একটি ফিদায়ী গাড়ি আর সেই গাড়ী পর্যন্ত হেটে যাওয়া কয়েক কদমের জন্য আমি আমার জীবন এবং এর সব কিছু বাজি রাখতে রাজি আছি।
মানুষ আজ যখন ব্যাস্ত রঙিন দুনিয়ার তামাশা দেখতে, মানুষ জখন ব্যাস্ত ভোগ বিলাস আর বিনোদন নিয়ে, তখন এই দুনিয়ারই কিছু মানুষ ব্যাস্ত অন্য এক বিনোদনে। আর তা হচ্ছে নিজেকে আল্লাহর রাহে কুরবানী করে দেয়ার বিনোদন এ।
আল্লাহর জমিনে খুব অল্প সংখ্যক বান্দাকেই আল্লাহ এমন তাউফিক দেন যারা আল্লাহর জন্য নিজেকে বিলীন করে দেয়ার মধ্যে আনন্দ খুজে পান। শুধু আনন্দ নয় বরং এটা তাদের জন্য পরম আনন্দ!
দুনিয়ার প্রতিটী প্রানী যখন আরো বাচতে চায়, জীবন কে আরো একটু উপভোগ করে নিতে চায় তখন আল্লাহর এই বান্দারা রাতের গভীরতার সাথে চোখের পানি ফেলে আল্লাহ কে ডাকতে থাকে আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে থাকে – কখন সে নিজেকে আল্লাহর জন্য কুরবান করে দিতে পারবে।
এই অনুভুতি কে লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না, বলেও প্রকাশ করা সম্ভব না। কারন আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যাকে তাউফিক দিয়ে ধন্য করেন শুধু মাত্র তার পক্ষেই সম্ভব এই অনুভুতিকে বুঝতে পারা। শুধু মাত্র সেই পারে এটাকে উপলব্ধি করতে।
তুমি তাকিয়ে দেখ সারা দুনিয়া আজ কত পঙ্কিলতায় ব্যাস্ত। তাকিয়ে দেখ দুনিয়ায় তুমি কি দেখতে পাও? নোংরামি, অসভ্যতা, অশ্লীলতা, রাহাজানি, প্রতারণা, ছলনা, লোভ, হিংসা বিদ্বেষ, মানুষ তার নিজের তৈরি মায়াজালে আটকা পড়ে আজ সে ক্লান্ত। সারা দিন ছুটে রিজিকের পিছনে আর রাতে এসে ক্লান্ত পশুর মত ঘুমায়! আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক কোথায়! হায় কত হতভাগা সে অন্তর যে অন্তর আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত।
তুমি তাকিয়ে দেখ তোমার মত যুবকেরা আজ নষ্টা নারীদের মন পেতে ব্যাস্ত, যাদের সতীত্ব বলতে কিছু নাই, পবিত্রতার সাথে যাদের কোন সম্পর্ক পর্যন্ত নাই। যারা নিজেদের রুপ কে উচু দরে বিক্রি করতে শিখেছে।কিন্তু যে রুপ ৪০ পার হলেই আর কোন দামে বিক্রি হয়না। তুমি দেখ তোমার মত যুবকেরা আজ ছুটছে চাকরি, ব্যাবসা আর ক্যারিয়ার নামক মায়ার পিছনে। তুমি জানো তাদের মধ্যে কতজন সফল হয় আর কতজন ঝরে যায়? তবুও তুমি তাদের কে ছুটতেই দেখবে, বিরাম হীন ভাবে।
আর তুমি এসব কিছু ছাপিয়ে খুব সামান্য মানুষ দেখবে – যারা যেন এই দুনিয়ার ই না। তাদের দেখে মনে হবে তারা হয়ত ভুল করে চলে এসেছে। তাদের পোশাক পরিচ্ছেদ খুবই সাদা মাটা, তাদের চলা ফেরা খুবই সাধারন। কিন্তু তুমি দেখবে তারা দুনিয়া কে পা দিয়ে ঠেলে দিয়েছে! দুনিয়া তাদের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারা দুনিয়ার কাছে বিক্রি হয়নি আর দুনিয়াও তাদের সাথে কোন সওদা করতে পারেনি। কারন তারা সওদা করেছে সরাসরি সারা জাহানসমূহের মালিক আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাতের সাথে! তুমি ভুল শুনোনি – হ্যাঁ তারা সওদা করেছে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাতের সাথে। কিন্তু আসলে ঘটনা হচ্ছে তুমি বিশয় টি ধরতেই পারছোনা। কারন তুমি ত কখনো এভাবে ভেবে দেখোনি যে আল্লাহর সাথে সওদা! আল্লাহর সাথে ব্যাবসা! তবে এত টুকু জেনে রাখো তুমি যেমন দুনিয়ার সব চেয়ে বড় কোম্পানির সাথে ব্যাবসা করতে চাও তারাও তাই করেছে। তারা সারা জাহান সমূহের ধন সম্পদ যেই আল্লাহর কাছে সেই আল্লাহর সাথে ব্যাবসা করে ফেলেছে!
তুমি যে নস্টা নারীর পিছনে ঘুরে বেড়াতে পারলে ধন্য মনে কর, এই হাতে গোনা বান্দারাও কিন্তু নিজেদের জন্য রমনী খুজে নিয়েছে। আর তারা নস্টা কাউকে বেছে নেয়নি বরং তারা তো বেছে নিয়েছে জান্নাতী নারীদের মধ্য থেকে। যাদের রুপের বর্ণনা তোমার অন্তর ধারনা করতে পারবেনা, যাদের একটা রুমাল দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ অপেক্ষা দামী, যারা দুনিয়ায় একবার উকি দিলে সমস্ত পুরুষ পাগল হয়ে যাবে, যাদের সৌন্দর্যের ব্যপারে আল্লাহ সার্টীফিকেট দিয়েছেন! আর তারা এমন এক টা নয় দুইটা নয়, ১০ টা নয় ৭২ জন কে বেছে নিয়েছেন নিজের জন্য! ৭২ জন জান্নাতি নারী, ৭২ জন হুর আল আইন যাদের দেখা মাত্র কলিজার স্পন্দন থেমে যাবার উপক্রম হয়!
তারা বেছে নিয়েছে মৃত্যুর কস্ট বনাম সামান্য পিঁপড়ার কামড়ের মত কষ্ট, তারা বেছে নিয়েছে হাশরের দিনে ৫০ হাজার বছর অপেক্ষা করা বনাম আল্লাহর আরশের নিচে সবুজ পাখি ঝুলে থাকা, তারা বেছে নিয়েছে আল্লাহর সামনে হিসাব দেয়া বনাম বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাওয়া। তারা জানে তাদের এই জীবন তো আল্লাহরই দেয়া। আলালহর হুকুমেই আবার এই জীবন চলে যাবে। শেষ হয়ে যাবে। মাটির সাথে মিশে যাবে। এর বিনিময়ে তারা এটা বেছে নিয়েছে যে, তাদের এই জীবন আলালহর জন্য কুরবান হবে এবং তাদের শরীর গলে যাবেনা, পচে যাবেনা, তাদের রক্ত থেকে মেশক এর ন্যায় সুঘ্রান বের হতে থাকবে আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিক প্রাপ্ত হতে থাকবে।
আর এদের সম্পর্কে আল্লাহ হাসেন আর বলেন – এরা আমার পাগল বান্দা! অনুভব করতে পারছো কি!
আর এরাই হচ্ছে এই সামান্য হাতে গোনা কিছু আল্লাহর বান্দা, যারা একটি ফিদায়ী গাড়ি আর সেই গাড়ী পর্যন্ত হেটে যাওয়া কয়েক কদমের জন্য তাদের জীবন সব কিছু বাজি রাখতে রাজি আছে।
এরাই হল তারা যারা মরে কিন্তু তারা জীবিত হয়ে যায়! এরাই হল তারা যারা আল্লাহর আরশের নিচে সবুজ পাখি হয়ে ঝুলে থাকে।এরাই হল তারা যাদের মৃত্যু কষ্ট পিঁপড়া কামড় দেয়ার মত, এরাই হল তারা যাদের প্রথম ফোটা রক্ত মাটিতে পড়ার আগে সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যায়। এরাই হল তারা যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিক প্রাপ্ত হয়, এরাই হল তারা যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে। এরাই হল তারা যাদের ৭২ টি হুর আল আইন থাকবে, এরাই হল তারা যারা নিজেদের পরিবার এর ৭০ জন কে নিজের সাথে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। এরাই হল তারা যারা –
আল্লাহর সাথে প্রেম করতে শিখেছে আর আল্লাহর ভালোবাসায় পাগল হয়ে নিজেকে কুরবান করতে শিখেছে !
মানুষ আজ যখন ব্যাস্ত রঙিন দুনিয়ার তামাশা দেখতে, মানুষ জখন ব্যাস্ত ভোগ বিলাস আর বিনোদন নিয়ে, তখন এই দুনিয়ারই কিছু মানুষ ব্যাস্ত অন্য এক বিনোদনে। আর তা হচ্ছে নিজেকে আল্লাহর রাহে কুরবানী করে দেয়ার বিনোদন এ।
আল্লাহর জমিনে খুব অল্প সংখ্যক বান্দাকেই আল্লাহ এমন তাউফিক দেন যারা আল্লাহর জন্য নিজেকে বিলীন করে দেয়ার মধ্যে আনন্দ খুজে পান। শুধু আনন্দ নয় বরং এটা তাদের জন্য পরম আনন্দ!
দুনিয়ার প্রতিটী প্রানী যখন আরো বাচতে চায়, জীবন কে আরো একটু উপভোগ করে নিতে চায় তখন আল্লাহর এই বান্দারা রাতের গভীরতার সাথে চোখের পানি ফেলে আল্লাহ কে ডাকতে থাকে আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে থাকে – কখন সে নিজেকে আল্লাহর জন্য কুরবান করে দিতে পারবে।
এই অনুভুতি কে লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না, বলেও প্রকাশ করা সম্ভব না। কারন আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যাকে তাউফিক দিয়ে ধন্য করেন শুধু মাত্র তার পক্ষেই সম্ভব এই অনুভুতিকে বুঝতে পারা। শুধু মাত্র সেই পারে এটাকে উপলব্ধি করতে।
তুমি তাকিয়ে দেখ সারা দুনিয়া আজ কত পঙ্কিলতায় ব্যাস্ত। তাকিয়ে দেখ দুনিয়ায় তুমি কি দেখতে পাও? নোংরামি, অসভ্যতা, অশ্লীলতা, রাহাজানি, প্রতারণা, ছলনা, লোভ, হিংসা বিদ্বেষ, মানুষ তার নিজের তৈরি মায়াজালে আটকা পড়ে আজ সে ক্লান্ত। সারা দিন ছুটে রিজিকের পিছনে আর রাতে এসে ক্লান্ত পশুর মত ঘুমায়! আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক কোথায়! হায় কত হতভাগা সে অন্তর যে অন্তর আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত।
তুমি তাকিয়ে দেখ তোমার মত যুবকেরা আজ নষ্টা নারীদের মন পেতে ব্যাস্ত, যাদের সতীত্ব বলতে কিছু নাই, পবিত্রতার সাথে যাদের কোন সম্পর্ক পর্যন্ত নাই। যারা নিজেদের রুপ কে উচু দরে বিক্রি করতে শিখেছে।কিন্তু যে রুপ ৪০ পার হলেই আর কোন দামে বিক্রি হয়না। তুমি দেখ তোমার মত যুবকেরা আজ ছুটছে চাকরি, ব্যাবসা আর ক্যারিয়ার নামক মায়ার পিছনে। তুমি জানো তাদের মধ্যে কতজন সফল হয় আর কতজন ঝরে যায়? তবুও তুমি তাদের কে ছুটতেই দেখবে, বিরাম হীন ভাবে।
আর তুমি এসব কিছু ছাপিয়ে খুব সামান্য মানুষ দেখবে – যারা যেন এই দুনিয়ার ই না। তাদের দেখে মনে হবে তারা হয়ত ভুল করে চলে এসেছে। তাদের পোশাক পরিচ্ছেদ খুবই সাদা মাটা, তাদের চলা ফেরা খুবই সাধারন। কিন্তু তুমি দেখবে তারা দুনিয়া কে পা দিয়ে ঠেলে দিয়েছে! দুনিয়া তাদের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারা দুনিয়ার কাছে বিক্রি হয়নি আর দুনিয়াও তাদের সাথে কোন সওদা করতে পারেনি। কারন তারা সওদা করেছে সরাসরি সারা জাহানসমূহের মালিক আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাতের সাথে! তুমি ভুল শুনোনি – হ্যাঁ তারা সওদা করেছে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাতের সাথে। কিন্তু আসলে ঘটনা হচ্ছে তুমি বিশয় টি ধরতেই পারছোনা। কারন তুমি ত কখনো এভাবে ভেবে দেখোনি যে আল্লাহর সাথে সওদা! আল্লাহর সাথে ব্যাবসা! তবে এত টুকু জেনে রাখো তুমি যেমন দুনিয়ার সব চেয়ে বড় কোম্পানির সাথে ব্যাবসা করতে চাও তারাও তাই করেছে। তারা সারা জাহান সমূহের ধন সম্পদ যেই আল্লাহর কাছে সেই আল্লাহর সাথে ব্যাবসা করে ফেলেছে!
তুমি যে নস্টা নারীর পিছনে ঘুরে বেড়াতে পারলে ধন্য মনে কর, এই হাতে গোনা বান্দারাও কিন্তু নিজেদের জন্য রমনী খুজে নিয়েছে। আর তারা নস্টা কাউকে বেছে নেয়নি বরং তারা তো বেছে নিয়েছে জান্নাতী নারীদের মধ্য থেকে। যাদের রুপের বর্ণনা তোমার অন্তর ধারনা করতে পারবেনা, যাদের একটা রুমাল দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ অপেক্ষা দামী, যারা দুনিয়ায় একবার উকি দিলে সমস্ত পুরুষ পাগল হয়ে যাবে, যাদের সৌন্দর্যের ব্যপারে আল্লাহ সার্টীফিকেট দিয়েছেন! আর তারা এমন এক টা নয় দুইটা নয়, ১০ টা নয় ৭২ জন কে বেছে নিয়েছেন নিজের জন্য! ৭২ জন জান্নাতি নারী, ৭২ জন হুর আল আইন যাদের দেখা মাত্র কলিজার স্পন্দন থেমে যাবার উপক্রম হয়!
তারা বেছে নিয়েছে মৃত্যুর কস্ট বনাম সামান্য পিঁপড়ার কামড়ের মত কষ্ট, তারা বেছে নিয়েছে হাশরের দিনে ৫০ হাজার বছর অপেক্ষা করা বনাম আল্লাহর আরশের নিচে সবুজ পাখি ঝুলে থাকা, তারা বেছে নিয়েছে আল্লাহর সামনে হিসাব দেয়া বনাম বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাওয়া। তারা জানে তাদের এই জীবন তো আল্লাহরই দেয়া। আলালহর হুকুমেই আবার এই জীবন চলে যাবে। শেষ হয়ে যাবে। মাটির সাথে মিশে যাবে। এর বিনিময়ে তারা এটা বেছে নিয়েছে যে, তাদের এই জীবন আলালহর জন্য কুরবান হবে এবং তাদের শরীর গলে যাবেনা, পচে যাবেনা, তাদের রক্ত থেকে মেশক এর ন্যায় সুঘ্রান বের হতে থাকবে আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিক প্রাপ্ত হতে থাকবে।
আর এদের সম্পর্কে আল্লাহ হাসেন আর বলেন – এরা আমার পাগল বান্দা! অনুভব করতে পারছো কি!
আর এরাই হচ্ছে এই সামান্য হাতে গোনা কিছু আল্লাহর বান্দা, যারা একটি ফিদায়ী গাড়ি আর সেই গাড়ী পর্যন্ত হেটে যাওয়া কয়েক কদমের জন্য তাদের জীবন সব কিছু বাজি রাখতে রাজি আছে।
এরাই হল তারা যারা মরে কিন্তু তারা জীবিত হয়ে যায়! এরাই হল তারা যারা আল্লাহর আরশের নিচে সবুজ পাখি হয়ে ঝুলে থাকে।এরাই হল তারা যাদের মৃত্যু কষ্ট পিঁপড়া কামড় দেয়ার মত, এরাই হল তারা যাদের প্রথম ফোটা রক্ত মাটিতে পড়ার আগে সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যায়। এরাই হল তারা যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিক প্রাপ্ত হয়, এরাই হল তারা যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে। এরাই হল তারা যাদের ৭২ টি হুর আল আইন থাকবে, এরাই হল তারা যারা নিজেদের পরিবার এর ৭০ জন কে নিজের সাথে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। এরাই হল তারা যারা –
আল্লাহর সাথে প্রেম করতে শিখেছে আর আল্লাহর ভালোবাসায় পাগল হয়ে নিজেকে কুরবান করতে শিখেছে !
Comment