মায়ের থেকে বিদায়।
একটি শব্দের এই মধুর নামটি ‘মা’। কে না ভালোবাসে এই মাকে? কে না সোহাগ করে এই মাকে? কে না থাকতে চায় মার কাছে? সবাই চায়। সবাই ভালোবাসে। সবাই সোহাগ করে। সবাই মায়ের আদরে ধন্য হতে চায়। সবাই মায়ের হাতের পরশ তার মাথায় বুলাতে চায়। কেন তাকে ভালোবাসবে না? কেন তাকে সোহাগ করবে না? কেন তাকে আদর করবে না? এই মাই তো তাকে অনেক আদর, স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে বড় করেছে। তাকে দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করে শত জালা শত কষ্ট সহ্য করেছে। এই সন্তান তো মায়ের নাড়ি কাটা ধন। মায়ের পেটের মধ্যে থাকতেই ঐশী হুকুমে দুজনের মাঝে এক বন্ধন সৃষ্টি হয়ে গেছে। মা সন্তানকে সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে ভালোবেসেছে। শত কষ্ট সহ্য করে পেলে পুষে বড় করেছে। সন্তানের চোখে ঘুম আনার জন্য তার রাতের ঘুম হারাম করেছে। আরো কত শত কষ্ট সহ্য করেছেন, তার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। এই জনম দু:খিনী মাকে ছেড়ে কেউ কি আর যেতে চায়? কিন্তু ঈমানের বলে বলিয়ান এই ছেলেটি। সে কি আর আল্লাহ তায়ালার আদেশকে উপেক্ষা করতে পারে? তার অন্তরে তো রয়েছে শাহাদাতের অমীয় শুধা পানের এক অদম্য স্প্রীহা। হ্রদয়ে রয়েছে চিরোন্তন জান্নাতে যাওয়ার প্রবল আগ্রহ। রয়েছে আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভে ধন্য হওয়ার বুক ভরা আশা। তাই সে ছুটে চলল জিহাদের ময়দানে মাকে বিদায় জানিয়ে। মা বলছে হে আমার আদরের সন্তান তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো! আমার তো আর সহ্য হয় না। আমার হ্রদয়টা ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমি আর পারছি না। হে বৎসো তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা। তুমি চলে গেলে আমি একা বসে কি করব, কাকে নিয়ে থাকব? কিন্তু ছেলের তো যেতেই হবে। তাই সে মা কে বলছে; হে আমার জনম দু:খিনী মা, আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। অনেক স্নেহ কর। অনেক মায়া কর। আমার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছো। অনেক যন্ত্রনা তোমাকে একাকী নিরবে সহ্য করতে হয়েছে। আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অনেক মায়া করি। আমিও চাই না তোমাকে হারাতে। কিন্তু মা! দু:খ কর না। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতে। তোমাকে যদিও অনেক ভালোবাসি। অনেক পিয়ার করি। কিন্তু মা, আল্লাহর ভালোবাসা, আল্লাহর রাসুলের ভালোবাসার চেয়ে তোমার ভালোবাসা যে বেসি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা তো বলেছেন; “(হে রাসুল) আপনি বলে দিন: যদি তোমাদের মাতা-পিতা, ছেলে- সন্তান, ভাই- বোন, স্বামী- স্ত্রী, আত্মীয়- সজন, ধন- সম্পদ, ব্যবসা- বানিয্য, ঘর- বাড়ি এই সবকিছুই আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের চেয়ে তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালার আযাবের অপেক্ষা করতে থাক”। মা! আল্লাহ তায়ালার এই বানী তো আমাকে ঘরে বসে থাকতে দেয় না। বার বার কর্ণকুহুরে আঘাত করে বলতে থাকে; তোর কি আল্লাহ তায়ালার আযাবের ভয় লাগে না? তুই এখনোও ঘরে বসে আছিস কোন সাহসে? মা আল্লাহ তায়ালার ঐ বানীও তো আমাকে তোমার কাছে থাকতে দেয় না, যেখানে আল্লাহ তয়ালা বলেছেন: “ কি হল তোমাদের যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছো না! অতচ দুর্বল নারী- পুরুষ এবং *শিশুরা আর্তনাদ করে বলছে: হে আল্লাহ আপনি আমদেরকে এই যালেম সম্প্রদায়ের এলাকা থেকে বের করে দেন। এবং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন”। তাহলে বল মা; তোমার কাছে আমি কি ভাবে বসে থাকতে পারি? অথচ তোমার মত হাজারও মা আজ নির্যাতি, নিষ্পেষিত। আমার মত হাজারও ছেলে আজ যালেমদের করাল গ্রাসে আবদ্ধ। তাদেরকে উদ্ধার করতে হলে তো তোমার সান্বিদ্ধ আমাকে ছাড়তে হব। তাহলে মা এবার আমাকে বিদায় দাও। আমি এবার রওনা হই। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতের ঘাটিতে। মা সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে বিদায় দেয় আর মায়ের আখিদয় থেকে ফোটায় ফোটায় পানি ঝরে দু গাল ভিজে যায়। মায়ের চোখে অশ্রু দেখে ছেলেও স্থীর থাকেতে পারল না। তারও দু গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ছেলে রওনা হয়ে গেল। মা ছেলেকে যতদুর দেখা যায় পথ পানে চেয়ে রইলেন। বিদায় হে বৎসো বিদায়, আবার দেখা হবে জান্নাতে ঠিকানায়।
বি: দ্র: এটা কোনো বাস্তব কাহিনী নয়, বরং আমার কল্পনা যগতের একটা প্রতিচ্ছবি মাত্র।
একটি শব্দের এই মধুর নামটি ‘মা’। কে না ভালোবাসে এই মাকে? কে না সোহাগ করে এই মাকে? কে না থাকতে চায় মার কাছে? সবাই চায়। সবাই ভালোবাসে। সবাই সোহাগ করে। সবাই মায়ের আদরে ধন্য হতে চায়। সবাই মায়ের হাতের পরশ তার মাথায় বুলাতে চায়। কেন তাকে ভালোবাসবে না? কেন তাকে সোহাগ করবে না? কেন তাকে আদর করবে না? এই মাই তো তাকে অনেক আদর, স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে বড় করেছে। তাকে দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করে শত জালা শত কষ্ট সহ্য করেছে। এই সন্তান তো মায়ের নাড়ি কাটা ধন। মায়ের পেটের মধ্যে থাকতেই ঐশী হুকুমে দুজনের মাঝে এক বন্ধন সৃষ্টি হয়ে গেছে। মা সন্তানকে সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে ভালোবেসেছে। শত কষ্ট সহ্য করে পেলে পুষে বড় করেছে। সন্তানের চোখে ঘুম আনার জন্য তার রাতের ঘুম হারাম করেছে। আরো কত শত কষ্ট সহ্য করেছেন, তার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। এই জনম দু:খিনী মাকে ছেড়ে কেউ কি আর যেতে চায়? কিন্তু ঈমানের বলে বলিয়ান এই ছেলেটি। সে কি আর আল্লাহ তায়ালার আদেশকে উপেক্ষা করতে পারে? তার অন্তরে তো রয়েছে শাহাদাতের অমীয় শুধা পানের এক অদম্য স্প্রীহা। হ্রদয়ে রয়েছে চিরোন্তন জান্নাতে যাওয়ার প্রবল আগ্রহ। রয়েছে আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভে ধন্য হওয়ার বুক ভরা আশা। তাই সে ছুটে চলল জিহাদের ময়দানে মাকে বিদায় জানিয়ে। মা বলছে হে আমার আদরের সন্তান তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছো! আমার তো আর সহ্য হয় না। আমার হ্রদয়টা ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমি আর পারছি না। হে বৎসো তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা। তুমি চলে গেলে আমি একা বসে কি করব, কাকে নিয়ে থাকব? কিন্তু ছেলের তো যেতেই হবে। তাই সে মা কে বলছে; হে আমার জনম দু:খিনী মা, আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। অনেক স্নেহ কর। অনেক মায়া কর। আমার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছো। অনেক যন্ত্রনা তোমাকে একাকী নিরবে সহ্য করতে হয়েছে। আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অনেক মায়া করি। আমিও চাই না তোমাকে হারাতে। কিন্তু মা! দু:খ কর না। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতে। তোমাকে যদিও অনেক ভালোবাসি। অনেক পিয়ার করি। কিন্তু মা, আল্লাহর ভালোবাসা, আল্লাহর রাসুলের ভালোবাসার চেয়ে তোমার ভালোবাসা যে বেসি হওয়া যাবে না। আল্লাহ তায়ালা তো বলেছেন; “(হে রাসুল) আপনি বলে দিন: যদি তোমাদের মাতা-পিতা, ছেলে- সন্তান, ভাই- বোন, স্বামী- স্ত্রী, আত্মীয়- সজন, ধন- সম্পদ, ব্যবসা- বানিয্য, ঘর- বাড়ি এই সবকিছুই আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের চেয়ে তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালার আযাবের অপেক্ষা করতে থাক”। মা! আল্লাহ তায়ালার এই বানী তো আমাকে ঘরে বসে থাকতে দেয় না। বার বার কর্ণকুহুরে আঘাত করে বলতে থাকে; তোর কি আল্লাহ তায়ালার আযাবের ভয় লাগে না? তুই এখনোও ঘরে বসে আছিস কোন সাহসে? মা আল্লাহ তায়ালার ঐ বানীও তো আমাকে তোমার কাছে থাকতে দেয় না, যেখানে আল্লাহ তয়ালা বলেছেন: “ কি হল তোমাদের যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছো না! অতচ দুর্বল নারী- পুরুষ এবং *শিশুরা আর্তনাদ করে বলছে: হে আল্লাহ আপনি আমদেরকে এই যালেম সম্প্রদায়ের এলাকা থেকে বের করে দেন। এবং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন”। তাহলে বল মা; তোমার কাছে আমি কি ভাবে বসে থাকতে পারি? অথচ তোমার মত হাজারও মা আজ নির্যাতি, নিষ্পেষিত। আমার মত হাজারও ছেলে আজ যালেমদের করাল গ্রাসে আবদ্ধ। তাদেরকে উদ্ধার করতে হলে তো তোমার সান্বিদ্ধ আমাকে ছাড়তে হব। তাহলে মা এবার আমাকে বিদায় দাও। আমি এবার রওনা হই। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে জান্নাতের ঘাটিতে। মা সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে বিদায় দেয় আর মায়ের আখিদয় থেকে ফোটায় ফোটায় পানি ঝরে দু গাল ভিজে যায়। মায়ের চোখে অশ্রু দেখে ছেলেও স্থীর থাকেতে পারল না। তারও দু গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ছেলে রওনা হয়ে গেল। মা ছেলেকে যতদুর দেখা যায় পথ পানে চেয়ে রইলেন। বিদায় হে বৎসো বিদায়, আবার দেখা হবে জান্নাতে ঠিকানায়।
বি: দ্র: এটা কোনো বাস্তব কাহিনী নয়, বরং আমার কল্পনা যগতের একটা প্রতিচ্ছবি মাত্র।
Comment