কুসংস্কার : রাতে নিম্নের কাজগুলো করা যাবে না
১. রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২. রাতে গাছের পাতা ছেঁড়া যাবে না।
৩.রাতে নখ, চুল, গোঁফ ইত্যাদি কাটা যাবে না।
৪. রাতে কোনো প্রকার ফল-ফসল তোলা যাবে না ইত্যাদি।
অনেক এলাকার মানুষের মাঝেই এগুলো এবং রাতকেন্দ্রিক এরকম আরো কিছু বিষয়ের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এসব মনগড়া কথা, শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই। কুরআন-হাদীসের কোথাও এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সুতরাং এ ধরনের বিশ্বাস পোষণ করা যাবে না।
এগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়। কারো যদি দাফন ইত্যাদি কাজের জন্য রাতেই বাঁশ কাটার প্রয়োজন হয়, তিনি কি তাহলে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন? এরকম অমূলক ধারণার কারণে দেখা যাবে তিনি বেশ পেরেশানীর শিকার হবেন। তেমনি কারো যদি রাতে গাছ থেকে কোনো ফল বা কোনো সবজি তোলার প্রয়োজন হয়, তাহলে কি তিনি সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন?
একটি ভুল ধারণা : কুরবানীর ঈদের দিন কি দু’ পা বিশিষ্ট প্রাণী (হাস-মুরগি ইত্যাদি) যবেহ করা নিষেধ?
কিছু কিছু মানুষ মনে করে, কুরবানীর ঈদের দিন হাস-মুরগি ইত্যাদি দু’ পা বিশিষ্ট প্রাণী যবেহ করা যাবে না। এটি একটি অমূলক ধারণা, এর কোনো ভিত্তি নেই।
তারা হয়ত মনে করে যে, কুরবানী যেহেতু চার পা বিশিষ্ট প্রাণী দিয়ে করতে হয়; দু’ পা বিশিষ্ট প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা যায় না, সুতরাং এ দিনে দুই পা বিশিষ্ট প্রাণী যবেহও করা যাবে না। আসলে অজ্ঞতার কারণে এ ধরনের অমূলক ধারণার সৃষ্টি হয় এবং সমাজে এগুলোর প্রচলন হয়ে থাকে। এ ধরনের অমূলক ধারণা থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
মোটকথা এ ধরনের অমূলক ধারণার পিছে পড়া যাবে না।
Comment