জাতিসংঘ এবং রাস্তার নেড়ি কুকুর এর মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নাই। বরং নেড়ি কুকুরের ক্ষমতা জাতিসংঘের চেয়ে কিছুটা বেশি। কারন নেড়ি কুকুর আর কিছু না পারলেও ঘেঊ ঘেউ করতে পারে ... এবং নিজের খোরাক নিজেই জোগাড় করে নেয়।
কিন্তু জাতিসংঘ তাও পারেনা !!!
জাতিসংঘের ব্যাপারে কমবেশি সবারই জানা আছে। যেমন সর্বশেষ ঘটনাটাই যদি আমরা দেখি -
জেরজালেমে ইউএস অ্যাম্বাসি নিয়ে আসার ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে আসলে জেরুজালেম কে ইজরায়েল এর রাজধানী হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে ট্রাম্প এবং তার আমেরিকা। এর বিরুদ্ধে জাতিসংঘ একটি খসড়া প্রস্তাবনা নিয়ে আসে যা ইউএস এর ভেটো এর কারনে যেখানে শুরু হয়েছিলো সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপরে জাতিসংঘ আবার এটির বিরোধিতা করার চেস্টা করে এবং ১২৮ টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েও এটি যেখানে ছিলো সেখানেই থেকে যায় ইউএস এর ভেটো এর কারনে।
সারা দুনিয়ার শান্তিরক্ষী হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয় - সেই জাতিসংঘ দুনিয়ার একনম্বর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র - মাদার অফ অল টেরর অ্যামেরিকার কাছে নেড়ি কুত্তার চেয়েও অধম!
আর অবাক হতে হয় যখন দেখি কিছু মুসলিম আলেম উলামা, আর স্কলাররা এটা বিশ্বাস করেন এই জাতিসংঘ আরাকানে গিয়ে আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের উপরে যে জুলুম হচ্ছে তা বন্ধ করবে। আমি শুধু নিউজে দেখি - জাতিসংঘ প্রমান পেয়েছে আরাকানে জাতিগত নিধন হয়েছে! এটা অনেকটা এমন যে ভর দুপুর বেলা কেউ অনেক গবেষণা করে, মিলিওন মিলিওন ডলার খরচ করে বললো - হুম সূর্য উঠেছে তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে! এটাকে কি বলে অভিহিত করা যায়!!!
কিন্তু দুঃখজনক হএলো সত্যি আমাদেরই কিছু অংশ এরকম নেড়িকুত্তা টাইপ কারো আশায় বসে আছে !!! এটা কতটুকু লজ্জার হতে পারে! আমার বোন ধর্ষিত হচ্ছে আর আমি ধর্ষণ কারীকে বলছি, ইসলামে কোন উগ্রবাদ নাই, জঙ্গিবাদ নাই, তুমি ধর্ষণ করতেই থাকো আমি পঞ্চায়েত এর মড়োল এর জন্য অপেক্ষা করবো যে কিনা আরো বড় ধর্ষক! তুমি ধর্ষণ করতেই থাকো আমি তোমার জন্য দুয়া করবো, আমি তোমাকে দাওয়াতের কথা বলবো!
(আরে ভাই ধর্ষণ কারীকে প্রতিহত করার সাথে উগ্রবাদের কোন সম্পর্ক নাই, জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নাই, এমন পশু পাখিদের মধ্যেও যদি কেউ এমন করে - পুরুষ পশু পঞ্চায়েত, প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের জন্য বসে থাকে না, সে নিজের সবটূকু সামর্থ্য আর শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে, হায় আমরা সেটুকুও পারিনা!!!)
কারন আমার গিরাহ এত কম দামে বেচে দিয়েছি যে আমার বোনের ইজ্জত টুকু বাচানোর জন্য আর কিছু অবশিষ্ট নাই।
তার চেয়েও লজ্জার কথা - এইটাকে আবার আমরা ইসলামের লেবেল দিয়ে ঢাকতে চাই!!! দাওয়াতের তকমা দিয়ে ঢাকতে চাই।
এই জিল্লতি শুধু এই কারনে যে আমি ভয় পাই আমাকে হত্যা করবে, কিংবা শূলী তে চড়াবে, কিংবা আমার হাত পা কেটে ফেলবে - কিংবা আমার রিজিক সঙ্কুচিত হয়ে যাবে, কিংবা আমাকে বন্দী করবে ...
কিন্তু আমরা ভুলে যাই আমরা আমাদের নিয়তি পরিবর্তনের কোন ক্ষমতা রাখিনা !!!
কি অদ্ভুত - কত সহজেই আমরা আমাদের ঈমান বেচে দেই আর নিজেদের জিল্লতি কে হাসি মুখে বরন করে নেই!!!
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের কে সত্য পথে অবিচল রাখুন আর কাফিরদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কঠোরতা সৃষ্টি করে দিন।
Comment