শামে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে আল কায়িদাতুল জিহাদ ফী বিলাদ আশ শাম [জাবহাতুন নুসরা] এর আমীর শায়খ আল ফাতেহ আবু মুহাম্মাদ আল জাওলানী হাফিযাহুল্লাহ এর বক্তব্য।
শায়খের অসাধারণ এই বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরছি। ইন শা আল্লাহ এটা বাংলাদেশের ভাইদের জন্যও অনুপ্রেরণার একটি উৎস হবে।
__________
*সময়ের (সদ্ব্যবহারের) ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারণ শত্রুর মুখোমুখি হবার আগেই সময় আপনাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সতর্কতা আর ভয়ের মধ্যে পার্থক্য করুন। ভীতু ব্যক্তি শত্রুকে হত্যা করার চাইতে নিজের জীবনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আর তাই পেছনে বসে থাকা লোকদের সাথে বসে থাকা-ই তার জন্য অধিক মানানসই। কিন্তু সাহসী ও শক্তিমান ব্যক্তি জানে কখন অগ্রসর হতে হয় আর কখন পেছাতে হয়। যতোটা ভালোভাবে সে নিজেকে চেনে এরচে বেশি সে তার শত্রুকে চেনে। যখন তাঁকে কোনো কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়, সে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করে, আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে তাঁর কাছে যা আছে তাই নিয়ে যথাসাধ্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তো খেজুরের ডাল দিয়েও একটি দলকে প্রস্তুত করেছিলেন। সে হলো শক্তিমান ব্যক্তি, যে তাঁর শত্রুর প্রতি কঠোর আর তাঁর সঙ্গীদের প্রতি কোমল। চূড়ান্ত আঘাত হানা ছাড়া আর কোনো কারণে সে তাঁর তলোয়ার খাপমুক্ত করে না। যখন বিজয়ী হয়, তখন সে প্রতিশোধ নেয় না এবং কাউকে অপমানিত না করতে সে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সে বিপদের সময় পিছু হটে না আর লোভের সময় ( গানীমাহ বিতরণের সময়) অগ্রবর্তী হয় না। সে চিন্তা করে এবং নিজের চিন্তা প্রকাশ করে, কারণ চিন্তা ছাড়া তরবারি তার নিজ মালিককেই হত্যা করে।
শত্রু তরবারি দ্বারা যতোটা পরাজিত হয়, তার চাইতে বেশি পরাজিত হয় সুচিন্তিত কৌশলের কাছে। যে ব্যক্তি সাহসী ও শক্তিমান সে কখনো বিশ্রাম নেয় না, কারণ সে জানে শত্রু এক মুহূর্তের জন্য তাদের কাজ বন্ধ রাখছে না। আর তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সে তাঁর শত্রুর হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে বের করে এনে তাকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তোলে। সে হলো এমন এক দুঃসাহসী অভিযাত্রী যে বিপদে ভয় পায় না, বরং আগ বাড়িয়ে তাতে ঝাপ দেয়। সে হাসিমুখে মুসলিম উম্মাহর জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়। তবে সে একজন উত্তেজনা অন্বেষী হঠকারী ব্যক্তি নয়, যে কিনা নিজের উত্তেজনার খাতিরে উম্মাহর কল্যাণকে বিসর্জন দেয়। সে নিজের শক্তিমত্তাকে নিজের বিভ্রান্তির কারণ হতে দেয় না এবং সে তাঁর শত্রুকে ছোট করে দেখে না। সে তাঁর সঙ্গী যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি একজন অকৃত্তিম, আন্তরিক বন্ধু, আর তাঁর শত্রুদের প্রতি রুক্ষ ও অত্যন্ত কঠোর। শত্রুরা তাদের ইচ্ছেমতো তাঁকে যুদ্ধে টেনে আনতে পারে না, বরং সে তাঁর সুবিধামতো ও পছন্দনীয় সময়ে তাঁর শত্রুকে যুদ্ধে টেনে আনে। যখন সে আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন সে নেকড়ের মতো আরো বেশী শক্তিশালী ও হিংস্র হয়ে ওঠে। মুসলিমদের সম্মান ও তাঁদের পবিত্র-ভূমির ব্যাপারে সে গভীর গীরাহ অনুভব করে। যখন মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন তা তাঁর মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং সে শোষিতকে শোষকের বিরুদ্ধে বিজয়ী করতে অগ্রসর হয়। সে প্রত্যেক ব্যক্তির আইনগত অধিকারকে সম্মান করে। সে কখনো সঠিক শারিয়াহগত সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে না এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর শারিয়াহ অনুযায়ী করা ফায়সালা মেনে নিতে রাজি থাকে। অহংবোধ কখনো শারিয়াহর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাঁর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
*এক ক্ষমতালোভী উন্মাদের জন্য আর কতোদিন মুসলিমরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে? আর কতোদিন সুন্নিদের রক্ত প্রবাহিত হবে? এক রাষ্ট্র ঘোষণা করছে এই শাসককে (বাশার) ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। আরেক রাষ্ট্র বলছে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে হবে, আর তৃতীয় আরেক পক্ষ এসে বলছে কিছুদিন সে (বাশার) থাকুক, তারপর তাকে অপসারণ করা হবে। না, বরং এই শাসককে হত্যা করা হোক। সাপের মাথায় তার বিষের উৎস। আমরা এই মাথাকেই কেটে ফেলতে চাই।
আমি বাশার আল আসাদের মাথার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করছি। যে তাকে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সে যদি বাশারের পরিবারের সদস্য কিংবা তার অধীনস্ত কোনো ব্যক্তিও হয় তাও। যে বাশার আল-আসাদকে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে তাদের পছন্দমতো যেকোনো জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে আসা হবে, ইনশাআল্লাহ। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিশ্রুতির দায়িত্ব নিচ্ছি। একইভাবে আমি হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করছি। হাসান নাসরুল্লাহকে যে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে নিরাপদে তাদের পছন্দমতো যেকোনো জায়গায় পৌঁছে দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ, যদি সে ব্যক্তি হাসান নাসরুল্লাহ-র দলভুক্ত বা পরিবারের সদস্যও হয় তবুও। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিশ্রুতির দায়িত্ব নিচ্ছি।
*
শায়খের অসাধারণ এই বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরছি। ইন শা আল্লাহ এটা বাংলাদেশের ভাইদের জন্যও অনুপ্রেরণার একটি উৎস হবে।
__________
*সময়ের (সদ্ব্যবহারের) ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারণ শত্রুর মুখোমুখি হবার আগেই সময় আপনাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সতর্কতা আর ভয়ের মধ্যে পার্থক্য করুন। ভীতু ব্যক্তি শত্রুকে হত্যা করার চাইতে নিজের জীবনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আর তাই পেছনে বসে থাকা লোকদের সাথে বসে থাকা-ই তার জন্য অধিক মানানসই। কিন্তু সাহসী ও শক্তিমান ব্যক্তি জানে কখন অগ্রসর হতে হয় আর কখন পেছাতে হয়। যতোটা ভালোভাবে সে নিজেকে চেনে এরচে বেশি সে তার শত্রুকে চেনে। যখন তাঁকে কোনো কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়, সে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করে, আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে তাঁর কাছে যা আছে তাই নিয়ে যথাসাধ্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তো খেজুরের ডাল দিয়েও একটি দলকে প্রস্তুত করেছিলেন। সে হলো শক্তিমান ব্যক্তি, যে তাঁর শত্রুর প্রতি কঠোর আর তাঁর সঙ্গীদের প্রতি কোমল। চূড়ান্ত আঘাত হানা ছাড়া আর কোনো কারণে সে তাঁর তলোয়ার খাপমুক্ত করে না। যখন বিজয়ী হয়, তখন সে প্রতিশোধ নেয় না এবং কাউকে অপমানিত না করতে সে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সে বিপদের সময় পিছু হটে না আর লোভের সময় ( গানীমাহ বিতরণের সময়) অগ্রবর্তী হয় না। সে চিন্তা করে এবং নিজের চিন্তা প্রকাশ করে, কারণ চিন্তা ছাড়া তরবারি তার নিজ মালিককেই হত্যা করে।
শত্রু তরবারি দ্বারা যতোটা পরাজিত হয়, তার চাইতে বেশি পরাজিত হয় সুচিন্তিত কৌশলের কাছে। যে ব্যক্তি সাহসী ও শক্তিমান সে কখনো বিশ্রাম নেয় না, কারণ সে জানে শত্রু এক মুহূর্তের জন্য তাদের কাজ বন্ধ রাখছে না। আর তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সে তাঁর শত্রুর হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে বের করে এনে তাকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তোলে। সে হলো এমন এক দুঃসাহসী অভিযাত্রী যে বিপদে ভয় পায় না, বরং আগ বাড়িয়ে তাতে ঝাপ দেয়। সে হাসিমুখে মুসলিম উম্মাহর জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়। তবে সে একজন উত্তেজনা অন্বেষী হঠকারী ব্যক্তি নয়, যে কিনা নিজের উত্তেজনার খাতিরে উম্মাহর কল্যাণকে বিসর্জন দেয়। সে নিজের শক্তিমত্তাকে নিজের বিভ্রান্তির কারণ হতে দেয় না এবং সে তাঁর শত্রুকে ছোট করে দেখে না। সে তাঁর সঙ্গী যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি একজন অকৃত্তিম, আন্তরিক বন্ধু, আর তাঁর শত্রুদের প্রতি রুক্ষ ও অত্যন্ত কঠোর। শত্রুরা তাদের ইচ্ছেমতো তাঁকে যুদ্ধে টেনে আনতে পারে না, বরং সে তাঁর সুবিধামতো ও পছন্দনীয় সময়ে তাঁর শত্রুকে যুদ্ধে টেনে আনে। যখন সে আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন সে নেকড়ের মতো আরো বেশী শক্তিশালী ও হিংস্র হয়ে ওঠে। মুসলিমদের সম্মান ও তাঁদের পবিত্র-ভূমির ব্যাপারে সে গভীর গীরাহ অনুভব করে। যখন মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন তা তাঁর মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং সে শোষিতকে শোষকের বিরুদ্ধে বিজয়ী করতে অগ্রসর হয়। সে প্রত্যেক ব্যক্তির আইনগত অধিকারকে সম্মান করে। সে কখনো সঠিক শারিয়াহগত সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে না এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর শারিয়াহ অনুযায়ী করা ফায়সালা মেনে নিতে রাজি থাকে। অহংবোধ কখনো শারিয়াহর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাঁর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
*এক ক্ষমতালোভী উন্মাদের জন্য আর কতোদিন মুসলিমরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে? আর কতোদিন সুন্নিদের রক্ত প্রবাহিত হবে? এক রাষ্ট্র ঘোষণা করছে এই শাসককে (বাশার) ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। আরেক রাষ্ট্র বলছে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে হবে, আর তৃতীয় আরেক পক্ষ এসে বলছে কিছুদিন সে (বাশার) থাকুক, তারপর তাকে অপসারণ করা হবে। না, বরং এই শাসককে হত্যা করা হোক। সাপের মাথায় তার বিষের উৎস। আমরা এই মাথাকেই কেটে ফেলতে চাই।
আমি বাশার আল আসাদের মাথার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করছি। যে তাকে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সে যদি বাশারের পরিবারের সদস্য কিংবা তার অধীনস্ত কোনো ব্যক্তিও হয় তাও। যে বাশার আল-আসাদকে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে তাদের পছন্দমতো যেকোনো জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে আসা হবে, ইনশাআল্লাহ। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিশ্রুতির দায়িত্ব নিচ্ছি। একইভাবে আমি হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার জন্য ২ মিলিয়ন ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করছি। হাসান নাসরুল্লাহকে যে হত্যা করবে, তাকে ও তার পরিবারকে নিরাপদে তাদের পছন্দমতো যেকোনো জায়গায় পৌঁছে দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ, যদি সে ব্যক্তি হাসান নাসরুল্লাহ-র দলভুক্ত বা পরিবারের সদস্যও হয় তবুও। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিশ্রুতির দায়িত্ব নিচ্ছি।
*
Comment