জিহাদের পথে বিপদ আসার উদ্ধ্যেশ্য, যেগুলো আল্লাহ তায়ালা নিজ কিতাবে বর্ণনা করেছেনঃ-
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا! (যাতে করে আল্লাহ তা'আলা ঈমানদারদের ব্যাপারে জানতে পারেন)
যার ফলে মমিন এবং মোনাফেক, মোখলেছ এবং ইখলাস নেই, মুজাহিদ এবং মুজাহিদ নয়, মিথ্যা এবং সত্যের মধ্যে পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হয় এবং খারাপ থেকে ভালো পৃথক করে নিতে পারেন।
অতঃপর খারাপটা ভালো থেকে পৃথক হয়ে যাবে এবং যে ঘৃণ্য হওয়া সত্তেও নিজেকে ভালো বলে প্রকাশ করেছে তারা পিছন ফিরে ভেগে যাবে এবং যারা ভালো ও সত্যবাদী আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে দৃঢ় রাখবেন এবং আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে সত্য করে দেখাবেন।
মিথ্যাবাদী লোকেরা স্রষ্টা এবং সৃষ্টি জীব দুজনের সামনেই অপদস্থ হয় ও পরাজিত হয়। অন্যদিকে সত্যবাদীদের আল্লাহ তাআলা দুনিয়া এবং আখেরাতে উচ্চ মর্যাদা দান করে
যখন বিপদ ঘিরে ধরে ও কষ্ট বেড়ে যায় এবং সংকীর্ণতা অনুভব হতে থাকে তখন এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈমানদারদের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। عِظَمُ الْجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ الْبَلَاءِ অধিক কষ্টের অধিক প্রতিদান।
রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বিপদ যত কঠিন হবে, বিপদ যত বড় হবে প্রতিদানও তত বৃদ্ধি পাবে। জান্নাতের মধ্যে ঈমানদারদের জন্য এবং মুজাহিদের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেকগুলো স্তর রেখেছেন।
যখন কোন আল্লাহওয়ালার উপর বিপদ আসে তখন এই উদ্দেশ্য মনে করতে হবে যে, এর দ্বারা আমার গুনাহ মাফ হচ্ছে এবং জান্নাতের স্তর সমূহ থেকে অনেক উচ্চ স্তর আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য রেখেছেন যা এই বিপদের দ্বারা সেই স্তরে পৌঁছানো হচ্ছে। তবে ধৈর্য ধরা শর্ত। প্রতিদানের নিয়তে ধৈর্য ধরতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ ویتخذ منکم شھداء ( তোমাদের মধ্য থেকে শহীদদেরকে গ্রহণ করবেন)
আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে, যারা রাস্তায় বের হয়েছে, যারা আল্লাহ জন্য নিজেকে কুরবানী করার তামান্না পোষণ করে, যাদের অন্তর একনিষ্ঠতায় পরিপূর্ণ তাদেরকে তিনি নিজের কাছে ডেকে নিয়ে যান। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তোমাদের শরীরের দিকে তাকাবেন না এবং তোমাদের মাল এর দিকেও তাকাবেন না বরং তিনিই তোমাদের অন্তর এর দিকে তাকাবেন।
আল্লাহ তাআলা অন্তরে অবস্থা জানেন অন্তরসমূহকে দেখেন তাই তিনি এই সমস্ত মুমিনদেরকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে যান। আর যখন তিনি তাকে নিজের সান্নিধ্যে নিতে চান তো সেই মুহূর্তে তার শত্রু কে তার ওপর বিজয়ী করে দেন। তখন সে দুশমনের বোমার আঘাতে, দুশমনের গুলির কারণে, দুশমনের কঠিনতার কারনে ও তার কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে শহীদ হয়ে যায়। দুশমন খুশি প্রকাশ করে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার মাধ্যমে মুমিনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়ে, সারা জীবনের আশা বাস্তবায়িত হয়। তার মাধ্যমে সে তার ঠিকানা পেয়ে যায় এবং সে তার রবের পাশে জান্নাতে পৌছে যায়।
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ ( যাতে করে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদেরকে সংশোধন করতে পারেন )
সেই ইমানদারের উপর যখন কোনো বিপদ আসে তখন সে তার গুনাহ সমূহের উপর দৃষ্টি দেয়, সে বিরোধীটা এবং পিছিয়ে পড়ার মনোভাব প্রকাশ করে না বরং সে নিজেই পর্যালোচনা সাথে কাজ করে। সাথে সাথে দৌড়ে যায় এবং নিজের পরিশুদ্ধ করে নেয়। সে তখন নিজেকে পরিশোধিত করে, নিজের আন্দোলনকে সংশোধন করে, নিজের জামাতে ইসলাহ করে, নিজের পূর্ন সফরটাকে আবার ঠিক করে নেই। তখন সে এই বিপদের মাধ্যমে নিজেকে পবিত্র করে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং তার জিহাদী কার্যক্রম শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হয়। দ্রুত থেকেই দ্রুততার সাথে সামনে বেড়ে যায়। অভিজ্ঞতা অর্জন হয় এবং তার এই কার্যক্রম মুসলমান জনসাধারনের জন্য আরও অধিক রহমান এবং বরকত নিয়ে আসে।
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ ( যাতে কাফেরদের কে ধ্বংস করতে পারেন )
এ বিপদের মধ্যমে দুশমনদের ধ্বংস থেক। মুমিনদের উপর যখন জালেমদেরকে সাময়িক বিজয়ী দেওয়া হয় তখন তার নষ্টামি, দ্বীনের বিরোধিতা এবং দ্বীনদারদের বিরোধিতা, দ্বীনের বিরুদ্ধে তার অন্তরে গোপন থাকা কঠিন ঘৃণা এবং বুকের মধ্যে লুকায়িত জানোয়ার থেকেও বেশি হিংস্র অন্তর টা খুলে সামনে এসে যায়। পাকিসতানে এই জালেম অবস্থা দেখুন; এখন কেমন ভাবে তাদের নষ্টামী, দ্বীনের বিরোধিতা এবং দ্বীনদারদের প্রতি ঘৃণা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থা দেখুন; বাংলাদেশের মধ্যে মুমিন এবং মুসলমানদের সাথে কত কিছু হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই বাতিলদের বাতিল হওয়াটা এই বিপদের মধ্যে আরও অধিক স্পষ্ট হয়ে যায়। এবং প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী ইনসাফ ও ন্যায়ের সাথে কাজ পরিচালনাকারী অন্তর এবং মনের ভেতর জালেমদের নষ্টামি ব্যপারে কোনো ধরনের সন্দেহ-সংশয় থাকে না এবং আল্লাহ তায়ালা ও তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ কে প্রতিষ্ঠা করে দেন। তখন তাদের ধ্বংসের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায় এবং তাদের রশিকে আল্লাহ তায়ালা প্রমাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টানা শুরু করে দেন। তাই বিপদের মাধ্যমে মূলত মুজাহিদদের ভালোই হয়ে থাকে।
হে আমার ভাইয়েরা! হকের আন্দোলন, হেদায়েতের আন্দোলন এমন কার্যক্রম যা মানুষদেরকে হেদায়াতের দিকে নিয়ে আসে এবং মানুষের হেদায়েতের জন্য জালেমদের সাথে লড়াই করে। এগুলো অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং ঈমাম ব্যতীত চলতে পারে না। হকের আন্দোলনের জন্য প্রত্যেক যামানাতেই এবং প্রত্যেক স্তরে এমন কিছু ব্যক্তি প্রয়োজন যাদের একনিষ্ঠতাকে, যাদের ধৈর্যকে, যাদের দৃঢ়তা এবং স্থিরতাকে ও দিনের জন্য কুরবানী পেশ করাকে দেখে প্রত্যক্ষকারীরা হেদায়াতের দিকে দাওয়াত পেয়ে যাবে। এবং তার পরবর্তীতে আসা হকের পথে পথিক ব্যক্তিদের দৃঢ়তা এবং স্থিরতার শিক্ষার মিলে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দোয়া শিখিয়েছেনঃ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম বানিয়ে দিন। হেদায়াতের পথে ইমাম হওয়া অতি সহজ কাজ নয়। এই রাস্তা বিপদের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়। وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ ( যখন আল্লাহ তায়ালার ইব্রাহিম কে কিছু কাজের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলেন তখন তিনি তা পরিপূর্ণ করেন ) আল্লাহ তায়ালা উনাকে বিপদের ঘাঁটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আর যখন তিনি তাতে পাশ করলেন। তখন আল্লাহ তাআলা উনাকে বললেনঃ قالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاس إِمَامًا ( নিশ্চয়ই আমি তোমাকে লোকদের ওপর ইমাম বানিয়ে দিব ) ...... এটা কখন বলেছেন ? বিপদের সমুদ্র থেকে সফল হয়ে বের হওয়ার পর।
হে ভাইয়েরা! সত্য রাস্থার ওপর যখন কাউকে অনুসরণীয় এবং ইমাম বানানো হয়, যাতে করে পরবর্তীরা এই অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব কে দেখে নিজেদের অন্তরে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করবে, দ্বীনের উপর আমল করবে, দিনের পথে বড় বড় কুরবানী জন্য নিজেকে পেশ করবে। তখন এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তায়ালা বিপদের মধ্যে ফেলেন। আব্দুর রশিদ গাজী রাহিমাহুল্লাহর দৃষ্টান্ত দেখুন। তাকেও এই বিপদের ঘাঁটিতে ফেলা হয়েছিল, তখন তিনি দৃঢ় এবং স্থির হয়ে গিয়েছিলেন। যার ফলে ইমাম হয়ে গেছেন। এই দৃষ্টান্ত যা তারা দেখিয়ে গেছেন, যার ফলে পাকিস্তানের মাটিতে জিহাদের কার্যক্রম দৃঢ় ভাবে গেঁড়ে যায়।
বয়ান: ফুৎকার দিয়ে এই বাতি নিভানো যাবে না - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফি:
সূত্রঃ- তাহরীদ মিডিয়ার টেলেগ্রাম চ্যানেল থেকে
প্রথম উদ্দেশ্য: মুখলিস ও ইখলাস বিহীন লোকের মধ্যে পার্থক্য।
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا! (যাতে করে আল্লাহ তা'আলা ঈমানদারদের ব্যাপারে জানতে পারেন)
যার ফলে মমিন এবং মোনাফেক, মোখলেছ এবং ইখলাস নেই, মুজাহিদ এবং মুজাহিদ নয়, মিথ্যা এবং সত্যের মধ্যে পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হয় এবং খারাপ থেকে ভালো পৃথক করে নিতে পারেন।
অতঃপর খারাপটা ভালো থেকে পৃথক হয়ে যাবে এবং যে ঘৃণ্য হওয়া সত্তেও নিজেকে ভালো বলে প্রকাশ করেছে তারা পিছন ফিরে ভেগে যাবে এবং যারা ভালো ও সত্যবাদী আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে দৃঢ় রাখবেন এবং আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে সত্য করে দেখাবেন।
মিথ্যাবাদী লোকেরা স্রষ্টা এবং সৃষ্টি জীব দুজনের সামনেই অপদস্থ হয় ও পরাজিত হয়। অন্যদিকে সত্যবাদীদের আল্লাহ তাআলা দুনিয়া এবং আখেরাতে উচ্চ মর্যাদা দান করে
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য: ঈমানদারদের উত্তম প্রতিদান বৃদ্ধি করা
যখন বিপদ ঘিরে ধরে ও কষ্ট বেড়ে যায় এবং সংকীর্ণতা অনুভব হতে থাকে তখন এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈমানদারদের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। عِظَمُ الْجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ الْبَلَاءِ অধিক কষ্টের অধিক প্রতিদান।
রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: বিপদ যত কঠিন হবে, বিপদ যত বড় হবে প্রতিদানও তত বৃদ্ধি পাবে। জান্নাতের মধ্যে ঈমানদারদের জন্য এবং মুজাহিদের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেকগুলো স্তর রেখেছেন।
যখন কোন আল্লাহওয়ালার উপর বিপদ আসে তখন এই উদ্দেশ্য মনে করতে হবে যে, এর দ্বারা আমার গুনাহ মাফ হচ্ছে এবং জান্নাতের স্তর সমূহ থেকে অনেক উচ্চ স্তর আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য রেখেছেন যা এই বিপদের দ্বারা সেই স্তরে পৌঁছানো হচ্ছে। তবে ধৈর্য ধরা শর্ত। প্রতিদানের নিয়তে ধৈর্য ধরতে হবে।
তৃতীয় উদ্দেশ্য: শহীদদেরকে গ্রহণ করা
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ ویتخذ منکم شھداء ( তোমাদের মধ্য থেকে শহীদদেরকে গ্রহণ করবেন)
আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে, যারা রাস্তায় বের হয়েছে, যারা আল্লাহ জন্য নিজেকে কুরবানী করার তামান্না পোষণ করে, যাদের অন্তর একনিষ্ঠতায় পরিপূর্ণ তাদেরকে তিনি নিজের কাছে ডেকে নিয়ে যান। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তোমাদের শরীরের দিকে তাকাবেন না এবং তোমাদের মাল এর দিকেও তাকাবেন না বরং তিনিই তোমাদের অন্তর এর দিকে তাকাবেন।
আল্লাহ তাআলা অন্তরে অবস্থা জানেন অন্তরসমূহকে দেখেন তাই তিনি এই সমস্ত মুমিনদেরকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে যান। আর যখন তিনি তাকে নিজের সান্নিধ্যে নিতে চান তো সেই মুহূর্তে তার শত্রু কে তার ওপর বিজয়ী করে দেন। তখন সে দুশমনের বোমার আঘাতে, দুশমনের গুলির কারণে, দুশমনের কঠিনতার কারনে ও তার কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে শহীদ হয়ে যায়। দুশমন খুশি প্রকাশ করে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার মাধ্যমে মুমিনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়ে, সারা জীবনের আশা বাস্তবায়িত হয়। তার মাধ্যমে সে তার ঠিকানা পেয়ে যায় এবং সে তার রবের পাশে জান্নাতে পৌছে যায়।
চতুর্থ উদ্দেশ্যঃ মুজাহিদদেরকে প্রশিক্ষণ এবং সংশোধন
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ ( যাতে করে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদেরকে সংশোধন করতে পারেন )
সেই ইমানদারের উপর যখন কোনো বিপদ আসে তখন সে তার গুনাহ সমূহের উপর দৃষ্টি দেয়, সে বিরোধীটা এবং পিছিয়ে পড়ার মনোভাব প্রকাশ করে না বরং সে নিজেই পর্যালোচনা সাথে কাজ করে। সাথে সাথে দৌড়ে যায় এবং নিজের পরিশুদ্ধ করে নেয়। সে তখন নিজেকে পরিশোধিত করে, নিজের আন্দোলনকে সংশোধন করে, নিজের জামাতে ইসলাহ করে, নিজের পূর্ন সফরটাকে আবার ঠিক করে নেই। তখন সে এই বিপদের মাধ্যমে নিজেকে পবিত্র করে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং তার জিহাদী কার্যক্রম শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হয়। দ্রুত থেকেই দ্রুততার সাথে সামনে বেড়ে যায়। অভিজ্ঞতা অর্জন হয় এবং তার এই কার্যক্রম মুসলমান জনসাধারনের জন্য আরও অধিক রহমান এবং বরকত নিয়ে আসে।
পঞ্চম উদ্দেশ্যঃ দ্বীনের দুশমনদেরকে ধ্বংস করা
আল্লাহ তায়ালা ফরমায়েছেনঃ وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ ( যাতে কাফেরদের কে ধ্বংস করতে পারেন )
এ বিপদের মধ্যমে দুশমনদের ধ্বংস থেক। মুমিনদের উপর যখন জালেমদেরকে সাময়িক বিজয়ী দেওয়া হয় তখন তার নষ্টামি, দ্বীনের বিরোধিতা এবং দ্বীনদারদের বিরোধিতা, দ্বীনের বিরুদ্ধে তার অন্তরে গোপন থাকা কঠিন ঘৃণা এবং বুকের মধ্যে লুকায়িত জানোয়ার থেকেও বেশি হিংস্র অন্তর টা খুলে সামনে এসে যায়। পাকিসতানে এই জালেম অবস্থা দেখুন; এখন কেমন ভাবে তাদের নষ্টামী, দ্বীনের বিরোধিতা এবং দ্বীনদারদের প্রতি ঘৃণা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থা দেখুন; বাংলাদেশের মধ্যে মুমিন এবং মুসলমানদের সাথে কত কিছু হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এই বাতিলদের বাতিল হওয়াটা এই বিপদের মধ্যে আরও অধিক স্পষ্ট হয়ে যায়। এবং প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী ইনসাফ ও ন্যায়ের সাথে কাজ পরিচালনাকারী অন্তর এবং মনের ভেতর জালেমদের নষ্টামি ব্যপারে কোনো ধরনের সন্দেহ-সংশয় থাকে না এবং আল্লাহ তায়ালা ও তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ কে প্রতিষ্ঠা করে দেন। তখন তাদের ধ্বংসের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায় এবং তাদের রশিকে আল্লাহ তায়ালা প্রমাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টানা শুরু করে দেন। তাই বিপদের মাধ্যমে মূলত মুজাহিদদের ভালোই হয়ে থাকে।
ষষ্ঠ উদ্দেশ্যঃ উম্মাহর যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি
হে আমার ভাইয়েরা! হকের আন্দোলন, হেদায়েতের আন্দোলন এমন কার্যক্রম যা মানুষদেরকে হেদায়াতের দিকে নিয়ে আসে এবং মানুষের হেদায়েতের জন্য জালেমদের সাথে লড়াই করে। এগুলো অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং ঈমাম ব্যতীত চলতে পারে না। হকের আন্দোলনের জন্য প্রত্যেক যামানাতেই এবং প্রত্যেক স্তরে এমন কিছু ব্যক্তি প্রয়োজন যাদের একনিষ্ঠতাকে, যাদের ধৈর্যকে, যাদের দৃঢ়তা এবং স্থিরতাকে ও দিনের জন্য কুরবানী পেশ করাকে দেখে প্রত্যক্ষকারীরা হেদায়াতের দিকে দাওয়াত পেয়ে যাবে। এবং তার পরবর্তীতে আসা হকের পথে পথিক ব্যক্তিদের দৃঢ়তা এবং স্থিরতার শিক্ষার মিলে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দোয়া শিখিয়েছেনঃ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম বানিয়ে দিন। হেদায়াতের পথে ইমাম হওয়া অতি সহজ কাজ নয়। এই রাস্তা বিপদের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়। وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ ( যখন আল্লাহ তায়ালার ইব্রাহিম কে কিছু কাজের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলেন তখন তিনি তা পরিপূর্ণ করেন ) আল্লাহ তায়ালা উনাকে বিপদের ঘাঁটিতে ফেলে দিয়েছিলেন আর যখন তিনি তাতে পাশ করলেন। তখন আল্লাহ তাআলা উনাকে বললেনঃ قالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاس إِمَامًا ( নিশ্চয়ই আমি তোমাকে লোকদের ওপর ইমাম বানিয়ে দিব ) ...... এটা কখন বলেছেন ? বিপদের সমুদ্র থেকে সফল হয়ে বের হওয়ার পর।
হে ভাইয়েরা! সত্য রাস্থার ওপর যখন কাউকে অনুসরণীয় এবং ইমাম বানানো হয়, যাতে করে পরবর্তীরা এই অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব কে দেখে নিজেদের অন্তরে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করবে, দ্বীনের উপর আমল করবে, দিনের পথে বড় বড় কুরবানী জন্য নিজেকে পেশ করবে। তখন এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তায়ালা বিপদের মধ্যে ফেলেন। আব্দুর রশিদ গাজী রাহিমাহুল্লাহর দৃষ্টান্ত দেখুন। তাকেও এই বিপদের ঘাঁটিতে ফেলা হয়েছিল, তখন তিনি দৃঢ় এবং স্থির হয়ে গিয়েছিলেন। যার ফলে ইমাম হয়ে গেছেন। এই দৃষ্টান্ত যা তারা দেখিয়ে গেছেন, যার ফলে পাকিস্তানের মাটিতে জিহাদের কার্যক্রম দৃঢ় ভাবে গেঁড়ে যায়।
বয়ান: ফুৎকার দিয়ে এই বাতি নিভানো যাবে না - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফি:
সূত্রঃ- তাহরীদ মিডিয়ার টেলেগ্রাম চ্যানেল থেকে
Comment