বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
ব্যথিত হৃদয় যখন ক্ষত-বিক্ষতঃ বাংলার কুলাঙ্গারদের অপকর্ম
হৃদয় আল্লাহ তাআলার মহান এক দান। এই হৃদয়ে যদি স্থান পায় ঈমান তবেই সে সফল। সাথে যদি অতিক্রম করতে পারে ঈমানের কারণে আসা বাধা-বিপত্তি তাহলে তো সে মহা সফল। অবদানটা কিন্তু হৃদয়ের।
পক্ষান্তরে এই হৃদয়ই যখন ঠিক তার বিপরীত মেরুতে চলতে থাকে তখন তার পরিণতিটাও হয় চরম।
আল্লাহ তাআলা এজন্যই বলেছেন,
আমি তাদেরকে পথ দেখিয়েছি। অতঃপর তাদের কেউ হয়েছে কৃতজ্ঞ আর কেউ হয়ে কৃতঘ্ন।
মানুষ যখন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখতে পায় তখন তার হৃদয়টা কেঁপে উঠে আবার যখন কোন খুশির বিষয়ে অবলোকন করে তখনও তার হৃদয়টা দোল খায়।
কিন্তু এতদ্বুভয়ের মঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ।
সম্প্রতি আমাদের কাছে যখন আরাকানের অসহায় মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছিল আমাদের হৃদয়গুলোও কেঁপে উঠছিল। কারো হৃদয় ন্যাড়া বৌদ্ধদের থেকে প্রতিশোধের লেলিহান শিখাও প্রজ্জলিত হয়েছে। আমার হৃদয়টাও তার ব্যতিক্রম নয়।
যখনই আমার মুসলিম ভাইবোনদের উপর চলমান কোন সিন বা ভিডিও ফুটেজ চোখে পড়েছে হৃদয়টা যেন মোচড় দিয়ে রক্তের বন্য বইয়ে দিয়েছে। দেহের অভ্যান্তরের চেয়ে বাহ্যিকটা ব্যতিক্রম নয়। অবিরাম প্রবাহিত হয়েছে নয়নযুগলও ।
কিন্তু হৃদয়টা আজ যেমন ব্যথিত হয়েছে ইতিপূর্বে কোনদিনই এমন হয় নি।
আমার প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে চড়াই উৎড়াই অতিক্রম করে যখন আমাদের এই বাংলাদেশের বর্ডার পাড়ি দিয়ে এপারে এসেছে তাদের উপর নেমে এসেছে আরেক খড়গ। আমি এই বিশ্বচরাচরে নেমে আসা কোন খড়গের কথ বলছি না।
আজ যখন টেলিগ্রামে মেসেজ চেক করতে বসলাম দেখি চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মত একটা স্ট্যাটাস।
নীচে হুবহু সেটা তুলে ধরলাম:
“বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ করার পর এবার বিচ্ছিন্ন ভাবে/ব্যক্তি উদ্যোগে কিংবা সাংগঠনিক ভাবে ত্রাণ বিতরণ নিষিদ্ধ করল। সমস্ত ত্রাণ, টাকা পয়সা সরকারের নির্দিষ্ট ত্রাণ শাখা এবং একাউন্টে জমা দিতে হবে। অজুহাত হল- ত্রাণ সহায়তার আড়ালে কেও যেন ধর্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার না করতে পারে।
ভারতপন্থী সরকারের এটি এক যথোপযুক্ত কৌশল। কোন বুদ্ধিমান, কূটনীতিক, ধূর্ত সরকার এমন পদক্ষেপই নিবে। তবে সারাটা জীবন দিয়ে গেলে মুসলিমদের বিরুদ্ধেই! মুসলিমদের দমন করতেই সমস্ত ব্রেইন আর শক্তি খাটাল। আল্লাহকে বাদ দিয়ে খুশি করল প্রভূ ভারত কে। আর এই সুযোগে সরকারপন্থীরা একেকজন রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ, টাকা পয়সা... যা আসবে তার শতকরা ৯০ ভাগই গায়েব হবে। হবে মানে কি? অলরেডি হয়েছে এবং হচ্ছে!! মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বিজনেস হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঘিরে। ত্রাণ, টাকা পয়সা যা সাহায্য আসছে সেগুলি তো গায়েব হচ্ছেই সেই সাথে রোহিঙ্গা বোনেরা! যাদের কে পাচার করা হয়েছে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহারের জন্য।”
আমাকে যে বাক্যটি সবচেয়ে বেশি দংশন করছে সেটি হল, সর্ব শেষ বাক্যটি।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই জগতে পঠিয়েছেন কি পতিতাবৃত্তি করার জন্য!! আফসোস! শত আফসোস! এসব কুলাঙ্গারদের জন্য।
রাসূল স. বলেছেন, কোন মুসলমানের গায়ে যদি ছোটখাটো কাঁটার আঘাতও লাগে তার বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে প্রতিদান দেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা মুসলিমরা আজ চরম নির্রযাতিত হয়ে দুনিয়ার জীবনটা কাটাচ্ছে চরম অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে। আর এসব কুলাঙ্গারদের জন্য তাদের জন্য আখেরাতেও কি হতভাগ্য অবধারিত!!!!
কলিজাটা আমার চৌচির!!!!!!!
আমি বৌদ্ধদের চেয়েও বেশি প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেছি এসব কুলাঙ্গারদের প্রতি। দেহে একফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত এসব কুলঙ্গারদের প্রতি তলোয়ার উঁচিয়ে থাকবো। মরণকে আমি হাতছানি দিয়ে ডাকছি। আগে এসব কুলাঙ্গারদের খতম করার দৃঢ় সংকল্প নিলাম।
আল্লাহুম্মারযুকনা শাহাদাহ ফী সাবীলিকা!!!! আমীন।
ব্যথিত হৃদয় যখন ক্ষত-বিক্ষতঃ বাংলার কুলাঙ্গারদের অপকর্ম
হৃদয় আল্লাহ তাআলার মহান এক দান। এই হৃদয়ে যদি স্থান পায় ঈমান তবেই সে সফল। সাথে যদি অতিক্রম করতে পারে ঈমানের কারণে আসা বাধা-বিপত্তি তাহলে তো সে মহা সফল। অবদানটা কিন্তু হৃদয়ের।
পক্ষান্তরে এই হৃদয়ই যখন ঠিক তার বিপরীত মেরুতে চলতে থাকে তখন তার পরিণতিটাও হয় চরম।
আল্লাহ তাআলা এজন্যই বলেছেন,
আমি তাদেরকে পথ দেখিয়েছি। অতঃপর তাদের কেউ হয়েছে কৃতজ্ঞ আর কেউ হয়ে কৃতঘ্ন।
মানুষ যখন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখতে পায় তখন তার হৃদয়টা কেঁপে উঠে আবার যখন কোন খুশির বিষয়ে অবলোকন করে তখনও তার হৃদয়টা দোল খায়।
কিন্তু এতদ্বুভয়ের মঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ।
সম্প্রতি আমাদের কাছে যখন আরাকানের অসহায় মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছিল আমাদের হৃদয়গুলোও কেঁপে উঠছিল। কারো হৃদয় ন্যাড়া বৌদ্ধদের থেকে প্রতিশোধের লেলিহান শিখাও প্রজ্জলিত হয়েছে। আমার হৃদয়টাও তার ব্যতিক্রম নয়।
যখনই আমার মুসলিম ভাইবোনদের উপর চলমান কোন সিন বা ভিডিও ফুটেজ চোখে পড়েছে হৃদয়টা যেন মোচড় দিয়ে রক্তের বন্য বইয়ে দিয়েছে। দেহের অভ্যান্তরের চেয়ে বাহ্যিকটা ব্যতিক্রম নয়। অবিরাম প্রবাহিত হয়েছে নয়নযুগলও ।
কিন্তু হৃদয়টা আজ যেমন ব্যথিত হয়েছে ইতিপূর্বে কোনদিনই এমন হয় নি।
আমার প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে চড়াই উৎড়াই অতিক্রম করে যখন আমাদের এই বাংলাদেশের বর্ডার পাড়ি দিয়ে এপারে এসেছে তাদের উপর নেমে এসেছে আরেক খড়গ। আমি এই বিশ্বচরাচরে নেমে আসা কোন খড়গের কথ বলছি না।
আজ যখন টেলিগ্রামে মেসেজ চেক করতে বসলাম দেখি চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মত একটা স্ট্যাটাস।
নীচে হুবহু সেটা তুলে ধরলাম:
“বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ করার পর এবার বিচ্ছিন্ন ভাবে/ব্যক্তি উদ্যোগে কিংবা সাংগঠনিক ভাবে ত্রাণ বিতরণ নিষিদ্ধ করল। সমস্ত ত্রাণ, টাকা পয়সা সরকারের নির্দিষ্ট ত্রাণ শাখা এবং একাউন্টে জমা দিতে হবে। অজুহাত হল- ত্রাণ সহায়তার আড়ালে কেও যেন ধর্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার না করতে পারে।
ভারতপন্থী সরকারের এটি এক যথোপযুক্ত কৌশল। কোন বুদ্ধিমান, কূটনীতিক, ধূর্ত সরকার এমন পদক্ষেপই নিবে। তবে সারাটা জীবন দিয়ে গেলে মুসলিমদের বিরুদ্ধেই! মুসলিমদের দমন করতেই সমস্ত ব্রেইন আর শক্তি খাটাল। আল্লাহকে বাদ দিয়ে খুশি করল প্রভূ ভারত কে। আর এই সুযোগে সরকারপন্থীরা একেকজন রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাবে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ, টাকা পয়সা... যা আসবে তার শতকরা ৯০ ভাগই গায়েব হবে। হবে মানে কি? অলরেডি হয়েছে এবং হচ্ছে!! মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বিজনেস হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঘিরে। ত্রাণ, টাকা পয়সা যা সাহায্য আসছে সেগুলি তো গায়েব হচ্ছেই সেই সাথে রোহিঙ্গা বোনেরা! যাদের কে পাচার করা হয়েছে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহারের জন্য।”
আমাকে যে বাক্যটি সবচেয়ে বেশি দংশন করছে সেটি হল, সর্ব শেষ বাক্যটি।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই জগতে পঠিয়েছেন কি পতিতাবৃত্তি করার জন্য!! আফসোস! শত আফসোস! এসব কুলাঙ্গারদের জন্য।
রাসূল স. বলেছেন, কোন মুসলমানের গায়ে যদি ছোটখাটো কাঁটার আঘাতও লাগে তার বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে প্রতিদান দেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা মুসলিমরা আজ চরম নির্রযাতিত হয়ে দুনিয়ার জীবনটা কাটাচ্ছে চরম অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে। আর এসব কুলাঙ্গারদের জন্য তাদের জন্য আখেরাতেও কি হতভাগ্য অবধারিত!!!!
কলিজাটা আমার চৌচির!!!!!!!
আমি বৌদ্ধদের চেয়েও বেশি প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেছি এসব কুলাঙ্গারদের প্রতি। দেহে একফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত এসব কুলঙ্গারদের প্রতি তলোয়ার উঁচিয়ে থাকবো। মরণকে আমি হাতছানি দিয়ে ডাকছি। আগে এসব কুলাঙ্গারদের খতম করার দৃঢ় সংকল্প নিলাম।
আল্লাহুম্মারযুকনা শাহাদাহ ফী সাবীলিকা!!!! আমীন।
Comment