Announcement

Collapse
No announcement yet.

২টি হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ২টি হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা

    الحمد لله و كفي و سلام علي عباده الذين اصطفواامابعد
    হামদ ও সালাতের পর
    যখন আজ সারা পৃথিবীতে মুসলিম জাতি নির্জাতিত নিপীরিত।
    যখন ইসলাম ও মুসলমানদের কে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেওয়ার গভীর ষরযন্ত্রে লিপ্ত ইহুদী নাসারারা। মানব রচিত আইন যখন চাপিঁয়ে দেওয়া হয়েছে মুসলিম উম্মাহের গাড়ে। এমন এক মূহুর্তে আল্লাহ তায়ালার কিছু বান্দা তাদের এই ষড়ঃযন্ত্র চিরতরে নিঃশেষ করে দিতে, গনতন্ত্র নামক কুফুরী শাসন ব্যাবস্থা কে হঠিয়ে রব্বে কারীম আল্লাহ তায়ালার দীন কায়েম করতে চাচ্ছে, এবং সাতেমে রাসূল ও বোস্তামে রাসূলদের উচিৎ বিচার করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তাদের এই কাজে বাধা হয়ে দাড়িঁয়েছে কিছু নামধারী আলেম, ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ও তার ওয়ারিসরা, ফতোয়া দিতে থাকে সাতেমে রাসূলদের কে হত্যা করা যাবে না, শাহবাগে গিয়ে আমি জিবনের সবচেয়ে বড় নেক কাজ করছি।
    এবং আফগান ও আমিরাকার চলমান যোদ্ধে আফগান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়। দলিল দেয় ঐ সকল মুর্তাদদের মত কোরআন থেকেই যারা আবু বকর রাঃ এর শাসন কালে জাকাত কে অস্বীকার করে দলিল পেশ করেছিল কোরআন থেকে।
    তাই আমি দৃঢ় ইচ্ছা করলাম এই সমস্ত গুলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার উত্তরসরিদের এক এক করে জবাব দিব সাথে সাথে ঐ সমস্ত মাসাআলা ও হাদিসও কোরআন সুন্নাহ ইজমা কিয়াসের ভিত্তিতে স্পষ্ট করব ( না বোঝে, হঠকারিতা বসত না) হকপন্থি ওলামায়ে কেরাম গণ ভুলের মধ্যে আছে।
    ১। যখন কেউ জিহাদ ও শাহাদাতের ফজিলত নিয়ে কিছু ভাই আলোচনা করতে যায় তখন অনেক ভাই কে বলতে শুনা যায় এক বার শহিদ হলে একটি শহিদের সওয়াব পাব এর বিপরীত যদি আমি একটা সুন্নাহ কে আখরে ধরি তাহলে রাসূল (সাঃ) এর হাদিসের ভাষ্য মতে ১০০ শহিদের সাওয়াব পাব, এতো কি প্রয়োজন এক বার শহিদ হয়ে এতো শহিদের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া।
    এই সকল ভাইদের কে এই ভুল সংশুধন করাই হল আজকের আমার আলোচ্য বিষয়।
    রাসুল সাঃ এর হাদিস
    عن ابي هريرة رضي الله تعالي عته ان النبي صل الله عليه و سلم قال المتمسك بسنتي عند فساد امتي فله اجر شهيد
    অর্থাৎ যে ব্যাক্তি ফিতনার জমানায় আমার সুন্নাহ কে আক্রে ধরবে সে এক জন শহিদের সওয়াব পাবে।
    উক্ত হাদিসটি ইমাম তবারী রাহঃ اوسط ٣١/٢ উল্যেখ করেছেন এবং তার থেকে আবু নাইম حلية الأولياء তে উল্যেখ করেছেন।
    এই হাদিসটি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বলতে হয় আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রাহঃ তার السلسلة الضعيفة কিতাবের ৩২৭ এ ضعيف বলেছেন।
    তার কারণ হল মোহাম্মদ বিন সালেহ আল আজরী নামক তার এক রাবী আছে যে মাজহুল। তার ব্যাপারে হাইসামী রাহঃ মাজমাউজ জাওয়ায়েদ কিতাবের ১/১৭২ পৃষ্ঠায় লেখেন لم ار من ترجمه
    আল্লামা ইবনে হাজাত আসকালানী রাহঃ তার নূখবাতুল ফিকার কিতাবে লেখেন مجهول রাবীর হাদিস মারদুদ প্রত্তেক্ষিত।
    (٢) عن ابن عباس رضي الله عنه من تمسك بسنتي عند فساد امتي فله اجر ماءة شهيد
    ইবনে আদি রাহঃ তার كامل
    কিতাবের ২/৩২৭ এ হাদিসটি উল্যেখ করেন।
    আল্লামা আলবানী রাহঃ السلسلة الضعيفة কিতাবের ৩২৬ এ লেখেন যে উক্ত হাদিসটি ضعيف جدا কেননা উক্ত হাদিসের সনদে হাসান বিন কোতারবা নামক এক জন রাবী আছে যার হাদিস متروك যা لسان الميزان ২/২৪৬ এ উল্যেখ আছে। অনেক কে বলতে শুনা যায় জয়িফ হাদিস ত ফজিলতের ক্ষেত্রে বলা যায় উত্তরে বলি জয়িফে ইয়াসির হাদিস বলা যায় ফজিলতের ক্ষেত্রে কিন্তু জয়িফে জিদ্দান হাদিস ফজিলতের ক্ষেত্রে বলা যায় কোন কিতাবে আছে? আর এই হাদিস ত জয়িফে জিদ্দান। অনেক কে বলতে শুনা যায় আল্লাহ তায়াল একটি সুন্নাত আদায় কারীকে ১০০ শহিদের সওয়াব দিলে দিতে পারে না? উত্তরে বলব আল্লাহ তা'য়াল যা চায় তাই করতে পারে কিন্তু তোমাকে কি আল্লাহ তায়াল অনুমতি দিয়েছে জয়িফে জিদ্দান হাদিস ফজিলতের ক্ষেত্র বর্ননা করতে?
    ২য় কথা হল হাদিসে سنتي শব্দ এসেছে যার অর্থ হল আমার সুন্নাত বা আমার আদর্শ। যদি নাহু সরফ সম্পর্কে কারো সামান্যতমও জ্ঞান থাকে সে কখনো এর অর্থ আমার একটি সুন্নাত তুলবে না। অতএব তুমি রাসুল সাঃ সকল সুন্নাত পালন কর তাহলে তোমার দলিল অনুযাই পাইতে পার যদি আল্লাহ তায়ালা চায়। তবে এখানে আগে একথা বোঝতে হবে যে হাদিসে বর্নিত সুন্নাত দারা কি উদ্দিশ্য এবং ফিকহে সাস্ত্রে বর্ণিত সুন্নাত দ্বারা কি উদ্দেশ্য? নূখবাতুল ফিকার সহ উলুমুল হাদিসের অন্যন্য কিতাবে আছে হাদিসে বর্ণিত সুন্নাত দ্বারা উদ্দিশ্য হল রাসুল সাঃ এর কথা, কাজ ও তাকরির, এর মধ্যে ওয়াজিবও থাকতে পারে যেমন নামাজের মধ্যে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব এটা সাবস্ত হয়েছে সুন্নাত দ্বারা।
    বা সুন্নাতও হতে পারে যেমন নামাজের মধ্যে তাকবিরে তাহরিমার সময় হাত তোলা সুন্নাত। বা মোস্তাহাবও হতে পারে বা ফরজও হতে পারে অতএব হাদিসের মধ্যে সুন্নাত এসেছে তাই এখানে সুন্নাত দ্বারা উদ্দেশ্য রাসুল সাঃ এর আদর্শ এটা ফরজও হতে পারে, ওয়াজিবও হতে পারে মোস্তাহাবও হতে পারে অতএব, তুমি সমস্ত ফরজ পালন কর নামাজ থেকে নিয়ে জিহাদ পর্যন্তু, সমস্ত ওয়াজিব পালন কর সমস্ত মোস্তাহাব পালন কর তাহলে হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাইতে পার যদি আল্লাহ তায়ালা চায়। আর ফিকহে সাস্ত্রে বর্নিত সুন্নাত দ্বারা উদ্দেশ্য হল যা ওয়াজিবের নিচে মোস্তাহাবের উপরে, যেমন মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত। এখন যদি হাদিসে বর্ণিত সুন্নাত কে নিয়ে লাগাও ফিকহের সুন্নাতের সাথে আর ফিকহে বর্ণিত সুন্নাত কে নিয়ে লাগাও হাদিসে এবং বল একটি সুন্নাত পালন করলে ১০০ শহিদের সাওয়াব পাবে, তাহলেত এটা স্পষ্ট ভুল। মোট কথা হাদিসের সঠিক অর্থ হল, যে ব্যাক্তি ফিতনার জমানায় আমার আদর্শ কে আক্রে ধরে সে ১০০ শহিদের সওয়াব পাবে।মিষ্টি খাওয়া যেমন রাসুলের আদর্শ অনুরুপ উহুদের ময়দানে দাঁত শহিদ করাও তার আদর্শ। আল্লাহ তায়াল আমাদের কে সঠিক বোঝ দান করুন আমীন।
    و الله اعلم
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-08-2020, 05:28 PM.

  • #2
    মাশাআল্লাহ।
    আনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
    আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      দ্বিতিয় ধাপের আলোচনাটা চমৎকার হয়েছে ৷ কারণ পথম ধাপের আলোচনা দ্বারা শুধুই তর্ক-বিতর্ক হবে ফলে বিরোধিরা আসল জিনিস বুঝবে না ৷ কিন্তু দ্বিতিয় ধাপের আলোচনা করলে বিরোধিরা লাজওয়াব হয়ে যাবে ৷
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ।
        আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম বিনিময় জান্নাত দান করুন,, হে আল্লাহ্ মিডিয়া মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য করুন আমিন।

        Comment

        Working...
        X