Announcement

Collapse
No announcement yet.

“যারা বিচার দিবসের পূর্বেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিংবা ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে”

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • “যারা বিচার দিবসের পূর্বেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিংবা ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে”

    ১.আশ শাহীদ
    ২.বাচ্ছারা যারা অতি অল্প বয়সে মৃত্যুবরন করেছে।
    ৩.আর যারা ইতোমধ্যেই জান্নাতে ছিলেন? আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম।
    মহান আল্লাহ বলেন,
    অর্থ :আর আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাকো এবং ওখানে যেখান থেকে যা চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাকো।
    কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। তাহলে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” (সূরা বাকারা, আয়াত ৩৫)
    আর শহীদদের ব্যপারে সহীহ মুসলিমে একটি হাদীস বর্নিত আছে।
    মাসরুক বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. কে আমরা কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, (এই আয়াত দ্বারা আসলে কি বোঝানো হচ্ছে? শহীদরা কিভাবে জীবিত ও কিভাবে তারা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত হন?)
    আল্লাহ বলেন,
    অর্থ:“আর যারা মহান আল্লাহর পথে শহীদ হয় তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলে ধারণাও করো না। তারা জীবিত ও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৬৯)
    উপরোক্ত এই আয়াত সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম যখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. কে জিজ্ঞেস করলেন যে এখানে আসলে কি বলা হচ্ছে? শহীদগণ কিভাবে জীবিত ও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত? তখন তিনি বললেন, আমি এ সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেও জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উওরে তিনি বললেন,
    শাহাদাত বরন করার পর শহীদদের রুহগুলোকে সবুজ বর্নের পাখির পেটের ভেতরে স্থানান্তরিত করে দেন।
    তারা আল্লাহর আরশের নিচে ঝুলন্ত ঝাড়বাতি বা প্রদীপের মধ্যে অবস্থান করেন।
    সেখান থেকে তাঁরা জান্নাতের যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারেন। বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করে তারা সেই প্রদীপের কাছে ফিরে আসেন।” (মুসলিম)
    অপর এক বর্ণনায় আছে, এরপর তাদের রব মহান আল্লাহ সুবহানাহুয়া ওয়া তা`আলা শহীদদেরকে সম্বোধন করে বলেন, “তোমরা কি কোনো কিছুর আকাঙ্খা করছো?
    চাইলে তোমারা তোমাদের ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারো।”
    একথা শুনে শহীদগণ বলেন, “আমরা আর কোন জিনিষের আকাঙ্খা ব্যক্ত করবো, আর আমরা কি চাইবো? আমরা তো জান্নাতের যে কোনো স্থানে ইচ্ছা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছি (আমাদের জন্য এর চাইতে আর কি চাওয়ার থাকতে পারে?)
    কিন্তু তারপরও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদেরকে তিন তিনবার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করবেন যে তারা আর কিছু চায় কি না?
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, শহীদগণ যখন দেখবেন যে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা' আলা বারবার তাঁদেরকে একই প্রশ্ন করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে উওর আশা করেছেন তখন তারা বলবেন,
    “হে আমাদের রব! সম্ভব হলে আমরা একটি ইচ্ছা পোষণ করতে পারি, আর তা হলো আমাদের রূহকে আমাদের দেহে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হোক।
    আমারা আবারও আপনার পথে জিহাদ করে শহীদ হতে চাই। (-যা আর হবার নয়)”
    অতঃপর যখন আল্লাহ দেখলেন যে শহীদদের আর কোনো চাহিদা নেই তখন তিনি তাদেরকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দিলেন হ
    অপর একটি সনদে বর্নিত হাদীসটির নিম্নরূপ -
    হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, উহুদের যুদ্ধে যখন তোমাদের ভাইয়েরা শাহাদাতবরণ করেছে, তখন তাঁদের আত্মাসমূহকে সবুজ বর্নের পাখির পেটের মধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অতঃপর সেই আত্মাসমূহকে জান্নাতের নহরসমূহের ওপর দিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং বিভিন্ন প্রকার ফল-মূল আহরণ করে পুনরায় আরশের নীচে ঝুলন্ত প্রদিপে গিয়ে অবস্থান করে।” (আবু দাউদ শরীফ, কিতাবুল জিহাদ, ৩৪১)
    অর্থাৎ শহীদ ব্যক্তিদের জন্য স্পেশাল ও বিশেষ সম্মান এটা যে তাদের রূহকে শাহাদাতের সাথে সাথেই একটি সবুজ বর্নের জান্নাতি পাখির অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত করে সেই পাখিটিকে জান্নাতে ছেরে দেওয়া হয় এবং সে তখন জান্নাতে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরণের নায-নেয়ামত উপভোগ করতে থাকে।

  • #2
    বারাকাল্লাহু ফি 'ইলমিক
    আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
    জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
    বিইযনিল্লাহ!

    Comment


    • #3
      jazakallah vai
      allah tayala apanke amake o sokol vaike ei sobuj pakhi hisebe kobul koruk ameen.
      আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।

      Comment

      Working...
      X