Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম উম্মাহর গৌরব ও আশার প্রদীপ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম উম্মাহর গৌরব ও আশার প্রদীপ।

    মুসলিম উম্মাহর গৌরব ও আশার প্রদ্বীপ। আফগানিস্তান যার অপর নাম কুফরী পরাশক্তিদের কবরস্থান। এরা হলো এমন এক জাতি গত ৬০০০ বছরের ইতিহাসে যাদেরকে কেউ দখলে রাখতে পারে নাই। বিশ্বের সকল কুফরী পারাশক্তিগুলো এখানে এসে পরাজয় ব্যতিত অন্য কিছুই পায়নি। এরাই হলো ঐ আফগানী, যারা গ্রিসের আলেক্সেন্ডারকে তীর মেরে আহত করেছে। চেঙ্গিস ও মঙ্গলরাও এখানে এসে বিজয়ের সপ্ন নিয়ে ফিরতে পারেনি, ফিরেছে নিজ যুদ্ধাদের লাশ নিয়ে, এই জাতিটিকে একটি দিনের জন্যেও কাবু করতে পারে নাই তারা । ব্রিটিশরা যখন সুপার ছিলো, যাদের রাজত্বে সূর্য অস্ত যেতোনা, যারা আমাদের পুরো ভারতবর্ষকে প্রায় ২০০ বছর শাষণ করেছে, তারা পরাজিত করেছিলো ভরতীয়দেরকে। সে সময় তিনি বার আক্রমন করেছে ব্রিটিশরা আফগানিস্তান দখলের জন্যে, প্রতিবারই লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছে। প্রথমবার ব্রিটিশরা আফগান আক্রমন করে ১৮৩৯ সালে প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য নিয়ে। আফগানিরা সকল ব্রিটিশদেরকে মেরে ফেলে এক ব্রিটিশ ছাড়া, তার নামা ডাঃ ব্রাইডন। তাকে বাচিয়ে রাখা হয়েছে এই জন্যে যে, সে গিয়ে খবর দিবে ব্রিটিশ রাজাকে যে, সব ব্রিটিশ সৈন্যকে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর এই দেশটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। তখন সোভেয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া তার সকল শক্তি ব্যায় করে ১৬ লক্ষ আফগানকে হত্যা করে, কিন্তু এত কিছুর পরেও দখলে রাখতে পারে নাই, উল্টা নিজেই শেষ হয়ে গেছে। তাদের অর্থনিতী ভেঙ্গে পড়ে। সেনারা তাদের মনবল হারিয়ে ফেলে। হাজার হাজার সেনা শুধু আফগানীদের ভয়েই মৃত্যু বরণ করে। অবশেষে আফগান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এই সোপার পাওয়ার রাশিয়া। আফগান-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনী আদনান তামিমী নামক একজন ফিলিস্তিনী গিয়েছিল আফগানিস্তানে। যিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে দখলদার ইহুদীদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেছে।তিনি বলেন যে, আফগানিদের মতো সাহসী মুসলিম আমি আর দেখি নাই। মেশিনগান ফায়ার করতেছে রাশিয়ানরা আর আফগানিরা সেটার সামনে দিয়ে দৌড়ে আসছে। এরপর এলো অহংকারী আমেরিকা পুরা ইউরোপের ন্যাটো বাহিনী নিয়ে।যেই জোটে তখন ৪৯ টি রাষ্ট্র যোগদেয়। আলহামদুলিল্লাহ এবারো আফগানীরা তাদের বিরত্বের সাক্ষী দিচ্ছে। আফগানিরা এই অহংকারী আমেরিকা ও তার ন্যাটোর জোটের বিরুদ্ধে আজ দির্ঘ ১৭ টি বছর ধরে যুদ্ধ জিহাদ করে যাচ্ছে। অথচ আফগানিস্তানের এখনো ৭৫% বা ৮২% ভূমী নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান যুদ্ধারা। তালেবানরা যখন আফগানিস্তানের রাষ্ট্র পরিচালনা করছিলো তখন তাদের এই পরিমাণ শক্তি, যুদ্ধের দক্ষতা এবং রনকৌশলী ছিলোনা, ,ছিলনা তাদের ভালো কোন ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশলী।কিন্তু এই দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধে তালেবানরা শিখে নেয় অনেক কিছু, বন্দি করে আমেরিকার অনেক ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী এবং অনেক দক্ষ সেনা অফিসারদেরকে। আর তালেবানরা এই বন্দিদের থেকে ফায়দা উঠাতে কোন রকম ত্রুটিই করেননি। এখন তালেবানদেরও আছে ইস্পেশাল ফোর্স যাদের ভয়ে এখনে আমেরিকা ও তাদের মিত্ররা সবসময় ভয়ে কাঁপতে থাকে। অথচ পৃথিবীর ১০ টা গরীব দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান একটা, আর এরাই লড়ে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলো বিরুদ্ধে,যারা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী, যারা সারা বিশ্বকে নিজেদের শক্তির ভয় দেখিয়ে সারা বিশ্বকে নিজেদের গোলামে পরিণত করে রেখেছে। আর সেই পরাশক্তিদর রাষ্ট্রগুলোকেই তালেবানরা নিজ দেশে এনে নাকানিচুবানি খাোয়াচ্ছেন। বর্তমানে ইরানে যে দ্বাদশ ইমামিয়াতের শিয়া মতবাদ, তা প্রতিষ্ঠা করে তিনশো বছর আগে সাফাভিদ সম্রাজ্য, তারা ইরানের সকল সুন্নিকে। জোর করে শিয়া ধর্মে দীক্ষিত করে। অটোমান তুর্কিরা কয়েকবার সাফাভিদ সম্রাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেও হেরে যায়। পরে অল্প কিছু আফগান মুসলিম যুদ্ধাদের আক্রমনে সাফাভিদ শিয়া সম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালেও ইরান এই আফগানী তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে সীমান্তে সৈন্য জড়ো করে। তালিবানও পাল্টা ইরানের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ ঘোষণা করে সীমান্তে তালিবান কমান্ডো বাহিনি জড়ো করে। ইরান পরে ভয়ে আর যুদ্ধে যায় নাই। পরে তারা নিজদের এক দালাল আহমদ শাহ মাসুদকে তালেবানদের বিরুদ্ধে সবধরনের সহায়তা শুরু করে, প্রথম দিকে এই আহমদ শাহ মাসুদের বাহিনীর কারণে তালেবানদের কিছুটা ক্ষতি হলেও পরে তালেবানদের স্পেশার ফোর্স ( যাদেরকে আমরা বর্তমানে আল-কায়দা নামে চিনি) তাদের কৌশলী হামলায় এই আবর্জনাটাকেও তালেবান শেষ করে দেয়।এর পর হতে ইরান তালেবানদেরকে ভয় পেতে থাকে। ইনশাআল্লাহ অবশেষে এই জাতির লেকেরাই ইমাম মাহদীর বাহিনীকে শক্তিশালী ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার কাজে সহায়তা করবে।যা আমাদের রাসূল (সাঃ)বলে গেছেন। আজ এই খোরাসানী তালেবানরা তাদের নিজেদের স্পেশাল ফোর্সের (আল-কায়দা)মাধ্যমে ইমাম মাহদীর বাহিনীকে সারা বিশ্বে একত্রিত ও শক্তিশালী করে যাচ্ছে।যারা আজ পূর্ব হতে পশ্চিম, উত্তর হতে দক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে।যারা আজ মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যাস্ত রয়েছে।যারা আজ হিন্দুস্তানের এই বাংলার ভূমীতেও এসে পড়েছে।

  • #2
    পোস্ট টি সুন্দর হয়েছে তবে লেখার সাইজ গুলো বাড়িয়ে দিলে পড়তে সুবিধা হতো
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      জাযাকুমুল্লাহ

      Comment


      • #4
        যাজাকুমুল্লাহ

        Comment

        Working...
        X