ইন্নাল হামদালিল্লাহ - ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ -
প্রশংসা শুধু মাত্র সেই আল্লাহর জন্য যিনি আসমান কে স্থাপন করেছেন খুটি ছাড়া, যিনি বায়ু কে করেছেন অদৃশ্য অথচ চলমান, যিনি জমিন কে করেছেন প্রশস্ত, যিনি সৃষ্টি করেছেন দিন এবং রাত! যিনি সৃষ্টিজগত কে সৃষ্টি করে উদাসীন হয়ে যাননি বরং প্রতিটি সৃষ্টি কনা থেকে শুরু করে চন্দ্র সূর্য সহ সবকিছুর জন্য নিয়ম করে দিয়েছেন, যারা সেই নিয়মের অধীনে। এমন সৃষ্টির মধ্যে কোন খুত নাই, কোন ভুল নাই কোন অনিয়ম নাই! প্রশংসনীয় সেই মহান আল্লাহ। আর আল্লাহ নিজেই বলছেন "সাব্বাহা লিল্লাহি মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ" - আসমান এবং জমিনের সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর প্রশংসা করে।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে একটি কথা - এক শায়েখ বলছিলেন, আমাদের এবং সাহাবীদের মধ্যে পার্থক্য কি? তিনি বলছিলেন, আমাদের এবং সাহাবীদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সাহাবীগন সমস্ত সুন্নাহ'র পিছনে ছুটতেন কারন সেটা সুন্নাহ, আর আমরা সমস্ত সুন্নাহ কে ভুলে যাই কারন সেটা শুধুই সুন্নাহ!
বুখারী এবং মুসলিম শরীফের হাদিস - আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত - রাসুল সাঃ বলেন, ‘যদি উম্মতের কষ্ট ও অসুবিধার কথা চিন্তা না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক তাদের ওপর আবশ্যক করে দিতাম।’
এছাড়া রাসুল (সাঃ) বলেছেন যখনই জিব্রীল (আঃ) আমার কাছে আসতেন আমাকে মিসওয়াক করতে তাগিদ দিতেন - (এভাবে বলেছেন অথবা তিনি (সাঃ) যেভাবে বলেছেন)
হাদিস দেখলে এবং রাসুল (সাঃ) এর সিরাত থেকে আমরা আসলে মিসওয়াক অনেক গুরুত্ব এবং ফজিলত পাই। রাসুল (সাঃ) মিসওয়াক করা অনেক পছন্দ করতেন। তিনি (সাঃ) মৃত্যুর কিছু আগ মুহূর্তেও মিসওয়াক করেছেন!
যা বলতে চাচ্ছিলাম -
সময়ের সাথে সাথে আমরা নিজেদের কে এত বেশি (দাবীকৃত) বাস্তববাদী মনে করি যে নিজের জীবনের সাথে ঘট যাওয়া প্রমান ছাড়া কোন কিছু আমাদের কাছে সঠিক মনে হয় না। আমি এখানে কোন প্রমান দিবোনা, বরং আমি আমার জীবনে মিসওয়াকের উপকারিতার কিছু ঘটনা বলবো ইনশাআল্লাহ! হয়ত আমরা কেউ উপকৃত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমার বড় কোন অসুখ নাই, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ সুস্থ মানুষ। তবে খুব ছোট থেকে আমার একটি অসুখ ছিলো সেটি হচ্ছে দাঁত ব্যাথা। এই অসুখ কে আমি এমন ভয় পেতাম এবং এমন কস্ট পেতাম যে কখনো দাঁত ব্যাথা শুরু হলে আমি ভয় পেয়ে যেতাম, এই কারনে না যে, ব্যাথা। বরং ভয় এই জন্য পেতাম যে, ব্যাথা টা কবে ভালো হবে। কারন একবার ব্যাথা শুরু হলে বেশ কয়েদিন থাকতো। আমার দাতের অবস্থা দেখে বড় বড় ডেন্টিস্ট পর্যন্ত হতাশ হয়ে যেত! যাই হোক, এই দাতের জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। একটা পর্যায়ে আমি দেখলাম আমার সামর্থ্য প্রায় শেষ, আর যদি কিছু হয় চিকিৎসা চালানো একটু কঠিন হয়ে যাবে। ডেন্টিস্ট কে লাস্ট পেমেন্ট করার দিন আল্লাহর কাছে দুয়া করেছিলাম, আল্লাহ আপনি হেফাজত করেন, আমার সামর্থ্যের শেষ পেমেন্ট আমি আজ করে ফেলেছি। আমার দাতে হাজার হাজার টাকার ফিলিং ছিলো। লাস্ট পেমেন্টের দিন ডেন্টিস্ট বললো - এখন একটা অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে দিলাম, ১ মাস পরে আসেন এরপরে রুট ক্যানেল করতে হবে। কিন্তু আমার ফিরে আসার কোন যৌক্তিক কারন নাই। রুট ক্যানেল করার কোন ইচ্ছাই আমার নাই। আল্লাহর কাছে এই দুয়াও করেছিলাম, আল্লাহ এই অস্থায়ী ফিলিং যেন না উঠে, কারন এটা উঠলে আমার কিছু করার থাকবে না। আমাকে ডেন্টিস্ট এর কাছে আসতই হবে, আর আসলে আমার রুট ক্যানেল শুরু হয়ে যাবে। কেউ বিশ্বাস করবে কিনা আল্লাহু আলাম - আমার দাতে একটা ফিলিং ছিলো যেটা সিমেন্ট এর মত শক্ত, বেশ দামী ফিলিং। সেটা উঠে গেছে কিন্তু ১৫০ টাকার অস্থায়ী ফিলিং আজও উঠেনি, এই লেখা পর্যন্ত সেটার বয়স প্রায় ৩ বছর হতে চললো আলহামদুলিল্লাহ - আর ডেন্টিস্ট এর মতে এই ফিলিং এর ম্যাক্সিমাম মেয়াদ ৬ মাস!
এবার আসি মিসওয়াক প্রসঙ্গে। আমার দাতে কিছু গভীর দাগ ছিলো এগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য ডেন্টিস্ট আমাকে বললো - স্কেলিং করতে হবে। স্কেলিং ব্যাথা যুক্ত ব্যায়বহুল একটা প্রজেক্ট, এটিও সেই লাস্ট পেমেন্ট করার দিনের ঘটনা। আমি কিছু বলিনি। ফেরার পথে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার স্কেলিং মিসওয়াক ইনশাআল্লাহ। জানিনা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা - মাত্র ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে আমার দাতের দাগ এমন ভাবে নাই হয়ে গেল যেন কোনদিন দাগও ছিলোনা! আমার দাঁত এমন সুন্দর হয়ে গেলো যা আগে কখনো ছিলো না!
অল্প কিছু দিন আগের ঘটনা - ঐ যে আগে বললাম সিমেন্ট এর মত একটা ফিলিং ছিলো, হঠাত একদিন সেই ফিলিং টা একটু ভেঙ্গে গেলো। ব্যাস ফিলিং ভাঙ্গার সাথে সাথে ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, কারন আমি জানি পারমানেন্ট ফিলিং উঠে গেলে একটাই করনীয়, রুট ক্যানেল! যাই খাই ব্যাথা শুরু হয়। সত্য বলতে মিসওয়াক এর অভ্যাস কিছুটা ছুটে গেছিলো। তাড়াতাড়ি আবার মিসওয়াক হাতে নিলাম। মিসওয়াক করতে পারিনা, কারন মিসওয়াক ঐ দাতে লাগলেই ব্যাথা করে। মনে মনে ভয় ও পাচ্ছি এবার কি মিসওয়াক আমার দাঁত বাচাতে পারবে? নাকি ...
আল্লাহর উপর ভরসা করে মিসওয়াক করতে থাকলাম, মিসওয়াক করতাম আর দুয়া করতাম, আল্লাহ যা ভয় পাচ্ছি তা যেন সত্য না হয়! জানিনা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা, (আমার সত্যি সন্দেহ ছিলো যে এইবার মিসওয়াক থেকে আমি উপকৃত হতে পারবো কিনা) আমি কিছুদিন পরে টের পেলাম আমার ব্যাথা নাই! উধাও, এত নিরবে উধাও হয়ে গেছে যে আমি টের ও পাইনি! টের পাওয়ার সাথে সাথে মিসওয়াক নিয়ে গায়ের জোরে ঐ ব্যাথা দাতে ঘষা দিলাম! কিসের কি! যেন কোন কালে ব্যাথা ছিলোই না! খাবার খাচ্ছি ব্যাথা নাই, আইসক্রিম খাচ্ছি ব্যাথা নাই! অথচ আমি জানি আমার ঐ দাতের ফিলিং উঠে গেছে এমন কি ভাঙ্গা দাঁত ও দেখা যায়!
গল্প টা একটু বড় হয়ে গেলো -
রাসুল (সাঃ) সুন্নাহ আমাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। শুধু মিসওয়াক ই না, বরং সমস্ত সুন্নাহ। আমি মিসওয়াক এর ঘটনা এজন্য বললাম কারন আমরা আসলে বাস্তব রেজাল্ট দেখতে চাই, হয়ত আল্লাহ আমাদের উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বাস রেখে রাসুলের সুন্নাত এর উপরে আমল শুরু করি ইনশাআল্লাহ, রেজাল্ট দেখানোর দায়িত্ব আল্লাহর! কারন সুন্নাহ'র অনুসরনেই সফলতা!
আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রাসুল (সাঃ) এর সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরন সহজ করে দিন - আমিন।
প্রশংসা শুধু মাত্র সেই আল্লাহর জন্য যিনি আসমান কে স্থাপন করেছেন খুটি ছাড়া, যিনি বায়ু কে করেছেন অদৃশ্য অথচ চলমান, যিনি জমিন কে করেছেন প্রশস্ত, যিনি সৃষ্টি করেছেন দিন এবং রাত! যিনি সৃষ্টিজগত কে সৃষ্টি করে উদাসীন হয়ে যাননি বরং প্রতিটি সৃষ্টি কনা থেকে শুরু করে চন্দ্র সূর্য সহ সবকিছুর জন্য নিয়ম করে দিয়েছেন, যারা সেই নিয়মের অধীনে। এমন সৃষ্টির মধ্যে কোন খুত নাই, কোন ভুল নাই কোন অনিয়ম নাই! প্রশংসনীয় সেই মহান আল্লাহ। আর আল্লাহ নিজেই বলছেন "সাব্বাহা লিল্লাহি মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ" - আসমান এবং জমিনের সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর প্রশংসা করে।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে একটি কথা - এক শায়েখ বলছিলেন, আমাদের এবং সাহাবীদের মধ্যে পার্থক্য কি? তিনি বলছিলেন, আমাদের এবং সাহাবীদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সাহাবীগন সমস্ত সুন্নাহ'র পিছনে ছুটতেন কারন সেটা সুন্নাহ, আর আমরা সমস্ত সুন্নাহ কে ভুলে যাই কারন সেটা শুধুই সুন্নাহ!
বুখারী এবং মুসলিম শরীফের হাদিস - আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত - রাসুল সাঃ বলেন, ‘যদি উম্মতের কষ্ট ও অসুবিধার কথা চিন্তা না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক তাদের ওপর আবশ্যক করে দিতাম।’
এছাড়া রাসুল (সাঃ) বলেছেন যখনই জিব্রীল (আঃ) আমার কাছে আসতেন আমাকে মিসওয়াক করতে তাগিদ দিতেন - (এভাবে বলেছেন অথবা তিনি (সাঃ) যেভাবে বলেছেন)
হাদিস দেখলে এবং রাসুল (সাঃ) এর সিরাত থেকে আমরা আসলে মিসওয়াক অনেক গুরুত্ব এবং ফজিলত পাই। রাসুল (সাঃ) মিসওয়াক করা অনেক পছন্দ করতেন। তিনি (সাঃ) মৃত্যুর কিছু আগ মুহূর্তেও মিসওয়াক করেছেন!
যা বলতে চাচ্ছিলাম -
সময়ের সাথে সাথে আমরা নিজেদের কে এত বেশি (দাবীকৃত) বাস্তববাদী মনে করি যে নিজের জীবনের সাথে ঘট যাওয়া প্রমান ছাড়া কোন কিছু আমাদের কাছে সঠিক মনে হয় না। আমি এখানে কোন প্রমান দিবোনা, বরং আমি আমার জীবনে মিসওয়াকের উপকারিতার কিছু ঘটনা বলবো ইনশাআল্লাহ! হয়ত আমরা কেউ উপকৃত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমার বড় কোন অসুখ নাই, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ সুস্থ মানুষ। তবে খুব ছোট থেকে আমার একটি অসুখ ছিলো সেটি হচ্ছে দাঁত ব্যাথা। এই অসুখ কে আমি এমন ভয় পেতাম এবং এমন কস্ট পেতাম যে কখনো দাঁত ব্যাথা শুরু হলে আমি ভয় পেয়ে যেতাম, এই কারনে না যে, ব্যাথা। বরং ভয় এই জন্য পেতাম যে, ব্যাথা টা কবে ভালো হবে। কারন একবার ব্যাথা শুরু হলে বেশ কয়েদিন থাকতো। আমার দাতের অবস্থা দেখে বড় বড় ডেন্টিস্ট পর্যন্ত হতাশ হয়ে যেত! যাই হোক, এই দাতের জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। একটা পর্যায়ে আমি দেখলাম আমার সামর্থ্য প্রায় শেষ, আর যদি কিছু হয় চিকিৎসা চালানো একটু কঠিন হয়ে যাবে। ডেন্টিস্ট কে লাস্ট পেমেন্ট করার দিন আল্লাহর কাছে দুয়া করেছিলাম, আল্লাহ আপনি হেফাজত করেন, আমার সামর্থ্যের শেষ পেমেন্ট আমি আজ করে ফেলেছি। আমার দাতে হাজার হাজার টাকার ফিলিং ছিলো। লাস্ট পেমেন্টের দিন ডেন্টিস্ট বললো - এখন একটা অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে দিলাম, ১ মাস পরে আসেন এরপরে রুট ক্যানেল করতে হবে। কিন্তু আমার ফিরে আসার কোন যৌক্তিক কারন নাই। রুট ক্যানেল করার কোন ইচ্ছাই আমার নাই। আল্লাহর কাছে এই দুয়াও করেছিলাম, আল্লাহ এই অস্থায়ী ফিলিং যেন না উঠে, কারন এটা উঠলে আমার কিছু করার থাকবে না। আমাকে ডেন্টিস্ট এর কাছে আসতই হবে, আর আসলে আমার রুট ক্যানেল শুরু হয়ে যাবে। কেউ বিশ্বাস করবে কিনা আল্লাহু আলাম - আমার দাতে একটা ফিলিং ছিলো যেটা সিমেন্ট এর মত শক্ত, বেশ দামী ফিলিং। সেটা উঠে গেছে কিন্তু ১৫০ টাকার অস্থায়ী ফিলিং আজও উঠেনি, এই লেখা পর্যন্ত সেটার বয়স প্রায় ৩ বছর হতে চললো আলহামদুলিল্লাহ - আর ডেন্টিস্ট এর মতে এই ফিলিং এর ম্যাক্সিমাম মেয়াদ ৬ মাস!
এবার আসি মিসওয়াক প্রসঙ্গে। আমার দাতে কিছু গভীর দাগ ছিলো এগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য ডেন্টিস্ট আমাকে বললো - স্কেলিং করতে হবে। স্কেলিং ব্যাথা যুক্ত ব্যায়বহুল একটা প্রজেক্ট, এটিও সেই লাস্ট পেমেন্ট করার দিনের ঘটনা। আমি কিছু বলিনি। ফেরার পথে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার স্কেলিং মিসওয়াক ইনশাআল্লাহ। জানিনা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা - মাত্র ৬ মাসের কম সময়ের মধ্যে আমার দাতের দাগ এমন ভাবে নাই হয়ে গেল যেন কোনদিন দাগও ছিলোনা! আমার দাঁত এমন সুন্দর হয়ে গেলো যা আগে কখনো ছিলো না!
অল্প কিছু দিন আগের ঘটনা - ঐ যে আগে বললাম সিমেন্ট এর মত একটা ফিলিং ছিলো, হঠাত একদিন সেই ফিলিং টা একটু ভেঙ্গে গেলো। ব্যাস ফিলিং ভাঙ্গার সাথে সাথে ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, কারন আমি জানি পারমানেন্ট ফিলিং উঠে গেলে একটাই করনীয়, রুট ক্যানেল! যাই খাই ব্যাথা শুরু হয়। সত্য বলতে মিসওয়াক এর অভ্যাস কিছুটা ছুটে গেছিলো। তাড়াতাড়ি আবার মিসওয়াক হাতে নিলাম। মিসওয়াক করতে পারিনা, কারন মিসওয়াক ঐ দাতে লাগলেই ব্যাথা করে। মনে মনে ভয় ও পাচ্ছি এবার কি মিসওয়াক আমার দাঁত বাচাতে পারবে? নাকি ...
আল্লাহর উপর ভরসা করে মিসওয়াক করতে থাকলাম, মিসওয়াক করতাম আর দুয়া করতাম, আল্লাহ যা ভয় পাচ্ছি তা যেন সত্য না হয়! জানিনা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা, (আমার সত্যি সন্দেহ ছিলো যে এইবার মিসওয়াক থেকে আমি উপকৃত হতে পারবো কিনা) আমি কিছুদিন পরে টের পেলাম আমার ব্যাথা নাই! উধাও, এত নিরবে উধাও হয়ে গেছে যে আমি টের ও পাইনি! টের পাওয়ার সাথে সাথে মিসওয়াক নিয়ে গায়ের জোরে ঐ ব্যাথা দাতে ঘষা দিলাম! কিসের কি! যেন কোন কালে ব্যাথা ছিলোই না! খাবার খাচ্ছি ব্যাথা নাই, আইসক্রিম খাচ্ছি ব্যাথা নাই! অথচ আমি জানি আমার ঐ দাতের ফিলিং উঠে গেছে এমন কি ভাঙ্গা দাঁত ও দেখা যায়!
গল্প টা একটু বড় হয়ে গেলো -
রাসুল (সাঃ) সুন্নাহ আমাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। শুধু মিসওয়াক ই না, বরং সমস্ত সুন্নাহ। আমি মিসওয়াক এর ঘটনা এজন্য বললাম কারন আমরা আসলে বাস্তব রেজাল্ট দেখতে চাই, হয়ত আল্লাহ আমাদের উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বাস রেখে রাসুলের সুন্নাত এর উপরে আমল শুরু করি ইনশাআল্লাহ, রেজাল্ট দেখানোর দায়িত্ব আল্লাহর! কারন সুন্নাহ'র অনুসরনেই সফলতা!
আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রাসুল (সাঃ) এর সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরন সহজ করে দিন - আমিন।
Comment