আনসার আল্-ইসলাম:
শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকাই কি ইসলামের শিক্ষা???
আরএসএসের ভাবশিষ্য বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশটিকে ‘শুধুমাত্র হিন্দুদের দেশ’ করার নীল নকশা আঁকা হয়। সেই নকশার অংশ হিসেবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন শুরু হয়। প্রাণ হারায় অনেকেই। কখনো গরুর গোশত খাওয়া ইস্যুতে, কখনো নানা রকম ছলছুতোয় মানুষ খুনের ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘুরা চরম দুর্দশায় থাকে। গত সপ্তাহে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আসানসোল পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠে আরএসএসের উগ্র হিন্দু সদস্যরা। ভরদুপুরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় মাওলানা রাশিদীর ছোট ছেলে সিবতুল্লাহ রাশিদীকে। মুসলিম হওয়ায় তাকে হত্যা করে উল্লাস করে হিন্দুত্ববাদীরা। হত্যার পর বুক চিরে ফেলা হয়েছে। ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। মেরে ফেলার আগে উপড়ে ফেলা হয় হাতের নখ। রক্তাক্ত শরীর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে আসানসোল শহর। হত্যার বদলা নেয়ার প্রস্তুতি চলে। বিজেপির প্রতিমন্ত্রীর মুসলিমবিদ্বেষী উসকানি সে আগুনে আরো ঘি ঢেলে দেয়।
চতুর্দিকে উত্তেজনা। কফিনবন্দী লাশের সামনে এসে দাঁড়ালেন ইমদাদুল্লাহ রাশিদী। হাজার হাজার মানুষ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে সিবতুল্লাহ রাশিদীর নামাজে জানাজায় দাঁড়িয়েছেন। ওদের সবার চোখে ক্রোধের আগুন। প্রতিশোধের আগুনে টকটকে লাল হয়ে থাকা চোখগুলো থেকে আগুনের ফুলকি জ্বরছে, কিন্তু মাওলানা রাশিদী পরিষ্কার উর্দুতে বললেন, ‘তাকে যারা হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদের কেয়ামতের ময়দানে শাস্তি দেবেন। আমার সন্তানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার আপনাদের কারো নেই। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য একটি মানুষের (হিন্দু ধর্মাবলম্বী) ওপরও আক্রমণ করা চলবে না। একটি মানুষকেও হত্যা করা যাবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। প্রতিশোধের আগুনে যাদের চোখ তখনো জ্বলছিল। সেই কথায় উত্তেজিত জনতার মুসলিম রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার স্পৃহা স্থমিত হয়ে যায়। এভাবেই পার পেয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ভারতের মোদী প্রশাসন উগ্র হিন্দুরা। অথচ তখনো মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য প্রচার করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উসকে দিচ্ছিলেন হিন্দু মালাউনরা।
এখন প্রশ্ন জাগে, ভরদুপুরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মুসলিম হওয়ায় হত্যা করে উল্লাস করবে। তাদের ইচ্ছে মত মুসলিম রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠবে, আর আমরা শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে, কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি দিবেন এআশায় হাতগুটিয়ে বসে থাকব? এই শিক্ষাই কি ইসলাম আমাদের দিয়েছে? এটাই কি কুরআনের শিক্ষা?
আসুন দেখি কুরআন আমাদের কি বলে? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّـهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ ﴿١٤﴾
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (14) এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা ক্ষমাশীল হবে, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (15)
তাই আসুন কুরআনের শিক্ষায় উজ্জিবিত হয়ে হিন্দুত্ব্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকাই কি ইসলামের শিক্ষা???
আরএসএসের ভাবশিষ্য বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশটিকে ‘শুধুমাত্র হিন্দুদের দেশ’ করার নীল নকশা আঁকা হয়। সেই নকশার অংশ হিসেবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন শুরু হয়। প্রাণ হারায় অনেকেই। কখনো গরুর গোশত খাওয়া ইস্যুতে, কখনো নানা রকম ছলছুতোয় মানুষ খুনের ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘুরা চরম দুর্দশায় থাকে। গত সপ্তাহে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আসানসোল পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠে আরএসএসের উগ্র হিন্দু সদস্যরা। ভরদুপুরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় মাওলানা রাশিদীর ছোট ছেলে সিবতুল্লাহ রাশিদীকে। মুসলিম হওয়ায় তাকে হত্যা করে উল্লাস করে হিন্দুত্ববাদীরা। হত্যার পর বুক চিরে ফেলা হয়েছে। ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। মেরে ফেলার আগে উপড়ে ফেলা হয় হাতের নখ। রক্তাক্ত শরীর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে আসানসোল শহর। হত্যার বদলা নেয়ার প্রস্তুতি চলে। বিজেপির প্রতিমন্ত্রীর মুসলিমবিদ্বেষী উসকানি সে আগুনে আরো ঘি ঢেলে দেয়।
চতুর্দিকে উত্তেজনা। কফিনবন্দী লাশের সামনে এসে দাঁড়ালেন ইমদাদুল্লাহ রাশিদী। হাজার হাজার মানুষ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে সিবতুল্লাহ রাশিদীর নামাজে জানাজায় দাঁড়িয়েছেন। ওদের সবার চোখে ক্রোধের আগুন। প্রতিশোধের আগুনে টকটকে লাল হয়ে থাকা চোখগুলো থেকে আগুনের ফুলকি জ্বরছে, কিন্তু মাওলানা রাশিদী পরিষ্কার উর্দুতে বললেন, ‘তাকে যারা হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদের কেয়ামতের ময়দানে শাস্তি দেবেন। আমার সন্তানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার আপনাদের কারো নেই। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য একটি মানুষের (হিন্দু ধর্মাবলম্বী) ওপরও আক্রমণ করা চলবে না। একটি মানুষকেও হত্যা করা যাবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। প্রতিশোধের আগুনে যাদের চোখ তখনো জ্বলছিল। সেই কথায় উত্তেজিত জনতার মুসলিম রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার স্পৃহা স্থমিত হয়ে যায়। এভাবেই পার পেয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ভারতের মোদী প্রশাসন উগ্র হিন্দুরা। অথচ তখনো মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য প্রচার করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উসকে দিচ্ছিলেন হিন্দু মালাউনরা।
এখন প্রশ্ন জাগে, ভরদুপুরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মুসলিম হওয়ায় হত্যা করে উল্লাস করবে। তাদের ইচ্ছে মত মুসলিম রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠবে, আর আমরা শান্তির ধর্মের দোহাই দিয়ে, কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি দিবেন এআশায় হাতগুটিয়ে বসে থাকব? এই শিক্ষাই কি ইসলাম আমাদের দিয়েছে? এটাই কি কুরআনের শিক্ষা?
আসুন দেখি কুরআন আমাদের কি বলে? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّـهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ ﴿١٤﴾
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (14) এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা ক্ষমাশীল হবে, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (15)
তাই আসুন কুরআনের শিক্ষায় উজ্জিবিত হয়ে হিন্দুত্ব্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
Comment