আমরা মাদ্রাসার অনেক ভাইকে দেখতে পাচ্ছি, তারা জিহাদ বুঝার আগে ভালভাবে পড়াশুনা করতেন, কিন্তু জিহাদ বুঝার পর পড়াশুনায় ঢিলেমি করছেন, কি পড়াশুনা বন্ধই করে দিয়েছেন। এটা শয়তানের অনেক বড় ধোঁকা। অনেক সময় শয়তান নেক সূরতে আমাদের ধোঁকা দিয়ে দেয় অথচ আমরা টের পাই না। ইলম সর্বদা এবং সবক্ষেত্রে প্রয়োজন। আমি যখন জিহাদ বুঝতাম না তখন আমার ইলমের দরকার ছিল, আর যখন জিহাদ বুঝতে পেরেছি তখন ইলমের প্রয়োজনীয়তা শেষ?? আসলে যেসব ভাই জিহাদ বুঝতে পেরেছেন, শয়তানের তাদের প্রতি সীমাহীন ঈর্ষা জেগেছে। তাই সে অন্য দিক দিয়ে তাদেরকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে এর বদলা নিতে চাইছে। ইলমের দৌলত থেকে মাহরূম করতে পারা তার এ প্রচেষ্টারই সফল বাস্তবায়ন।
জিহাদ বুঝতে পারার পর তো ইলমের পথে নব উদ্যমে মেহনতে লাগার দরকার ছিল। আমাদের সমাজে ইলমী মানুষের যে কত অভাব তা সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন আশাকরি। সাধারণ মাসআলা-মাসায়েল বলা বুঝার মতো কিছু লোক থাকলেও ঈমান-কুফর, তাওহীদ-শিরক, জিহাদ-কিতাল ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ তাহকীকের সাথে মাসআলা বলা এবং ফতোয়া-ফারায়েয দেয়ার মতো মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। আর অল্প কিছু লোক থাকলেও তারা বিভিন্ন কারণে হক্ব বলছেন না বা বলতে পারছেন না। এমতাবস্থায় যারা জিহাদ বুঝছেন তারাও যদি ইলম থেকে বিমুখ হয়ে যান, তাহলে দ্বীনের এ কাফেলাকে চালাবে কে? বিশেষত আমাদের দেশগুলোর মতো দেশে সহীহ ইলমের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মুসলিম ভাইদের তাওহীদ দুরস্ত না করা যাবে, দ্বীনের মৌলিক বিষয় ও তাক্বাজা সম্পর্কে তাদের সজাগ না করা যাবে; যতক্ষণ উলামায়ে সূ’দের সকল বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা খণ্ডন করে সংশয়-সন্দেহমুক্ত পরিষ্কার দ্বীন জনসাধারণের সামনে তুলে না ধরা যাবে- ততক্ষণ পর্যন্ত কি তাদেরকে দ্বীনের সৈনিক বানানো সম্ভব? দ্বীন কায়েমের পথে নিজের প্রিয় জান-মাল কুরবান করতে আগ্রহী করা কি সম্ভব? যদি সহীহ দ্বীনী রাহনুমায়ী না থাকে, তাহলে যেসব ভাই জিহাদের জন্য দাঁড়িয়েছেন তারা চলবেন কোন পথে? তারা কিভাবে বুঝবেন কোনটা জিহাদ আর কোনটা সন্ত্রাস? তাই তালিবুল ইলম ভাইদের প্রতি আবেদন, আপনার সাবধান থাকুন। শয়তানের ধোঁকায় পড়বেন না।
অনেক ভাই, যারা জিহাদ বুঝার পর ঠিকমতো পড়াশুনা করেননি, তারা এখন লজ্জিত। তাদেরকে যখন কোন মাসআলা তাহকীক করতে দেয়া হচ্ছে, তখন তারা পেরেশান হয়ে যাচ্ছেন। মাসআলা খুঁজে পাচ্ছেন না, সমাধান দিতে পারছেন না। এখন তারা বড়ই লজ্জিত। তাই প্রিয় ভাইয়েরা! আপনারা ইলমের পথ কুরবানী করুন। জাতি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এমতাবস্থায় গাফেল ও উদাসীন হয়ে পড়ে থাকা, কি নিজের মনমতো চলা; আপনার, আপনার জাতি- সকলের জন্যই ক্ষতির কারণ। তাই আপনারা নিষ্ঠার সাথে অধ্যয়ন করুন। ব্যাপক-বিস্তৃত অধ্যয়ন ও সুগভীর তাহকীকের মেজাজ গড়ে তুলুন।
তদ্রূপ অন্য সকল ভাই, যারা যে কাজে নিয়োজিত, প্রত্যেকে নিজের সর্বসাধ্য ব্যয় করুন। আপনাদের ছাড়া দ্বীন কায়েমের এ মিশন চলবে কিভাবে? আল্লাহ তাআলা সবাইকে সহীহ বুঝ ও আমলের তাওফীক দান করুন। আমীন!
জিহাদ বুঝতে পারার পর তো ইলমের পথে নব উদ্যমে মেহনতে লাগার দরকার ছিল। আমাদের সমাজে ইলমী মানুষের যে কত অভাব তা সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন আশাকরি। সাধারণ মাসআলা-মাসায়েল বলা বুঝার মতো কিছু লোক থাকলেও ঈমান-কুফর, তাওহীদ-শিরক, জিহাদ-কিতাল ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ তাহকীকের সাথে মাসআলা বলা এবং ফতোয়া-ফারায়েয দেয়ার মতো মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। আর অল্প কিছু লোক থাকলেও তারা বিভিন্ন কারণে হক্ব বলছেন না বা বলতে পারছেন না। এমতাবস্থায় যারা জিহাদ বুঝছেন তারাও যদি ইলম থেকে বিমুখ হয়ে যান, তাহলে দ্বীনের এ কাফেলাকে চালাবে কে? বিশেষত আমাদের দেশগুলোর মতো দেশে সহীহ ইলমের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মুসলিম ভাইদের তাওহীদ দুরস্ত না করা যাবে, দ্বীনের মৌলিক বিষয় ও তাক্বাজা সম্পর্কে তাদের সজাগ না করা যাবে; যতক্ষণ উলামায়ে সূ’দের সকল বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা খণ্ডন করে সংশয়-সন্দেহমুক্ত পরিষ্কার দ্বীন জনসাধারণের সামনে তুলে না ধরা যাবে- ততক্ষণ পর্যন্ত কি তাদেরকে দ্বীনের সৈনিক বানানো সম্ভব? দ্বীন কায়েমের পথে নিজের প্রিয় জান-মাল কুরবান করতে আগ্রহী করা কি সম্ভব? যদি সহীহ দ্বীনী রাহনুমায়ী না থাকে, তাহলে যেসব ভাই জিহাদের জন্য দাঁড়িয়েছেন তারা চলবেন কোন পথে? তারা কিভাবে বুঝবেন কোনটা জিহাদ আর কোনটা সন্ত্রাস? তাই তালিবুল ইলম ভাইদের প্রতি আবেদন, আপনার সাবধান থাকুন। শয়তানের ধোঁকায় পড়বেন না।
অনেক ভাই, যারা জিহাদ বুঝার পর ঠিকমতো পড়াশুনা করেননি, তারা এখন লজ্জিত। তাদেরকে যখন কোন মাসআলা তাহকীক করতে দেয়া হচ্ছে, তখন তারা পেরেশান হয়ে যাচ্ছেন। মাসআলা খুঁজে পাচ্ছেন না, সমাধান দিতে পারছেন না। এখন তারা বড়ই লজ্জিত। তাই প্রিয় ভাইয়েরা! আপনারা ইলমের পথ কুরবানী করুন। জাতি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এমতাবস্থায় গাফেল ও উদাসীন হয়ে পড়ে থাকা, কি নিজের মনমতো চলা; আপনার, আপনার জাতি- সকলের জন্যই ক্ষতির কারণ। তাই আপনারা নিষ্ঠার সাথে অধ্যয়ন করুন। ব্যাপক-বিস্তৃত অধ্যয়ন ও সুগভীর তাহকীকের মেজাজ গড়ে তুলুন।
তদ্রূপ অন্য সকল ভাই, যারা যে কাজে নিয়োজিত, প্রত্যেকে নিজের সর্বসাধ্য ব্যয় করুন। আপনাদের ছাড়া দ্বীন কায়েমের এ মিশন চলবে কিভাবে? আল্লাহ তাআলা সবাইকে সহীহ বুঝ ও আমলের তাওফীক দান করুন। আমীন!
Comment