ইসলাম কাফেরদের বিরদ্ধে জিহাদ ফরয করেছে- যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায় কিংবা জিযিয়া প্রদান করত ইসলামী হুকুমতের অধীনস্ত হয়ে দারুল ইসলামে বসবাস করতে বাধ্য হয়। এই জিহাদের নাম- ইকদামি তথা আক্রমণাত্মক জিহাদ। আর যদি তারা মুসলমান ভূমিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে তাদেরকে প্রতিহত করতে জিহাদের আদেশ দেয়া হয়েছে। এই জিহাদ- দিফায়ি তথা প্রতিরক্ষামূল জিহাদ। এ উভয় প্রকার জিহাদে কাফেরদের সামরিক-বেসামরিক (প্রচলিত অর্থে) সকল পুরুষকে হত্যার বিধান দেয়া হয়েছে।
কেউ কেউ আপত্তি করে থাকে- কাফেররা যদি আমাদের উপর আক্রমণ না করে তাহলে অযথা কেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হবে? কেন তাদের হত্যা করা হবে?
আবার কেউ কেউ বলেন- সামরিক কাফেরকে তো না হয় মানলাম হত্যা করা যাবে, কিন্তু সাধারণ কাফেরদের কেন হত্যা করা হবে?
এর দৃষ্টান্তস্বরূপ বলি-
ধরুন একটা বসতির আশেপাশে কয়েকটা ঝোঁপ আছে। এগুলোর প্রত্যেকটাতেই অনেকগুলো করে সাপ থাকে। এসব ঝোঁপের কোনটা বসতি থেকে কাছে আর কোনটা দূরে। স্বভাবতই যে ঝোঁপগুলো কাছে সেগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে এসে কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।
এক দিন হঠাৎ একটা ঝোঁপ থেকে কয়েকটা সাপ বেরিয়ে এসে গ্রামবাসীদের ছোবল মারতে লাগল। এমতাবস্থায় করণীয় কি? সবাই বলবেন, সাপগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। এতে কেউ দ্বিমত করবে না।
আর যেসব সাপ এখনোও কামড়াতে আসেনি সেগুলো প্রায়ই ঝোঁপের আশেপাশে এবং রাস্তার কিনারায় ঘুরে বেড়ায়। যে কোন সময় কামড়াতে পারে। লোকজন এগুলোকে দেখে ভয় পাচ্ছে। এমতাবস্থায় করণীয় কি? যত দ্রুত সম্ভব সাপগুলোকে মেরে ফেলা। সুযোগ বুঝে এক সময় দল বেঁধে ঝোপ ঘেরাও করে সেগুলোকে মেরে ফেলাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ।
আবার ঝোঁপগুলোর মাঝে যেটা বসতির সবচেয়ে কাছে, যেটা থেকে কামড়ানোর সম্ভবনা বেশি, সেটার সাপগুলোকে আগে মেরে ফেলাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ। আর যেগুলো দূরে, যেগুলো থেকে কামড়ানোর সম্ভবনা কম- সেগুলো আপাতত না ধরলেও চলবে।
তদ্রূপ কাফেররাও সাপের মতোই ভয়ংকর, বরং আরো মারাত্মক। কারণ, সাপ একটা ব্যক্তির দুনিয়ার জীবন নষ্ট করবে, কিন্তু কাফেররা মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়া সবই বরবাদ করবে। (অধিকন্তু কাফেররা আল্লাহদ্রোহের অপরাধে অপরাধী)। তাই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া, যাতে তারা আল্লাহর কোন বান্দার ক্ষতি করতে না পারে, কোন বান্দাকে দ্বীন থেকে ফেরাতে না পারে- এটাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ। যেসব কাফের মুসলিম ভূমিতে আগ্রাসন চালায়, তাদের ব্যাপারটাতো একেবারেই সুস্পষ্ট। আর যারা আগ্রাসন এখনও চালায়নি, তারা রাস্তার কিনারায় ঘুরাফেরাকারী সাপের ন্যায়। তাদেরকে হত্যা করে দেয়াটাই যুক্তিসঙ্গত।
আর যেসব কাফের রাষ্ট্র মুসলিম ভূমির তুলনামূলক কাছে, সেগুলোকে আগে ধরাই যুক্তিযুক্ত। কারণ, এদের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি। এদের ছেড়ে আগে দূরের কাফেরদের ধরতে গেলে সুযোগ বুঝে এরা মুসলমানদের ক্ষতি করে বসবে। তাই এদেরকে আগে ধরাই অধিক সঙ্গত। আল্লাহ তাআলা এরই আদেশ দিয়েছেন-
অতএব, কাফের- আগ্রসী হোক বা না হোক, সামরিক হোক বা না হোক- সবগুলোই সাপের মতো ভয়ংকর। এদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়াই বুদ্ধিমত্তার কাজ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহীহ বুঝ ও আমলেও তাওফীক দান করুন। আমীন!
কেউ কেউ আপত্তি করে থাকে- কাফেররা যদি আমাদের উপর আক্রমণ না করে তাহলে অযথা কেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হবে? কেন তাদের হত্যা করা হবে?
আবার কেউ কেউ বলেন- সামরিক কাফেরকে তো না হয় মানলাম হত্যা করা যাবে, কিন্তু সাধারণ কাফেরদের কেন হত্যা করা হবে?
এর দৃষ্টান্তস্বরূপ বলি-
ধরুন একটা বসতির আশেপাশে কয়েকটা ঝোঁপ আছে। এগুলোর প্রত্যেকটাতেই অনেকগুলো করে সাপ থাকে। এসব ঝোঁপের কোনটা বসতি থেকে কাছে আর কোনটা দূরে। স্বভাবতই যে ঝোঁপগুলো কাছে সেগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে এসে কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।
এক দিন হঠাৎ একটা ঝোঁপ থেকে কয়েকটা সাপ বেরিয়ে এসে গ্রামবাসীদের ছোবল মারতে লাগল। এমতাবস্থায় করণীয় কি? সবাই বলবেন, সাপগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। এতে কেউ দ্বিমত করবে না।
আর যেসব সাপ এখনোও কামড়াতে আসেনি সেগুলো প্রায়ই ঝোঁপের আশেপাশে এবং রাস্তার কিনারায় ঘুরে বেড়ায়। যে কোন সময় কামড়াতে পারে। লোকজন এগুলোকে দেখে ভয় পাচ্ছে। এমতাবস্থায় করণীয় কি? যত দ্রুত সম্ভব সাপগুলোকে মেরে ফেলা। সুযোগ বুঝে এক সময় দল বেঁধে ঝোপ ঘেরাও করে সেগুলোকে মেরে ফেলাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ।
আবার ঝোঁপগুলোর মাঝে যেটা বসতির সবচেয়ে কাছে, যেটা থেকে কামড়ানোর সম্ভবনা বেশি, সেটার সাপগুলোকে আগে মেরে ফেলাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ। আর যেগুলো দূরে, যেগুলো থেকে কামড়ানোর সম্ভবনা কম- সেগুলো আপাতত না ধরলেও চলবে।
তদ্রূপ কাফেররাও সাপের মতোই ভয়ংকর, বরং আরো মারাত্মক। কারণ, সাপ একটা ব্যক্তির দুনিয়ার জীবন নষ্ট করবে, কিন্তু কাফেররা মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়া সবই বরবাদ করবে। (অধিকন্তু কাফেররা আল্লাহদ্রোহের অপরাধে অপরাধী)। তাই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া, যাতে তারা আল্লাহর কোন বান্দার ক্ষতি করতে না পারে, কোন বান্দাকে দ্বীন থেকে ফেরাতে না পারে- এটাই হবে বুদ্ধিমত্তার কাজ। যেসব কাফের মুসলিম ভূমিতে আগ্রাসন চালায়, তাদের ব্যাপারটাতো একেবারেই সুস্পষ্ট। আর যারা আগ্রাসন এখনও চালায়নি, তারা রাস্তার কিনারায় ঘুরাফেরাকারী সাপের ন্যায়। তাদেরকে হত্যা করে দেয়াটাই যুক্তিসঙ্গত।
আর যেসব কাফের রাষ্ট্র মুসলিম ভূমির তুলনামূলক কাছে, সেগুলোকে আগে ধরাই যুক্তিযুক্ত। কারণ, এদের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি। এদের ছেড়ে আগে দূরের কাফেরদের ধরতে গেলে সুযোগ বুঝে এরা মুসলমানদের ক্ষতি করে বসবে। তাই এদেরকে আগে ধরাই অধিক সঙ্গত। আল্লাহ তাআলা এরই আদেশ দিয়েছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قَاتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُمْ مِنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً
“হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়।” (তাওবা ১২৩)
অতএব, কাফের- আগ্রসী হোক বা না হোক, সামরিক হোক বা না হোক- সবগুলোই সাপের মতো ভয়ংকর। এদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়াই বুদ্ধিমত্তার কাজ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহীহ বুঝ ও আমলেও তাওফীক দান করুন। আমীন!
Comment