বিসমিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ
আল্লাহ সুবহানাহুওতায়ালা সুরা আত তাহরিমের ৮ নাম্বার আয়াতে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ
আয়াতের শেষ পর্যন্ত
আল্লাহ বলেন, ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর - আন্তরিক তাওবাহ। সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজ গুলো তোমাদের থেকে মুছে দিবেন আর তোমাদের কে জান্নাতে দাখিল করবেন - (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) এখানে যে শব্দ টা এসেছে "তাওবাতান নাসুহা" এর অর্থ করা হয়েছে "আন্তরিক তাওবা" আর এর পরিষ্কার ব্যাখা বুঝানোর জন্য উলামাগন এর সাথে শর্ত সমুহের মধ্যে একটা জুড়ে দিয়েছেন এমন - নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হোওয়া, অনুশোচনা করা। আর এটার জন্য আগে দরকার নিজের ভুল কে চিনতে শেখা এবং স্বীকার করা।
নুহ আঃ যখন নিজের পুত্রের ব্যাপারে আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া আল্লাহ আপনি বলেছিলেন আমার পরিবার কে বাচাবেন, কিন্তু আমার ছেলে তো আমার পরিবার, আল্লাহ বলেছিলেন - ফালা তাস আলনি মা লাইসা লাকা বিহি ইল্ম - হে নুহ যে ব্যাপারে তোমার জ্ঞান নাই সে ব্যাপারে প্রশ্ন করো না। এর উত্তরে নূহ আঃ সর্ব প্রথম বলেছিলেন, ক-লা রব্বি ইন্নি আউজুবিকা আন আসআলুকা মা লাইসা লি বিহি ইল্ম - হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই (একাজের জন্য যে) আমি এমন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি যা আমি জানিনা।
একই ভাবে ইউনুস আঃ - বিপদে সবার আগে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন আর বলেছিলেন- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ য-লিমিন
একই ভাবে মুসা আঃ যখন আল্লাহ কে দেখতে চেয়েছিলেন আর আল্লাহর নুরের সামান্য ঝলক দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলেন, জ্ঞান আসার পরে মুসা সর্ব প্রথম কথা বললেন - ক-লা সুবহানাক - তুবতু ইলাইক, আল্লাহ আপনি সুমহান মর্যাদাবান, আমি তাওবা করছি (আপনাকে দেখতে চাওয়ার জন্য) - মুজাহিদ রহঃ এর মতে
এরকম আরো উদাহরন রয়েছে।
যে বিষয়টি নিয়ে কথা সেটি হচ্ছে -
প্রিয় ভাই আমরা প্রতিনিয়ত অনেক ভুল করি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা কারো কাছে জবাবদিহি করি আর কেউ আমাদের জবাবদিহি বুঝে নেন। এই দুইটিই আমাদের কাজ। এবং তা আল্লাহর সন্তুস্টির জন্য। এখন আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে সাধারনত সেটা আমাদের নজরে আসে, যখন কিনা আমাদের কোন ভাই সেটার বেপারে কইফিয়ত তলব করেন। এমন হালতে সর্বপ্রথম কাজ নিজের ভুলকে স্বীকার করা, উপলব্ধি করাএবং তাওবা করা। কারন, অধিকাংশ সময়ে আমি বা আপনি এমন ভুল গুলো কিন্তু ভুল মনে করে করিনা, বরং ঠিক ভেবেই করি। কিন্তু আমাদের জবাবদিহিতা যার জিম্মায় তার নিজের চিন্তা এবং ফায়সালা অনুযায়ী এটা ভুল ধরা পড়ে, এমন অবস্থায় খুব কম এমন প্রমানিত হবে যে আমি সঠিক। কারন আমি যদি প্রথম বারেই ধরতে পারতাম এটা ভুল তবে আমি বা আপনি কাজ টা হয়ত করতামই না।
এমন হালতে শয়তানের ফাদে পা দিয়ে আমাদের খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করা উচিত না। এতে সর্বপ্রথম যে ক্ষতি হয় তা হচ্ছে নিজের ভুল কে চেনা যায় না। এরফলে আপনি একই ভুল আবার করতে থাকবেন। এর ফলে নিজের কাজের বেপারে সন্তুস্টি আসতে পারে, আপনি ভাবতে পারেন আমি আমার কাজের বেপারে যুক্তি দেখিয়েছি। এর ফলে আদাব এর খেলাফ হয় কারন দেখা যাবে আপনি জানার কমতির কারনে কথার পিঠে কথা বলেই যাচ্ছেন, যখন বিষয় টা বুঝে আসলো তখন দেখা গেলো আপনি শুধু শুধু আপনার কোন কল্যানকামী ভাইয়ের সাথে অনর্থক যুক্তি দেখিয়ে গেছেন।
এর মানে এই না যে আপনি আপনার কাজের যথাযথ কোন কারন থাকলে তা জানাবেন না। যদি আপনি ইতমিনান হন যে আপনি যা করেছেন তা সঠিক, তবে সেটা বলবেন এতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যখন বুঝবেন যে ভুল হয়ে গেছে, তখন সেটাকে স্বীকার করে নিবেন, কারন আল্লাহর নবী রাসুল গন পর্যন্ত এটাই করেছেন।
আপনি যত তর্ক করবেন বিশ্বাস করেন শয়তান আপনাকে ততো যুক্তি সাপ্লাই দিতে থাকবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি নিজেই নিজের কথার প্যাচে পড়ে যাবেন আর তখন শয়তান কে আপনার পাশে পাবেন না। তাই সবার আগে নিজের ভুল স্বীকার করে নিবেন আর তাওবাহ করবেন।
প্রিয় ভাই ভুল স্বীকার এর মাধ্যমে আমাদের কোন ক্ষতি হয়না বরং এতে অনেক ফায়দা আছে। সবচেয়ে বড় ফায়দা হচ্ছে এটা তাওবাতুন নাসুহা এর শর্ত। আর এটার মাধ্যমে আল্লাহ আমদের ভুল গুলো কে মুছে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা কি দুয়া করিনা আল্লাহ আমাদের ভুল গুলো ঢেকে দিন। দেখেন আমরা যদি আন্তরিক তাওবা করি, নিজের ভুল স্বীকার করে নেই তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের ভুল গুলো ঢেকে দিবেন। কারন আল্লাহ এটাই বলেছেন, তিনি আমাদের পাপ গুলো মুছে দিবেন।
প্রিয় ভাই আপনি হয়ত কারো সাথে আজ যুক্তি দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন কিন্তু আল্লাহর সামনে কিন্তু আমরা কেউই পার পাবোনা। এই কাজকে আল্লাহর সামনে যুক্তি দেয়ার জন্য ফেলে না রেখে বরং এটাই কি ভালো না যে, আমি সাথে সাথে আমার ভুল স্বীকার করে নিবো আর তাওবা করে নিবো যার ফলে আল্লাহ আমার ভুল টাকেই মুছে দিবেন ইনশাআল্লাহ
প্রিয় ভাই এখানে আমরা এসেছি নিজের জন্য, দ্বীনের জন্য আল্লাহর সন্তুস্টির জন্য। যে নিজেকে আল্লাহর জন্য নত করে আল্লাহ তার সম্মান আরো বৃদ্ধি করে দেন।
এর বাইরে এই কাজের জন্য আমাদের সিকিউরিটি দিক থেকেও অনেক ফায়দা আছে। এর ফলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয় যা আমাদের এবং দ্বীনের কল্যানেই।এ ছাড়া আরেকটি বিষয় সেটি হচ্ছে আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে সেটি সবার আগে সেটি উপযুক্ত ভাইকে জানানো এবং সাথে সাথে নিজে ঠিক করে নেয়ার চেস্টা জারি রাখা, নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কোন ভাই কে জানানো এবং উনার সাথে মাশোয়ারা করে বিষয় টা সমাধান করার চেস্টা করা। কিন্তু কখনো এমন হয় যে আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে ভয়ে বা লজ্জায় আমরা সেটা গোপন করি এবং নিজে নিজে কোন ভাবে ঠিক করার চেস্টা করি। যখন পারিনা তখন যায় বিষয় টা এমনিই কোন ভাই জেনে যান। কিন্তু এমন হতে পারে যে ততক্ষণ অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্রথমেই বিষয় টা জানালে হয়ত কোন উপকারী পদক্ষেপ নেয়া যেত ইনশাআল্লাহ। তাই আমাদের উচিত হবে আমাদের দ্বারা কাজের ব্যাপারে কোন ভুল হয়ে গেলে সেটাকে গোপন না করে সাথে সাথে সেটা উপযুক্ত কাউকে জানানো।
সব শেষে - আল্লাহ আমাদের এই কথার উপরে আমল করার তাউফিক দান করুন
আমিন ইয়া রাব্ব
আল্লাহ সুবহানাহুওতায়ালা সুরা আত তাহরিমের ৮ নাম্বার আয়াতে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ
আয়াতের শেষ পর্যন্ত
আল্লাহ বলেন, ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর - আন্তরিক তাওবাহ। সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজ গুলো তোমাদের থেকে মুছে দিবেন আর তোমাদের কে জান্নাতে দাখিল করবেন - (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) এখানে যে শব্দ টা এসেছে "তাওবাতান নাসুহা" এর অর্থ করা হয়েছে "আন্তরিক তাওবা" আর এর পরিষ্কার ব্যাখা বুঝানোর জন্য উলামাগন এর সাথে শর্ত সমুহের মধ্যে একটা জুড়ে দিয়েছেন এমন - নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হোওয়া, অনুশোচনা করা। আর এটার জন্য আগে দরকার নিজের ভুল কে চিনতে শেখা এবং স্বীকার করা।
নুহ আঃ যখন নিজের পুত্রের ব্যাপারে আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া আল্লাহ আপনি বলেছিলেন আমার পরিবার কে বাচাবেন, কিন্তু আমার ছেলে তো আমার পরিবার, আল্লাহ বলেছিলেন - ফালা তাস আলনি মা লাইসা লাকা বিহি ইল্ম - হে নুহ যে ব্যাপারে তোমার জ্ঞান নাই সে ব্যাপারে প্রশ্ন করো না। এর উত্তরে নূহ আঃ সর্ব প্রথম বলেছিলেন, ক-লা রব্বি ইন্নি আউজুবিকা আন আসআলুকা মা লাইসা লি বিহি ইল্ম - হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই (একাজের জন্য যে) আমি এমন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি যা আমি জানিনা।
একই ভাবে ইউনুস আঃ - বিপদে সবার আগে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন আর বলেছিলেন- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ য-লিমিন
একই ভাবে মুসা আঃ যখন আল্লাহ কে দেখতে চেয়েছিলেন আর আল্লাহর নুরের সামান্য ঝলক দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলেন, জ্ঞান আসার পরে মুসা সর্ব প্রথম কথা বললেন - ক-লা সুবহানাক - তুবতু ইলাইক, আল্লাহ আপনি সুমহান মর্যাদাবান, আমি তাওবা করছি (আপনাকে দেখতে চাওয়ার জন্য) - মুজাহিদ রহঃ এর মতে
এরকম আরো উদাহরন রয়েছে।
যে বিষয়টি নিয়ে কথা সেটি হচ্ছে -
প্রিয় ভাই আমরা প্রতিনিয়ত অনেক ভুল করি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা কারো কাছে জবাবদিহি করি আর কেউ আমাদের জবাবদিহি বুঝে নেন। এই দুইটিই আমাদের কাজ। এবং তা আল্লাহর সন্তুস্টির জন্য। এখন আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে সাধারনত সেটা আমাদের নজরে আসে, যখন কিনা আমাদের কোন ভাই সেটার বেপারে কইফিয়ত তলব করেন। এমন হালতে সর্বপ্রথম কাজ নিজের ভুলকে স্বীকার করা, উপলব্ধি করাএবং তাওবা করা। কারন, অধিকাংশ সময়ে আমি বা আপনি এমন ভুল গুলো কিন্তু ভুল মনে করে করিনা, বরং ঠিক ভেবেই করি। কিন্তু আমাদের জবাবদিহিতা যার জিম্মায় তার নিজের চিন্তা এবং ফায়সালা অনুযায়ী এটা ভুল ধরা পড়ে, এমন অবস্থায় খুব কম এমন প্রমানিত হবে যে আমি সঠিক। কারন আমি যদি প্রথম বারেই ধরতে পারতাম এটা ভুল তবে আমি বা আপনি কাজ টা হয়ত করতামই না।
এমন হালতে শয়তানের ফাদে পা দিয়ে আমাদের খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করা উচিত না। এতে সর্বপ্রথম যে ক্ষতি হয় তা হচ্ছে নিজের ভুল কে চেনা যায় না। এরফলে আপনি একই ভুল আবার করতে থাকবেন। এর ফলে নিজের কাজের বেপারে সন্তুস্টি আসতে পারে, আপনি ভাবতে পারেন আমি আমার কাজের বেপারে যুক্তি দেখিয়েছি। এর ফলে আদাব এর খেলাফ হয় কারন দেখা যাবে আপনি জানার কমতির কারনে কথার পিঠে কথা বলেই যাচ্ছেন, যখন বিষয় টা বুঝে আসলো তখন দেখা গেলো আপনি শুধু শুধু আপনার কোন কল্যানকামী ভাইয়ের সাথে অনর্থক যুক্তি দেখিয়ে গেছেন।
এর মানে এই না যে আপনি আপনার কাজের যথাযথ কোন কারন থাকলে তা জানাবেন না। যদি আপনি ইতমিনান হন যে আপনি যা করেছেন তা সঠিক, তবে সেটা বলবেন এতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যখন বুঝবেন যে ভুল হয়ে গেছে, তখন সেটাকে স্বীকার করে নিবেন, কারন আল্লাহর নবী রাসুল গন পর্যন্ত এটাই করেছেন।
আপনি যত তর্ক করবেন বিশ্বাস করেন শয়তান আপনাকে ততো যুক্তি সাপ্লাই দিতে থাকবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি নিজেই নিজের কথার প্যাচে পড়ে যাবেন আর তখন শয়তান কে আপনার পাশে পাবেন না। তাই সবার আগে নিজের ভুল স্বীকার করে নিবেন আর তাওবাহ করবেন।
প্রিয় ভাই ভুল স্বীকার এর মাধ্যমে আমাদের কোন ক্ষতি হয়না বরং এতে অনেক ফায়দা আছে। সবচেয়ে বড় ফায়দা হচ্ছে এটা তাওবাতুন নাসুহা এর শর্ত। আর এটার মাধ্যমে আল্লাহ আমদের ভুল গুলো কে মুছে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা কি দুয়া করিনা আল্লাহ আমাদের ভুল গুলো ঢেকে দিন। দেখেন আমরা যদি আন্তরিক তাওবা করি, নিজের ভুল স্বীকার করে নেই তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের ভুল গুলো ঢেকে দিবেন। কারন আল্লাহ এটাই বলেছেন, তিনি আমাদের পাপ গুলো মুছে দিবেন।
প্রিয় ভাই আপনি হয়ত কারো সাথে আজ যুক্তি দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন কিন্তু আল্লাহর সামনে কিন্তু আমরা কেউই পার পাবোনা। এই কাজকে আল্লাহর সামনে যুক্তি দেয়ার জন্য ফেলে না রেখে বরং এটাই কি ভালো না যে, আমি সাথে সাথে আমার ভুল স্বীকার করে নিবো আর তাওবা করে নিবো যার ফলে আল্লাহ আমার ভুল টাকেই মুছে দিবেন ইনশাআল্লাহ
প্রিয় ভাই এখানে আমরা এসেছি নিজের জন্য, দ্বীনের জন্য আল্লাহর সন্তুস্টির জন্য। যে নিজেকে আল্লাহর জন্য নত করে আল্লাহ তার সম্মান আরো বৃদ্ধি করে দেন।
এর বাইরে এই কাজের জন্য আমাদের সিকিউরিটি দিক থেকেও অনেক ফায়দা আছে। এর ফলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয় যা আমাদের এবং দ্বীনের কল্যানেই।এ ছাড়া আরেকটি বিষয় সেটি হচ্ছে আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে সেটি সবার আগে সেটি উপযুক্ত ভাইকে জানানো এবং সাথে সাথে নিজে ঠিক করে নেয়ার চেস্টা জারি রাখা, নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কোন ভাই কে জানানো এবং উনার সাথে মাশোয়ারা করে বিষয় টা সমাধান করার চেস্টা করা। কিন্তু কখনো এমন হয় যে আমাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে ভয়ে বা লজ্জায় আমরা সেটা গোপন করি এবং নিজে নিজে কোন ভাবে ঠিক করার চেস্টা করি। যখন পারিনা তখন যায় বিষয় টা এমনিই কোন ভাই জেনে যান। কিন্তু এমন হতে পারে যে ততক্ষণ অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্রথমেই বিষয় টা জানালে হয়ত কোন উপকারী পদক্ষেপ নেয়া যেত ইনশাআল্লাহ। তাই আমাদের উচিত হবে আমাদের দ্বারা কাজের ব্যাপারে কোন ভুল হয়ে গেলে সেটাকে গোপন না করে সাথে সাথে সেটা উপযুক্ত কাউকে জানানো।
সব শেষে - আল্লাহ আমাদের এই কথার উপরে আমল করার তাউফিক দান করুন
আমিন ইয়া রাব্ব
Comment