Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহর জীবনে নসীহাহ বা কল্যাণকামিতার গুরুত্ব!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহর জীবনে নসীহাহ বা কল্যাণকামিতার গুরুত্ব!



    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
    উম্মাহর জীবনে নসীহাহ বা কল্যাণকামিতার গুরুত্ব!
    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এর ( ইমান ও নেক আমল ) জন্য আমাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন। আর আমরা হিদায়াত পাওয়ার ছিলাম না, যদি না আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দিতেন। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের উপর এবং কিয়ামাত পর্যন্ত আগত তাঁর অনুসারীদের উপর।
    আল্লাহ তাআলা বলেন-
    وتواصوا بالحق وتواصوا بالصبر
    আর যারা পরষ্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের। সূরা আসর: ৩
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
    ‘ দীন হলো কল্যাণকামিতা ( তিনবার বললেন ) । সাহাবাগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কার প্রতি? তিনি বললেন- আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূল, মুসলিমদের নেতাগণ ও সকল মুসলিমদের প্রতি ।‘ সহিহ মুসলিম ।
    নসিহাহ’র সংজ্ঞা: অপরের জন্য কল্যাণকামনা করাকে নসীহাহ বলা হয়।
    হাসান রহ: বলেন, জনৈক সাহাবী বলেন, ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা চাইলে আমি আল্লাহর কসম করে বলতে পারব যে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হলো তারা, যারা আল্লাহকে বান্দার নিকট প্রিয় করতে এবং বান্দাকে আল্লাহর নিকট প্রিয় করতে চেষ্টা করে এবং পৃথিবীর সকলের জন্য কল্যাণকামনা করে।
    ফুযাইল ইবনে ইবায রহ: বলেন, আমার দৃষ্টিতে ঐ ব্যক্তি পরিপক্ক নয়, যে অধিকতর সালাত পড়ে ও সিয়াম পালন করে; বরং পরিপক্ক হলো সে ব্যক্তি, যে ( এগুলোর পাশাপাশি ) উম্মাহর প্রতি উদার ও হিতাকাঙ্ক্ষী এবং যার কলব পরিশুদ্ধ।
    আলী ইবনে আবী তালিব রাযি: বলেন, তোমাদের পরাজয়ের প্রথম কারণ হবে হাতের জিহাদ ছেড়ে দেওয়া, তারপর কথার জিহাদ ছেড়ে দেওয়া, তারপর অন্তরের জিহাদ ছেড়ে দেওয়া। সুতরাং যখন তোমাদের অন্তর ভালোকে ভালো মনে করবে না এবং খরাপকে খারাপ মনে করবে না, তখন তোমরা অবনতির চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, তোমাদের কিছুই ঠিক ধাকবে না; সব উলট-পালট হয়ে যাবে।
    অন্তর দিয়ে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান
    পাপকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করা সকল মুসলিমের উপর সর্ববস্থায় ফরয ( অর্থাৎ পাপের সকল আখড়া মিটিয়ে ফেলার লক্ষে অন্তরে যথাযথ পরিকল্পনা স্থির করতে হবে) । তবে শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী হাত ও যবানের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। যেমন, হাদিস শরীফে আবু বকর রাযি: থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
    “কোন জাতির মধ্যে পাপ ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিহত করার শক্তি কারো থাকা সত্ত্বেও যদি তারা প্রতিহত না করে, তখন আল্লাহ তাআলার আযাব তাদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করে নেবে।“
    সুনানে আবু দাউদ: ৪৩৩৮
    শহীদ শাইখ খালিদ ইবনে আব্দুর রহমান আল হুসাইনান রহি: এর “দুরুসুন তারবাবিয়্যাহ মিনাল আহাদীসিন নাবাবিয়্যাহ” কিতাব থেকে সংগৃহিত।
    আল্লাহ তাআলা নসীহাহ’র সঠিক বুঝ আমাদেরকে দান করুন। আমীন!
    আমাদেরকেও এই কল্যাণের কাজে অংশগ্রহন করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
    সমস্ত অকল্যাণ থেকে হিফাজত করুন। আমীন! ইয়া রব্বাল আলামীন!

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ্ খুব সুন্দর আলোচনা,আল্লাহ্ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন,
    মিডিয়ার ভাইদের হেফাযত করুন, আমিন।

    Comment


    • #3
      Originally posted by Rumman Al Hind View Post
      আলহামদুলিল্লাহ্ খুব সুন্দর আলোচনা,আল্লাহ্ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন,
      মিডিয়ার ভাইদের হেফাযত করুন, আমিন।
      আমিন ছুম্মাহ আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment

      Working...
      X