জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ৩ ভাবে।
১।শারিরিক ভাবে ২।মানসিক ভাবে ৩। আধ্যাত্মিক ভাবে
১।শারীরিকভাবেঃ ফিটনেস, প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন যুদ্ধ লড়া যায়না। মনে রাখতে হবে এটা সত্যিকারের যুদ্ধ, সিনেমা,গল্প উপন্যাস বা ভিডিও গেম নয়। এখানে আপনি আহত হলে ব্যথা পাবেন, শরীর থেকে সত্যিকারের রক্ত ঝড়বে, মরলে সত্যি সত্যিই মরতে হবে। এখানে গুলি চলবে, বোম্বিং হবে যত্রতত্র, আপনার শত্রু আপনাকে বন্দি করতে পারে, আর বন্দি হলে সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আর তাই প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ছাড়া লড়াই করা বোকামি।
২। মানসিক ভাবেঃ আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কেন এই লড়াই করবেন। আপনাকে বুঝতে হবে এই লড়াই আল্লাহর জন্য লড়াই, তাঁর দ্বীন কে জমিনে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই, এই লড়াই আমার আপনার, সমাস্ত উম্মাহর সম্মান প্রতিষ্ঠার লড়াই, এই লড়াই অধিকার আদায়ের লড়াই। পুরো দুনিয়া আমাদের, আমাদের মুসলিমদের। আমরা এখানে সম্মানের সাথে থাকতে এসেছি। শোষিত হতে নয়, মর্যাদাকে ভুলন্ঠিত হতে দিতে নয়! যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
৩। আধ্যাত্মিক ভাবেঃ আপনি জানেন আপনার শত্রু সংখ্যাতে বহু বহু গুণ বেশি, আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রও অজস্র, তাদের প্রশিক্ষণও ওয়ার্ল্ড ক্লাস। আপনি কখনই আপনার সীমিত জনবল,শক্তি, অস্ত্র দিয়ে আপনার শত্রুর সাথে পেরে উঠবেন না। আর তাই এক্ষেত্রে আপনার দরকার এই জগতের রবের সাহায্য! আর রব আপনাকে সাহায্য কেন করবেন? হাদিসে এরকম আছে সাহাবি (রা) রা দিনের বেলায় জিহাদ করতেন, আর রাতের বেলায় সালাতে দাঁড়িয়ে, সিজদায় লুটিয়ে পড়ে কেঁদে কেঁদে রাত পার করে দিতেন। দিনের বেলায় যারা সিংহ রূপে ময়দানে বিরাজ করত তাঁরাই রাতে আল্লাহর সামনে একেবারে শিশু হয়ে যেতেন। গোয়েন্দারা তাঁদের এই রূপ দেখে কনফিউশনে পড়ে যেতেন। আর তাই হতে হবে সাহাবি (রা) দের মত। একজন মুজাহিদের বৈশিস্ট কেমন হবে তা সুরা আত তাওবার ১১১ও ১১২ নং আয়াতে আছে। আপনাকে সেই বৈশিস্টবলি অর্জন করতে হবে। কুরআনে বর্ণিত রহমানের বান্দাদের বৈশিষ্টাবলি আপনাকে অর্জন করতে হবে। আল্লাহ সুবহানু তায়ালার প্রতি অগাধ আস্থা রাখতে হবে। তাঁকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। শত্রুরা কখনো প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ছাড়া, লড়াইয়ে অবতির্ন হয়না। আর আপনার মূল প্রতিরক্ষা, ঢাল হল আল্লাহর কাছে দুয়া করা। স্পেশিয়ালি সকাল সন্ধ্যার যিকিরগুলি করা। আর তাহলেই না আসবে আল্লাহর সাহায্য!
পরিশেষে বলতে চাই, যে কোন কাজের সফলতার জন্য নির্ভর করে মূলতঃ আপনার ৩টি বিষয়ের উপর। ১। বিশ্বাসঃ আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস বা ঈমান এবং আপনার আত্ববিশ্বাস। ২। সংগ্রামঃ শুধু আপনি বিশ্বাস করে বসে থাকলে হবে না। সেই অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে, আপনাকে খাটতে হবে,সংগ্রাম করতে হবে ৩। আপনি শুধু খেটেই গেলেন তাহলে হবেনা, মাঝে মধ্যে প্রয়োজনীয় কৌশলও অবলম্বন করতে হবে। ১০ তলা বিল্ডিং এ আপনি মই দিয়েও উঠতে পারেন, সিড়ি দিয়েও উঠতে পারেন কিংবা লিফট দিয়ে। সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সঠিক কাজ করতে হবে। যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে। ... আল্লাহ সহজ করুন,আমিন।
১।শারিরিক ভাবে ২।মানসিক ভাবে ৩। আধ্যাত্মিক ভাবে
১।শারীরিকভাবেঃ ফিটনেস, প্রস্তুতি প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন যুদ্ধ লড়া যায়না। মনে রাখতে হবে এটা সত্যিকারের যুদ্ধ, সিনেমা,গল্প উপন্যাস বা ভিডিও গেম নয়। এখানে আপনি আহত হলে ব্যথা পাবেন, শরীর থেকে সত্যিকারের রক্ত ঝড়বে, মরলে সত্যি সত্যিই মরতে হবে। এখানে গুলি চলবে, বোম্বিং হবে যত্রতত্র, আপনার শত্রু আপনাকে বন্দি করতে পারে, আর বন্দি হলে সেখানে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আর তাই প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ছাড়া লড়াই করা বোকামি।
২। মানসিক ভাবেঃ আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কেন এই লড়াই করবেন। আপনাকে বুঝতে হবে এই লড়াই আল্লাহর জন্য লড়াই, তাঁর দ্বীন কে জমিনে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই, এই লড়াই আমার আপনার, সমাস্ত উম্মাহর সম্মান প্রতিষ্ঠার লড়াই, এই লড়াই অধিকার আদায়ের লড়াই। পুরো দুনিয়া আমাদের, আমাদের মুসলিমদের। আমরা এখানে সম্মানের সাথে থাকতে এসেছি। শোষিত হতে নয়, মর্যাদাকে ভুলন্ঠিত হতে দিতে নয়! যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
৩। আধ্যাত্মিক ভাবেঃ আপনি জানেন আপনার শত্রু সংখ্যাতে বহু বহু গুণ বেশি, আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রও অজস্র, তাদের প্রশিক্ষণও ওয়ার্ল্ড ক্লাস। আপনি কখনই আপনার সীমিত জনবল,শক্তি, অস্ত্র দিয়ে আপনার শত্রুর সাথে পেরে উঠবেন না। আর তাই এক্ষেত্রে আপনার দরকার এই জগতের রবের সাহায্য! আর রব আপনাকে সাহায্য কেন করবেন? হাদিসে এরকম আছে সাহাবি (রা) রা দিনের বেলায় জিহাদ করতেন, আর রাতের বেলায় সালাতে দাঁড়িয়ে, সিজদায় লুটিয়ে পড়ে কেঁদে কেঁদে রাত পার করে দিতেন। দিনের বেলায় যারা সিংহ রূপে ময়দানে বিরাজ করত তাঁরাই রাতে আল্লাহর সামনে একেবারে শিশু হয়ে যেতেন। গোয়েন্দারা তাঁদের এই রূপ দেখে কনফিউশনে পড়ে যেতেন। আর তাই হতে হবে সাহাবি (রা) দের মত। একজন মুজাহিদের বৈশিস্ট কেমন হবে তা সুরা আত তাওবার ১১১ও ১১২ নং আয়াতে আছে। আপনাকে সেই বৈশিস্টবলি অর্জন করতে হবে। কুরআনে বর্ণিত রহমানের বান্দাদের বৈশিষ্টাবলি আপনাকে অর্জন করতে হবে। আল্লাহ সুবহানু তায়ালার প্রতি অগাধ আস্থা রাখতে হবে। তাঁকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। শত্রুরা কখনো প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ছাড়া, লড়াইয়ে অবতির্ন হয়না। আর আপনার মূল প্রতিরক্ষা, ঢাল হল আল্লাহর কাছে দুয়া করা। স্পেশিয়ালি সকাল সন্ধ্যার যিকিরগুলি করা। আর তাহলেই না আসবে আল্লাহর সাহায্য!
পরিশেষে বলতে চাই, যে কোন কাজের সফলতার জন্য নির্ভর করে মূলতঃ আপনার ৩টি বিষয়ের উপর। ১। বিশ্বাসঃ আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস বা ঈমান এবং আপনার আত্ববিশ্বাস। ২। সংগ্রামঃ শুধু আপনি বিশ্বাস করে বসে থাকলে হবে না। সেই অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে, আপনাকে খাটতে হবে,সংগ্রাম করতে হবে ৩। আপনি শুধু খেটেই গেলেন তাহলে হবেনা, মাঝে মধ্যে প্রয়োজনীয় কৌশলও অবলম্বন করতে হবে। ১০ তলা বিল্ডিং এ আপনি মই দিয়েও উঠতে পারেন, সিড়ি দিয়েও উঠতে পারেন কিংবা লিফট দিয়ে। সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সঠিক কাজ করতে হবে। যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে। ... আল্লাহ সহজ করুন,আমিন।
Comment