বলার আগেই এদের অনেকের চোখের পানি ঝরে পড়ে। তাহলে ইনশা’আল্লাহ এরা এদের অন্তভুক্ত হয়ে যেত ।
একবার এক ভাই বলেছিলেন , একজন সত্যিকার পুরুষ জীবনে যা চায় তার সব কিছুই আছে মুজাহীদদের জীবনে । হ্যা এটাই সত্যিকার পুরুষের জীবন ।যেখানে আছে রোমাঞ্চ,লড়াই,হারানোর বেদনা,বিজয়ের উল্লাস আর সব থেকে বড় পাওনা রবের সন্তুষ্টি । এই জীবন থেকে তো শুধু মাত্র তারাই পিছনে পড়ে থাকতে পারে । যাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন,
وَلَوْ أَرَادُواْ الْخُرُوجَ لأَعَدُّواْ لَهُ عُدَّةً وَلَـكِن كَرِهَ اللّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُواْ مَعَ الْقَاعِدِينَ
আর যদি তারা বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক। [ সুরা তাওবা ৯:৪৬ ]
তারপর সাহাবাদের ঘটনা পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি । কাব বিন আশরাফের হত্যার কাহিনি পড়ে নিজের গোয়েন্দা হবার বাসনা আবার জেগে উঠেছে । মনে মনে কল্পনার জগতে আবার হারিয়ে গিয়েছি । ছোট বেলার সেই ফেলুদা হবার স্বপ্নে যে ভাটা পড়েছিল তা আবার জাগতে শুরু করল ।
হ্যা আমার মতই অনেকেই হয়ত এইসব গোয়েন্দা কাহিনি পরে সেখানে নিজেকে কল্পনা করেছেন । তাদের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে সেগুলা মনে মনে আওরেছেন । আল্লাহু হু আকবার এক মুজাহীদের জীবনে এই সব যেন নিত্য সংগী । আপনাকে বিভিন্ন সিচুয়েশন থেকে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিতে হচ্ছে ,তাগুতকে ধোকা দিতে হচ্ছে ।
আমাদের অনেকেই এক সময় ডিফেন্সের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল। সেটা হোক বাস্তবের পুলিশ কিংবা আর্মিদের দেখে অথবা মুভিতে ।কিন্তু পরবর্তী সেই দুঃস্বপ্ন থেকে আল্লাহ একজন মুজাহিদ কে হেফাজত করে তার বাহিনির সৈনিক করেছেন। দুনিয়ার তাগুতের সৈনিক হতে হলে তো কত কিছুর যৌগ্যতা লাগে ,হাইট,বডি ফিগার আরো কত কি? অথচ আল্লাহর সৈনিকদের মাঝে শারিরিক ভাবে দূর্বলদের জন্য ব্যাবস্থা আছে । সুনাহান’আল্লাহ একজন মুজাহিদ কতই না লাভবান কতই না মর্যাদাবান ।
জাহেল লাইফে আমরা অনেকেই মুভির নেশায় ডুবে ছিলাম। মুভির হিরোদের সমাজ বিপ্লবি চিন্তা ভাবনা অনেকেই প্রভাবিত করত । সেই রকম কিছু করার স্বপ্ন অনেকেই বুনেছি ।সমাজ টা পালটে দেব ।অন্যায় অত্যাচার রুখে দেব । সুবাহান’আল্লাহ একজন মুজাহিদের জীবনে এই স্বাদ আস্বাদন করার সুযোগ হচ্ছে । সমাজকে মানুষের দাস্বত্ব থেকে রবের দাসত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই একজন মুজাহিদ লড়ে যাচ্ছে। মুভির স্কিনে নয় বাস্তবেই একজন মুজাহিদ সমাজ থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার মুছে দেবার জন্য বদ্ধ পরিকর।
সুবাহান’আল্লাহ একজন মুজাহীদের জীবনে কি নেই? একজন মুজাহীদ তার রবের সন্তুষ্টির জন্য ঘুরে বেরাচ্ছে আপন নিবাস ছেরে । কখন বনে ,কখনো পাহাড়ে ,কখন নদীতে আবার মরুভুমির বালীতে সে বিচরন করে বেরাচ্ছে । যেভাবে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন প্রান প্রিয় সাহাবারা (রা) এক যুদ্ধের ময়দান থেকে আরেক যুদ্ধের ময়দান। সাহাবারা তাদের জীবনের বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করেছেন জিহাদের ময়দানে । বর্তমান যুগে মুজাহিদরাই তো সেই জামাতের সব থেকে কাছের । যাদের দিন কাটে যুদ্ধের ময়দানে আর রাত কাটে জায়নামাযে।
অনেকের ধারনা এই লোকগুলা বুঝি অনেক বদমেজাজি এদের জীবনে কোন অনুভুতি নেই ,হাসি কান্না নেই । এরা ব্রেইনওয়াশ । ইস তারা যদি মুজাহিদের ক্যাম্প গুলো থেকে একবার ঘুরে যেত। দেখত তাদের চোখের পানি গুলো কিভাবে ঝরে পড়ছে রবের দরবারে । যদি দেখত এই অনুভুতি হীন মানুষ গুলো আরাম আয়েশের জিন্দিগী ছেড়ে কিভাবে উম্মাহর টানে চলে এসেছে । এরা যদি দেখত উম্মাহর অবস্থা দেখে কিভাবে ক্ষতবিক্ষত হয় তাদের অন্তর । এরা যদি দেখত কথা বলার আগেই এদের অনেকের চোখের পানি ঝরে পড়ে। তাহলে ইনশা’আল্লাহ এরা এদের অন্তভুক্ত হয়ে যেত ।
একবার এক ভাই বলেছিলেন , একজন সত্যিকার পুরুষ জীবনে যা চায় তার সব কিছুই আছে মুজাহীদদের জীবনে । হ্যা এটাই সত্যিকার পুরুষের জীবন ।যেখানে আছে রোমাঞ্চ,লড়াই,হারানোর বেদনা,বিজয়ের উল্লাস আর সব থেকে বড় পাওনা রবের সন্তুষ্টি । এই জীবন থেকে তো শুধু মাত্র তারাই পিছনে পড়ে থাকতে পারে । যাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন,
وَلَوْ أَرَادُواْ الْخُرُوجَ لأَعَدُّواْ لَهُ عُدَّةً وَلَـكِن كَرِهَ اللّهُ انبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ اقْعُدُواْ مَعَ الْقَاعِدِينَ
আর যদি তারা বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক। [ সুরা তাওবা ৯:৪৬ ]
Comment