নবীজি ﷺ হিন্দুস্তানের যুদ্ধের বিষয়ে সাহাবাদেরকে বলেছিলেন যে,গাযওয়াতুল হিন্দ বা হিন্দুস্তানের চূড়ান্ত যুদ্ধের শহীদরা বদর অথবা উহুদের যুদ্ধের শহীদদের মত মর্যাদা পাবে। গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে যে, এটা হবে কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের পৃথিবীর সবচে বৃহত্তম যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্তানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হয়ে যাবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ একটি অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে। মুসলমানদের জয় হবে কিন্তু এটা এতোটাই ভয়াবহ যে হয়তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমই বেঁচে থাকবেন। সবশেষে বিজয় তাদেরই পদচুম্বন করবে।
বর্ণনায় গাযওয়াতুল হিন্দ বা হিন্দুস্তানের (চুড়ান্ত) যুদ্ধ সম্পর্কে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন পূর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন। : এমন সময় এক সাহাবী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি এমন করছেন কেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন আমি পূর্ব দিকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি। : সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: পূর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করে তাদের) সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে, রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাখনু পর্যন্ত ডুবে যাবে। : ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকবে: এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনি দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে, তারাই হলো জাহান্নামী। আল্লাহ তায়ালা আমাদের পলায়ন কারী বাহিনী থেকে দূরে রাখুন আমিন
আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহিদ হবেন। শেষ আরেকটি ভাগ আল্লাহর উপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা জয় লাভ করবে।
নবীজি ﷺ বলেন এই যুদ্ধ বদর সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ) তিনি আরো বলেছেন ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হয়। নাসায়ী খন্ড ০১,পৃষ্টা ১৫২ সুনানে আবু দাউদ খন্ড ০৬,পৃষ্টা ৪২
অবস্থা দিন দিন ভয়ানক হবে এর মধ্যে যারা দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবে তাদের বিষয়ে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
অর্থাত, আখেরী যমানায় যারা দ্বীনের উপর অবিচল থাকবে তাদেরকে পঞ্চাশ জনের সওয়াব দেয়া হবে। কেউ একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই সওয়াব কি তাদের পঞ্চাশ জনের? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বরং তোমাদের পঞ্চাশ জনের।
এসব হাদীসকে সামনে রেখে কোনো কোনো ওলামায়ে কেরাম বলেছেন: আখেরী যমানায় যারা কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলবে, অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে হিজরত করবে, সাহাবায়ে কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তাদের উপর সাহাবায়ে কেরামের ফযীলত শুধু এতটুকুই হবে যে তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সরাসরি দেখেছেন।
(আল-হাবী লিল ফাতাওয়া)
সুতরাং যে যমানার উম্মতের এত ফযীলত সে যমানার উম্মতকে সাহাবায়ে কেরামের মত গুণী এবং দ্বীনের জন্য ত্যাগী হওয়া উচিত। আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তৌফিক চাই, আমরা যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার লাজ রাখতে পারি এবং প্রতিটি কাজে নিজেদেরকে সাহাবায়ে কেরামের মত করে গঠন করতে পারি । আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
নবীজি ﷺ বলেন এই যুদ্ধ বদর সমতুল্য (সুবহানাল্লাহ) তিনি আরো বলেছেন ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরিক হয়। নাসায়ী খন্ড ০১,পৃষ্টা ১৫২ সুনানে আবু দাউদ খন্ড ০৬,পৃষ্টা ৪২
অবস্থা দিন দিন ভয়ানক হবে এর মধ্যে যারা দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবে তাদের বিষয়ে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
অর্থাত, আখেরী যমানায় যারা দ্বীনের উপর অবিচল থাকবে তাদেরকে পঞ্চাশ জনের সওয়াব দেয়া হবে। কেউ একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই সওয়াব কি তাদের পঞ্চাশ জনের? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বরং তোমাদের পঞ্চাশ জনের।
এসব হাদীসকে সামনে রেখে কোনো কোনো ওলামায়ে কেরাম বলেছেন: আখেরী যমানায় যারা কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলবে, অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে হিজরত করবে, সাহাবায়ে কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তাদের উপর সাহাবায়ে কেরামের ফযীলত শুধু এতটুকুই হবে যে তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সরাসরি দেখেছেন।
(আল-হাবী লিল ফাতাওয়া)
সুতরাং যে যমানার উম্মতের এত ফযীলত সে যমানার উম্মতকে সাহাবায়ে কেরামের মত গুণী এবং দ্বীনের জন্য ত্যাগী হওয়া উচিত। আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তৌফিক চাই, আমরা যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার লাজ রাখতে পারি এবং প্রতিটি কাজে নিজেদেরকে সাহাবায়ে কেরামের মত করে গঠন করতে পারি । আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
Comment