*********** أعمال يوم الجمعة
*على ضوء الأحاديث الصحيحة
************
******** সহী হাদীসের আলোকে*
********* জুমআর দিনের আমল
১*— মেসওয়াক করা৷
***** বুখারী,হাদীস-৮৮০,৮৮৭,মুসলিম-১৮৪৫
২ — গোসল করা৷
**বুখারী, হাদীস-৮৭৭,মুসলিম-১৮৩৬
৩ — সুগন্ধি ব্যবহার করা৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮০, মুসলিম-১৮৪৫
৪ — তেল ব্যবহার করা৷
**** বুখারী,হাদীস-৮৮৩
৫ — নিজের কাছে থাকা পোষাকগুলোর* মধ্যে সবচেয়ে ভালটা*পড়া৷
* বুখারী,হাদীস-৮৮৬
৬ — জলদি জলদি মসজিদে যাওয়া৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮১,তিরমিযী-৪৯৬,৪৯৯
৭ — পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া৷
*** বুখারী,হাদীস-৯০৭
৮ — ইমামের কাছাকাছি বসা৷
*** তিরমিযী,হাদীস-৪৯৬,আবূ দাউদ-১১০৮
৯ — (জোর পূর্বক) দু‘জনের মাঝখানে না বসা৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮৩
১০ — অহেতুক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা৷* চুপ চাপ থাকা৷
*** বুখারী,হাদীস-৯৩৪,মুসলিম-১৮৫০
১১ — মনযোগ সহকারে খুতবা শোনা৷
*** বুখারী,হাদীস-৯২৯,তিরমিযী-৪৯৬
১২ — খুতবার সময় ইমামের দিকে মুখ করে বসা। তিরমিযী-৫০৯
১৩ — বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া৷
**** আবূ দাউদ,রিয়াযুস সালিহীন,হাদীস-১১৬৫
১৪ — সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা৷
** জামে‘তিরমিযী
১৫ — ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরে বসা থেকে নামায শেষ করা পর্যন্ত মনে মনে দোয়া করা৷ কারণ, এ সময়টা দোয়া কবূলের সময়৷ মুসলিম,হাদীস-১৮৬০
১৬— আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দুরুদ শরীফ, যিকির-আযকার ও দোয়ায় মশগুল থাকা ৷ কারণ, এসময়টাও দোয়া কবূলের সময়৷ জামে তিরমিযী,হাদীস-৪৮৯
ٍ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم :
*
— الْغُسْلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ، وَأَنْ يَسْتَنَّ وَأَنْ يَمَسَّ طِيبًا إِنْ وَجَدَِ.
رواه البخاري ومسلم
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
*— জুমু‘আর দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর গোসল করা কর্তব্য। এবং* মিস্*ওয়াক করা ও সুগন্ধি ব্যবহার করা, যদি থাকে৷
সহী বুখারী, হাদীস - ৮৮০,মুসলিম-৮৪৬
*— لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ، فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى . رواه البخاري
— যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালভাবে পবিত্রতা অর্জন করে এবং তেল বা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদের দিকে) রওনা হয় এবং (মসজিদে পৌঁছে জোরপূর্বক) দু’ জনের মাঝখানে বসে না ৷ অতঃপর সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে তার সেই জুমআ হতে সামনের জুমআ পর্যন্ত* সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
সহী বুখারী,হাদীস-৮৮৩
*وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ، فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاَثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَى، فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
—যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ* করে জুমআর নামায পড়তে আসবে এবং চুপচাপ থেকে মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে, তার সেই জুমআ হতে সামনের জুমআ পর্যন্ত সংগে আরও তিন দিনের সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে । আর যে ব্যক্তি কাঁকর স্পর্শ করল সে অহেতুক কাজ করল।
সহী মুসলিম
* —* مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَغَسَّلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَدَنَا وَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا أَجْرُ سَنَةٍ صِيَامُهَا وَقِيَامُهَا . رواه الترمذي
*— যে ব্যক্তি গোসল করল এবং গোসল করাল, সকাল সকাল মসজিদে এল, ইমামের নিকটবর্তী হয়ে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল এবং চুপচাপ থাকল- তাঁর জন্য প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের (নফল) রোযা ও নামাযের সাওয়াব রয়েছে।
জামে' তিরমিজী, হাদীস- ৪৯৬
*— إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَقَفَتِ الْمَلاَئِكَةُ عَلَى باب الْمَسْجِدِ يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ، وَمَثَلُ الْمُهَجِّرِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي بَدَنَةً، ثُمَّ كَالَّذِي يُهْدِي بَقَرَةً، ثُمَّ كَبْشًا، ثُمَّ دَجَاجَةً، ثُمَّ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ طَوَوْا صُحُفَهُمْ، وَيَسْتَمِعُونَ الذِّكْر َ . رواه البخاري
— জুমআর দিন*ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে যান এবং ক্রমানুসারে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে।এরপর আগমনকারী মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী*একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাঁদের খাতা বন্ধ করে* মনোযোগ সহকারে খুত্*বা শুনতে শুরু করেন। সহী বুখারী, হাদীস - ৯২৯
— *إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَومَ الجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ ،* قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ ! وَكَيفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ ؟* قَالَ: إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ .
*رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
— তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে — জুমআর দিন। সুতরাং জুমআর দিন* আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়। কারণ, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো (মারা যাওয়ার পর) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। তখন আমাদের দরূদ* আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে?’ তখন বললেন, আল্লাহ তাআলা নবীদের দেহসমূহ মাটির উপর হারাম করে রেখেছেন।(তাঁরা নিজ নিজ কবরে জীবিত থাকেন)
সুনানে আবূ দাউদ
*— أَوْلَى النَّاسِ بِي يَومَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن .
— কিয়ামতের দিন সে-ই আমার সব চেয়ে* নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়বে।
জামে‘ তিরমিযী
— من قرأ سورة الكهف يوم الجمعة فهو معصوم الى
*ثمانية أيام من كل فتنة وان خرج الجال عصم منه .
*
— যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে সে (সামনের) আট দিন সব ধরনের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে৷
এ সময় দাজ্জাল বের হলে* তার ফেতনা থেকেও সে নিরাপদ থাকবে৷ আল মাতজারুর রাবেহ-১১৯
*— إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ . رواه الترمذي
— জুমআর দিন এমন একটি সময় আছে যে*সময়ে বান্দা আল্লাহর কাছে যা-ই চায় আল্লাহ তাকে তা-ই দেন ।
জামে' তিরমিজী, হাদীস-৪৯০
*— هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَة . رواه مسلم
*— জুমু‘আর দিনের বিশেষ মুহূর্তটি হচ্ছে — ইমাম মিম্বরে বসা থেকে নামায*শেষ করা পর্যন্ত৷ সহী মুসলিম, হাদীস-১৮৬০
*— الْتَمِسُوا السَّاعَةَ الَّتِي تُرْجَى فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِلَى غَيْبُوبَةِ الشَّمْسِ .
— জুমু’আর দিনের যে মুহুর্তটিতে (দোআ কবূল হওয়ার) আশা করা যায় তাকে আসরের পর হতে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত তালাশ কর। জামে' তিরমিজী, হাদীস-৪৮৯
*على ضوء الأحاديث الصحيحة
************
******** সহী হাদীসের আলোকে*
********* জুমআর দিনের আমল
১*— মেসওয়াক করা৷
***** বুখারী,হাদীস-৮৮০,৮৮৭,মুসলিম-১৮৪৫
২ — গোসল করা৷
**বুখারী, হাদীস-৮৭৭,মুসলিম-১৮৩৬
৩ — সুগন্ধি ব্যবহার করা৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮০, মুসলিম-১৮৪৫
৪ — তেল ব্যবহার করা৷
**** বুখারী,হাদীস-৮৮৩
৫ — নিজের কাছে থাকা পোষাকগুলোর* মধ্যে সবচেয়ে ভালটা*পড়া৷
* বুখারী,হাদীস-৮৮৬
৬ — জলদি জলদি মসজিদে যাওয়া৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮১,তিরমিযী-৪৯৬,৪৯৯
৭ — পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া৷
*** বুখারী,হাদীস-৯০৭
৮ — ইমামের কাছাকাছি বসা৷
*** তিরমিযী,হাদীস-৪৯৬,আবূ দাউদ-১১০৮
৯ — (জোর পূর্বক) দু‘জনের মাঝখানে না বসা৷
*** বুখারী,হাদীস-৮৮৩
১০ — অহেতুক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা৷* চুপ চাপ থাকা৷
*** বুখারী,হাদীস-৯৩৪,মুসলিম-১৮৫০
১১ — মনযোগ সহকারে খুতবা শোনা৷
*** বুখারী,হাদীস-৯২৯,তিরমিযী-৪৯৬
১২ — খুতবার সময় ইমামের দিকে মুখ করে বসা। তিরমিযী-৫০৯
১৩ — বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া৷
**** আবূ দাউদ,রিয়াযুস সালিহীন,হাদীস-১১৬৫
১৪ — সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা৷
** জামে‘তিরমিযী
১৫ — ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরে বসা থেকে নামায শেষ করা পর্যন্ত মনে মনে দোয়া করা৷ কারণ, এ সময়টা দোয়া কবূলের সময়৷ মুসলিম,হাদীস-১৮৬০
১৬— আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দুরুদ শরীফ, যিকির-আযকার ও দোয়ায় মশগুল থাকা ৷ কারণ, এসময়টাও দোয়া কবূলের সময়৷ জামে তিরমিযী,হাদীস-৪৮৯
ٍ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم :
*
— الْغُسْلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ، وَأَنْ يَسْتَنَّ وَأَنْ يَمَسَّ طِيبًا إِنْ وَجَدَِ.
رواه البخاري ومسلم
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
*— জুমু‘আর দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর গোসল করা কর্তব্য। এবং* মিস্*ওয়াক করা ও সুগন্ধি ব্যবহার করা, যদি থাকে৷
সহী বুখারী, হাদীস - ৮৮০,মুসলিম-৮৪৬
*— لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ، فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى . رواه البخاري
— যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালভাবে পবিত্রতা অর্জন করে এবং তেল বা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদের দিকে) রওনা হয় এবং (মসজিদে পৌঁছে জোরপূর্বক) দু’ জনের মাঝখানে বসে না ৷ অতঃপর সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে তার সেই জুমআ হতে সামনের জুমআ পর্যন্ত* সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
সহী বুখারী,হাদীস-৮৮৩
*وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ، فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاَثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَى، فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
—যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ* করে জুমআর নামায পড়তে আসবে এবং চুপচাপ থেকে মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে, তার সেই জুমআ হতে সামনের জুমআ পর্যন্ত সংগে আরও তিন দিনের সমস্ত (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে । আর যে ব্যক্তি কাঁকর স্পর্শ করল সে অহেতুক কাজ করল।
সহী মুসলিম
* —* مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَغَسَّلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَدَنَا وَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا أَجْرُ سَنَةٍ صِيَامُهَا وَقِيَامُهَا . رواه الترمذي
*— যে ব্যক্তি গোসল করল এবং গোসল করাল, সকাল সকাল মসজিদে এল, ইমামের নিকটবর্তী হয়ে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল এবং চুপচাপ থাকল- তাঁর জন্য প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের (নফল) রোযা ও নামাযের সাওয়াব রয়েছে।
জামে' তিরমিজী, হাদীস- ৪৯৬
*— إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَقَفَتِ الْمَلاَئِكَةُ عَلَى باب الْمَسْجِدِ يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ، وَمَثَلُ الْمُهَجِّرِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي بَدَنَةً، ثُمَّ كَالَّذِي يُهْدِي بَقَرَةً، ثُمَّ كَبْشًا، ثُمَّ دَجَاجَةً، ثُمَّ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ طَوَوْا صُحُفَهُمْ، وَيَسْتَمِعُونَ الذِّكْر َ . رواه البخاري
— জুমআর দিন*ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে যান এবং ক্রমানুসারে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে।এরপর আগমনকারী মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী*একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাঁদের খাতা বন্ধ করে* মনোযোগ সহকারে খুত্*বা শুনতে শুরু করেন। সহী বুখারী, হাদীস - ৯২৯
— *إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَومَ الجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ ،* قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ ! وَكَيفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ ؟* قَالَ: إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ .
*رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
— তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে — জুমআর দিন। সুতরাং জুমআর দিন* আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়। কারণ, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো (মারা যাওয়ার পর) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। তখন আমাদের দরূদ* আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে?’ তখন বললেন, আল্লাহ তাআলা নবীদের দেহসমূহ মাটির উপর হারাম করে রেখেছেন।(তাঁরা নিজ নিজ কবরে জীবিত থাকেন)
সুনানে আবূ দাউদ
*— أَوْلَى النَّاسِ بِي يَومَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن .
— কিয়ামতের দিন সে-ই আমার সব চেয়ে* নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়বে।
জামে‘ তিরমিযী
— من قرأ سورة الكهف يوم الجمعة فهو معصوم الى
*ثمانية أيام من كل فتنة وان خرج الجال عصم منه .
*
— যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে সে (সামনের) আট দিন সব ধরনের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে৷
এ সময় দাজ্জাল বের হলে* তার ফেতনা থেকেও সে নিরাপদ থাকবে৷ আল মাতজারুর রাবেহ-১১৯
*— إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ . رواه الترمذي
— জুমআর দিন এমন একটি সময় আছে যে*সময়ে বান্দা আল্লাহর কাছে যা-ই চায় আল্লাহ তাকে তা-ই দেন ।
জামে' তিরমিজী, হাদীস-৪৯০
*— هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَة . رواه مسلم
*— জুমু‘আর দিনের বিশেষ মুহূর্তটি হচ্ছে — ইমাম মিম্বরে বসা থেকে নামায*শেষ করা পর্যন্ত৷ সহী মুসলিম, হাদীস-১৮৬০
*— الْتَمِسُوا السَّاعَةَ الَّتِي تُرْجَى فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِلَى غَيْبُوبَةِ الشَّمْسِ .
— জুমু’আর দিনের যে মুহুর্তটিতে (দোআ কবূল হওয়ার) আশা করা যায় তাকে আসরের পর হতে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত তালাশ কর। জামে' তিরমিজী, হাদীস-৪৮৯
Comment