হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ রাতে বিতর পড়ে বসতেন এবং নিম্নোক্ত দুয়া করতেন,
।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার সকাশে এমন বিশেষ রহমত প্রার্থনা করছি, যা আমার অন্তরের হিদায়াতের কারণ হয়।আমার কাজের সুসংহতি এবং অন্তরের প্রশান্তির উপলক্ষ হয়। আমার শোচনীয় অবস্থার উন্নতি এবং পরিচালনার কারণ হয়।তার দ্বারা আমার গায়েব বিষয় হেফাজত করুন। আমার উপস্থিত বিষয়কে উন্নীত করুন। আমার আমল পরিশুদ্ধ করে দিন। আমার চেহারা পূত পবিত্র ও নূরান্বিত করে দিন। আমার অন্তরে তার মাধ্যমে সঠিকতা ও হেদায়েত দান করুন। তার মাধ্যমে সকল অনিষ্ট হতে আমাদের হেফাজত করুন।
।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পাক্কা ইমান প্রার্থনা করছি। এমন বিশ্বাস চাই, যার পরে আর কুফরী থাকবে না। এমন রহমত চাই, যার উসিলায় আমি দুনিয়া আখেরাতে ইজ্জত, মর্যাদা এবং আপনার দয়া অর্জন করতে পারি।
।
হে আল্লাহ!আমি আপনার সকাশে মামলায় বিজয় কামনা করছি। আরও কামনা করছি শহীদের মর্যাদা, সৌভাগ্যশীল জীবনযাপন, শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য এং জান্নাতে নবীগণের সান্নিধ্য ও সাহচার্*্য।
।
হে আল্লাহ! যদিও আমার আমল ত্রুটিপূর্ন এবং রায় দূর্বল, তথাপি আমি আপনার রহমতের প্রত্যাশী এবং আপনার কাছে তা প্রার্থনা করছি। সমস্ত কাজের পূর্নতা দানকারী হে আল্লাহ এবং অন্তরের শেফা দানকারী হে পরওয়ারদেগার! আপনার সকাশে আমার নিবেদন হলো, যেভাবে নদ-নদীর মাঝে ব্যবধান রাখেন ,তেমনি আমাকে দোযখের শাস্তির থেকে দূরে রাখবেন। আমাকে করুণ ফরিয়াদ ও কবরের ফেতনা থেকে হেফাজত রাখবেন।
।
হে আল্লাহ! যে কল্যাণের আমার আমল অপর্যাপ্ত এবং সে ব্যাপারে আমার আবেদন ও নেই অথচ আপনি সে কল্যানটি কোন মাখলুককে প্রদানের ওয়াদা করেছেন এবং যে কল্যাণ আপনি মাখলুকের কাউকে প্রদান করেছেন, আমি তার জন্য আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আমি তার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছি। হে আল্লাহ! স্বীয় অনুগ্রহে আপনি তা আমাকে প্রদান করুন।
।
হে আল্লাহ!আমাকে হেদায়েত প্রাপ্ত দিক-নির্দেশক বানান।যাতে আমিও বিপদগামী না হই এবং অন্যেও গোমরাহ না হয়। আর যেন হতে পারি আপনার শত্রুদের শত্রু, আপনার বন্ধুদের বন্ধু। আপনি যাদের মহব্বত করেন আমি যেন তাদের মহব্বত করি এবং আপনার দুশমন যারা তাদের সাথে শত্রুতা ও বিরোধিতা যেন করতে পারি।
।
হে আল্লাহ! হে সঠিক নির্দেশদাতা!হে মজবুত রজ্জুধারী!আমি আপনার কাছে ভয় ও প্রতিশ্রুত দিনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি এবং স্থায়ী দিনের জান্নাত প্রার্থনা করছি, আপনার নৈকট্যশীল বান্দাদের সঙ্গে যারা হবে সাক্ষ্যপ্রাপ্ত রুকু সেজদাকারী , অঙ্গিকার পূর্নকারী। নিঃসন্দেহে আপনি বড় দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। আপনি যা চান সেটাই করেন।
।
হে আমার পরওয়ারদেগার!হে আমার মাওলা! এই হলো আমার দুয়া; আপনার দায়িত্ব হলো কবুল করা। এই হলো আমার চেস্টা সকল ভরসা আপনারই উপর। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন শক্তি সামর্থ নেই।
।
হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর ভরে দিন। আমার কবরকে নূরান্বিত করুন। আমার চোখে নূর দিন। আমার চুলে নূর দিন। আমার শরীরে নূর দিন। আমার গোস্তে নূর দিন। আমার রক্তে নূর দিন। আমার হাড়ে নূর দিন। আমার সামনে নূর দিন। আমার পিছনে নূর দিন। আমার ডানে নূর দিন। আমার বামে নূর দিন। উপরে নূর দিন। নীচে নূর দিন। হে আল্লাহ! আমার নূর বাড়িয়ে দিন এবং আমাকে পরিপূর্ন নূর দিন।
।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চ আওয়াজে এই কথাগুলো বলতেনঃ
পবিত্র সে সত্ত্বা যিনি ইজ্জতের পোশাক পরিধান করেছেন। পবিত্র সে সত্ত্বা যিনি স্বীয় বুযুর্গী ও বড়ত্বের কারণে বান্দাদের প্রতি নম্র আচরণ করেছেন এবং এতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন।পবিত্র সে সত্ত্বা পবিত্রতা কেমন তাঁরই সাজে এবং তাঁরই মানায়। পবিত্র সে সত্ত্বা যার জ্ঞান সমস্ত বস্তুকে ধারণ করে রেখেছে। অনুগ্রহশীল ও দুয়ালু সত্ত্বা অতীব পূত-পবিত্র। নেয়ামতদাতা ও ইহসানকারী সত্ত্বা পূত-পবিত্র। শক্তিমান ও সুশোভিত সত্ত্বা পূত-পবিত্র। ”
-
সূত্রঃ বড়দের তাহাজ্জুদ ও রাত্রি জাগরণ।
।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার সকাশে এমন বিশেষ রহমত প্রার্থনা করছি, যা আমার অন্তরের হিদায়াতের কারণ হয়।আমার কাজের সুসংহতি এবং অন্তরের প্রশান্তির উপলক্ষ হয়। আমার শোচনীয় অবস্থার উন্নতি এবং পরিচালনার কারণ হয়।তার দ্বারা আমার গায়েব বিষয় হেফাজত করুন। আমার উপস্থিত বিষয়কে উন্নীত করুন। আমার আমল পরিশুদ্ধ করে দিন। আমার চেহারা পূত পবিত্র ও নূরান্বিত করে দিন। আমার অন্তরে তার মাধ্যমে সঠিকতা ও হেদায়েত দান করুন। তার মাধ্যমে সকল অনিষ্ট হতে আমাদের হেফাজত করুন।
।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পাক্কা ইমান প্রার্থনা করছি। এমন বিশ্বাস চাই, যার পরে আর কুফরী থাকবে না। এমন রহমত চাই, যার উসিলায় আমি দুনিয়া আখেরাতে ইজ্জত, মর্যাদা এবং আপনার দয়া অর্জন করতে পারি।
।
হে আল্লাহ!আমি আপনার সকাশে মামলায় বিজয় কামনা করছি। আরও কামনা করছি শহীদের মর্যাদা, সৌভাগ্যশীল জীবনযাপন, শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য এং জান্নাতে নবীগণের সান্নিধ্য ও সাহচার্*্য।
।
হে আল্লাহ! যদিও আমার আমল ত্রুটিপূর্ন এবং রায় দূর্বল, তথাপি আমি আপনার রহমতের প্রত্যাশী এবং আপনার কাছে তা প্রার্থনা করছি। সমস্ত কাজের পূর্নতা দানকারী হে আল্লাহ এবং অন্তরের শেফা দানকারী হে পরওয়ারদেগার! আপনার সকাশে আমার নিবেদন হলো, যেভাবে নদ-নদীর মাঝে ব্যবধান রাখেন ,তেমনি আমাকে দোযখের শাস্তির থেকে দূরে রাখবেন। আমাকে করুণ ফরিয়াদ ও কবরের ফেতনা থেকে হেফাজত রাখবেন।
।
হে আল্লাহ! যে কল্যাণের আমার আমল অপর্যাপ্ত এবং সে ব্যাপারে আমার আবেদন ও নেই অথচ আপনি সে কল্যানটি কোন মাখলুককে প্রদানের ওয়াদা করেছেন এবং যে কল্যাণ আপনি মাখলুকের কাউকে প্রদান করেছেন, আমি তার জন্য আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আমি তার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছি। হে আল্লাহ! স্বীয় অনুগ্রহে আপনি তা আমাকে প্রদান করুন।
।
হে আল্লাহ!আমাকে হেদায়েত প্রাপ্ত দিক-নির্দেশক বানান।যাতে আমিও বিপদগামী না হই এবং অন্যেও গোমরাহ না হয়। আর যেন হতে পারি আপনার শত্রুদের শত্রু, আপনার বন্ধুদের বন্ধু। আপনি যাদের মহব্বত করেন আমি যেন তাদের মহব্বত করি এবং আপনার দুশমন যারা তাদের সাথে শত্রুতা ও বিরোধিতা যেন করতে পারি।
।
হে আল্লাহ! হে সঠিক নির্দেশদাতা!হে মজবুত রজ্জুধারী!আমি আপনার কাছে ভয় ও প্রতিশ্রুত দিনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি এবং স্থায়ী দিনের জান্নাত প্রার্থনা করছি, আপনার নৈকট্যশীল বান্দাদের সঙ্গে যারা হবে সাক্ষ্যপ্রাপ্ত রুকু সেজদাকারী , অঙ্গিকার পূর্নকারী। নিঃসন্দেহে আপনি বড় দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। আপনি যা চান সেটাই করেন।
।
হে আমার পরওয়ারদেগার!হে আমার মাওলা! এই হলো আমার দুয়া; আপনার দায়িত্ব হলো কবুল করা। এই হলো আমার চেস্টা সকল ভরসা আপনারই উপর। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন শক্তি সামর্থ নেই।
।
হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর ভরে দিন। আমার কবরকে নূরান্বিত করুন। আমার চোখে নূর দিন। আমার চুলে নূর দিন। আমার শরীরে নূর দিন। আমার গোস্তে নূর দিন। আমার রক্তে নূর দিন। আমার হাড়ে নূর দিন। আমার সামনে নূর দিন। আমার পিছনে নূর দিন। আমার ডানে নূর দিন। আমার বামে নূর দিন। উপরে নূর দিন। নীচে নূর দিন। হে আল্লাহ! আমার নূর বাড়িয়ে দিন এবং আমাকে পরিপূর্ন নূর দিন।
।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চ আওয়াজে এই কথাগুলো বলতেনঃ
পবিত্র সে সত্ত্বা যিনি ইজ্জতের পোশাক পরিধান করেছেন। পবিত্র সে সত্ত্বা যিনি স্বীয় বুযুর্গী ও বড়ত্বের কারণে বান্দাদের প্রতি নম্র আচরণ করেছেন এবং এতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন।পবিত্র সে সত্ত্বা পবিত্রতা কেমন তাঁরই সাজে এবং তাঁরই মানায়। পবিত্র সে সত্ত্বা যার জ্ঞান সমস্ত বস্তুকে ধারণ করে রেখেছে। অনুগ্রহশীল ও দুয়ালু সত্ত্বা অতীব পূত-পবিত্র। নেয়ামতদাতা ও ইহসানকারী সত্ত্বা পূত-পবিত্র। শক্তিমান ও সুশোভিত সত্ত্বা পূত-পবিত্র। ”
-
সূত্রঃ বড়দের তাহাজ্জুদ ও রাত্রি জাগরণ।
Comment