উপমহাদেশের জমিয়ত ,জামাত চরমোনাই……প্রতি চেলেঞ্জ পর্ব(3)

[أمر الإسلام]

এ পর্যায়ে আলোচনা করবো আল ক্বায়েদা ও আইএস নিয়ে৷ প্রথমে বলতে চাই এদুটি দল জিহাদের সাথে সম্প্রীক্ত ৷ সারা বিশ্ব এদের নিয়ে চিন্তিত ৷ মানে অন্য কোন রাজনৈতিক কোন দলকে নিয়ে কফফারদের কোন মাথা ঘামানো প্রয়োজন নেই ৷ তাই চিন্তা করে লাভ নেই৷ তো একটি কথা বলি আমি আইএস পক্ষে নয় ৷তবে রাজনৈতিক দলগুলোর চাইতে তাদেরতে প্রধান্যো দেই ৷ তো হে মুসলিম জাতি আপনাদের অবশ্যই জানা আছে যে আল ক্বায়েদা প্রায় 43-46 লক্ষ বর্গকিলোতে শরিয়া কায়েম করেছে ৷ তাদের জিহাদী লাইনের চেষ্টা তদবীরের মাধ্যমে إن شاء الله ইরাদা তো সারা বিশ্ব ৷ আলকায়দার আলোচনা এখানে শেষ ৷ এখন আসি আই এস নিয়ে ৷তো আইএস র আলোচনা হলো আমার আলোচনার মগয তথা মেরুদন্ড ৷
☞☞
☞☞তো সারা দুনিয়ার মুসলিমদেরকে, তার পর সারাবিশ্বের উলামায়ে কেরামদেরকে, অতপর সারা জাহানের ভীরু লোকদেরকে ,অতপর সারা দুনিয়ার ভীরু ,মাসলাহাতী উলামাদেরকে একটি কথা বলবো ৷আপনারা আইএস থেকে শিক্ষাগ্রহন করুন ৷ সাহস জোগাড় করুন ৷ নিজেদের প্রতি আফসুসের তীর বীদ্ব করুন ৷ প্রশ্ন হতে পারে কেন?
তো জওয়াব শুনুন তোমাদের এক ছোট দুর্বলে ভায়ের কাছ থেকে ৷ ওওও ওলামারা একটু চিন্তা করুন একটু বলুন যে , আইএস দলটি কেমন শক্তিশালী ? তার যোদ্ধাদের সংখ্যা কেমন ?অস্রইবা কেমন ?দক্ষতাই বা কতটুকু ?আর কয়ডজন মুসলিম দেশ তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ? কয় বেলা খানা তাদে মুখে তুলে দিয়েছে ? কয় জাহাজ অস্র তাদের কাছে পাঠিয়েছে ?কয় জন মুনাফিক সরকার চওড়া মূল্যে হলেও অস্র বির্ক্রী করেছে ? আরো যুদ্ধের জন্য যা যা প্রয়োজন তা মিঠিয়ে দিয়েছে ??
না না না না কখনও না৷একটু ও সাহায্যো করেনি ৷ শুধু মারারই মারা ধরারই ধরার চিন্তা, চেষ্ট করেছে৷ তবে হ্যা সমস্ত কুফরী বিশ্ব একযোগে তাদের উপর হামলা উপহার, মরণ উপহার, কষ্ট উপহার ,যন্ত্রনা উপহার দিয়েছে৷( ভীরুদের ভাষায় (আাাাামেরিকা চীীীীন রাাাাাশীয়া) হামলা করছে ৷ বোম্ব আর বোম ড্রুন আর ড্রুন গুলি আর গুলি ♟♟♟ ৷ ওফফফ!!! ৷
হে প্রিয় মুসলিম উম্মাহ ! চিন্তা করুন, ফিকর করুন ৷
এই যদি বা তারচেয়ে আরোও নাযুগ অবস্তা তাদের হয় ৷ আর তারপরও সারা কুফরী দুনিয়ার হুমকী ধমকি উপেক্ষা না করে , অস্র শক্তি জনশক্তি আর যত শক্তির প্রয়োজন তার দিকে না তাকিয়ে৷ যদি এরা একটি জায়গায় শাসন কায়েম করতে পারে পারে ৷ উম্মাহর ক্ষুদ্র একটি দল৷ 160কোটির এক কোটি ও যাদের সাথে নয় ৷ তাহলে কিভাবে আমরা বুঝলাম যে, 160কোটি মুসলিম থাকা সত্বেয় ,বিশেষ ভাবে আল-ক্বায়েদার বিলিয়নুর্ধ, আর আমভাবেপ্রচুর সংখ্যক শরীয়াহ কায়েমে আগ্রহী মানুষ থকা সত্বেয়, আমরা ইসলামী শাসন বাল্তবায়ন করতে পারবোনা৷
খোদার ক্বসম যদি আল-ক্বায়দার সব মুজাহিদ এক জায়গায় জমা হয়ে যায়(যদিও ভিবিন্ন দিক বিবেচনায়একত্রিতহবে না) সাথে সাথে শরীয়াহ কায়েমে আগ্রহীরাও ৷তবে বিশ্বাস করুন ইয়াক্বীন করুন , কুফফারদের কয়েক দুনিয়া একত্রিত হয়েও এদের দিকে চোখ তুলে থাকানো তো দুরের কথা আড়চোখেও তাকানোর কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত সাহস পাবেনা ৷ বাকিতো রয়েই গেলো 130কোটি ৷ বুঝতে পারছেন এ কোন রাস্তার কথা বলছি কোন গনতর্ন্ত্রের বাতলানো কোন রাস্তা নয়৷ এহলো জিহাদের রাস্তা ৷ ক্বিতালের রাস্তা ৷
পূর্বে তো আইএস র কথা বলেছিলাম ৷এবার তালেবানের কথা চিন্তা করুন ৷ কেমন শক্তি ছিলো তাদের,কেমন সহায় সম্বল , তা সত্বেয়ও তো কয়েক বছর ইসলামী শাসন ঠিকিয়ে রেখেছে যার বাতি কিছু দিন কমে গেলেও এখন আবার জ্বলে উঠতেছে৷ এমতাবস্তায় যদি সারা মুসলিম উম্মাহ এদের আন্তরিক সহযোগী(বাওতাবাজী নয়) হয়ে যায় ৷ হালাত কি হবে ৷ কি হবে কুফরী বিশ্বের, কি হবে মুসলিম বিশ্বের৷ কি হবে কুফফারীলাঞ্জিত বিশ্বের, কি হবে ঈমানীগালিবী বিশ্বের৷
পরিশেষে বলবো আমার মুসলিম উম্মাহ যদি একটি জিহাদী উম্মাহ তে পরিনত হয়ে যাই৷
তাহলে আমাদের আর তন্ত্র -মন্র র ধরে কাছে যাওয়া লাগবে না মাসলাহাতের দুহাই দেওয়া লাগবে না৷ أهون البليتين কে ও বেছে নিতে হবে না ৷ এখনও সময় আছে আন্দলোনকারীরা(রাজনিতিকরা) জিহাদের রাস্তা এখতিয়ার করুন ৷ মুজাহিদদের হাত কে শক্তিশালী করুন৷ মুজাহীদিনদের পরিকল্পনা বুঝার চেষ্টা করুন ৷ যা লিখেছে তার চেয়ে বেশী আমার কাছে রয়ে গেছে৷ করার কিছু নেই৷
চলবে………৷
إن شاءالله.

[أمر الإسلام]

ভুল হলে শুধরে দিবেন৷