আসহাবে উখদুদের ঘটনা আমরা শুনেছি। ঈমান আনার কারণে ঐ কাফেররা ঈমানদারদেরকে পুড়িয়ে মেরেছিল। আল্লাহ তাআলা সূরা বুরুজে একে এভাবে চিত্রায়িত করেছেন-
তারা কেন তাদেরকে এমন নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারল? তাদের অপরাধ কি ছিল? আল্লাহ তাআলা এর উত্তর দিয়েছেন-
আল্লাহ তাআলা অমোঘ সত্যটি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের কোন অপরাধ নেই। অপরাধ এটাই যে, তারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল। আল্লাহ তাআলা আর কোন কারণ বর্ণনা করেননি। কারণ একটাই বলেছেন। আর তা হল- ঈমান। মুমিনদের সাথে কাফেরদের দুশমনির আসল কারণ- ঈমান। অতএব, যার মাঝে ঈমান আছে, তার সাথেই কাফেরদের দুশমনি। সে ভাল হোক কি মন্দ, নেককার হোক কি বদকার- সর্বাবস্থায় কাফেররা তাকে দুশমন গণ্য করে। যতক্ষণ তাকে এই ঈমান থেকে সরাতে না পারবে, ততক্ষণ তাকে দুশমনই গণ্য করবে। তার উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাবে। এই চিরাচরিত সত্যটা আল্লাহ তাআলা অন্য দু’ খানা আয়াতে তুলে ধরেছেন-
বাস্তব দুনিয়ায় এর দৃষ্টান্তের কোন অভাব নেই। এই আরাকানের দিকেই তাকান। এই লোকগুলো কি খুব আল্লাহ ওয়ালা? ইসলামের জন্য কি নিবেদিত প্রাণ? কিছুই তো নয়। এরপরও কেন তাদের উপর এই নির্মম নির্যাতন? কারণ একটাই, যা আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
অতএব, উহে মুসলামন! তোমরা কাফেরদের যতই মান্য করে চল, যতই ছাড় দিয়ে যাও- তাদের দুশমনি বন্ধ হবে না।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলে বেড়ায়- ইরাক আক্রমণের কারণ এই, আফগান আক্রমণের কারণ এই... যদি ইরাক এই না করতো তাহলে আক্রমণ হতো না, আফগান এই করলে আক্রমণ হতো না... ইত্যাদি।
এসব কিছুই নয়। আসল কারণ- ঈমান। এই ঈমানের কারণে যুগে যুগে কাফেররা মুমিনদের দুশমনি করে এসেছে।
এই দুশমনকে প্রতিহত করার পদ্ধতি একটাই, যা আল্লাহ তাআলা বাতলিয়েছেন-
হে আল্লাহ! আমাদের সহীহ বুঝ দান কর। আমাদের নুসরত কর। তোমার পথে আমাদের অটল অবিচল রাখ। আমীন!
وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُرُوجِ (1) وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ (2) وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ (3) قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ (4) النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ (5) إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ (6) وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ (7)
“আমি শপথ করছি বিশালাকায় গ্রহ নক্ষত্র (ও তাদের কক্ষপথ) বিশিষ্ট আকাশের। শপথ করছি সেই (কেয়ামত) দিবসের যার আগমনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। শপথ করছি সেই প্রতিশ্রুত (দিনের অসংখ্য অগণিত) প্রত্যক্ষদর্শী মানুষের, আরো শপথ করছি (সেই লোমহর্ষক ভয়াবহ দৃশ্যের) যা সেদিন (এই সকল প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে) পেশ করা হবে। আল্লাহর মার গর্তওয়ালাদের উপর। ইন্ধনপূর্ণ আগুনাওয়ালাদের উপর। যখন তারা এর পাশে বসা ছিল এবং মুমিনদের সাথে তারা যা করছিল, তা প্রত্যক্ষ করছিল।” (সূরা বুরূজ: ১-৭) তারা কেন তাদেরকে এমন নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারল? তাদের অপরাধ কি ছিল? আল্লাহ তাআলা এর উত্তর দিয়েছেন-
وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَنْ يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ (8) الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ (9)
“(আসলে এই জালেমরা এদের কাছ থেকে ঈমানের প্রতিশোধ নিচ্ছিল মাত্র।) মহাপরাক্রমশালী, স্বীয় স্বত্তায় প্র্রশংসিত এবং আকাশ ও নভোমণ্ডলীর রাজাধিরাজ সম্রাট আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান আনা ছাড়া এদের শাস্তি দেয়ার আর কোন কারণই ছিল না। (সর্বোপরি সেই) আল্লাহ (জালেম ও মজলুমসহ) সকলের কার্যাবলী (যথাযথ) অবলোকন করছেন।” (সূরা বুরূজ: ৮-৯)আল্লাহ তাআলা অমোঘ সত্যটি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের কোন অপরাধ নেই। অপরাধ এটাই যে, তারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল। আল্লাহ তাআলা আর কোন কারণ বর্ণনা করেননি। কারণ একটাই বলেছেন। আর তা হল- ঈমান। মুমিনদের সাথে কাফেরদের দুশমনির আসল কারণ- ঈমান। অতএব, যার মাঝে ঈমান আছে, তার সাথেই কাফেরদের দুশমনি। সে ভাল হোক কি মন্দ, নেককার হোক কি বদকার- সর্বাবস্থায় কাফেররা তাকে দুশমন গণ্য করে। যতক্ষণ তাকে এই ঈমান থেকে সরাতে না পারবে, ততক্ষণ তাকে দুশমনই গণ্য করবে। তার উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাবে। এই চিরাচরিত সত্যটা আল্লাহ তাআলা অন্য দু’ খানা আয়াতে তুলে ধরেছেন-
وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا
“তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই থাকবে, যতক্ষণ না তারা তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরাতে পারে- যদি তারা তা করতে সক্ষম হয়।”(সূরা বাকারা: ২১৭) وَلَنْ تَرْضَى عَنْكَ الْيَهُودُ وَلَا النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ
“ইয়াহুদ-নাসারার কিছুতেই তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি (তোমার ধর্ম ছেড়ে) তাদের ধর্ম অনুসরণ কর।” (সূরা বাকারা: ১২০)বাস্তব দুনিয়ায় এর দৃষ্টান্তের কোন অভাব নেই। এই আরাকানের দিকেই তাকান। এই লোকগুলো কি খুব আল্লাহ ওয়ালা? ইসলামের জন্য কি নিবেদিত প্রাণ? কিছুই তো নয়। এরপরও কেন তাদের উপর এই নির্মম নির্যাতন? কারণ একটাই, যা আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَنْ يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ
“আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান আনা ছাড়া এদের শাস্তি দেয়ার আর কোন কারণই ছিল না।”অতএব, উহে মুসলামন! তোমরা কাফেরদের যতই মান্য করে চল, যতই ছাড় দিয়ে যাও- তাদের দুশমনি বন্ধ হবে না।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলে বেড়ায়- ইরাক আক্রমণের কারণ এই, আফগান আক্রমণের কারণ এই... যদি ইরাক এই না করতো তাহলে আক্রমণ হতো না, আফগান এই করলে আক্রমণ হতো না... ইত্যাদি।
এসব কিছুই নয়। আসল কারণ- ঈমান। এই ঈমানের কারণে যুগে যুগে কাফেররা মুমিনদের দুশমনি করে এসেছে।
এই দুশমনকে প্রতিহত করার পদ্ধতি একটাই, যা আল্লাহ তাআলা বাতলিয়েছেন-
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّه لِلّهِ
“আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল কর, যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন-আনুগত্য পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।” (আনফাল: ৩৯) فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“অত:পর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা করা এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে তারা যদি তাওবা করে – মুসলমান হয়ে যায় – এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (তাওবা: ৫) قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
“তোমরা কিতাল কর আহলে কিতাবের সেসব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া প্রদান করে।” (তাওবা: ২৯)হে আল্লাহ! আমাদের সহীহ বুঝ দান কর। আমাদের নুসরত কর। তোমার পথে আমাদের অটল অবিচল রাখ। আমীন!
Comment