Announcement

Collapse
No announcement yet.

সম্মানিত আলেম ও মুফতি ভাইদের কাছে রাসুল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখা বিষয়ে জানতে চাই।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সম্মানিত আলেম ও মুফতি ভাইদের কাছে রাসুল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখা বিষয়ে জানতে চাই।

    বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখলে সেটি সত্যই। এবং যে দেখেছে সে আসলেই রাসুল (সাঃ) কেই দেখেছে, কারন শয়তান রাসুল (সাঃ) এর রুপ ধারন করতে পারেনা।

    জনৈক এক ভাই, রাসুল (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখেছেন এবং সাথে ওমার ফারুক (রাঃ) কেও দেখেছেন। একই কাফেলাতে অন্যান্য সাহাবীদের সাথে ভ্রমন করেছেন স্বপ্নে। স্বপ্নটি বিস্তারিত যাই হোক, সম্মানিত ভাইদের কাছে প্রশ্নটি হলো-

    জনৈক ভাই টি রাসুল (সাঃ) এর মুখ-মন্ডল থেকে উজ্জ্বল নূর বের হতে দেখছেন কিন্তু তার চোখ, নাক, মুখ দেখেন নাই। লম্বা জুব্বা পরিহিত, মাথা সাদা রুমালে ঢাকা এবং মুখ-মন্ডল থেকে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়তে দেখেছেন। এক্ষেত্রে, তিনি কি রাসুল (সাঃ) কেই দেখেছেন? নাকি চোখ-নাক, মুখ-মন্ডল না দেখলে রাসুল (সাঃ) কে দেখার নেয়ামত তিনি পান নাই।

  • #2
    সম্মানিত ভাইয়েরা, স্বপ্নটির বিষয়ে জানালে উপকার হতো।

    Comment


    • #3
      হাফেয ইবনে হাযার রহিমাহুল্লাহু সহ আরো অনেক আলেম বলেছেন, উল্লিখিত হাদিসের অর্থ হলো যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাদিস ও সীরাতে বর্ণিত আকৃতি ও বেশভূষায় দেখল সে রাসূলকেই দেখলো, আর কেউ যদি রাসূলকে হাদিস ও সীরাতে বর্ণিত আকৃতির বিপরীতে দেখতে পায়, তাহলে তা তার আমলি ক্রটির দলিল হবে। যেমন কেউ স্বপ্নে রাসূলকে কালো দেখতে পেল, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পূর্ণিমার রাত্রির পূর্ণ চন্দ্রের চেয়েও সুন্দর, (সহিহ বুখারী, ৩৫৪৯ সহিহ মুসলিম, ২৩৩৭ সুনানে তিরমিযি, ২৮১২) তাহলে বুঝা যাবে যে স্বপ্ন দেখেছে তার মধ্যে জুলুম বা অন্য কোন আমলি ক্রটি রয়েছে, এবং তাকে সতর্ক করার জন্যই আল্লাহ তায়ালা রাসূলকে কালো সূরতে দেখিয়েছেন।

      সুতরাং কেউ রাসূলের মুখমন্ডল (অর্থাৎ মুখ, নাক ও চোখ) না দেখলেও বলা যায় তিনি রাসূলকে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেননি। তবে এজন্য কোন পেরেশানীর কারণ নেই। কারণ, আমার মনে হচ্ছে, যিনি এ স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি তাকওয়া-পরহেযগারীর দ্বারা রাসূলকে দেখার সৌভাগ্য অর্জনের কাছাকাছি স্তরে পৌঁছে গেছেন, তবে এখনও সামান্য ক্রটি থাকার কারণে পুরোপুরিভাবে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি। আরেকটু চেষ্টা করলেই ইনশাআল্লাহ তিনি রাসূলকে পুরোপুরিভাবে দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

      এ ব্যাপারে হাফেয ইবনে হাযার ও ইমাম কারাফীর ইবারত দেখুন,

      قال الحافظ ابن حجر: فيه إشارة إلى أن الله تعالى وإن أمكنه "الشيطان" من التصور في أي صورة أراد، فإنه لم يمكنه من التصور في صورة النبي صلى الله عليه وسلم. وقد ذهب إلى هذا جماعة قالوا في الحديث: إن محل ذلك إذا رآه الرائي على صورته التي كان عليه، ومنهم من ضيق الفرض في ذلك حتى قال لا بد أن يراه على صورته التي قبض عليها حتى يعتبر الشعرات البيض التي لم تبلغ عشرين شعرة، وقال الحافظ: والصواب التعميم من جميع حالاته بشرط أن تكون صورته الحقيقة في وقت ما سواء كان في شبابه أو رجوليته أو كهوليته أو آخر عمره، وقد يكون لما خالف ذلك تعبير ما يتعلق بالرائي.
      قال أبو سعد أحمد بن محمد بن نصر: من رأى نبيا على حاله وهيئته فذلك دليل على صلاح الرائي وكمال جاهه وظفره بمن عاداه، ومن رآه متغير الحال عابسا مثلا فذاك دال على سوء حال الرائي، ونحا الشيخ أبو محمد بن أبي جمرة إلى ما اختاره النووي فقال بعد أن حكى الخلاف: ومنهم من قال إن الشيطان لا يتصور على صورته أصلا فمن رآه في صورة حسنة فذاك حسن في دين الرائي وإن كان في جارحة من جوارحه شين أو نقص فذاك خلل في الرائي من جهة الدين، قال: وهذا هو الحق، وقد جرب ذلك فوجد على هذا الأسلوب، وبه تحصل الفائدة الكبرى في رؤياه حتى يتبين للرائي هل عنده خلل أو لا، لأنه صلى الله عليه وسلم نوراني مثل المرآة الصقيلة ما كان في الناظر إليها من حسن أو غيره تصور فيها وهي في ذاتها على أحسن حال لا نقص فيها ولا شين، وكذلك قال في كلامه صلى الله عليه وسلم في النوم أنه يعرض على سنته فما وافقها فهو حق وما خالفها فالخلل في سمع الرائي، فرؤيا الذات الكريمة حق والخلل إنما هو في سمع الرائي أو بصره، قال: وهذا خير ما سمعته في ذلك.

      وذكر القرافي في الفروق: تقرر في التعبير أن الرائي يراه عليه الصلاة والسلام شيخاً وشاباً وأسود وذاهب العينين وذاهب اليدين، وعلى أنواع شتى من المثل التي ليست مثاله عليه الصلاة والسلام، لأن هذه الصفات صفات الرائين وأحوالهم تظهر فيه عليه الصلاة والسلام وهو المرآة لهم، ..... إلى أن قال القرفي: وإذا صح له المثال وانضبط، فالسواد يدل على ظلم الرائي، والعمى يدل على عدم إيمانه لأنه إدراك ذاهب، وقطع اليد يدل على أنه يمنع من ظهور الشريعة ونفوذ أوامرها، فإن اليد يعبر بها عن القدرة، وكونه أمرد يدل على الإستهزاء به، فإن الشاب يحتقر، وكونه شيخاً يدل على تعظيم النبوة لأن الشيخ يعظم، وغير ذلك من الصفات الدالة على الأحكام المختلفة.
      الجهاد محك الإيمان

      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইর।

        উক্ত হাদীসে আমরা দেখছি যে -
        আল্লাহ তায়ালা রাসূলকে কালো সূরতে দেখিয়েছেন।
        কিন্তু স্বপ্ন দেখা ভাই আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কে দেখেছেন এইভাবে যে, তার মুখ-মন্ডল থেকে উজ্জ্বল নুর ছড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে, কি এই স্বপ্নের কি ব্যাক্ষা হবে? এছড়া, তিনি একই স্বপ্নে উমার ফারুক (রাঃ) কেউ দেখেছেন সম্পুর্ণভাবে।

        Comment


        • #5
          চেহারা কালো দেখানোর বিষয়টা উদাহরণস্বরুপ উল্লেখ করা হয়েছে, মূল বিষয় হলো রাসূলের চেহারা ও বাকী শরীর হাদিস ও সীরাতে বর্ণিত অবস্থায় দেখতে হবে, আর হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাক, চোখ ও মূখ কেমন ছিল তারা বিশদ বিবরণ রয়েছে, সুতরাং যে ব্যক্তি এ অঙ্গগুলো সহ চেহারা দেখতে পাবে, তার ক্ষেত্রেও শর্ত হলো এ অঙ্গগুলো হাদিসে বর্ণিত আকৃতিতে দেখতে হবে, এখন যে এগুলো দেখতেই পেল না, বরং শুধু নূর দেখতে পেল তার ব্যাপারে কিভাবে বলা যাবে সে রাসূলকে দেখতে পেয়েছে? তবে খুশির বিষয় হলো সে রাসূলকে পুরোপুরিভাবে দেখতে না পেলেও চেহারা কালো হওয়ার মত বিপরীত কোন আকৃতিও দেখতে পায়নি, আর উমর রাযিআল্লাকে পুরোপুরিভাবে দেখতে পেয়েছে, এটা প্রমাণ করে তার মধ্যে কোন বড় ধরণের গুনাহের অভ্যাস নেই, সামান্য আমলি ক্রটি থাকতে পারে, যার কারণে সে রাসূলকে পুরোপুরিভাবে দেখতে পায়নি।

          আর রাসূলকে দেখা না দেখা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর কিছু নেই, কেননা আমাদের সমাজে রাসূলকে দেখার যে প্রচলিত ফযীলত, অর্থাৎ জাহান্নাম হারাম হয়ে যাওয়া, এটা আমার জানা মতে এর কোন ভিত্তি নেই, আসলে রাসূলকে স্বপ্নে দেখতে পাওয়া একটি নেক স্বপ্ন, যা মুমিনের জন্য সুসংবাদ ও নেককার হওয়ার দলিল।
          الجهاد محك الإيمان

          জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ, আপনি প্রিয় রাসূলের দিদার দ্বারা আমাদেরকে ধন্য করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              ভাই সঠিক বলেছেন ৷
              মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

              Comment

              Working...
              X