আমরা জানি দাজ্জাল আগমনের পূর্বে এক যুবককে দাজ্জাল হত্যা করবে। সে যুবক আমাদের মাঝে অবস্থান করছেন।
দাজ্জালের হাতে নিহত সর্বশেষ ব্যক্তি।
আবু সাইদ খুদরি রাযিঃ থেকে সহিহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুলুল্লাহ স. বলেন, 'দাজ্জালের আবির্ভাবের পর মদিনা তাইয়্যেবাহ থেকে এক যুবক বের হয়ে দাজ্জালের সঙে দেখা করতে চাইবে। দাজ্জালের প্রহরীরা তাকে জিজ্ঞেস করবে, 'তুমি কি আমাদের রবের (দাজ্জালের) প্রতি ঈমান রাখো না?'
সে স্পষ্টভাবে দাজ্জালককে আস্বীকার করবে। ঐ প্রহরীরা তাকে হত্যা করতে চাইবে কেউ কেউ বাঁধা দিয়ে বলবে, একে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাও। যখন তাকে দাজ্জালের সামনে উপস্থিত করা হবে, দাজ্জাল তাকে জিজ্জেস করবে, 'তুমি কী আমার প্রতি ঈমান রাখো না?'
যুবকটি জনসাধারণের লক্ষ্য করে বলবে, 'হে লোকেরা! এই সেই মিথ্যাবাদী দাজ্জাল, যার সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সতর্ক করে গিয়েছেন।
দাজ্জাল যুবককে নির্যাতন করবে। তারপর তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত মধ্যখান দিয়ে চিরে ফেলবে। সে (দাজ্জাল) দুই টুকরো দুই দিকে নিক্ষেপ করে বলবে, পূর্বের মতো হয়ে যাও। এতে তিনি পরিপূর্ণ মানব হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। এবার দাজ্জাল তাকে বলবে, 'এখন কী তুমি ঈমান আনবে না?'
যুবক পূর্বের চেয়েও স্পষ্টভাবে বলবেন, 'এখন আমি সুনিশ্চিত হলাম (তোর দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারে)!'
যুবকটির কথা শুনে দাজ্জাল পুনরায় তাকে হত্যা করতে চাইবে।
কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতল দিয়ে মুড়িয়ে দিবেন। দাজ্জাল তাঁকে হত্যার কোনো উপায় পাবে না। বাধ্য হয়ে সে তার দু'হাত ও দু'পা ধরে ছুঁড়ে ফেলবে। মানুষ মনে করবে, দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি জান্নাতে নিক্ষিপ্ত হবেন।
রাসূল স. বলেছেন, 'এই ব্যক্তি বিশ্বজগতের রব আল্লাহর কাছে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্তরের শহিদের মর্যাদা লাভ করবে'। (সহিহ মুসলিম)
এই যুবক কী আমাদের মাঝে অবস্থান করছে?
হাদিসে ঘোষিত এই যুবক কী আমাদের মাঝে অবস্থান করছেন? ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি টিভি চ্যানেল আল-আকসা (AL-AQSA TV)-তে ফিলিস্তিনি আলেম ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাৎকারে বিস্ময়কর এক তথ্য প্রদান করেন।
[ইউটিউব অবলম্বনে সাক্ষাৎকারের চম্বুকাংশ]
ঈসা বাদওয়ান : 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন এক লোককে চিনি এবং বিশ্বাস করি, সঙত কারণে এখানে তার নাম বলতে চাছি না। তিনি (ঈসা বাদওয়ান) একদিন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক বৃদ্ধা তাকে থামিয়ে এক গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেন। ঐ গর্ভবতী এক সন্তান প্রসব করলেন। লোকটি বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলেন। ঠিক এক ঘন্টা পর বৃদ্ধা ও তার মেয়ে এ নবজাতককে নিয়ে বেরিয়ে এলো। গাড়িতে উঠার পর নবজাতক সবাইকে সালাম দিল। তারা অবাক হয়ে সালামের উত্তর দিলেন।'
এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী : 'বনজাতক কথা বলে উঠল?
ঈসা বাদওয়ান : হ্যাঁ, বনজাতক শিশুটি তাদেরকে সালম দিল।
আমরা এই ঘটনা সে সময় শায়েখ নিজার (ফিলিস্তিনের একজন প্রসিদ্ধ আলেম)-সহ অন্য আলেমদেরকে জানিয়েছিলাম। শিশুটি বললো, 'আমি সেই যুবক যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে। এরপর আর কাউকে হত্যা করতে পারবে না। আমরা হাদিস থেকে জানি, দাজ্জাল যাকে হত্যা করে জীবিত করবে এবং পুনরায় হত্যা করতে চাইবে, সে হবে এক যুবক। যাকে শ্রেষ্ঠ শহীদ বলা হয়েছে। যুবক বলতে সাধারণত ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সকে বোঝায়। আমি মনে করি, এই ঘটনা আমাদের জন্য খুশির খবর বহন করে। কারণ আমরা হাদিসে থেকে জানি, দাজ্জালের আগমন ঘটবে মাহদির উপস্থিতিতে ইস্তাম্বুল জয়ের পর।'
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী : 'এখন সেই বাচ্চার অবস্থা কী?
ঈসা বাদওয়ান : হ্যাঁ, আমরা আলেমরা তাকে চিনি।এবং তার খেয়াল রাখছি। আমি সমস্ত মানুষ এবং আলেমদেরকে জানাতে চাই, বিজয় নিকটে। মাহদি এখন আমাদে মাঝে অবস্থান করছেন (এই বাচ্চার জন্মের ওপর অনুমান করে) ইন শা আল্লাহ, ফিলিস্তিন বাসি খুব শিগগির এ বিজয়ের সাক্ষী হবে এবং এই দ্বীনকে তার পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিবে।
আগ্রহীরা ইউটিউবে সাক্ষাৎকারটি দেখতে পারেন এই লিংকে :
http://www.youtybe.com/watch?v=Gz2C-dhqpQl)
এই শিশুটির জন্ম ২০০৪ সালে। ২০০৮ সালে সাক্ষাৎকারটি প্রচারের কয়েক মাস পর ইসরাইল রাসায়নিক গ্যাস ও বোমা হামলা করে গাজায় ১৪০০ শিশুকে হত্যা করে। প্রায় ৪ হাজার শিশু আহত হয়। সাক্ষাৎকারে উল্লিখিত আলেম শায়খ নিজারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের ১১ মাস পর এফ ১৬ বিমান থেকে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলে ইসরাঈল। শায়েখ তাঁর চার স্ত্রী ও এগারো সন্তানসহ শাহাদাত বরণ করেন। শায়েখ নিজার ছিলেন গাজার অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমাম সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বীনি বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন। ইসরাঈলের সঙে যুদ্ধরত আল-কাসসাম শহিদ বিগ্রেডের কমান্ডার ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে জন্মগ্রহণকারী এই বাচ্চা সেই যুবক।হলে সে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী হবে ২০২৫ থেকে ২৯ সাল নাগাদ। দাজ্জাল দুনিয়াতে আত্নপ্রকাশের পর ৪২৮ দিন বা এক বছরের কিছু বেশি সময় অবস্থান করবে এবং এই সময়ের মধ্যে যুবককে হত্যা করবে। মহাযুদ্ধের সম্ভাব্য সাল হতে পারে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল। মহাযুদ্ধ হবে মাহদির উপস্থিতিতে। এগুলো সবই ওই বাচ্চার দাবির ওপর ভিত্তি করে হাদিসের মাধ্যমে গণনা মাত্র। ভবিষ্যত বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
দাজ্জালের হাতে নিহত সর্বশেষ ব্যক্তি।
আবু সাইদ খুদরি রাযিঃ থেকে সহিহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুলুল্লাহ স. বলেন, 'দাজ্জালের আবির্ভাবের পর মদিনা তাইয়্যেবাহ থেকে এক যুবক বের হয়ে দাজ্জালের সঙে দেখা করতে চাইবে। দাজ্জালের প্রহরীরা তাকে জিজ্ঞেস করবে, 'তুমি কি আমাদের রবের (দাজ্জালের) প্রতি ঈমান রাখো না?'
সে স্পষ্টভাবে দাজ্জালককে আস্বীকার করবে। ঐ প্রহরীরা তাকে হত্যা করতে চাইবে কেউ কেউ বাঁধা দিয়ে বলবে, একে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাও। যখন তাকে দাজ্জালের সামনে উপস্থিত করা হবে, দাজ্জাল তাকে জিজ্জেস করবে, 'তুমি কী আমার প্রতি ঈমান রাখো না?'
যুবকটি জনসাধারণের লক্ষ্য করে বলবে, 'হে লোকেরা! এই সেই মিথ্যাবাদী দাজ্জাল, যার সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সতর্ক করে গিয়েছেন।
দাজ্জাল যুবককে নির্যাতন করবে। তারপর তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত মধ্যখান দিয়ে চিরে ফেলবে। সে (দাজ্জাল) দুই টুকরো দুই দিকে নিক্ষেপ করে বলবে, পূর্বের মতো হয়ে যাও। এতে তিনি পরিপূর্ণ মানব হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। এবার দাজ্জাল তাকে বলবে, 'এখন কী তুমি ঈমান আনবে না?'
যুবক পূর্বের চেয়েও স্পষ্টভাবে বলবেন, 'এখন আমি সুনিশ্চিত হলাম (তোর দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারে)!'
যুবকটির কথা শুনে দাজ্জাল পুনরায় তাকে হত্যা করতে চাইবে।
কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতল দিয়ে মুড়িয়ে দিবেন। দাজ্জাল তাঁকে হত্যার কোনো উপায় পাবে না। বাধ্য হয়ে সে তার দু'হাত ও দু'পা ধরে ছুঁড়ে ফেলবে। মানুষ মনে করবে, দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি জান্নাতে নিক্ষিপ্ত হবেন।
রাসূল স. বলেছেন, 'এই ব্যক্তি বিশ্বজগতের রব আল্লাহর কাছে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্তরের শহিদের মর্যাদা লাভ করবে'। (সহিহ মুসলিম)
এই যুবক কী আমাদের মাঝে অবস্থান করছে?
হাদিসে ঘোষিত এই যুবক কী আমাদের মাঝে অবস্থান করছেন? ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি টিভি চ্যানেল আল-আকসা (AL-AQSA TV)-তে ফিলিস্তিনি আলেম ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাৎকারে বিস্ময়কর এক তথ্য প্রদান করেন।
[ইউটিউব অবলম্বনে সাক্ষাৎকারের চম্বুকাংশ]
ঈসা বাদওয়ান : 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন এক লোককে চিনি এবং বিশ্বাস করি, সঙত কারণে এখানে তার নাম বলতে চাছি না। তিনি (ঈসা বাদওয়ান) একদিন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক বৃদ্ধা তাকে থামিয়ে এক গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেন। ঐ গর্ভবতী এক সন্তান প্রসব করলেন। লোকটি বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলেন। ঠিক এক ঘন্টা পর বৃদ্ধা ও তার মেয়ে এ নবজাতককে নিয়ে বেরিয়ে এলো। গাড়িতে উঠার পর নবজাতক সবাইকে সালাম দিল। তারা অবাক হয়ে সালামের উত্তর দিলেন।'
এক সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী : 'বনজাতক কথা বলে উঠল?
ঈসা বাদওয়ান : হ্যাঁ, বনজাতক শিশুটি তাদেরকে সালম দিল।
আমরা এই ঘটনা সে সময় শায়েখ নিজার (ফিলিস্তিনের একজন প্রসিদ্ধ আলেম)-সহ অন্য আলেমদেরকে জানিয়েছিলাম। শিশুটি বললো, 'আমি সেই যুবক যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে। এরপর আর কাউকে হত্যা করতে পারবে না। আমরা হাদিস থেকে জানি, দাজ্জাল যাকে হত্যা করে জীবিত করবে এবং পুনরায় হত্যা করতে চাইবে, সে হবে এক যুবক। যাকে শ্রেষ্ঠ শহীদ বলা হয়েছে। যুবক বলতে সাধারণত ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সকে বোঝায়। আমি মনে করি, এই ঘটনা আমাদের জন্য খুশির খবর বহন করে। কারণ আমরা হাদিসে থেকে জানি, দাজ্জালের আগমন ঘটবে মাহদির উপস্থিতিতে ইস্তাম্বুল জয়ের পর।'
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী : 'এখন সেই বাচ্চার অবস্থা কী?
ঈসা বাদওয়ান : হ্যাঁ, আমরা আলেমরা তাকে চিনি।এবং তার খেয়াল রাখছি। আমি সমস্ত মানুষ এবং আলেমদেরকে জানাতে চাই, বিজয় নিকটে। মাহদি এখন আমাদে মাঝে অবস্থান করছেন (এই বাচ্চার জন্মের ওপর অনুমান করে) ইন শা আল্লাহ, ফিলিস্তিন বাসি খুব শিগগির এ বিজয়ের সাক্ষী হবে এবং এই দ্বীনকে তার পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিবে।
আগ্রহীরা ইউটিউবে সাক্ষাৎকারটি দেখতে পারেন এই লিংকে :
http://www.youtybe.com/watch?v=Gz2C-dhqpQl)
এই শিশুটির জন্ম ২০০৪ সালে। ২০০৮ সালে সাক্ষাৎকারটি প্রচারের কয়েক মাস পর ইসরাইল রাসায়নিক গ্যাস ও বোমা হামলা করে গাজায় ১৪০০ শিশুকে হত্যা করে। প্রায় ৪ হাজার শিশু আহত হয়। সাক্ষাৎকারে উল্লিখিত আলেম শায়খ নিজারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের ১১ মাস পর এফ ১৬ বিমান থেকে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলে ইসরাঈল। শায়েখ তাঁর চার স্ত্রী ও এগারো সন্তানসহ শাহাদাত বরণ করেন। শায়েখ নিজার ছিলেন গাজার অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমাম সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বীনি বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন। ইসরাঈলের সঙে যুদ্ধরত আল-কাসসাম শহিদ বিগ্রেডের কমান্ডার ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে জন্মগ্রহণকারী এই বাচ্চা সেই যুবক।হলে সে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী হবে ২০২৫ থেকে ২৯ সাল নাগাদ। দাজ্জাল দুনিয়াতে আত্নপ্রকাশের পর ৪২৮ দিন বা এক বছরের কিছু বেশি সময় অবস্থান করবে এবং এই সময়ের মধ্যে যুবককে হত্যা করবে। মহাযুদ্ধের সম্ভাব্য সাল হতে পারে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল। মহাযুদ্ধ হবে মাহদির উপস্থিতিতে। এগুলো সবই ওই বাচ্চার দাবির ওপর ভিত্তি করে হাদিসের মাধ্যমে গণনা মাত্র। ভবিষ্যত বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
Comment