বিসমিল্লাহ - ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ -
অনেকে বলে তুমি এত এক্সট্রিম কেন? ইসলামের মধ্যে কি তুমি শুধু মারদাঙ্গাই খুজে পাও। ইসলাম কি ভালো আর কিছু বলে না? ইসলাম তো আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে শান্তির কথা বলে সেগুলো বলোনা কেন? কেন তোমার কথা থেকে শুধু উগ্র আচরনের প্রতিফলন হয়? তুমি একাই কি সব বুঝে গেছ? দেশের লাখ লাখ আলেম উলামা তারা কি কিছুই বুঝেন না? ইসলামের সব কিছু কি শুধু তুমি একাই বুঝ?
এগুলো হচ্ছে আমাদের সময়ের কিছু এমন প্রশ্ন যা একদিকে যেমন সন্দেহ তৈরি করে, একজন দায়ী ইলাল্লাহ কাজের উৎসাহ কে ঝিমিয়ে দেয়, অপর দিকে যারা প্রপাগান্ডা চালায় তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব ক্ষেত্রে এগুলো বিক্ষিপ্ত প্রশ্ন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে একটি সমাধান বা স্বীকৃতির দিকে আগায়। প্রশ্নের উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি সমাধান এ আসা। একই ভাবে প্রশ্ন কারী যখন যে বিষয়ে প্রশ্ন করেন সে বিষয়ে নুন্যতম জ্ঞান রাখেন না তখন তার প্রশ্ন আরো জটিল হয়। কারন উত্তর কে উপলব্ধি করার মত তথ্যজ্ঞান তার কাছে নাই। এখন এই ধরনের প্রশ্ন গুলো কে আমরা কিভাবে মুকাবেলা করবো?
একটি উসুল হচ্ছে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে নাই কারন কিছু প্রশ্ন জন্ম হয় শুধু মাত্র আরো একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়ার জন্য। এগুলো হচ্ছে ফাসাদ তৈরি করার উপকরন। এমন কি প্রশ্নের উত্তর যতই সুন্দর ভাবে দেয়া হোক না কেন তারা সেটির দিকে না তাকিয়ে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যাবে। তাই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে দেখা দরকার এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য কি?
বর্তমান সময়ে যত ধরনের প্রশ্ন আসবে আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন সমস্ত প্রশ্নের রুট/শেকড় একই। আর তা হচ্ছে তাওহিদ এর পরিপন্থী। বাতিল শক্তি চায়না যে দুনিয়ার বুকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হয়ে যাক। ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ হয়ে যাক। এটা তারা চায়না। আমরা আসলে ধূর্ত লোকদের পাল্লায় পড়ে তাদের স্টাইলে খেলতে নেমে যাই। তারা চায় আমরা তাদের ফাদে পা দেই, আমরা তাদের সাথে উপরে উপরে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে যাই। কারন তারা জানে আমরা উলটা যদি তাদের কে শেকড়ে টেনে নিয়ে আসি তাহলে তারা হাঁসফাঁস শুরু করে দিবে।
শুবুহাত কে ফাইট করার একটা সুন্দর ফর্মুলা কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। সুরা আলইমরান এর ৭ নং আয়াতঃ
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তা অনুসরণ করে। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বুদ্ধিমান লোকেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।" একজন মুসলমান কে বলেন - ভাই আসো সব বাদ দেই - আল্লাহ বলেছেন - ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ - এই আয়াত টা কি তোমার কাছে স্পস্ট মনে হচ্ছে নাকি রুপক মনে হচ্ছে? এটি বুঝতে কি তোমার কোন রকম কস্ট হচ্ছে? এটির অর্থ কি ঘোলাটে?
তাহলে আস আমরা আপাতত এই বিষয়ে এক হই যে দুনিয়াতে হুকুম শুধু আল্লাহর ই চলবে। কেউ যদি এটা মেনে নিবে তাহলে আসলে তার বাকি প্রশ্ন এমনিতেই নাই হয়ে যাবে। কারন এটি ই হচ্ছে তাওহিদ আর সমস্ত প্রশ্ন শুধু এটি কে না মেনে নেয়ার জন্য।
হ্যা এখন এই বিরোধিতা বা আপাত বিরোধিতার কারন অনেক। কারো জন্য ক্ষমতা, কারো জন্য নিরাপত্তা, কারো জন্য গো উইথ দা ফ্লো, কারো জন্য অজ্ঞতা, কারো জন্য একটু দুনিয়াবি উপকারিতা, কারো জন্য আল্লাহর অভিশাপ কারন সে জেনে বুঝে আল্লাহর কালাম গোপন করে আল্লাহর অভিশাপ নিজের উপরে নিয়ে এসেছে বালাম বাউরার মত। সে এখন এই অভিশাপের মধ্যেই থাকবে। তাই বলছিলাম যে আমরা যদি উপর থেকে তাদের বিক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে যাই আমরা ক্লান্ত হয়ে যাব, উপরন্তু এমন ও হবে যে তারা কেউ আদৌ কোন উত্তর ই চায়না। রাসুল সাঃ কে মক্কার কাফের রা কত বিভিন্ন রকম বিষয়ে প্রশ্ন করেছে, কিন্তু রাসুল সাঃ শধু তাই বলেছেন যা আল্লাহ নাজিল করেছেন।
আমাদের দিকে যে প্রশ্ন গুলো আসে তা ইসলামের যে কোন একটি হুকুমের কোন ক্ষুদ্র অংশের ব্যাপারে। যেমন ধরা যাক - ইসলাম কি শুধু উগ্রবাদের ব্যাপারে বলে শান্তির কথা কিছু বলে না? এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আপনি প্রশ্ন কারীকে জিজ্ঞেস করেন তার প্রশ্ন টি আসলে ইসলাম নিয়ে - তিনি নিজে প্রশ্নের উত্তর এর সাথে সাথে ইসলামের বেপারে আরো বিস্তারিত কিছু জানার আগ্রহ রাখেন কিনা? আমার মনে হয়না আপনি এরপরে উত্তর গ্রহন করার মত খুব বেশি কাউকে খুজে পাবেন, আর তাই যদি হয় তাহলে প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য কি? যদি হয় শুধুই ফিতনা আপনি রাস্তা ছেড়ে দেন, নিজেকে ক্লান্ত করেন না কারুন আপনার সফর আরো অনেক লম্বা। অনেকে আপনাকে খুজছে হন্য হয়ে। আপনি তাদের কাছে পৌঁছে যান। আর প্রশ্ন কারী যদি সত্যি জানতে আগ্রহী হয় তবে তাকে কুরআন দিয়ে শুরু করেন। তাকে বলেনে ই কুরআনে কিছু আয়াত আছে মুহকাম আর কিছু আয়াত আছে মুতাশাবিহ, আসেন আমরা মুহকাম আয়াত গুলো থেকে ইসলামের ব্যাপারে জানি।
একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে আপনার কাজ অনেক বেশি। আপনি যদি কুটিল লোকদের ছলনায় পড়ে যান তবে তো আপনি হেরে গেলেন। তারা তো আল্লাহর নুর কে মুখের ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, আপনি ছেড়ে দেন তাদের কে কিছু সময়ের জন্য। আপনি আপনার কাজ করে যান অবিরত আর তা হচ্ছে - মানুষের কাছে এই দাওয়াত পরিষ্কার করে দেয়া যে দুনিয়া আল্লাহর, হুকুমও চলবে শুধুই আল্লাহর। দ্বীন শুধু মাত্র আল্লাহর না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ আদেশ মত আমাদের কাজ চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ
বিজয় তো শুধু মুমিনদের জন্যই - আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।
অনেকে বলে তুমি এত এক্সট্রিম কেন? ইসলামের মধ্যে কি তুমি শুধু মারদাঙ্গাই খুজে পাও। ইসলাম কি ভালো আর কিছু বলে না? ইসলাম তো আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে শান্তির কথা বলে সেগুলো বলোনা কেন? কেন তোমার কথা থেকে শুধু উগ্র আচরনের প্রতিফলন হয়? তুমি একাই কি সব বুঝে গেছ? দেশের লাখ লাখ আলেম উলামা তারা কি কিছুই বুঝেন না? ইসলামের সব কিছু কি শুধু তুমি একাই বুঝ?
এগুলো হচ্ছে আমাদের সময়ের কিছু এমন প্রশ্ন যা একদিকে যেমন সন্দেহ তৈরি করে, একজন দায়ী ইলাল্লাহ কাজের উৎসাহ কে ঝিমিয়ে দেয়, অপর দিকে যারা প্রপাগান্ডা চালায় তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব ক্ষেত্রে এগুলো বিক্ষিপ্ত প্রশ্ন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে একটি সমাধান বা স্বীকৃতির দিকে আগায়। প্রশ্নের উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি সমাধান এ আসা। একই ভাবে প্রশ্ন কারী যখন যে বিষয়ে প্রশ্ন করেন সে বিষয়ে নুন্যতম জ্ঞান রাখেন না তখন তার প্রশ্ন আরো জটিল হয়। কারন উত্তর কে উপলব্ধি করার মত তথ্যজ্ঞান তার কাছে নাই। এখন এই ধরনের প্রশ্ন গুলো কে আমরা কিভাবে মুকাবেলা করবো?
একটি উসুল হচ্ছে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে নাই কারন কিছু প্রশ্ন জন্ম হয় শুধু মাত্র আরো একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়ার জন্য। এগুলো হচ্ছে ফাসাদ তৈরি করার উপকরন। এমন কি প্রশ্নের উত্তর যতই সুন্দর ভাবে দেয়া হোক না কেন তারা সেটির দিকে না তাকিয়ে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যাবে। তাই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে দেখা দরকার এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য কি?
বর্তমান সময়ে যত ধরনের প্রশ্ন আসবে আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন সমস্ত প্রশ্নের রুট/শেকড় একই। আর তা হচ্ছে তাওহিদ এর পরিপন্থী। বাতিল শক্তি চায়না যে দুনিয়ার বুকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হয়ে যাক। ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ হয়ে যাক। এটা তারা চায়না। আমরা আসলে ধূর্ত লোকদের পাল্লায় পড়ে তাদের স্টাইলে খেলতে নেমে যাই। তারা চায় আমরা তাদের ফাদে পা দেই, আমরা তাদের সাথে উপরে উপরে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে যাই। কারন তারা জানে আমরা উলটা যদি তাদের কে শেকড়ে টেনে নিয়ে আসি তাহলে তারা হাঁসফাঁস শুরু করে দিবে।
শুবুহাত কে ফাইট করার একটা সুন্দর ফর্মুলা কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। সুরা আলইমরান এর ৭ নং আয়াতঃ
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
"তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তা অনুসরণ করে। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বুদ্ধিমান লোকেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।" একজন মুসলমান কে বলেন - ভাই আসো সব বাদ দেই - আল্লাহ বলেছেন - ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ - এই আয়াত টা কি তোমার কাছে স্পস্ট মনে হচ্ছে নাকি রুপক মনে হচ্ছে? এটি বুঝতে কি তোমার কোন রকম কস্ট হচ্ছে? এটির অর্থ কি ঘোলাটে?
তাহলে আস আমরা আপাতত এই বিষয়ে এক হই যে দুনিয়াতে হুকুম শুধু আল্লাহর ই চলবে। কেউ যদি এটা মেনে নিবে তাহলে আসলে তার বাকি প্রশ্ন এমনিতেই নাই হয়ে যাবে। কারন এটি ই হচ্ছে তাওহিদ আর সমস্ত প্রশ্ন শুধু এটি কে না মেনে নেয়ার জন্য।
হ্যা এখন এই বিরোধিতা বা আপাত বিরোধিতার কারন অনেক। কারো জন্য ক্ষমতা, কারো জন্য নিরাপত্তা, কারো জন্য গো উইথ দা ফ্লো, কারো জন্য অজ্ঞতা, কারো জন্য একটু দুনিয়াবি উপকারিতা, কারো জন্য আল্লাহর অভিশাপ কারন সে জেনে বুঝে আল্লাহর কালাম গোপন করে আল্লাহর অভিশাপ নিজের উপরে নিয়ে এসেছে বালাম বাউরার মত। সে এখন এই অভিশাপের মধ্যেই থাকবে। তাই বলছিলাম যে আমরা যদি উপর থেকে তাদের বিক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে যাই আমরা ক্লান্ত হয়ে যাব, উপরন্তু এমন ও হবে যে তারা কেউ আদৌ কোন উত্তর ই চায়না। রাসুল সাঃ কে মক্কার কাফের রা কত বিভিন্ন রকম বিষয়ে প্রশ্ন করেছে, কিন্তু রাসুল সাঃ শধু তাই বলেছেন যা আল্লাহ নাজিল করেছেন।
আমাদের দিকে যে প্রশ্ন গুলো আসে তা ইসলামের যে কোন একটি হুকুমের কোন ক্ষুদ্র অংশের ব্যাপারে। যেমন ধরা যাক - ইসলাম কি শুধু উগ্রবাদের ব্যাপারে বলে শান্তির কথা কিছু বলে না? এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আপনি প্রশ্ন কারীকে জিজ্ঞেস করেন তার প্রশ্ন টি আসলে ইসলাম নিয়ে - তিনি নিজে প্রশ্নের উত্তর এর সাথে সাথে ইসলামের বেপারে আরো বিস্তারিত কিছু জানার আগ্রহ রাখেন কিনা? আমার মনে হয়না আপনি এরপরে উত্তর গ্রহন করার মত খুব বেশি কাউকে খুজে পাবেন, আর তাই যদি হয় তাহলে প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য কি? যদি হয় শুধুই ফিতনা আপনি রাস্তা ছেড়ে দেন, নিজেকে ক্লান্ত করেন না কারুন আপনার সফর আরো অনেক লম্বা। অনেকে আপনাকে খুজছে হন্য হয়ে। আপনি তাদের কাছে পৌঁছে যান। আর প্রশ্ন কারী যদি সত্যি জানতে আগ্রহী হয় তবে তাকে কুরআন দিয়ে শুরু করেন। তাকে বলেনে ই কুরআনে কিছু আয়াত আছে মুহকাম আর কিছু আয়াত আছে মুতাশাবিহ, আসেন আমরা মুহকাম আয়াত গুলো থেকে ইসলামের ব্যাপারে জানি।
একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে আপনার কাজ অনেক বেশি। আপনি যদি কুটিল লোকদের ছলনায় পড়ে যান তবে তো আপনি হেরে গেলেন। তারা তো আল্লাহর নুর কে মুখের ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, আপনি ছেড়ে দেন তাদের কে কিছু সময়ের জন্য। আপনি আপনার কাজ করে যান অবিরত আর তা হচ্ছে - মানুষের কাছে এই দাওয়াত পরিষ্কার করে দেয়া যে দুনিয়া আল্লাহর, হুকুমও চলবে শুধুই আল্লাহর। দ্বীন শুধু মাত্র আল্লাহর না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ আদেশ মত আমাদের কাজ চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ
বিজয় তো শুধু মুমিনদের জন্যই - আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।
Comment