জিহাদের প্রত্যেক পর্বেই
মুজাহিদীনদের অনেক দায়িত্ব আছে !!
ইন্নাল হামদা লিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস আলামু আলা
রাসুলিল্লাহ।অনেকেই জিহাদ বলতে খুব সাদা-
মাঠাভাবে কিছু মানুষ জড়ো করে, তাদেরকে
কিতালের ব্যাপারে তাহরীদ করে, জিহাদের
ব্যাপারে কিছু আয়াত-হাদিস মুখস্থ করিয়ে – একসাথে
‘কিছু একটা’ করা মনে করে থাকেন। আমাদেরকে এই ‘কিছু
একটা’ এর গভীরে যেতে হবে।
বাস্তবে জিহাদ কিভাবে করতে হবে – তা জানতে
হবে।
কিভাবে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মুজাহিদীনরা
জিহাদ করছেন – সেটা জানতে হবে।
তা না হলে এই ‘কিছু একটা’ এর ব্যাপারে ভাসাভাসা
ধারনা নিয়ে কাজ করতে গেলে, আমরা এই জমীনের
জিহাদকে হয়তো আরো অনেক পিছিয়ে দিবো। আর
আমরা সেটা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই এবং সকল
ব্যাপারে শুধু আল্লাহর উপরই ভরসা করি।
শাইখুল মুজাহিদ ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) বলেছেনঃ
(আল-আন্দালুস মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত আলজেরিয়ার
মুজাহিদীনদের সাম্প্রতিক ভিডিওতে এই বক্তব্য এসেছে)
জিহাদ চারটি পর্বের সমন্বয়ে গঠিতঃ
হিজরত
ইদাদ বা প্রস্তুতি
রিবাত
কিতাল
তিনি আরো বলেছেনঃ
“ইদাদ ছাড়া কিতাল করা সম্ভব নয়। রিবাত ছাড়া কিতাল
করা সম্ভব নয়।”
তবে প্রত্যেক মুজাহিদকেই আলাদাভাবে এই চারটা
পর্বে কাজ করতে হবে এমনটা নয়। এটা হলো
সাধারণভাবে যে কোন জিহাদের জন্য পর্ব।
মুজাহিদীনদের একদল এগুলো করলেই হবে ইনশাআল্লাহ।
যেমনঃ
ক) হিজরতঃ
মক্কার মুহাজিররা হিজরত করেছিলেন, কিন্তু মদীনার
আনসাররা হিজরত করেন নি। তারা হিজরত করতে সহায়তা
করেছেন। তারা দিয়েছেন নুসরত। মদীনার আনসাররা
আনসার হবার পরেই কেবল মক্কার মুহাজিরদের জন্য হিজরত
করা সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ তাঁদের সবার উপর রাজী
থাকুন।
আবার হিজরত করতে হলে যে বর্তমান একদেশ থেকে অন্য
দেশে যেতে হবেই – এই চিন্তাধারাও যথেষ্ট
আলোচনার দাবী রাখে।
এসব বর্ডার তো মাত্র সেদিন ব্রিটিশ কাফির-
ক্রুসেডাররা যাবার সময় এঁকে দিয়ে গেছে।
এছাড়া মক্কা থেকে মদীনার দূরত্ব হয়তো টেকনাফ
থেকে তেতুলিয়া এর দূরত্বের কাছাকাছি হতে পারে।
তাহলে বড় যেকোন দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে
গেলেতো এর চেয়ে বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
তাই বুঝা যায়, হিজরত মূলত নিজের দ্বীনকে হেফাজত
করার জন্য অন্যত্র চলে যাওয়া। সেটার দূরত্ব নির্দিষ্ট নেই।
একই দেশের ভিতরে হিজরতের ব্যাপারে ইমাম আনোয়ার
আওলাকী (রঃ) তাঁর “হিজরত” লেকচারে বিস্তারিত
আলোচনা করেছেন।
এছাড়া অনেক সময়, একই দেশে থেকেও অনেক মুজাহিদ
নিজের বাড়ী-ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সেটাও হিজরত
হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।
আমরা বর্তমানে মক্কার মুহাজির না হয়ে মদীনার
আনসারদের ভূমিকায় থাকতে পারি। তাহলেও জিহাদের
প্রথম পর্বে আমাদের অংশগ্রহণ থাকলো ইনশাআল্লাহ।
এটাই বর্তমান যুগের জিহাদের মূল স্রোত। সবাই
জিহাদের জন্য নুসরত দেয়ার চেষ্টা করছেন। সবাই আনসার
হবার চেষ্টা করছেন। যেমনঃ আনসার আশ শারীয়াহ,
আনসার আদ দ্বীন, জাবহাত আন নুসরাহ। খোরাসানের
তালেবান মুজাহিদীনগণ, যারা এই যুগের জিহাদের
সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছেন, তারাও আরব
মুজাহিদীনদেরকে নুসরত দিয়েছেন।
তাই আমাদের সবার আনসার হওয়া উচিত। আমরা যেভাবে
নিজের জান-মাল-সন্তানদেরকে রক্ষা করি, সেভাবে
মুজাহিদীনদেরকে রক্ষা করা উচিত। নিজের ঘরে
তাদেরকে জায়গা দেয়া উচিত। যাতে তারা
জিহাদের কাজ সুন্দরভাবে আঞ্জাম দিতে পারেন।
এছাড়া এদেশ থেকে সবাই হিজরত করে অন্য দেশে চলে
গেলে এই দেশে মুর্তাদদেরকে হটিয়ে ইসলামী শরীয়াত
কায়েম করবে কারা? এ দেশ তো তাহলে আজীবনের জন্য
মুর্তাদদের দখলে থেকে যাবে। আমাদের এলাকার
মুজাহিদীনরা জিহাদে শরীক না থাকলে অন্য দেশের
মুজাহিদীনরা এসেতো এখন বাংলাদেশকে তাগুত-
মুর্তাদদের থেকে উদ্ধার করে দিবেন না। আমাদের
এলাকা আমাদেরকেই সামাল দিতে হবে।
এমনিতেও এখানে শরীয়াতের পুনঃবিজয় করা ইজমা
অনুযায়ী আমাদের উপর ফরজে আইন।
তাই, আমরা নিজেরা আনসার হয়ে এদেশে মজলুম মুসলমান
ও মুজাহিদীনদেরকে হিজরত করে আসার সুযোগ দেয়া
উচিত।
খ) ইদাদঃ
ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) আরো বলেছেনঃ
“প্রতিটা ঘন্টা কিতালের জন্য রয়েছে হাজারো ঘন্টার
প্রস্তুতি”।
“জিহাদের প্রস্তুতি চলে মাসের পর মাস। কিন্তু কিতাল
চলে অল্প সময়ের জন্য। মাসে একদিন কিংবা দুই মাসে
একদিন।”
সত্যি, যুদ্ধের জন্য কুফফারদের প্রস্তুতি দেখলে ইমাম
আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) এর কথার মাহাত্ম বুঝা যায়। ইরাক
যুদ্ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কুফফারও কয়েক
মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে লজিষ্টিক সাপোর্ট সঞ্চয় করেছে।
কিন্তু সেখানে তাদের যুদ্ধ চলেছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
অর্বাচীনরাই কেবল জিহাদের এই পর্বে তাড়াহুড়া করে
সকল প্রস্তুতির কাজ বিনষ্ট করে চাইবে।
বোকারাই কেবল সবরের অভাব হেতু এই পর্বে কাজ করতে
চাইবে না।
আর বাস্তবিক এই পর্বের কাজ খুবই কষ্টকর। কারণ চোখের
সামনে কোন সুস্পষ্ট ফলাফল এই পর্বে দেখা যাবে না।
হয়তো মুজাহিদ উমারা শুধু এই পর্বে সার্বিক প্রস্তুতির
অগ্রগতি বুঝতে পারবেন। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থে
ত
মুজাহিদীনদের অনেক দায়িত্ব আছে !!
ইন্নাল হামদা লিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস আলামু আলা
রাসুলিল্লাহ।অনেকেই জিহাদ বলতে খুব সাদা-
মাঠাভাবে কিছু মানুষ জড়ো করে, তাদেরকে
কিতালের ব্যাপারে তাহরীদ করে, জিহাদের
ব্যাপারে কিছু আয়াত-হাদিস মুখস্থ করিয়ে – একসাথে
‘কিছু একটা’ করা মনে করে থাকেন। আমাদেরকে এই ‘কিছু
একটা’ এর গভীরে যেতে হবে।
বাস্তবে জিহাদ কিভাবে করতে হবে – তা জানতে
হবে।
কিভাবে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মুজাহিদীনরা
জিহাদ করছেন – সেটা জানতে হবে।
তা না হলে এই ‘কিছু একটা’ এর ব্যাপারে ভাসাভাসা
ধারনা নিয়ে কাজ করতে গেলে, আমরা এই জমীনের
জিহাদকে হয়তো আরো অনেক পিছিয়ে দিবো। আর
আমরা সেটা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই এবং সকল
ব্যাপারে শুধু আল্লাহর উপরই ভরসা করি।
শাইখুল মুজাহিদ ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) বলেছেনঃ
(আল-আন্দালুস মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত আলজেরিয়ার
মুজাহিদীনদের সাম্প্রতিক ভিডিওতে এই বক্তব্য এসেছে)
জিহাদ চারটি পর্বের সমন্বয়ে গঠিতঃ
হিজরত
ইদাদ বা প্রস্তুতি
রিবাত
কিতাল
তিনি আরো বলেছেনঃ
“ইদাদ ছাড়া কিতাল করা সম্ভব নয়। রিবাত ছাড়া কিতাল
করা সম্ভব নয়।”
তবে প্রত্যেক মুজাহিদকেই আলাদাভাবে এই চারটা
পর্বে কাজ করতে হবে এমনটা নয়। এটা হলো
সাধারণভাবে যে কোন জিহাদের জন্য পর্ব।
মুজাহিদীনদের একদল এগুলো করলেই হবে ইনশাআল্লাহ।
যেমনঃ
ক) হিজরতঃ
মক্কার মুহাজিররা হিজরত করেছিলেন, কিন্তু মদীনার
আনসাররা হিজরত করেন নি। তারা হিজরত করতে সহায়তা
করেছেন। তারা দিয়েছেন নুসরত। মদীনার আনসাররা
আনসার হবার পরেই কেবল মক্কার মুহাজিরদের জন্য হিজরত
করা সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ তাঁদের সবার উপর রাজী
থাকুন।
আবার হিজরত করতে হলে যে বর্তমান একদেশ থেকে অন্য
দেশে যেতে হবেই – এই চিন্তাধারাও যথেষ্ট
আলোচনার দাবী রাখে।
এসব বর্ডার তো মাত্র সেদিন ব্রিটিশ কাফির-
ক্রুসেডাররা যাবার সময় এঁকে দিয়ে গেছে।
এছাড়া মক্কা থেকে মদীনার দূরত্ব হয়তো টেকনাফ
থেকে তেতুলিয়া এর দূরত্বের কাছাকাছি হতে পারে।
তাহলে বড় যেকোন দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে
গেলেতো এর চেয়ে বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
তাই বুঝা যায়, হিজরত মূলত নিজের দ্বীনকে হেফাজত
করার জন্য অন্যত্র চলে যাওয়া। সেটার দূরত্ব নির্দিষ্ট নেই।
একই দেশের ভিতরে হিজরতের ব্যাপারে ইমাম আনোয়ার
আওলাকী (রঃ) তাঁর “হিজরত” লেকচারে বিস্তারিত
আলোচনা করেছেন।
এছাড়া অনেক সময়, একই দেশে থেকেও অনেক মুজাহিদ
নিজের বাড়ী-ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সেটাও হিজরত
হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।
আমরা বর্তমানে মক্কার মুহাজির না হয়ে মদীনার
আনসারদের ভূমিকায় থাকতে পারি। তাহলেও জিহাদের
প্রথম পর্বে আমাদের অংশগ্রহণ থাকলো ইনশাআল্লাহ।
এটাই বর্তমান যুগের জিহাদের মূল স্রোত। সবাই
জিহাদের জন্য নুসরত দেয়ার চেষ্টা করছেন। সবাই আনসার
হবার চেষ্টা করছেন। যেমনঃ আনসার আশ শারীয়াহ,
আনসার আদ দ্বীন, জাবহাত আন নুসরাহ। খোরাসানের
তালেবান মুজাহিদীনগণ, যারা এই যুগের জিহাদের
সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছেন, তারাও আরব
মুজাহিদীনদেরকে নুসরত দিয়েছেন।
তাই আমাদের সবার আনসার হওয়া উচিত। আমরা যেভাবে
নিজের জান-মাল-সন্তানদেরকে রক্ষা করি, সেভাবে
মুজাহিদীনদেরকে রক্ষা করা উচিত। নিজের ঘরে
তাদেরকে জায়গা দেয়া উচিত। যাতে তারা
জিহাদের কাজ সুন্দরভাবে আঞ্জাম দিতে পারেন।
এছাড়া এদেশ থেকে সবাই হিজরত করে অন্য দেশে চলে
গেলে এই দেশে মুর্তাদদেরকে হটিয়ে ইসলামী শরীয়াত
কায়েম করবে কারা? এ দেশ তো তাহলে আজীবনের জন্য
মুর্তাদদের দখলে থেকে যাবে। আমাদের এলাকার
মুজাহিদীনরা জিহাদে শরীক না থাকলে অন্য দেশের
মুজাহিদীনরা এসেতো এখন বাংলাদেশকে তাগুত-
মুর্তাদদের থেকে উদ্ধার করে দিবেন না। আমাদের
এলাকা আমাদেরকেই সামাল দিতে হবে।
এমনিতেও এখানে শরীয়াতের পুনঃবিজয় করা ইজমা
অনুযায়ী আমাদের উপর ফরজে আইন।
তাই, আমরা নিজেরা আনসার হয়ে এদেশে মজলুম মুসলমান
ও মুজাহিদীনদেরকে হিজরত করে আসার সুযোগ দেয়া
উচিত।
খ) ইদাদঃ
ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) আরো বলেছেনঃ
“প্রতিটা ঘন্টা কিতালের জন্য রয়েছে হাজারো ঘন্টার
প্রস্তুতি”।
“জিহাদের প্রস্তুতি চলে মাসের পর মাস। কিন্তু কিতাল
চলে অল্প সময়ের জন্য। মাসে একদিন কিংবা দুই মাসে
একদিন।”
সত্যি, যুদ্ধের জন্য কুফফারদের প্রস্তুতি দেখলে ইমাম
আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) এর কথার মাহাত্ম বুঝা যায়। ইরাক
যুদ্ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কুফফারও কয়েক
মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে লজিষ্টিক সাপোর্ট সঞ্চয় করেছে।
কিন্তু সেখানে তাদের যুদ্ধ চলেছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
অর্বাচীনরাই কেবল জিহাদের এই পর্বে তাড়াহুড়া করে
সকল প্রস্তুতির কাজ বিনষ্ট করে চাইবে।
বোকারাই কেবল সবরের অভাব হেতু এই পর্বে কাজ করতে
চাইবে না।
আর বাস্তবিক এই পর্বের কাজ খুবই কষ্টকর। কারণ চোখের
সামনে কোন সুস্পষ্ট ফলাফল এই পর্বে দেখা যাবে না।
হয়তো মুজাহিদ উমারা শুধু এই পর্বে সার্বিক প্রস্তুতির
অগ্রগতি বুঝতে পারবেন। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থে
ত
Comment