Announcement

Collapse
No announcement yet.

সিরিয়ার অাহাজারী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সিরিয়ার অাহাজারী

    সিরিয়ার আর্তনাদ।

    সিরিয়ার শিশুদের অবস্থা আজকে বিশ্বের মানুষ স্বচোখে দেখছে। তাদের রক্ত মাখা মুখ ছিন্ন-বিছিন্ন দেহ পাথর হৃদয়কেও বিগলিত হতে বাধ্য করছে। এই শিশুদের জায়গাতে আমরা নিজেদের বাচ্চাদের কথা কল্পনাও করতে চাই না। নিজেদের বাচ্চাদের চাহিদা প্রতিটা মিনিটে পূরণ করছি একজন দায়িত্বশীল বাবা-মা হিসেবে। কিন্তু এই শিশু গুলো তো আমাদের কেউ হয়না। এরা না তো আমাদের রক্তের কেউ আর না কোন আত্মীয়! এরা তো সেই সুদূর সিরিয়ার বাসিন্দা। আমার সময় কোথায় ওদের খবর নেওয়ার? ছিঃ ছিঃ শত শত ধিক্কার নিজেকে জানাই যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই হাদিস গুলো মনে পড়ে যায়। তিনি বলেছেন,
    عَن النُّعْمَانِ بْنِ بَشِير قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ مَثَلُ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى)

    তুমি মুমিনদের দেখবে, নিজেদের মাঝে প্রীতি ও করুণায় তারা যেন এক দেহের মত (যে) দেহের এক অঙ্গে ব্যথা হলে সকল অঙ্গ (যেন) জ্বর ও রাত্রি জাগরণে লিপ্ত হয়ে পড়ে। (নুমান ইবনে বাশীর রা.-এর সূত্রে সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬০১১; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৮৬)

    অন্য বর্ণনায় আছে-

    حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُسْلِمُونَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ ، إِنِ اشْتَكَى عَيْنُهُ ، اشْتَكَى كُلُّهُ ، وَإِنِ اشْتَكَى ، رَأْسُهُ اشْتَكَى كُلُّهُ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنِ الشَّعْبِيِّ ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
    • صحيح مسلم
    • كتاب الْبِرِّ وَالصِّلَةِ وَالْآدَابِ
    • بَابُ تَرَاحُمِ الْمُؤْمِنِينَ وَتَعَاطُفِهِمْ وَتَعَاضُدِهِمْ
    • حديث رقم 4815
    অর্থাৎ মুসলিমগণ সকলে মিলে যেন একটি মানুষ- যার চোখে ব্যাথা হলে গোটা দেহ অস্থির হয়, মাথায় ব্যাথা হলেও গোটা দেহ অস্থির হয়। (নুমান ইবনে বাশীর রা.-এর সূত্রে সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৮৬)

    আফসোস শত-সহস্র আফসোস নিজের জন্য, আজো আমি মু'মিন হতে পারিনি। পারতাম কি নিজের ছেলে-মেয়ের ছিন্নভিন্ন শরীরের ছবি দেখে এভাবে আরামে খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়ে যেতে!!! না কখনোই পারতাম না। কেননা যত ভালো বিছানা বা দামি খাবারী হউক সেগুলা কাটা হয়ে বিঁধতো ক্ষণে ক্ষণে, কিছুতেই শান্তি পেতাম না। তাহলে আজ পাচ্ছি কেন? কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাহকে যে দেহের সাথে তুলনা করেছেন আমি বা আমরা সবাই তো সেই দেহের প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া অংশ... আস্তাগফিরুল্লাহ্!

    চারদিকে আজ মুসলিমরা মার খাচ্ছে, রক্তের সাগর শুকিয়ে এবার মরুভূমি হবার পালা! হে ভাই তবুও কি তোমার ঘুম ভাঙবে না!? তুমি কি দাঁড়াবে না ওদের পাশে গিয়ে? কোথায় আজ কাফেরদের তৈরি জাতিসংঘ আর কোথায় বিশ্ব মানবতা? নাহ্! কাফেরদের জাতিসংঘের মানব রচিত মানবতার সুবিধা তো তারাই পেয়ে থাকে যারা ক্বাবা'র পাশাপাশি আমেরিকাকে ভক্তি করতে জানে, যারা আল্লাহ্*কে ইলাহ বলে কিন্তু ট্রাম্পকেও প্রভু কাতারেই রাখে...ইন্নালিল্লাহ্!

    আর যারা বলেন لآ_اله_الا_الله এক আল্লাহ্* ছাড়া আর সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম তারা তো মানুষ না তারা হলো জঙ্গি! আর জঙ্গিদের মারলে কারোই কিচ্ছু আসে যায়না। কেননা ইসলাম তো তথাকথিত শান্তির ধর্ম, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, চরমপন্থির কোনো স্থান ইসলামে নাই। কালিমা ৫ ওয়াক্ত সলাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব, যাকাত এগুলা মানলেই যথেষ্ট! জিহাদ সেতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য প্রযোজ্য ছিলো সেই যামানায়! তবে তোমাকে স্মরণ করিয়ে দেই তুমি কি আল্লাহ্*র কিছু বিধান মানো আর কিছু মানতে নারাজ? আল্লাহ্* বলেছেন-

    كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
    জিহাদকে তোমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য রূপে অবধারিত করা হয়েছে এবং এটি তোমাদের নিকট অপ্রীতিকর; বস্ত্ততঃ তোমরা এমন বিষয়কে অপছন্দ করছ যা তোমাদের পক্ষে বাস্তবিকই মঙ্গলজনক, পক্ষান্তরে তোমরা এমন বিষয়কে পছন্দ করছ যা তোমাদের জন্য বাস্তবিকই অনিষ্টকর এবং আল্লাহই (তোমাদের ভাল-মন্দ) অবগত আছেন এবং তোমরা অবগত নও।[সুরা বাকারাঃ২১৬]

    আল্লাহ্* তো যেই কিতাবে অন্যান্য বিধান দিলেন, সেই একই কিতাবে জিহাদ করাও আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন, এখনো কি আমাদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়নি? তাহলে আর কবে হবে? কবে এই নিরিহ ভাই-বোনেরা একটু শান্তিতে বাঁচতে

    পারবেন? কবে এই কচিকাঁচাদের মুখগুলোতে রক্ত নয় ঈদের খুশি দেখতে পাবো বলতে পারো!!!
    হে ভাই তুমি কি আল্লাহ্*র বানী শুনতে পাওনা নাকি বুঝতে চাও না? আল্লাহ্* যেন আমাদের ডেকে বলছেন,

    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا

    তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছনা? অথচ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের মধ্যে যারা দুর্বল তারা বলেঃ হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে অত্যাচারী এই নগর হতে নিস্কৃতি দিন এবং স্বীয় সন্নিধান হতে আমাদের পৃষ্ঠপোষক ও নিজের নিকট হতে আমাদের জন্য সাহায্যকারী প্রেরণ করুন। -[সুরা নিসা, আয়াতঃ৭৫]

  • #2
    zajakallah kahiran

    Comment

    Working...
    X