তিরমিজি শরীফে হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে কেয়ামতের পূর্বে প্রকাশিতব্য আলামতসমূহের বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। এ সকল আলামত এর বিবরণ দেখে মনে হয় যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের যুগের অবস্থা স্বচক্ষে দেখে তার বর্ণনা দিয়েছেন! হাদীসটি হল-
“ হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন গনিমতের মাল কে দৌলত মনে করা হবে( অর্থাৎ গনিমতের মাল কে সামর্থ্যবানরা নিয়ে যাবে এবং গরীবদেরকে অংশ দিবেনা) ;
আমানতে গনিমত মনে করা হবে ;
যাকাতকে জরিমানার গণ্য করা হবে;
ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা হবে দুনিয়াবী উদ্দেশ্য ;
পুরুষ স্ত্রীর আনুগত্য করবে,
মায়ের অবাধ্য হবে,
বন্ধু বান্ধব কে কাছের বানাবে এবং বাবাকে দূরে ঠেলে দিবে,;
যখন মসজিদে চিৎকার - চেঁচামেচি করা হবে;
ফাসেক ও পাপাচারী ব্যক্তি জাতির নেতৃত্ব দিবে;
গোত্রের জিম্মাদার হবে গোত্রের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি;
মানুষকে সম্মান করা হবে তার মান্দাচার থেকে বাঁচার জন্য ;
গায়িকা,নর্তকী ও গান - বাদ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে;
মদ পান করা হবে এবং যখন এ উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদেরকে অভিশাপ দিবে, তখন তোমরা অপেক্ষা কর লাল বর্ণের ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, প্রস্তরবৃষ্টি ও মানুষের আকৃতি পরিবর্তনের।
আরো অপেক্ষা করো সুতা সেরা মানুষের আকৃতি সুতা ছেঁড়া মুতির দানার দ্রুত পতনের মতো লাগাতার বিপদ-আপদের-"
( সুনানে তিরমিযী):হাদীস নং 2211)
এ হাদীসে মোট 16 টি আলামতের সংবাদ দেয়া হয়েছে। এই 16 টি আলামত এর সবগুলো পূর্ণ হয়েছে। আমরা এখন এই আলামতসমূহকে শতভাগ পুরো হতে দেখেছি।
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ এসব পাপাচারে লিপ্ত। তবে এ ধরনের আলামতসমূহের কিছু শুধু মুসলমানদের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন- যাকাতকে জরিমানা মনে করা, দিনের পরিবর্তে দুনিয়ার জন্য ইলম শিক্ষা করা, মসজিদে চিৎকার - চেঁচামেচি করা, পূর্ববর্তীদের সমালোচনা করা ইত্যাদি।
এগুলোর প্রত্যেকটি বর্তমানে আমাদের মাঝে বিদ্যমান। কিছু গুনাহ তো আমরা দিন মনে করে করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন!
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম চার ধরনের বিপদের কথা বলেছেন। দুনিয়াতে যখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হবে, তখন লাল ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, ও আকৃতি পরিবর্তনের বিপদ প্রকাশ পাবে।
অন্য কিছু হাদিসে অধিক হারে ভূমিকম্প ও নতুন নতুন অসুস্থতার সংবাদ ও দেয়া হয়েছে। কমিনিউজমের উত্থানের সময় অনেকে একে` লাল ঘূর্ণিঝড় '-এর আলামত বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু এটা শুধু রূপক অর্থেই ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু এ হাদীসে বর্ণিত সকল ঘটনাই প্রকৃতরূপে সংঘটিত হয়েছে, এজন্য শুধু `লাল ঘূর্ণিঝড় ʼকে পৃথক করা দলিলবিহীন কথা বলা হবে।
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য যথাসম্ভব এ চেষ্টা করা জরুরি যে, সে যেন কেয়ামতের এসকল আলামতের কোন একটিও প্রকাশ পাওয়ার মাধ্যম না হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ও সকল মুসলমানকে এ সমস্ত ফেতনা থেকে হেফাজত করুন, আমীন!
“ হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন গনিমতের মাল কে দৌলত মনে করা হবে( অর্থাৎ গনিমতের মাল কে সামর্থ্যবানরা নিয়ে যাবে এবং গরীবদেরকে অংশ দিবেনা) ;
আমানতে গনিমত মনে করা হবে ;
যাকাতকে জরিমানার গণ্য করা হবে;
ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা হবে দুনিয়াবী উদ্দেশ্য ;
পুরুষ স্ত্রীর আনুগত্য করবে,
মায়ের অবাধ্য হবে,
বন্ধু বান্ধব কে কাছের বানাবে এবং বাবাকে দূরে ঠেলে দিবে,;
যখন মসজিদে চিৎকার - চেঁচামেচি করা হবে;
ফাসেক ও পাপাচারী ব্যক্তি জাতির নেতৃত্ব দিবে;
গোত্রের জিম্মাদার হবে গোত্রের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি;
মানুষকে সম্মান করা হবে তার মান্দাচার থেকে বাঁচার জন্য ;
গায়িকা,নর্তকী ও গান - বাদ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে;
মদ পান করা হবে এবং যখন এ উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদেরকে অভিশাপ দিবে, তখন তোমরা অপেক্ষা কর লাল বর্ণের ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, প্রস্তরবৃষ্টি ও মানুষের আকৃতি পরিবর্তনের।
আরো অপেক্ষা করো সুতা সেরা মানুষের আকৃতি সুতা ছেঁড়া মুতির দানার দ্রুত পতনের মতো লাগাতার বিপদ-আপদের-"
( সুনানে তিরমিযী):হাদীস নং 2211)
এ হাদীসে মোট 16 টি আলামতের সংবাদ দেয়া হয়েছে। এই 16 টি আলামত এর সবগুলো পূর্ণ হয়েছে। আমরা এখন এই আলামতসমূহকে শতভাগ পুরো হতে দেখেছি।
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ এসব পাপাচারে লিপ্ত। তবে এ ধরনের আলামতসমূহের কিছু শুধু মুসলমানদের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন- যাকাতকে জরিমানা মনে করা, দিনের পরিবর্তে দুনিয়ার জন্য ইলম শিক্ষা করা, মসজিদে চিৎকার - চেঁচামেচি করা, পূর্ববর্তীদের সমালোচনা করা ইত্যাদি।
এগুলোর প্রত্যেকটি বর্তমানে আমাদের মাঝে বিদ্যমান। কিছু গুনাহ তো আমরা দিন মনে করে করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন!
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম চার ধরনের বিপদের কথা বলেছেন। দুনিয়াতে যখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হবে, তখন লাল ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, ও আকৃতি পরিবর্তনের বিপদ প্রকাশ পাবে।
অন্য কিছু হাদিসে অধিক হারে ভূমিকম্প ও নতুন নতুন অসুস্থতার সংবাদ ও দেয়া হয়েছে। কমিনিউজমের উত্থানের সময় অনেকে একে` লাল ঘূর্ণিঝড় '-এর আলামত বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু এটা শুধু রূপক অর্থেই ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু এ হাদীসে বর্ণিত সকল ঘটনাই প্রকৃতরূপে সংঘটিত হয়েছে, এজন্য শুধু `লাল ঘূর্ণিঝড় ʼকে পৃথক করা দলিলবিহীন কথা বলা হবে।
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য যথাসম্ভব এ চেষ্টা করা জরুরি যে, সে যেন কেয়ামতের এসকল আলামতের কোন একটিও প্রকাশ পাওয়ার মাধ্যম না হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ও সকল মুসলমানকে এ সমস্ত ফেতনা থেকে হেফাজত করুন, আমীন!
Comment