بسم الله الرحمن الرحيم
اسلام عليكم
اسلام عليكم
হে মুসলিম উম্মাহ! হে আমার মুসলিম যুবক তরুণ ভাই! হে আমার পিতা আদমের সন্তান!
তুমি আজ কোথায়? মা হাওয়ার সন্তানেরা আজ তোমাদের পাগলের মত খুজছে। তুমি কোথায়?
তুমি কি ভুলে গিয়েছো তোমার ভাই-বোন দের কথা!? তুমি কি দেখনা তাদের করুন পরিস্থিতি? তুমি কি একটি বারের জন্যে ও উপলব্ধি করোনা তোমার স্বজাতির এই করুন অবস্থা!?
বড় অবাক লাগে পূর্ব পুরুষ দের ইতিহাস শুনলে। আমি অবাক হয়ে ভাবতে থাকি এগুলো কি এই জাতির অতীত ইতিহাস!?
তোমরা কি ইতিহাসের পাতাগুলো উলটাও না?
দেখো, মুহাম্মদ বিন কাসেম মাত্র ১৭ বৎসর বয়সে হিন্দুস্তান আক্রমণ করেছিলেন। তুমি কি পড়োনি সুলতান সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী রহ. এর জীবনী?
তোমার কি মনে পরে না তার সেই বিশ্ব কাপানো ফিলিস্তিন বিজয়ের ঘটনা বলি?
তুমি কি এতটাই অনুধাবন হীন হয়ে পরলে যে, তোমার স্বজাতির করুন দৃশ্য দেখেও আজ তুমি নিঃশ্চুপ?
দেখো হাজ্জাজ বিন ইউসুফ একজন জালেম বাদশা ছিলেন, কিন্তু স্বজাতির ডাকে স্বড়া না দিয়ে চুপচাপ স্থীর বশে থাকে নি। স্বজাতীয় এক মেয়ের ডাকে স্বরা দিতে নিজের শান্তি কে বিলিন করে দিয়ে ছিলেন।
এই হলো একজন জালেমের অবস্থা। আর আমাদের নাবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনীতো মাদের চখের সামনেই বিদ্যমান। তিনি স্ব শরীরে ২৭ উর্ধ যুধ্যের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং তিনি জিহাদের ব্যখ্যা অন্য কিছু করেন নি। তিনি বলেন, "জিহাদ হলো কুফফারদের সাথে মুখামুখি যুধ্য করা "।
কিন্তু মুসলিম যুবক আজ কি হলো তোমার!? তুমি আজ তোমার নিজে কেই ভুলে গিয়েছো। তোমাদের রব বলেছেন তোমাদের জন্যে উত্তম মডেল হচ্ছে রাসুল সা. কন্তু আজ তোমরা মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছো হলিউড-বলিউডের ব্যাশ্যা দেরকে।
কিন্তু কেন? কেন তুমি এমন হলে। ছিলেনা তো তুমি এমন। হ্যা আমি বলছি তুমি এমন ছিলেনা। কিন্তু দেখ আজ কি অবনতি হয়েছে তোমার !!! ...
একটু তাকাও ফিলিস্তিনের দিকে.... দেখ শুধু ধ্বংস চিত্র ই দেখা যায়। ফিলিস্তিনী শিশুদের প্রতি তাকাও। কিছুক্ষণ পূর্বে তার স্নেহময় মা 'র কোলে বসে একটি মজার গল্প শুনছিলো। হঠাৎ এর মাঝেই গল্পটা শেষ হওয়ার পুর্বেই শুনতে পেলো বিমানের কান ফাটানো বিকট শব্দ । এর সাথে বাড়ি ঘর ধ্বংসের আওয়াজ। কিছুক্ষণ পরে তারা দেখলো তাদের মাথার উপড়ের ছাদ তাদের কবরে পরিণত হয়েছে। জীবনের পথচলা তারদের শেষ এখানেই।
এর পরেও কি তুমি অনুধাবন করবে না।?
দেখো সিরিয়ার দিকে, কি অবস্থা গৌতা'র আহ !!! কোন চক্ষু তা না দেখে কখনোই বিশ্বাস করতে পারবে না। আমার লেখার দ্বারা ও আমি তোমাকে বুঝাতে পারবো না। কারোর বলার দ্বারা ও তুমি বুঝতে পারবে না ; কি সেই ভয়াবহ দৃশ্যপট!!!. মানবাতাকে যেন কোন এক ভয়াবহ ঝড়ের রাতে তুফান উড়িয়ে নিয়ে গেছে। অথবা কোন বর্বরাতা মানবতা কে জবাই করে দিয়েছে।
দৈনিক তারা সাক্ষাৎ করছে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক বোমার সাথে।
তাদের অবস্থা তো এমন যে যদি তারা সকালে ২০ জন পুরুষের জানাজান আদায় করে তাহলে দুপুরে ২০ জন মহিলার আবার বিকেলে ২০ জন শিশুর।
কিন্তু যুবক তুমি কোথায়! কোন ঘুমে তুমি বিভোর হয়ে আছো!?
আজ ইসলামে তোমার খুব প্রয়োজন। ইসলাম আজ বড় অসহায়।
ইসলাম আজ আশ্রয় চাচ্ছে, সে পাগলের ন্যায় খুজে ফিরছে কোন একজন ওমর কে, যে কিনা রোম-পারশ্য কে কাপিয়ে তুলবে, খুজে ফিরছে একজন খালিদ বিন ওয়ালিদ কে যে কিনা আল্লাহর অনুগ্রহে ময়দানে বিজয় ছাড়া অন্য কিছু জানেনা। খুজে ফিরছে একজন তারেক বিন যীয়াদ কে যে কিনা সমুদ্রকূলে তাদের জাহাজ গুলো জ্বালিয়ে দিবে। খুজে ফিরছে একজন মুহাম্মদ বিন কাসেম কে যে কিনা ১৭ বছর বয়ষে হিন্দুস্তান বিজয়ের সূচনা করবে।
কন্তু কোথায় তুমি হে শাবাবা উম্মাত মুহাম্মাদ....!!!
মুসলিম আজ নির্মুল হওয়ার উপক্রম। অথচ তুমি দুনিয়ার মোহে পরে আছো। দুনিয়ার লোভ-লালশা কেন তোমাকে পিছনে ফিরিয়ে রাখলো? দুনিয়ার শান্তি তো সাময়িক; আর আখেরাত তো চিরস্থায়ী। আল্লহর সাথে ব্যবসা করেই ফেলো। কি এমন আর হারাবে তুমি!?. সামান্য দুনিয়া-ই তো? আল্লাহ তো বলেছেন দুনিয়া হচ্ছে ধ্বংসনীয়।
আমরা কি এমন কোন কিছুর পিছনে ছুট তে পারি যেটা একদিন শেষ হয়ে যাবে!??
না। কখনোই না। আমরা এতটা বোকা হতে পারি না। দুনিয়া তো আমাদের জন্যে নয়। জেলখানায় কেউ সেচ্ছায় শান্তিতে থাকার কথা চিন্তা করে না। কিন্তু তোমরা কি করছো? রাসুল সা. তো দুনিয়াকে আমাদের জন্যে জেলখানা বলেছেন।
তাই হে আমার হৃদয়ের স্পন্দন যুবক ভাইয়েরা !!! এখন-ই তো সময় কিছু করার।
জেগে উঠ তোমার পিতা আদমের সন্তানদের রক্ষার্থে।
তোমার রবের বান্দাদের ডাকে স্বারা দিতে।
তোমার নবী মুহাম্মাদে আরাবী সা. এর উম্মতের প্রহরী হয়ে।
তোমার আমার নবী মুহাম্মাদ সা. বলেছেন, " আমি যুবক দের দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছি"। তাই হে যুবক তুমি জেগে উঠ। তোমার রক্তের পবিত্রতা প্রমাণ করো।
Comment