আসুন জেনে নিই জিহাদ মানে কি? চেষ্টা,সাধনা করা নাকি কাফেরদের বিরুদ্ধে ময়দানে লড়াই করা? এ ব্যাপারে সহিহ হাদিস ও সালাফগন কি বলছেন?
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল ইয়া রাসূলুল্লাহ জিহাদ কি?
তিনি বললেন, কাফিরদের সাথে লড়াই করা যখন তাদের সাথে সাক্ষাত হয়।
বলা হলোঃ কোন জিহাদ সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ যার ঘোড়া নিহত হয় ও রক্ত প্রবাহিত হয়।
(মুসনাদে আহমাদ, তাবরানী, বাইহাকী, সনদ সহীহ)
এছাড়া এ ব্যাপারে সলফে সালেহীনদের বক্তব্যও সুস্পষ্ট। কেঊ যদি এ ব্যাপারেও সলফে-সালেহীনদের বক্তব্য তুলে ধরেন, তাহলে হয়তো পাঠকরা তার এসব বই পড়ে জিহাদের ব্যাপারে ভুল ধারনায় পড়বেন না।
আবার - ‘জিহাদ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ‘সর্বাত্বক চেষ্টা-সাধনা’ হলেও ইসলামী শরীয়াতের দৃষ্টিতে জিহাদ অর্থ হলোঃ
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস বুখারী শরীফের আরবী ভাষ্যকার ইমাম কাসতালানী (রঃ) বলেন, “জিহাদ হলোঃ দ্বীন ইসলামকে সাহায্য করার জন্য ও আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করার জন্য কাফিরদের সাথে কিতাল করা।”
ইমাম ইবনে হুমাম (রঃ) বলেন, “জিহাদ হচ্ছে কাফিরদেরকে সত্য দ্বীন ইসলামের প্রতি আহবান করা এবং যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে তাদের সাথে লড়াই করা।” (ফাতহুলক্বাদীর ৫/১৮৭)
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রঃ) বলেনঃ “শরীয়াতের পরিভাষায় জিহাদ হলোঃ আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সর্বশক্তি ব্যয় করা”। (উমদাতুল ক্বারী, ১৪/১১৫)
ইমাম কাসানী (রঃ) বলেন, “শরীয়াতের পরিভাষায় (জিহাদ হলো) নিজের জীবন, সম্পদ, মুখ ও অন্যান্য যা কিছু দিয়ে সম্ভব তার মাধ্যমে আল্লাহর পথে লড়াই করার জন্য শক্তি ও ক্ষমতা উৎসর্গ করা”। (আল বাদায়ীউস সানায়ী ৯/৪২৯৯)
মালেকী মাজহাবে জিহাদের সংজ্ঞা হলোঃ “মুসলিমের জন্য আল্লাহর আইনকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে যেসব কাফির কোন চুক্তির অধীনে নয় তাদের বিরুদ্ধে অথবা যদি তারা আক্রমণ করার জন্য মুসলিমের সামনে উপস্থিত হয় অথবা যদি মুসলিমের ভূমিতে অনুপ্রবেশকরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।” (হাশিয়া আল – আদাউয়ি, আস-সায়িদী ২/২ এবং আশ-শারহুস সগীর আকরাব আল-মাসালিক লিদ- দারদীর; ২/২৬৭)
শাফেয়ী মাজহাবের ইমাম বাজাওয়ারী (রঃ) এর মতেঃ “আল জিহাদ অর্থ আল্লাহর পথে লড়াই করা”। (হাশিয়াত বাজাওয়ারী আলা শারহুন ইবনুল কাসিম, ২/২৬১)
ইবনে হাজার (রঃ) এর মতেঃ “শরয়ী দৃষ্টিতে এর অর্থ হলো কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই এ ত্যাগ স্বীকারমূলক সংগ্রাম”। (ফাতহুল বারী ৬/৩)
হাম্বলী মাজহাবের সংজ্ঞা হচ্ছেঃ “(জিহাদ হচ্ছে) কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করা”। (মাতালিবু উলিন নাহি ২/৪৭৯)
“আল জিহাদ হচ্ছে আল ক্বিতাল এবং এই লড়াইয়ে উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর আইনকে সম্মুন্নত রাখা”। (উমদাতুল ফিকহ ১৬৬ পৃষ্টা ও মুনতাহাল ইরাদাত ১/৩০২)
ইমাম বুখারী (রঃ) ‘কিতাবুল জিহাদে’ শুধু কিতাল সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোই উল্লেখ করেছেন।
অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও ‘জিহাদ অধ্যায়ে’ ঘোড়া, তরবারী, বর্ম, গণিমত, বন্দী, আক্রমণ ইত্যাদি কিতাল সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোই উল্লেখকরেছেন। এমনিভাবে ফুকাহায়ে কিরামও ফিকহেরকিতাব সমূহে জিহাদের আলোচনায় কিতাল সম্পর্কিত মাসায়েল উল্লেখ করেছেন। তাই আল্লাহর সেই প্রিয় দল তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কিংবা মুসলিমদের ভূমি, মান-সম্মান রক্ষার জন্য জিহাদ করবে, কাফিরদের বিভিন্ন আগ্রাসন রুখে দেয়ার জন্য জিহাদ করবে। এবং এক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারের ভয় তারা করবে না। এখন যে সব দল কখনো জিহাদ করেনি, জিহাদের জন্য যাদের কোন পরিকল্পণা নেই, পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে জিহাদের জন্য কোন প্রস্তুতি নিতে ভয় পায় বরং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত ফিরদের সাথে দহরম- মহরম বজায় রাখে, তারা কখনো আল্লাহর প্রিয় ইসলামী দল হতে পারে না। বরং আল্লাহর প্রিয় দল, ভালো ইসলামী দল আল্লাহর পথে জিহাদ করতে থাকবে কোন প্রকার তিরস্কারের পরোয়া না করে।
একই ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “এই দ্বীন সর্বদাই প্রতিষ্টিত থাকবে এবং মুসলিমদের একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের পক্ষে যুদ্ধ (ক্বিতাল) করবে”। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ৫০৬২)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল ইয়া রাসূলুল্লাহ জিহাদ কি?
তিনি বললেন, কাফিরদের সাথে লড়াই করা যখন তাদের সাথে সাক্ষাত হয়।
বলা হলোঃ কোন জিহাদ সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ যার ঘোড়া নিহত হয় ও রক্ত প্রবাহিত হয়।
(মুসনাদে আহমাদ, তাবরানী, বাইহাকী, সনদ সহীহ)
এছাড়া এ ব্যাপারে সলফে সালেহীনদের বক্তব্যও সুস্পষ্ট। কেঊ যদি এ ব্যাপারেও সলফে-সালেহীনদের বক্তব্য তুলে ধরেন, তাহলে হয়তো পাঠকরা তার এসব বই পড়ে জিহাদের ব্যাপারে ভুল ধারনায় পড়বেন না।
আবার - ‘জিহাদ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ‘সর্বাত্বক চেষ্টা-সাধনা’ হলেও ইসলামী শরীয়াতের দৃষ্টিতে জিহাদ অর্থ হলোঃ
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস বুখারী শরীফের আরবী ভাষ্যকার ইমাম কাসতালানী (রঃ) বলেন, “জিহাদ হলোঃ দ্বীন ইসলামকে সাহায্য করার জন্য ও আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করার জন্য কাফিরদের সাথে কিতাল করা।”
ইমাম ইবনে হুমাম (রঃ) বলেন, “জিহাদ হচ্ছে কাফিরদেরকে সত্য দ্বীন ইসলামের প্রতি আহবান করা এবং যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে তাদের সাথে লড়াই করা।” (ফাতহুলক্বাদীর ৫/১৮৭)
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রঃ) বলেনঃ “শরীয়াতের পরিভাষায় জিহাদ হলোঃ আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সর্বশক্তি ব্যয় করা”। (উমদাতুল ক্বারী, ১৪/১১৫)
ইমাম কাসানী (রঃ) বলেন, “শরীয়াতের পরিভাষায় (জিহাদ হলো) নিজের জীবন, সম্পদ, মুখ ও অন্যান্য যা কিছু দিয়ে সম্ভব তার মাধ্যমে আল্লাহর পথে লড়াই করার জন্য শক্তি ও ক্ষমতা উৎসর্গ করা”। (আল বাদায়ীউস সানায়ী ৯/৪২৯৯)
মালেকী মাজহাবে জিহাদের সংজ্ঞা হলোঃ “মুসলিমের জন্য আল্লাহর আইনকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে যেসব কাফির কোন চুক্তির অধীনে নয় তাদের বিরুদ্ধে অথবা যদি তারা আক্রমণ করার জন্য মুসলিমের সামনে উপস্থিত হয় অথবা যদি মুসলিমের ভূমিতে অনুপ্রবেশকরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।” (হাশিয়া আল – আদাউয়ি, আস-সায়িদী ২/২ এবং আশ-শারহুস সগীর আকরাব আল-মাসালিক লিদ- দারদীর; ২/২৬৭)
শাফেয়ী মাজহাবের ইমাম বাজাওয়ারী (রঃ) এর মতেঃ “আল জিহাদ অর্থ আল্লাহর পথে লড়াই করা”। (হাশিয়াত বাজাওয়ারী আলা শারহুন ইবনুল কাসিম, ২/২৬১)
ইবনে হাজার (রঃ) এর মতেঃ “শরয়ী দৃষ্টিতে এর অর্থ হলো কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই এ ত্যাগ স্বীকারমূলক সংগ্রাম”। (ফাতহুল বারী ৬/৩)
হাম্বলী মাজহাবের সংজ্ঞা হচ্ছেঃ “(জিহাদ হচ্ছে) কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করা”। (মাতালিবু উলিন নাহি ২/৪৭৯)
“আল জিহাদ হচ্ছে আল ক্বিতাল এবং এই লড়াইয়ে উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর আইনকে সম্মুন্নত রাখা”। (উমদাতুল ফিকহ ১৬৬ পৃষ্টা ও মুনতাহাল ইরাদাত ১/৩০২)
ইমাম বুখারী (রঃ) ‘কিতাবুল জিহাদে’ শুধু কিতাল সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোই উল্লেখ করেছেন।
অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও ‘জিহাদ অধ্যায়ে’ ঘোড়া, তরবারী, বর্ম, গণিমত, বন্দী, আক্রমণ ইত্যাদি কিতাল সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলোই উল্লেখকরেছেন। এমনিভাবে ফুকাহায়ে কিরামও ফিকহেরকিতাব সমূহে জিহাদের আলোচনায় কিতাল সম্পর্কিত মাসায়েল উল্লেখ করেছেন। তাই আল্লাহর সেই প্রিয় দল তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কিংবা মুসলিমদের ভূমি, মান-সম্মান রক্ষার জন্য জিহাদ করবে, কাফিরদের বিভিন্ন আগ্রাসন রুখে দেয়ার জন্য জিহাদ করবে। এবং এক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারের ভয় তারা করবে না। এখন যে সব দল কখনো জিহাদ করেনি, জিহাদের জন্য যাদের কোন পরিকল্পণা নেই, পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে জিহাদের জন্য কোন প্রস্তুতি নিতে ভয় পায় বরং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত ফিরদের সাথে দহরম- মহরম বজায় রাখে, তারা কখনো আল্লাহর প্রিয় ইসলামী দল হতে পারে না। বরং আল্লাহর প্রিয় দল, ভালো ইসলামী দল আল্লাহর পথে জিহাদ করতে থাকবে কোন প্রকার তিরস্কারের পরোয়া না করে।
একই ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “এই দ্বীন সর্বদাই প্রতিষ্টিত থাকবে এবং মুসলিমদের একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের পক্ষে যুদ্ধ (ক্বিতাল) করবে”। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ৫০৬২)
Comment