PDF DOWNLOAD LINKS
জিহাদ ত্যাগের ভয়াবহতা || আদিল মাহমুদ || Al Burqan Media
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
اِنَّ الْحَمْدَللِّٰهِ نَـحْمَدُهٗ وَنَسْـتَعِيْنُهٗ وَنَسْتَغْفِرُهٗ وَنَعُوْذُبِـاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِاَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّـأٰتِ اَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَامُضِلَّ لَهٗ ، وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهٗ ، وَاَشْهَدُ اَنْ لَااِلٰهَ اِلَّااللّٰهُ وَحْدَهٗ لَاشَرِيْكَ لَهٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهُ
অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহিলিয়্যাতের ঘন আধারকে দূর করে দিয়ে মক্কার গারে হেরায় জ্বলে উঠে তাওহীদের এক দীপ্ত প্রদীপ। যে তাওহীদের প্রদীপ দ্বারা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা খুব দ্রুতই অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও সকল অন্যায় অবিচার দূর করে দেন। আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে ওহীর প্রচার শুরু করেন রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহর মনোনীত বান্দাগণ অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আসহাবে পরিণত হন। ধীরে ধীরে সেই ওহীর প্রদীপ আলো ছড়িয়ে মক্কার অন্ধকার দূর করতে থাকে। পথভোলা, পথহারা মানুষ পায় পথের দিশা। গোমরাহ, অজ্ঞ ও জাহেল মানুষগুলো ঈমানের অমিয় সুধা পান করে ওহীর অনুসরণ করতে থাকে। কিন্তু বিরুদ্ধবাদী, হতভাগ্য কাফিররা সেই ওহীর আলো ও ওহীর প্রচারক রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেল। তারা নানাভাবে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবীদের কষ্ট দিতে লাগলো। তাওহীদবাদী মুমিন-মুসলিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করলো। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীগণকে আবিসিনিয়ায় হিজরত করার আদেশ দেন। পরবর্তীতে সাহাবীগণ সহ রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় হিজরত করেন। রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এক নতুন ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করেন।
পরবর্তীতে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ মাত্র ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই একত্রে রোম-পারস্যের মত দুইটি পরাশক্তিকে ধ্বংস করে দিয়ে আফ্রিকা এবং হিন্দুস্থান, চিন ও রাশিয়ার সীমানায় ইসলামকে নিয়ে গিয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই মাত্র ১০০ বছরের মধ্যে মদিনা থেকে পশ্চিমে স্পেন, পূর্বে হিন্দুস্থান, উত্তরে রাশিয়ার অনেক অঞ্চল এবং দক্ষিণে আফ্রিকাকে পরাজয় করে সেখানে ইসলাম পৌঁছে দিয়ে ইসলামিক খিলাফাহ রাষ্ট্রকে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। যে খিলাফাহ তারা ১৩০০ বছর ধরে পরিচালিত করে সবচেয়ে স্থায়ীরাষ্ট্র হিসেবে রেকর্ড গড়েছিল।
কিন্তু দিগ্বিজয়ী সেই মুসলিম জাতির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত সূচনীয়। পৃথিবীর সর্বত্রই তারা অপমানিত আর লাঞ্চিত। একে একে তারা তাদের ভূমিগুলোকে হারিয়েছে। তারা বায়তুল মুকাদ্দাস হারিয়েছে, রোম-পারস্য হারিয়েছে, রাশিয়ার বুখারাকে হারিয়েছে। এভাবে তাদের হাতে থাকা অর্ধ-পৃথিবী জুড়ে খিলাফাহকে হারিয়েছে। শামের খ্রিস্টানপ্রধানরা পর্যন্ত যে জাতির খলিফা ওমরের কাছে নিজেদের একটু শামে বসবাসের জন্যে চুক্তিনামা নামক ভিক্ষার ঝুলি পাঠিয়েছিল মদিনায়। সে জাতির উত্তরসূরীদেরকে আজ শামে বোমা মেরে ভস্ম করে দেওয়া হচ্ছে। যে জাতির খলিফা ৩ দিনের মধ্যে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সকল রোমান সৈনিকদের বের হতে বাধ্য করেছিল আজকে সে জাতির বায়তুল মুকাদ্দাস ইহুদীদের কবলে পড়ে আছে। যে জাতির বুখারা ছিল এক সময়ের ইসলাম চর্চার প্রাণকেন্দ্র সেই বুখারা আজকে নাস্তিক-কুফফারদের কবলে পড়ে আছে।
যে আমলটি করার মাধ্যমে তারা অর্ধ-পৃথিবী শাসন করেছিলেন, আজকে আমরা সেই জিহাদ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই সবকিছু হারিয়েছি। আমরা আমাদের খিলাফাহকে হারিয়েছি, ইসলামী সাম্রাজ্যকে হারিয়েছি। বিজাতীয় মুশরিক কাফেররা আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করছে। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“যদি তোমরা বের (জিহাদের অভিযানে) না হও, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক জাতি সৃষ্টি করে দিবেন, আর তোমরা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।” (সূরা তাওবাহ ৯ : ৩৯)
আমরা আজকে জিহাদকে ভূলে গিয়ে নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। এজন্যেই আমাদের ওপর লাঞ্চনা ও অপমান ধেয়ে এসেছে। আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
إِذَا تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ وَأَخَذْتُمْ أَذْنَابَ الْبَقَرِ وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ
“যখন তোমরা ‘ঈনাহ’ অর্থাৎ এক ধরণের সুদী বেচা-কেনা করবে, গাভীর লেজ ধরে থাকবে, কৃষক হয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে যাবে এবং জিহাদ পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তা’আলা তখন তোমাদের ওপর অপমান চাপিয়ে দিবেন এবং তা তোমরা হটাতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা নিজের দ্বীনের দিকে পত্যাবর্তন করো।” (আবু দাঊদ, আহমাদ)
জিহাদ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই আজকে তগুতরা আমাদের উপর মোড়লগিরী করছে। জিহাদকে উপেক্ষা করে যেমন আমরা দুনিয়াতে লাঞ্চনার শিকার হচ্ছি; আখিরাতে বরং এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوْا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ جَاهَدُوْا مِنْكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِيْنَ
“তোমরা কি ধারণা করেছো সোজা জান্নাতে চলে যাবে অথচ দেখে নেয়া হবে না, তোমাদের মধ্যে কে জিহাদকারী আর কে জিহাদে ধৈর্য্য ধারণকারী।” (সূরা আল ইমরান ৩ : ৪২)
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهٖ نَفْسَهٗ مَاتَ عَلٰى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ
‘যে মুসলিম জীবনে কোন গাজওয়া অর্থাৎ কোন যুদ্ধ অভিযানে বের হল না কিংবা গাজওয়া করার কোন দৃঢ় সংকল্পও করল না, এ অবস্থায় মারা গেলে, সে মুনাফিক অবস্থায় মারা গেল।’ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ; আবু দাউদ, কিতাবুল জিহাদ)
আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
مَنْ لَمْ يَغْزُ اَوْ يُجَهِّزْ غَا زِيًا فِيْ اَهْلِهٖ بِخَيْرٍ اَصَا بَهُ اللّٰهُ بِقَا رِعَةٍ
“যে ব্যক্তি যুদ্ধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ করল না অথবা কোন গাযীকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করল না বা গাযীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের কোন উপকার করল না, তাকে আল্লাহ তা‘আলা কোন আকস্মিক দুর্ঘটনা দ্বারা ধ্বংস করবেন।” (আবু দাঊদ, কিতাবুল জিহাদ)
সুতরাং হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে, আজকে আমাদের ওপর এই ঝিল্লতির একমাত্র কারণ হলো জিহাদকে উপেক্ষা করা।
মুসলিম জাতির এ করুণ অবস্থা অবলোকন করার পরও আজকে আমাদের মাঝে অনেককেই দেখা যায়, জিহাদ থেকে বিরত থাকার জন্যে নানা বাহানা ও ওজর পেশ করে থাকেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-লেখাপড়া, স্ত্রী-পরিবার, কৃষি এসব বাহানা ধরে জিহাদ থেকে বিরত আছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, আপনারা অনেক বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার পূর্বেই এই জিহাদের কাজে শরীক হোন। নিজেকে মুনাফিকী থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ
لَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ أَنْ يُجَاهِدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالْمُتَّقِينَ. إِنَّمَا يَسْتَأْذِنُكَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ
“যারা আল্লাহ তা’আলা ও পরকালের ওপর ঈমান রাখে, তারা নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করার ব্যাপারে তোমার কাছে অব্যাহতি চাইবে না, আর আল্লাহ তা’আলা এই পরহেযগার লোকদের সমন্ধে অবগত আছেন। তোমার কাছে অব্যাহতি চাইতে আসবে তারা, যারা আল্লাহ তা’আলা ও পরকালের ওপর ঈমান রাখে না।” (সূরা তাওবাহ ৯ : ৪৪ ও ৪৫)
এই আয়াত দুটি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, শরীয়াহ সম্মত কোন ওজর না থাকার পরও যারা বিভিন্ন বাহানা ধরে ফরজ জিহাদ থেকে অব্যাহতি চাইবে তাদের ঈমান নেই। ঈমান থাকলে তারা কখনই ফরজ জিহাদ থেকে অব্যাহতি চাইত না। তারা যে জিনিসগুলোকে তাদের জিহাদে শরীক হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক বলে দাবী করছেন, অথচ মহান আল্লাহ তা’আলা এগুলোর মহব্বত অন্তর থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে জিহাদে শরীক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
قُلْ إِنْ كَانَ آَبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
“বল যদি তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের পুত্রগণ, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের স্বগোত্র, আর ঐ সব ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছো, আর ঐ ব্যবসায় যাতে তোমরা মন্দা পড়বার আশঙ্কা করছো এবং ঐ গৃহসমূহ যা তোমরা পছন্দ করছো, (যদি এসব) তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ ও তাঁর রসূলের চেয়ে এবং তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা প্রতীক্ষা করতে থাকো এই পর্যন্ত যে, আল্লাহ নিজের নির্দেশ পাঠিয়ে দেন, (অর্থাৎ আযাব) আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না। (সূরা তাওবাহ ৯ : ২৪)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আরও বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآَخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآَخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ
“হে মু’মিনগণ! তোমাদের কি হলো যে, যখন তোমাদেরকে বলা হয়- আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) বেরিয়ে পড়, তখন তোমরা মাটিতে লেগে থাকো, (অলসভাবে বসে থাকো); তবে কি তোমরা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনের ওপর পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস তো আখিরাতের তুলনায় কিছু নয়, অতি সামান্য! (সূরা তাওবাহ ৯ : ৩৮)
এখন কেউ যদি মনে করে যে, আমি তো জিহাদে অংশগ্রহণ করবো বা জিহাদ করবো, কিন্তু সে এর জন্য কোনরূপ প্রস্তুতি নিল না, তার ব্যাপারে বিশ্বজাহানের মালিক আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
وَلَوْ أَرَادُوا الْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا لَهُ عُدَّةً
“আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো, তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো।” (সূরা তাওবাহ ৯: ৪৬)
অর্থাৎ বিষয়টা এরূপ দাড়ায় যে, কেউ বলল যে, সে বাজারে যাবে; কিন্তু সে বাজারে যাওয়ার জন্য পোষাক পরিধান করলনা, বাজারের জন্য টাকা নিল না, বাজারে যাওয়ার বাহনের ব্যবস্থা করল না। অলস হয়ে বসে থেকেই দিন পার করলো। দিন শেষে তার বাজারে যাওয়ার এই দাবী যেরূপ মিথ্যা দাবী, ঠিক তেমনি ভাবে যারা বলবে যে, আমরা জিহাদ করবো কিন্তু এর জন্য কোনরূপ প্রস্তুতি তারা নিল না, অলসভাবে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিল তাদের এরূপ দাবিও মিথ্যার শামিল।
সুতরাং আসুন আমরা এই জিহাদের কাজে অংশগ্রহণ করি, নিজেকে মুনাফিকী থেকে রক্ষা করি, জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করি। আল্লাহ তা’আলা মুনাফিকদের পরিণতি সম্পর্কে বলেছেন:
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ
“নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে। (সূরা নিসা ৪ : ১৪৫)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে মুনাফিকী থেকে রক্ষা করুন এবং জিহাদের কাজে অংশগ্রহণ করার ও এতে অটল অবিচল থাকা তাওফীক দান করুন। আমীন।
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ اَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوْبُ اِلَيْكَ
Comment