পরম আকাঙ্ক্ষিত শাহাদাহ। কেন?
হাদিসটি পড়েই দেখুন তাহলে-
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) কর্তৃক বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-শহীদ তিন প্রকার।
১. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে এসেছে
তবে তার জিহাদ করার ইচ্ছা নেই শাহাদাতেরও কোন তামান্না নেই।
শুধুমাত্র মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসেছে। সে যদি জিহাদের
কারণে যুদ্ধের ময়দানে ইন্তেকাল করে বা শহীদ করে দেয়া হয় তবে তার
সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে কবরের আজাব থেকে মুক্তি প্রদান করা
হবে। কিয়ামতের দিন বিপদ ও ভীতিকর অবস্থা থেকে রক্ষা করা হবে।
হুরাঈনের সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়া হবে এবং সম্মান ও মর্যাদার পোষাক
পরানো হবে। তার মাথায় সর্বদার জন্য মর্যাদার তাজ পরানো হবে।
২. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত
হয় বিনীময় লাভের আশায়। অর্থাৎ সে দুশমনকে হত্যা করবে কিন্তু
দুশমনরা তাকে শহীদ করুক তা কাম্য নয়। এ ব্যাক্তি যদি জিহাদের
ময়দানে ইন্তিকাল করে বা শহীদ করে দেয়া হয় তবে তার ঘটনা আল্লাহ
তা‘আলার সামনে হযরত ইব্রাহীম আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হবে।
“পবিত্রস্থানে সমস্ত প্রকার সামর্থবান বাদশাহগণের বাসস্থান হবে”।(৭৯)
৩. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত
হয় বিনিময়ে সে চায় যে, সে দুশমনকে হত্যা করবে এবং যুদ্ধরত অবস্থায়
নিজেও শহীদ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় যদি সে যুদ্ধের ময়দানে ইন্তেকাল
করে বা শহীদ হয়, তবে কিয়ামতের দিন উম্মক্ত তলোয়ার গর্দানে ঝুলন্ত
অবস্থায় আসবে। অথচ অন্যসমস্ত মানুষ তখন হাঁটুর উপর হুমড়ী খেয়ে
পড়ে থাকবে। শহীদ বলবে আমার জন্য রাস্তা ছেড়ে দাও আমি ঐ ব্যাক্তি
যে নিজের রক্ত ও ধন-সম্পদ আল্লাহ তা‘আলার জন্য বিসর্জন দিয়েছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করে ঐ সত্তার শপথ!
যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ। যদি শহীদের এ ঘোষণা হযরত ইব্রাহীম
(আ.) অথবা অন্য কোন নবীগণের সামনে করা হয় তবে তাদের অবস্থানও
জরুরী মনে করবে যে, শহীদদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেবে। এমনকি শহীদ
আল্লাহ তা‘আলার আরশের নিচে নূরের তৈরী মিম্বরে এসে বসবে। এবং
প্রত্যক্ষ করবে যে, আল্লাহ তা‘আলা মানুষের মাঝে কিভাবে ফায়সালা
করেন। তাদের জন্য মৃত্যুর কোন কষ্ট নেই। কবর জগতের কোন সংকীর্ণতা
নেই। সিংগার ফুঁৎকার তাদের ভীত করবে না, হিসাব-নিকাশ, মিজান,
পুলসিরাতের কোন চিন্তা হবে না। সে শুধু দেখবে মানুষের মাঝে কিভাবে
বিচারকার্য সম্পাদন করা হয়। শহীদ যা কিছু চাইবে তাই পাবে এবং যে
বিষয়ে সুপারিশ করবে তা গ্রহণ করা হবে এবং সে জান্নাতে যা পছন্দ
করবে তাই পাবে এবং যেথায় অবস্থান করতে চাবে সেথায় অবস্থান করতে
পারবে।(৮০)
(৭৯) . সূরা ক্বমার-৫৫
(৮০). বাইহাকী, তারগীব ও তারহীব
হাদিসটি পড়েই দেখুন তাহলে-
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) কর্তৃক বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-শহীদ তিন প্রকার।
১. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে এসেছে
তবে তার জিহাদ করার ইচ্ছা নেই শাহাদাতেরও কোন তামান্না নেই।
শুধুমাত্র মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসেছে। সে যদি জিহাদের
কারণে যুদ্ধের ময়দানে ইন্তেকাল করে বা শহীদ করে দেয়া হয় তবে তার
সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে কবরের আজাব থেকে মুক্তি প্রদান করা
হবে। কিয়ামতের দিন বিপদ ও ভীতিকর অবস্থা থেকে রক্ষা করা হবে।
হুরাঈনের সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়া হবে এবং সম্মান ও মর্যাদার পোষাক
পরানো হবে। তার মাথায় সর্বদার জন্য মর্যাদার তাজ পরানো হবে।
২. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত
হয় বিনীময় লাভের আশায়। অর্থাৎ সে দুশমনকে হত্যা করবে কিন্তু
দুশমনরা তাকে শহীদ করুক তা কাম্য নয়। এ ব্যাক্তি যদি জিহাদের
ময়দানে ইন্তিকাল করে বা শহীদ করে দেয়া হয় তবে তার ঘটনা আল্লাহ
তা‘আলার সামনে হযরত ইব্রাহীম আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হবে।
“পবিত্রস্থানে সমস্ত প্রকার সামর্থবান বাদশাহগণের বাসস্থান হবে”।(৭৯)
৩. ঐ ব্যাক্তি যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদের ময়দানে উপস্থিত
হয় বিনিময়ে সে চায় যে, সে দুশমনকে হত্যা করবে এবং যুদ্ধরত অবস্থায়
নিজেও শহীদ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় যদি সে যুদ্ধের ময়দানে ইন্তেকাল
করে বা শহীদ হয়, তবে কিয়ামতের দিন উম্মক্ত তলোয়ার গর্দানে ঝুলন্ত
অবস্থায় আসবে। অথচ অন্যসমস্ত মানুষ তখন হাঁটুর উপর হুমড়ী খেয়ে
পড়ে থাকবে। শহীদ বলবে আমার জন্য রাস্তা ছেড়ে দাও আমি ঐ ব্যাক্তি
যে নিজের রক্ত ও ধন-সম্পদ আল্লাহ তা‘আলার জন্য বিসর্জন দিয়েছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করে ঐ সত্তার শপথ!
যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ। যদি শহীদের এ ঘোষণা হযরত ইব্রাহীম
(আ.) অথবা অন্য কোন নবীগণের সামনে করা হয় তবে তাদের অবস্থানও
জরুরী মনে করবে যে, শহীদদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেবে। এমনকি শহীদ
আল্লাহ তা‘আলার আরশের নিচে নূরের তৈরী মিম্বরে এসে বসবে। এবং
প্রত্যক্ষ করবে যে, আল্লাহ তা‘আলা মানুষের মাঝে কিভাবে ফায়সালা
করেন। তাদের জন্য মৃত্যুর কোন কষ্ট নেই। কবর জগতের কোন সংকীর্ণতা
নেই। সিংগার ফুঁৎকার তাদের ভীত করবে না, হিসাব-নিকাশ, মিজান,
পুলসিরাতের কোন চিন্তা হবে না। সে শুধু দেখবে মানুষের মাঝে কিভাবে
বিচারকার্য সম্পাদন করা হয়। শহীদ যা কিছু চাইবে তাই পাবে এবং যে
বিষয়ে সুপারিশ করবে তা গ্রহণ করা হবে এবং সে জান্নাতে যা পছন্দ
করবে তাই পাবে এবং যেথায় অবস্থান করতে চাবে সেথায় অবস্থান করতে
পারবে।(৮০)
(৭৯) . সূরা ক্বমার-৫৫
(৮০). বাইহাকী, তারগীব ও তারহীব
Comment