বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
তালিবুল ইলমদেরর প্রতি বার্তা
হে তালিবুল ইলম! তুমি আমার প্রাণের স্পন্দন! তুমি আমার ভালবাসার অটুট বন্ধন!!
হে তালিবুল ইলম! আমার স্বপ্ন কেবল তোমাকেই নিয়ে। আর আমার স্বপ্নের বাস্তবায়ন তা তোমাকে দিয়েই।
তুমি এমন যে, কেউ তোমাকে রুখতে পারেনা। তোমাকে বাধবে এমন পন্থাও কেউ জানেনা। তোমার কথন হৃদয়কে স্পর্শকারী! তোমার চলন লৌহ প্রাচীরকে ভেদকারী! তোমার অঙ্গিকার, তা পূর্ণ হবারই!
হে তালিবুল ইলম! তোমার রগ-রেশায়, শিরায়-উপশিরায় বয়ে চলে খালিদ বিন ওয়ালিদের রক্তের স্রোতধারা। আর তোমার মস্তকই ধারণ করে উমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ এর উন্নত চিন্তাধারা। তাই মৃত্যুর ভয় তোমাকে স্পর্শ করতে পারেনা! আর তোমার সাহসী পদক্ষেপকে কেউ রুখতেও পারেনা! তোমাকে রুখতেই বারবার পদস্খলন ঘটেছিলো সমস্ত বাতিল পরাশক্তির। আর খন্ড-বিখন্ড হয়েছিল কুফ্ফার জনগোষ্ঠী।
হে তালিবুল ইলম! তুমি এমন এক নাম, যে নাম শুনে ওয়াশিংটনের প্রতিটি ইট কাঁপতে থাকে। তোমার আল্লাহু আকবার ধ্বনি আর সাহসী হুংকারে থরথর করে কেঁপে উঠে সকল তাগুতের মসনদ। এমনকি আজো পর্যন্ত তোমার নাম শ্রবণে দিল্লীর মাথার উপর দিয়ে বয়ে যায় অশান্তির লু-হাওয়া।
তুমি সেই তালিবুল ইলম! যার হৃদয় বারবার শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করে। তোমার বক্ষতো এমন বক্ষ, যে বক্ষ নিজেকে উন্মোচন করে দেয়, মুরতাদ শাসকের প্রতিবাদে। তোমার চেতনাতো এমন চেতনা, যা কুফ্ফারের সকল শক্তিশালী আর আধুনিক মারণাস্ত্রকে পর্যন্ত ভেঙ্গে চুরমার করে ধূলোয় মিশিয়ে দেয়।
হে তালিবুল ইলম! তুমি সেই নাম, যেই নাম ভয় করেনা কোন পরাশক্তি আমেরিকা, রাশিয়াকে। আর পরোয়া করে চলেনা চীন, জাপান, ভারতের মত নাপাক কাফেরদেরকে। তুমি সে, যে কোন বাতিল পরাশক্তির কদমবুচি করেনা। বরং সর্বাধিক ক্ষমতাধর এক আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা করে প্রশান্তি লাভ করে যে, তুমি হচ্ছো সে!
হে তালিবুল ইলম! তুমিতো সেই তালিবুল ইলমদের উত্তরসূরী, যারা ছিলেন সুফ্ফার বাসিন্দা। যাদের উস্তাদ ছিলেন বিশ্ব নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। তাঁরাতো এমন ছিলেন যে, তাঁদের পরনে ছিলনা ভাল কাপড়। আর ছিলোনা দৈনিক দুমুঠো খাবার। কিন্তু তারাই একদিন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমে রোম-পারস্যের মতো তৎকালিন পরাশক্তিকে পদানত করেছিলেন। আর ইসলামকে পৌছে দিয়েছিলেন পৃথিবীর দিক-দিগন্তে। কুফুরের বুক চিরে উড্ডীন করেছিলেন ঈমানী ঝান্ডা। তাঁরা মুক্ত করেছিলেন অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, নিপীড়ন আর শোষণ থেকে মুসলিম জাতিকে। যারা একজন মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য ১৪০০ জন রাসূলের হাতে বায়াত করেছেন জিহাদের। আর দীপ্তকন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন
نحن الذين بايعوا محمدا # علي الجهاد ما بقينا ابدا
আমরাতো সেই (বীর জাতি)যারা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মোবারক হাতে জিহাদের বায়াত গ্রহণ করেছি। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাণ অবশিষ্ট থাকে।
রব্বে কাবার কসম! এটা কখনোই হতে পারেনা, আমাদের মুসলিম ভাইকে হত্যা করা হবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো! না! এটা কখনোই হতে পারেনা!! বরং আমরা আমাদের একজন মুসলিম ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনে ১৪০০ জন জীবন বাজি রেখে লড়াই করবো। তবুও একজন মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করবোই ইনশাআল্লাহ! এই ছিল তোমার পূর্বসূরী তালিবুল ইলমদের অবস্থা! ওয়াদা আর প্রতিজ্ঞা।
হে তালিবুল ইলম! তোমার কি হলো যে, তুমি চুপটি মেরে বসে আছো ? প্রতিশোধের স্পৃহা কি তোমার হৃদয়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়না ? তোমার হাত কি মুষ্ঠিবদ্ধ হয়না নাপাক বৌদ্ধ আর ইহুদী-খ্রিস্টানদের বিশ্রী চেহারাকে থেতলে দেয়ার জন্য ? তুমি কি দেখতে পাচ্ছোনা তোমার কত শত-সহস্র মুসলিম ভাইদেরকে বিনা অপরাধে নির্মমভাবে শহীদ করা হচ্ছে ? এবাস্তবতাও কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে যে, তোমার হাজার হাজার মুসলিম মা-বোনদের খোদার ভয়ে রক্ষিত সম্ভ্রম নষ্ট করে নির্বিচারে পশুর মত জবাই করা হচ্ছে ? এ ঘটনা কি তোমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়না যে, তোমার ছোট্ট-ছোট্ট মুসলিম শিশু ভাই-বোনদেরকেও তারা কেবল মুসলিম হওয়ার কারণে নির্দয়ভাবে গলাটিপে আর গুলি করে হত্যা করছে ?
হে তালিবুল ইলম! তুমি কোথায় ? আর তোমার পূর্বসূরী তালিবুল ইলমরা ছিলেন কোথায় ? মুসলিম উম্মাহর এই দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তোমার অবস্থান কোথায় ? আর তাদের অবস্থান ছিল কোথায়!!
হে তালিবুল ইলম! এ ইতিহাস কি তুমি পাঠ করোনি যে, মাত্র সতের বছরের তালিবুল ইলম মুহাম্মদ বিন কাসিম সেই সুদূর আরব থেকে সিন্ধু প্রদেশে এসে, তোমার একজন মুসলিম বোনের করুন আর্তনাদে সাড়া দিয়েছিলো ? আর লম্পট হিন্দুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছিলো তোমার আমার সে নির্যাতিত বোনকে ?
হে তালিবুল ইলম! তুমি কি একবারের জন্যও পাঠ করে দেখোনি নির্যাতিত বোন ফাতেমার চিঠি ? তোমার হৃদয়াঙ্গনে কি আঘাত হানেনা আফগান, আরাকান, কাশ্মির, ফিলিস্তিন আর বসনিয়ার মুসলিম ভাই-বোন আর অবুঝ বালক-বালিকাদের করুণ আর্তচিৎকার ? কি হলো তোমার ? তুমিতো কাপুরুষ নও! তুমিতো সন্তান কোন এক মুসলিম বীরের!! তুমিই তো ছিলে বিশ্ব মসনদের অধিকারী। তোমার ইতিহাস তো অনুজ্জ্বল নয়, বরং দিবালোকের ন্যায় অতি উজ্জ্বল। তোমার ইতিহাস তো পরাজয়ের নয়, বরং বিজয়ের। তোমার মূলধন তো অপমান নয় বরং সম্মান।
তবে আজ কেন তুমি আলো ছেড়ে আঁধারকে গ্রহণ করবে ? কেনইবা তুমি বিজয়ের পরিবর্তে পরাজয়ের অপমান বহণ করবে ? আর কতদিনইবা তুমি এ লাঞ্ছনার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরবে ? তোমার-আমার এমন নীরবতা পালন বিপদকে নাকের ডগায় এনে পৌঁছিয়েছে। এখন সকল কুফুরী বিশ্ব তোমার আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়েও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে!!
হে তালিবুল ইলম! জীবন কি শেষ হবে তোমার আফসোসেই ? প্রয়োজন কি নেই তোমার আলোর ? বিজয়ের আর সম্মানের ? তবে রব্বে কাবার কসম দিয়ে বলছি! তুমি অনুসারী হও কোরআনের। আর যমিনে যিন্দা করো তুমি কোরআনের বিধান জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মহান আমল ।
কেননা ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই সময়ে, শরীয়ত তোমার জন্য সবরের বিধান জারী করেনি। বরং শরীয়ত তোমার উপর ফরয করে দিয়েছে পবিত্র বিধান জিহাদকে। মুসলিম উম্মাহর দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায়ও যারা কিতালের বিধান ছেড়ে দেবে, তাদের জন্য কোরআনের ভাষ্যানুযায়ী আখেরাতে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ও দুনিয়াতে মুনাফিকীর যিন্দেগী আর হাদীসের ভাষ্যানুযাযী দুনিয়াতে লাঞ্ছনার যিন্দেগী ও মুনাফিকীর মৃত্যু আবশ্যক!
অতএব, হে উম্মাহর রাহবার তালিবুল ইলম! ওঠো! জাগো! জাগ্রত হও!! জাগিয়ে তোলো দুনিয়ার তুচ্ছ ভোগ-বিলাসে ডুবন্ত-ঘুমন্ত এ মুসলিম জাতিকে। সকলে এক হয়ে, এক সাথে হাতে হাত মিলিয়ে বায়াত করো জিহাদের। তুমি অনুসন্ধানী হও! অনুসন্ধান চালিয়ে যাও! আর এই অনুসন্ধানই তোমাকে রবের কৃপায় সঠিক পথ পেতে পূর্ণ সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ!
আর জেনে রেখো ইসলাম ও মুসলমানদের এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে জিহাদই একমাত্র মুক্তির পথ! কেবল জিহাদই হচ্ছে বিজয়ের পথ!! আর জিহাদই হচ্ছে দীন ও উম্মাহর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একমাত্র অবলম্বন।
তালিবুল ইলমদেরর প্রতি বার্তা
হে তালিবুল ইলম! তুমি আমার প্রাণের স্পন্দন! তুমি আমার ভালবাসার অটুট বন্ধন!!
হে তালিবুল ইলম! আমার স্বপ্ন কেবল তোমাকেই নিয়ে। আর আমার স্বপ্নের বাস্তবায়ন তা তোমাকে দিয়েই।
তুমি এমন যে, কেউ তোমাকে রুখতে পারেনা। তোমাকে বাধবে এমন পন্থাও কেউ জানেনা। তোমার কথন হৃদয়কে স্পর্শকারী! তোমার চলন লৌহ প্রাচীরকে ভেদকারী! তোমার অঙ্গিকার, তা পূর্ণ হবারই!
হে তালিবুল ইলম! তোমার রগ-রেশায়, শিরায়-উপশিরায় বয়ে চলে খালিদ বিন ওয়ালিদের রক্তের স্রোতধারা। আর তোমার মস্তকই ধারণ করে উমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ এর উন্নত চিন্তাধারা। তাই মৃত্যুর ভয় তোমাকে স্পর্শ করতে পারেনা! আর তোমার সাহসী পদক্ষেপকে কেউ রুখতেও পারেনা! তোমাকে রুখতেই বারবার পদস্খলন ঘটেছিলো সমস্ত বাতিল পরাশক্তির। আর খন্ড-বিখন্ড হয়েছিল কুফ্ফার জনগোষ্ঠী।
হে তালিবুল ইলম! তুমি এমন এক নাম, যে নাম শুনে ওয়াশিংটনের প্রতিটি ইট কাঁপতে থাকে। তোমার আল্লাহু আকবার ধ্বনি আর সাহসী হুংকারে থরথর করে কেঁপে উঠে সকল তাগুতের মসনদ। এমনকি আজো পর্যন্ত তোমার নাম শ্রবণে দিল্লীর মাথার উপর দিয়ে বয়ে যায় অশান্তির লু-হাওয়া।
তুমি সেই তালিবুল ইলম! যার হৃদয় বারবার শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করে। তোমার বক্ষতো এমন বক্ষ, যে বক্ষ নিজেকে উন্মোচন করে দেয়, মুরতাদ শাসকের প্রতিবাদে। তোমার চেতনাতো এমন চেতনা, যা কুফ্ফারের সকল শক্তিশালী আর আধুনিক মারণাস্ত্রকে পর্যন্ত ভেঙ্গে চুরমার করে ধূলোয় মিশিয়ে দেয়।
হে তালিবুল ইলম! তুমি সেই নাম, যেই নাম ভয় করেনা কোন পরাশক্তি আমেরিকা, রাশিয়াকে। আর পরোয়া করে চলেনা চীন, জাপান, ভারতের মত নাপাক কাফেরদেরকে। তুমি সে, যে কোন বাতিল পরাশক্তির কদমবুচি করেনা। বরং সর্বাধিক ক্ষমতাধর এক আল্লাহর কুদরতি পায়ে সেজদা করে প্রশান্তি লাভ করে যে, তুমি হচ্ছো সে!
হে তালিবুল ইলম! তুমিতো সেই তালিবুল ইলমদের উত্তরসূরী, যারা ছিলেন সুফ্ফার বাসিন্দা। যাদের উস্তাদ ছিলেন বিশ্ব নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। তাঁরাতো এমন ছিলেন যে, তাঁদের পরনে ছিলনা ভাল কাপড়। আর ছিলোনা দৈনিক দুমুঠো খাবার। কিন্তু তারাই একদিন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমে রোম-পারস্যের মতো তৎকালিন পরাশক্তিকে পদানত করেছিলেন। আর ইসলামকে পৌছে দিয়েছিলেন পৃথিবীর দিক-দিগন্তে। কুফুরের বুক চিরে উড্ডীন করেছিলেন ঈমানী ঝান্ডা। তাঁরা মুক্ত করেছিলেন অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, নিপীড়ন আর শোষণ থেকে মুসলিম জাতিকে। যারা একজন মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য ১৪০০ জন রাসূলের হাতে বায়াত করেছেন জিহাদের। আর দীপ্তকন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন
نحن الذين بايعوا محمدا # علي الجهاد ما بقينا ابدا
আমরাতো সেই (বীর জাতি)যারা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মোবারক হাতে জিহাদের বায়াত গ্রহণ করেছি। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাণ অবশিষ্ট থাকে।
রব্বে কাবার কসম! এটা কখনোই হতে পারেনা, আমাদের মুসলিম ভাইকে হত্যা করা হবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো! না! এটা কখনোই হতে পারেনা!! বরং আমরা আমাদের একজন মুসলিম ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনে ১৪০০ জন জীবন বাজি রেখে লড়াই করবো। তবুও একজন মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করবোই ইনশাআল্লাহ! এই ছিল তোমার পূর্বসূরী তালিবুল ইলমদের অবস্থা! ওয়াদা আর প্রতিজ্ঞা।
হে তালিবুল ইলম! তোমার কি হলো যে, তুমি চুপটি মেরে বসে আছো ? প্রতিশোধের স্পৃহা কি তোমার হৃদয়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়না ? তোমার হাত কি মুষ্ঠিবদ্ধ হয়না নাপাক বৌদ্ধ আর ইহুদী-খ্রিস্টানদের বিশ্রী চেহারাকে থেতলে দেয়ার জন্য ? তুমি কি দেখতে পাচ্ছোনা তোমার কত শত-সহস্র মুসলিম ভাইদেরকে বিনা অপরাধে নির্মমভাবে শহীদ করা হচ্ছে ? এবাস্তবতাও কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে যে, তোমার হাজার হাজার মুসলিম মা-বোনদের খোদার ভয়ে রক্ষিত সম্ভ্রম নষ্ট করে নির্বিচারে পশুর মত জবাই করা হচ্ছে ? এ ঘটনা কি তোমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়না যে, তোমার ছোট্ট-ছোট্ট মুসলিম শিশু ভাই-বোনদেরকেও তারা কেবল মুসলিম হওয়ার কারণে নির্দয়ভাবে গলাটিপে আর গুলি করে হত্যা করছে ?
হে তালিবুল ইলম! তুমি কোথায় ? আর তোমার পূর্বসূরী তালিবুল ইলমরা ছিলেন কোথায় ? মুসলিম উম্মাহর এই দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তোমার অবস্থান কোথায় ? আর তাদের অবস্থান ছিল কোথায়!!
হে তালিবুল ইলম! এ ইতিহাস কি তুমি পাঠ করোনি যে, মাত্র সতের বছরের তালিবুল ইলম মুহাম্মদ বিন কাসিম সেই সুদূর আরব থেকে সিন্ধু প্রদেশে এসে, তোমার একজন মুসলিম বোনের করুন আর্তনাদে সাড়া দিয়েছিলো ? আর লম্পট হিন্দুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছিলো তোমার আমার সে নির্যাতিত বোনকে ?
হে তালিবুল ইলম! তুমি কি একবারের জন্যও পাঠ করে দেখোনি নির্যাতিত বোন ফাতেমার চিঠি ? তোমার হৃদয়াঙ্গনে কি আঘাত হানেনা আফগান, আরাকান, কাশ্মির, ফিলিস্তিন আর বসনিয়ার মুসলিম ভাই-বোন আর অবুঝ বালক-বালিকাদের করুণ আর্তচিৎকার ? কি হলো তোমার ? তুমিতো কাপুরুষ নও! তুমিতো সন্তান কোন এক মুসলিম বীরের!! তুমিই তো ছিলে বিশ্ব মসনদের অধিকারী। তোমার ইতিহাস তো অনুজ্জ্বল নয়, বরং দিবালোকের ন্যায় অতি উজ্জ্বল। তোমার ইতিহাস তো পরাজয়ের নয়, বরং বিজয়ের। তোমার মূলধন তো অপমান নয় বরং সম্মান।
তবে আজ কেন তুমি আলো ছেড়ে আঁধারকে গ্রহণ করবে ? কেনইবা তুমি বিজয়ের পরিবর্তে পরাজয়ের অপমান বহণ করবে ? আর কতদিনইবা তুমি এ লাঞ্ছনার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরবে ? তোমার-আমার এমন নীরবতা পালন বিপদকে নাকের ডগায় এনে পৌঁছিয়েছে। এখন সকল কুফুরী বিশ্ব তোমার আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়েও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে!!
হে তালিবুল ইলম! জীবন কি শেষ হবে তোমার আফসোসেই ? প্রয়োজন কি নেই তোমার আলোর ? বিজয়ের আর সম্মানের ? তবে রব্বে কাবার কসম দিয়ে বলছি! তুমি অনুসারী হও কোরআনের। আর যমিনে যিন্দা করো তুমি কোরআনের বিধান জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মহান আমল ।
কেননা ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই সময়ে, শরীয়ত তোমার জন্য সবরের বিধান জারী করেনি। বরং শরীয়ত তোমার উপর ফরয করে দিয়েছে পবিত্র বিধান জিহাদকে। মুসলিম উম্মাহর দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায়ও যারা কিতালের বিধান ছেড়ে দেবে, তাদের জন্য কোরআনের ভাষ্যানুযায়ী আখেরাতে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ও দুনিয়াতে মুনাফিকীর যিন্দেগী আর হাদীসের ভাষ্যানুযাযী দুনিয়াতে লাঞ্ছনার যিন্দেগী ও মুনাফিকীর মৃত্যু আবশ্যক!
অতএব, হে উম্মাহর রাহবার তালিবুল ইলম! ওঠো! জাগো! জাগ্রত হও!! জাগিয়ে তোলো দুনিয়ার তুচ্ছ ভোগ-বিলাসে ডুবন্ত-ঘুমন্ত এ মুসলিম জাতিকে। সকলে এক হয়ে, এক সাথে হাতে হাত মিলিয়ে বায়াত করো জিহাদের। তুমি অনুসন্ধানী হও! অনুসন্ধান চালিয়ে যাও! আর এই অনুসন্ধানই তোমাকে রবের কৃপায় সঠিক পথ পেতে পূর্ণ সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ!
আর জেনে রেখো ইসলাম ও মুসলমানদের এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে জিহাদই একমাত্র মুক্তির পথ! কেবল জিহাদই হচ্ছে বিজয়ের পথ!! আর জিহাদই হচ্ছে দীন ও উম্মাহর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একমাত্র অবলম্বন।
Comment