Announcement

Collapse
No announcement yet.

সহিহ হাদিসের আলোকে তাগূতের সংজ্ঞা ও পরিচয়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সহিহ হাদিসের আলোকে তাগূতের সংজ্ঞা ও পরিচয়

    সহিহ হাদিসের আলোকে তাগূতের সংজ্ঞা ও পরিচয়

    কুরআন শরিফে তাগূত শব্দটি বারবার এসেছে, তাগূতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করাকে ইমানের শর্ত বলা হয়েছে, তাগূতের কাছে বিচার প্রার্থনা করাকে কুফর ও নিফাক বলা হয়েছে। যারা তাগূতের কাছে বিচার প্রার্থনা করে তাদের ইমানের দাবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তাগূতের পথে যুদ্ধরত ব্যক্তিদের কাফের বলা হয়েছে। সুতরাং তাগূত শব্দের অর্থ জানার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুমিনের নিকট অপরিসীম গুরুত্বের দাবী রাখে।

    মূলত তাগূত একটি ব্যাপক অর্থবহ শব্দ, এ শব্দের ধাতুমূল হলো طغيان বা সীমালঙ্ঘন করা। সুতরাং তাগূত শব্দের অর্থ হলো, প্রত্যেক এমন জিনিষ যা মাখলুক বা বান্দা হওয়ার সীমা অতিক্রম করে রবের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে, অন্যদের খোদা সেজে বসেছে, ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,

    والطاغوت: كل ما تجاوز به العبد حده من معبود أو متبوع أو مطاع (إعلام الموقعين عن رب العالمين 1/ 40 دار الكتب العلمية – ييروت الطبعة: الأولى، 1411هـ)

    “তাগূত প্রত্যেক এমন জিনিষ যার মাধ্যমে বান্দা নিজের সীমালঙ্ঘন করেছে, চাই তা উপাস্য হোক কিংবা অনুসরণীয় ব্যক্তিক্ত।” -ই’লামুল মুওয়াক্কিয়ীন, ১/৪০

    সুতরাং যে মূর্তিগুলোর পূজা করা হয় সেগুলো তাগূত। কেননা ইবাদত শুধু আল্লাহ তায়ালার প্রাপ্য। কোন সৃষ্টজীবের ইবাদত করা হলে তাকে আল্লাহর সমতুল্য গণ্য করা হয়। একাধিক হাদিসে মূর্তিকে তাগূত বলা হয়েছে, উদাহরণ স্বরুপ দেখুন, সহিহ বুখারী, ১৬৪৩; ৭১১৬ সহিহ মুসলিম, ১২৭৭; ১৬৪৮ মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯৮৫২

    ঠিক তেমনি যে সকল শাসক আল্লাহ তায়ালার আইনের পরিবর্তে মানবরচিত আইন দ্বারা শাসন করে তারাও তাগূত। কেননা আইন দেওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তায়ালার। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

    “বিধান প্রণয়নের অধিকার আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নেই। তিনিই এ আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তার ভিন্ন অন্য কারোও ইবাদত করো না। এটাই সঠিক দ্বীন। কিন্ত অধিকাংশ লোক জানে না।” -সূরা ইউসুফ, ৪০
    {وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا }

    “তিনি হুকুম প্রদানের ক্ষেত্রে কাউকে শরীক করেন না।” -সূরা কাহাফ-২৬

    সুতরাং যারা নিজেদের মনগড়া আইন দ্বারা জনগণকে শাসন করে তারা এর মাধ্যমে নিজেদেরকে রবের আসনে অধিষ্ঠিত করতে চায়, বিধান প্রদানের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে শরীক হতে চায়, তাই তারাও তাগূত।

    উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হলো, বর্তমানে যারা মানবরচিত বিধান দ্বারা দেশ শাসন করছে তারা শুধু কাফের-মুরতাদই নয় বরং তারা হলো তাগূত ও সবচেয়ে জঘন্য কাফের। তারা আল্লাহ তায়ালার আইন প্রণয়নের অধিকারকে নিজেদের হাতে নিয়ে নিজেদেরকে খোদার আসনে বসিয়েছে। কিন্তু অনেকেই এ ধরণের শাসকদের তাগূত বলা তো দূরে থাক কাফের বলেও মানতে চান না। তাই আজ আমি কিছু হাদিস পেশ করবো, যার আলোকে তাদের ‘তাগূত’ হওয়ার বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর মনে রাখতে হবে, কুরআনের ব্যাখ্যার জন্য কুরআনের পরে সর্বোত্তম উৎস হলো সহিহ হাদিস।

    প্রথম হাদিস:-
    قال جابر: «كانت الطواغيت التي يتحاكمون إليها، في جهينة واحد، وفي أسلم واحد، وفي كل حي واحد، كهان ينزل عليهم الشيطان». (صحيح البخاري 6/45 دار طوق النجاة، الطبعة: الأولى، 1422هـ)

    জাবের রাযি. বলেন, “যে সকল তাগূতের কাছে তারা বিচারের জন্য যেত তাদের একজন ছিল জুহাইনাহ গোত্রের, একজন আসলাম গোত্রের, এবং এভাবে প্রত্যেক গোত্রে এক-একজন করে তাগূত ছিল। তারা ছিল গণক। তাদের নিকট জীন-শয়তান আসতো।
    -সহিহ বুখারী, ইফা, ৭/৩২৫

    নোট:- জাবের রাযি. উল্লিখিত গণকদের তাগূত আখ্যায়িত করেছেন, অথচ মানুষ এ গণকদের পূজা করতো না, বরং শুধু তাদের নিকট নিজেদের মোকাদ্দমা পেশ করতো আর তারা আল্লাহ তায়ালার বিধানের পরিবর্তে নিজেদের মনগড়া বিধান দ্বারা ফয়সালা করতো।

    দ্বিতীয় হাদিস:-
    عن ابن عباس، قال: «كان أبو بُردة الأسلمي يقضي بين اليهود فيما يتنافرون إليه، فتنافر إليه ناس من المسلمين، فأنزل الله - تعالى -: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ} {النساء: 60} إلى قوله: { إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا إِحْسَانًا وَتَوْفِيقًا } {النساء: 62}. رواه الطبراني في المعجم الكبير (12045) وابن أبي حاتم في تفسيره (5547) وقال الهيثمي في مجمع الزوائد: (7/ 6 رقم الحديث: 10934) : رجاله رجال الصحيح.
    وقال الحافظ ابن حجر في الإصابة في تمييز الصحابة (7/32 دار الكتب العلمية بيروت الطبعة: الأولى - 1415 هـ) : وعند الطبراني بسند جيد عن ابن عباس، قال: كان أبو بردة الأسلمي كاهنا يقضي بين اليهود، فذكر القصة في نزول قوله تعالى: أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ ... {النساء: 60} الآية.

    ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন, “আবু বুরদা আসলামী ইহুদীদের মাঝে সৃষ্ট বিবাদসমূহের মিমাংসা করতো। একবার কিছু মুসলমানও নিজেদের বিবাদ নিরসন করতে তার নিকট বিচারপ্রার্থী হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন,

    أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ

    “(হে নবী!) তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী করে, তারা তোমার প্রতি যে কালাম নাযিল করা হয়েছে তাতেও ইমান এনেছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছে তাতেও, (কিন্তু) তাদের অবস্থা এই যে, তারা ফায়সালার জন্য তাগূতের কাছে নিজেদের মুকাদ্দমা নিয়ে যেতে চায়? অথচ তাদেরকে আদেশ করা হয়েছিল, যেন সুস্পষ্টভাবে তাকে অস্বীকার করে।”
    -সূরা নিসা, ৬০ তাফসীরে ইবনে আবী হাতেম, ৫৫৪৭ আলমু’জামুল কাবীর, ১২০৪৫

    হাদিসের মান:- হাফেয ইবনে হাযার রহ. (মৃত্যু ৮৫২ হি.) ‘জাইয়িদ’ বলেছেন যা সহিহ ও হাসানের মধ্যবর্তী স্তর। হাফেয নুরুদ্দীন হাইসামী রহ. (মৃত্যু ৮০৭ হি.) বলেছেন, “হাদিসের সব বর্ণনাকারীগণ ছিকাহ-নির্ভরযোগ্য।” –মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাফেয হাইসামী ৭/৬ হাদিস নং ১০৯৩৪ আলইসাবাহ, হাফেয ইবনে হাযার, ৭/৩২

    নোট:- ইবনে আব্বাস রাযি. সুষ্পষ্টরুপে বলছেন, উপরোল্লিখিত আয়াতে তাগূত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইয়াহুদী আবু বুরদা, যে ইহুদীদের মাঝে সৃষ্ট বিবাদসমূহে নিজের মনমতো বিচার করতো।

    তৃতীয় হাদিস:-

    حدثني محمد بن المثنى قال، حدثنا عبد الوهاب قال، حدثنا داود، عن عامر في هذه الآية:"ألم تر إلى الذين يزعمون أنهم آمنوا بما أنزل إليك وما أنزل من قبلك يريدون أن يتحاكموا إلى الطاغوت"، قال: كان بين رجل من اليهود ورجل من المنافقين خصومة، فكان المنافق يدعو إلى اليهود، لأنه يعلم أنهم يقبلون الرشوة، وكان اليهودي يدعو إلى المسلمين، لأنه يعلم أنهم لا يقبلون الرشوة. فاصطلحا أن يتحاكما إلى كاهن من جُهَيْنة، فأنزل الله فيه هذه الآية:"ألم تر إلى الذين يزعمون أنهم آمنوا بما أنزل إليك" حتى بلغ"ويسلموا تسليمًا". (تفسير الطبري ت أحمد شاكر 8/508 رقم الحديث: 9891 ،9892 مؤسسة الرسالة الطبعة: الأولى، 1420 هـ)
    وقال الحافظ ابن حجر في فتح الباري (5/37 ط. دار الفكر) : (روى إسحاق بن راهويه في تفسيره بإسناد صحيح عن الشعبي، قال: كان بين رجل من اليهود ورجل من المنافقين خصومة، .... وروى الطبري بإسناد صحيح عن ابن عباس: أن حاكم اليهود يومئذ كان أبا برزة الأسلمي .... وروى بإسناد صحيح آخر صحيح إلى مجاهد أنه كعب بن الأشرف)
    .

    ইমাম শা’বী রহ. বলেন, “এক ইহুদী ও মুনাফিকের মাঝে একটি বিষয়ে দ্বন্দ ছিল। ইহুদী রাসূলের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চাইলো, কারণ সে জানে রাসূল ঘুষ গ্রহণ করেন না। কিন্তু মুনাফিক ইহুদী বিচারকদের কাছে মুকাদ্দমা পেশ করতে চাইলো। কেননা সে জানে, ইহুদী বিচারকরা ঘুষ গ্রহণ করে, (সে তাদেরকে ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রায় নিয়ে নিবে) এরপর তারা জুহাইনাহ গোত্রের এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থণা করার ব্যাপারে একমত হলো। তখন পূর্বোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। -তাফসীরে তবারী, ৮/৫০৮ ফাতহুল বারী, ৫/৩৭

    হাদিসের মান:- হাফেয ইবনে হাযার ফাতহুল বারীতে হাদিসটির সনদকে সহিহ বলেছেন। আর যদিও শা’বী রহ. তাবেয়ী হওয়ার কারণে হাদিসটি মুরসাল, তবে হাফেয ইযলী (মৃত্যু: ২৬১হি.) ও হাফেয যাহাবী (মৃত্যু: ৭৪৮ হি.) সহ আরো অনেক মুহাদ্দিস শাবী রহ. এর মুরসাল হাদিসকে সহিহ বলেছেন।

    আসলে হাদিসে তাগূতের যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা ব্যতীত উল্লিখিত আয়াতের অন্য কোন ব্যাখ্যা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই সকল মুফাসসিরিন আয়াতের এ ব্যাখ্যাই করেছেন এবং এটা একেবারেই সুস্পষ্ট। কিন্তু তারপরও অনেকেই মানবরচিত বিধান দ্বারা ফয়সালাকারী শাসকদের তাগূত বলতে নারাজ, যারা বলে তাদেরকে উগ্র, খারেজী ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে দেন। তাদের নিকট প্রশ্ন, আপনারা আয়াতের কি ব্যাখ্যা করবেন, আপনারা কি বলবেন, আয়াতে তাগূত দ্বারা মূর্তি উদ্দেশ্য। তারা মূর্তির কাছেই বিচার প্রার্থণা করতো!!! এমন হাস্যকর কথা তো আজ পর্যন্ত কেউ বলেননি। না কি আপনারা বলবেন, হাসিনা যেহেতু মানবরচিত বিধান দ্বারা ফয়লাসা করে তাই সে তাগূত, কিন্তু কাফের না, তার কুফর ছোট কুফর!!! আসলে আপনারা কিছুই বলবেন না, আপনারা যা করেন ও ভবিষ্যতেও করবেন তা হলো, বর্তমান শাসকদের কুফরীর দলিল হিসেবে শুধু وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ (যারা আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত বিধান দ্বারা ফায়সালা করে না তারা কাফের- সূরা মায়েদা, ৪৪) এই দ্ব্যর্থবোধক আয়াতটি পেশ করবেন এবং বুঝানোর চেষ্টা করবেন যে, উগ্র খারেজীদের (?) ঝুলিতে শাসকদের কুফর প্রমাণের জন্য এই একটি আয়াতই রয়েছে, এরপর ইবনে আব্বাস ও অন্যান্য মুফাসসির বক্তব্যদের আলোকে, উক্ত আয়াতে কুফর দ্বারা ছোট কুফর উদ্দেশ্য হওয়ার ব্যাপারে তুমুল আলোচনা করবেন। আর এ আয়াত ছাড়াও যে শাসকদের কুফর প্রমাণের জন্য অসংখ্য দ্ব্যর্থহীন আয়াত রয়েছে সেগুলো সযত্নে এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু এ ধরণের অপচেষ্টা দ্বারা আমরা কি কুরআন ছেড়ে দিচ্ছি না, কুরআন অনুযায়ী আমল হতে দূরে সরে যাচ্ছি না? এভাবে চলতে থাকলে তো আমাদের লাঞ্চনা-অপদস্থতা কখনো ঘুচবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    إن الله يرفع بهذا الكتاب أقواما، ويضع به آخرين

    “আল্লাহ তায়ালা এই কিতাবের মাধ্যমে বহু লোককে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন এবং এরই মাধ্যমে অনেক জাতির পতন ঘটাবেন।” -সহিহ মুসলিম, ৮১৭।

    অর্থাৎ যারা কুরআন অনুযায়ী আমল করবে তাদেরকে মর্যাদা দান করবেন, আর যারা কুরআন মানবে না বা কুরআন অনুযায়ী আমল করবে না তাদের অপদস্থ করবেন। তাই আসুন, হঠকারিতা পরিত্যাগ করে শাসকদের কুফরের ব্যাপারে মুজাহিদ আলেমগণ যে আয়াতগুলো দলিল হিসেবে পেশ করেন, সেগুলো একটু ভালোভাবে অধ্যয়ন করুন, তাফসীরের কিতাব হতে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেখুন, আয়াতগুলো নিয়ে তাদাব্বুর করুন। এরপর ভেবে দেখুন, কাদের বক্তব্য কুরআনের বেশি নিকটবর্তী। আল্লাহ আমাদের সকলকে হক বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন। আমীন।

    Last edited by আদনানমারুফ; 03-05-2020, 08:57 PM.
    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

  • #2
    মাশাআল্লাহ, উপকারী পোষ্ট।
    বারাকাল্লাহু ফিকা...আমীন।

    ঈমানের দুই রুকন: এক. তাগুতকে অস্বীকার করা ও দুই. আল্লাহর উপর ঈমান আনা তথা বিশ্বাস স্থাপন করা।
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সুদৃঢ় ঈমান দান করুন এবং তাগুতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      আনেক(অনেক) উপকারি পোষ্ট করছেন।
      আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        শাসক বলে নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না ৷ আপনি পারিবারিক অথবা যেকোন বিচারের ক্ষেত্রেও যদি শরিয়াতকে ফলো না করেন তবে আপনিও একটা ছোট-খাট একটা তাগুত হয়ে যাবেন ৷
        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

        Comment

        Working...
        X