প্রশংসা আল্লাহ সুবঃ যিনি অফুরন্ত নিয়ামাত দানকারী এবং জরাজীর্ণ ও বিলীন হবার পর সৃষ্টজীবকে পুনরুত্থানকারী।
সলাত ও সালাম নাবী (সঃ) এর প্রতি যিনি সকল উম্মাতের সরদার ও নেতা, তাঁর সম্মানিত পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের প্রতি।
হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা! এখানে এবং এই দুঃখে কষ্টে ভরা আবাসভূমিতে এমন কিছু বাড়ীঘর রয়েছে, যে ব্যক্তিই সেখানে প্রবেশ করবে, জীবিতদের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। সে সব ঘরে প্রবেশ করলে পরিবার পরিজন এবং ভাই বোনরা তাকে এমনি ভাবে বিদায় জানায় যে, আর সাক্ষাতের আশা করা যায় না। একদা একদল লোক কবর খনন করছিল এ নির্জন স্থানের অধিবাসী হিসেবে এক লাশ উপহার দেয়ার জন্য। হঠাৎ তারা এক ব্যক্তিকে কবরের দিকে এগুতে দেখে থমকে দাঁড়ালো। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আবেদদের সৌন্দর্য্যের প্রতীক, মালিক ইবনে দীনার (রহীমাহুল্লাহ)। তিনি কবরের নিকট দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন, আগামীকাল মালিকের পরিণতি ইহাই হবে। কবরে হেলান দেয়ার মত কোন কিছুই তার থাকবে না। তিনি এ কথা বলতে বলতে হঠাৎ বেহুশ হয়ে কবরের মধ্যে পড়ে গেলেন এবং লোকেরা তাকে ধরাধরি করে বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়ে এলো।
প্রিয় ভাই! কবর একাকীত্বের ঘর, বন্ধুহীন নির্জন বাড়ী, এবং অন্ধকার আবাসভূমি। কবরবাসীতো সজাগ, কিন্তু নিস্প্রভ। তার পরিচিত সাথী হলো কীট পতংগ ও দুর্গন্ধময় পুজ। কবরতো মরা লাশের বাড়ী, দুঃখ দুর্দশার মনজিল এবং বিপদ আপদের ভান্ডার। হে ভাই! কবর উল্লেখিত অবস্থার চেয়েও কতই না ভয়ানক। আর জীবিতদের জন্যে লাঞ্ছনার চেয়েও কতই না কঠিন। এর বিভীষিকার সংবাদে অমত্মরগুলো হয়ে উঠলো আতংকিত। এর সামনে অন্য সব কঠিন ব্যাপারগুলো হয়ে গেল সহজ। তাইতো কত নেক কোমল হৃদয় কেঁপে উঠল কবরের স্মরণে। আর কবর দর্শনে প্রবাহিত হলো চোখের পানি।
তাইতো দেখুন, পুত পবিত্র সাহাবী, জুননুরাইন, ওসমান ইবনে আফ্ফান (রদিআল্লাহু আনহু) কবরের নিকট দাঁড়িয়ে এমন কাঁদা কাঁদতেন যে, তাঁর দাড়ীগুলো ভিজে একাকার হয়ে যেত। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি তো জান্নাত ও জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদেন না, অথচ কবর দেখে কাঁদতে থাকেন এর কারণ কি? তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কবর হলো পরকালের প্রথম মনজিল। যদি কেউ এখান থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে তাহলে পরবর্তী মনজিলগুলো তার জন্যে অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। আর যদি এখান থেকে মুক্তি লাভ করতে না পারে, তা হলে পরবর্তী মনজিলগুলো অধিকতম কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরো বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কবরের চেয়ে অধিকতর বিভীষিকাময় কোন কিছুই দেখিনি। (তিরমিযী/ সহীহ ইবনে মাজাহ্ ৪৩৪৩)
সলাত ও সালাম নাবী (সঃ) এর প্রতি যিনি সকল উম্মাতের সরদার ও নেতা, তাঁর সম্মানিত পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের প্রতি।
হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা! এখানে এবং এই দুঃখে কষ্টে ভরা আবাসভূমিতে এমন কিছু বাড়ীঘর রয়েছে, যে ব্যক্তিই সেখানে প্রবেশ করবে, জীবিতদের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। সে সব ঘরে প্রবেশ করলে পরিবার পরিজন এবং ভাই বোনরা তাকে এমনি ভাবে বিদায় জানায় যে, আর সাক্ষাতের আশা করা যায় না। একদা একদল লোক কবর খনন করছিল এ নির্জন স্থানের অধিবাসী হিসেবে এক লাশ উপহার দেয়ার জন্য। হঠাৎ তারা এক ব্যক্তিকে কবরের দিকে এগুতে দেখে থমকে দাঁড়ালো। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আবেদদের সৌন্দর্য্যের প্রতীক, মালিক ইবনে দীনার (রহীমাহুল্লাহ)। তিনি কবরের নিকট দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন, আগামীকাল মালিকের পরিণতি ইহাই হবে। কবরে হেলান দেয়ার মত কোন কিছুই তার থাকবে না। তিনি এ কথা বলতে বলতে হঠাৎ বেহুশ হয়ে কবরের মধ্যে পড়ে গেলেন এবং লোকেরা তাকে ধরাধরি করে বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়ে এলো।
প্রিয় ভাই! কবর একাকীত্বের ঘর, বন্ধুহীন নির্জন বাড়ী, এবং অন্ধকার আবাসভূমি। কবরবাসীতো সজাগ, কিন্তু নিস্প্রভ। তার পরিচিত সাথী হলো কীট পতংগ ও দুর্গন্ধময় পুজ। কবরতো মরা লাশের বাড়ী, দুঃখ দুর্দশার মনজিল এবং বিপদ আপদের ভান্ডার। হে ভাই! কবর উল্লেখিত অবস্থার চেয়েও কতই না ভয়ানক। আর জীবিতদের জন্যে লাঞ্ছনার চেয়েও কতই না কঠিন। এর বিভীষিকার সংবাদে অমত্মরগুলো হয়ে উঠলো আতংকিত। এর সামনে অন্য সব কঠিন ব্যাপারগুলো হয়ে গেল সহজ। তাইতো কত নেক কোমল হৃদয় কেঁপে উঠল কবরের স্মরণে। আর কবর দর্শনে প্রবাহিত হলো চোখের পানি।
তাইতো দেখুন, পুত পবিত্র সাহাবী, জুননুরাইন, ওসমান ইবনে আফ্ফান (রদিআল্লাহু আনহু) কবরের নিকট দাঁড়িয়ে এমন কাঁদা কাঁদতেন যে, তাঁর দাড়ীগুলো ভিজে একাকার হয়ে যেত। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি তো জান্নাত ও জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদেন না, অথচ কবর দেখে কাঁদতে থাকেন এর কারণ কি? তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কবর হলো পরকালের প্রথম মনজিল। যদি কেউ এখান থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে তাহলে পরবর্তী মনজিলগুলো তার জন্যে অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। আর যদি এখান থেকে মুক্তি লাভ করতে না পারে, তা হলে পরবর্তী মনজিলগুলো অধিকতম কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরো বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কবরের চেয়ে অধিকতর বিভীষিকাময় কোন কিছুই দেখিনি। (তিরমিযী/ সহীহ ইবনে মাজাহ্ ৪৩৪৩)
Comment